নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইকেল গ্রিলস

০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১:৩৩

পুরো নাম এডওয়ার্ড মাইকেল গ্রিলস। জন্ম ৭ই জুন , ১৯৭৪ সালে, যুক্তরাজ্যে। বাবা মা উভয়েই ছিলেন রাজনীতিবিদ। আয়ারল্যান্ডে বেড়ে উঠেন ৪ বছর পর্যন্ত। বাল্যকালেই বাবার কাছে শিখে ফেলেন নৌকা চালানো ও পর্বতারোহণ।



৮ বছর বয়সে বাবা তাকে মাউন্টএভারেষ্টের একটি ফটো দেন। তখনি তার মনে গেঁথে যায় এভারেষ্ট জয়ের স্বপ্ন। কৈশোরে শিখেন স্কাই ডাইভিং এবং মার্শাল আর্ট। স্কুল লেভেল শেষ করে ঢুকেন সেনাবাহিনীতে। এ সময়

তিনি বিভিন্ন পরিবেশে বেঁচে থাকার কলাকৌশলগুলো রপ্ত করেন।



১৯৯৬ সালে একটি প্যারাশুট দূর্ঘটনার শিকার হয়ে হাঁটতে অসমর্থ হয়ে পড়েন এবং সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। যখন ভাবা হচ্ছিল তিনি আর হাটতে পারবেন না, তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাত্র ১৩ মাসে হাঁটাচলা শুরু করেন। এর পাঁচ মাস পর জয় করেন শৈশবের লালিত স্বপ্ন মাউন্ট এভারেষ্টকে।



মাত্র ২৩ বছর বয়স ছিল তখন তার। এটি সর্বপ্রথম এভারেষ্টে সবচেয়ে কম বয়সে উঠার বিশ্বরেকর্ড। এরপর তার রেকর্ড আরো দুজন ভাঙে। এছাড়াও তিনি ভিক্টোরিয়া ফলসেরহাজার হাজার ফুট উপরে কিছু সহযোগীকে নিয়ে একটি প্যারাশুট পার্টি করেন, যা কিনা আরেকটি বিশ্বরেকর্ড!



২০০৪ সালে তাকে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার উপাধিতে সম্মানিত করা হয় ।২০০৫ সালে তিনি এগারজন সহযোগীকে নিয়ে সাহারা মরুভূমিতে একটি সারভাইভল মিশন চালান। এটি যুক্তরাষ্ট্রের চ্যানেল ফোরসহ আরো কয়েকটি চ্যানেলে দেখান হয় এরপর তিনি চ্যানেল ফোরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং তাকে নিয়ে একটি টিভি প্রোগাম বানানো হয়, যা 'বর্ন সারভাইভর' নামে পরিচিত। এই অনুষ্ঠানটি কানাডা ,

ইন্ডিয়াসহ কয়েকটি দেশে 'ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড' নামে সুপরিচিত ।



২০০৬ থেকে ২০১২ এর মার্চ পর্যন্ত তিনি চ্যানেল ফোর তখা ডিসকভারি চ্যানেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকেন এবং মতের অমিল হওয়াতে চ্যানেল

ফোর এ অনুষ্ঠানটি বানানো বন্ধ করে দেয়। সারা বিশ্বে 'ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড' এর দর্শক প্রায় ১.২ বিলিয়ন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক এবং 'বেয়ার' নামটি তার স্ত্রীর দেয়া!



তিনি কয়েকটি বই লিখেছেন যার প্রতিটিই বেষ্ট সেলার। ছোটদের জন্যও অনেক বই লিখেছেন। বিভিন্ন চ্যারিটি, স্কাউট এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত। তিনি প্রথম টিভিতে আসেন একটি ডিওডোরান্ট এর

বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। কয়েকটি টিভি সাক্ষাত্কার অনুষ্ঠানেও তিনি এসেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে 'অপেরা উইনফ্রে শো'। তিনি 'ক্ল্যাশ অব

দ্যা টাইটান' ছবিতেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আগ্রহী ছিলেন না ।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

বিপ্লব৫৫ বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল পোস্ট। ভাল লাগল।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: অস্থির লোক ভাই এই বেয়ার গ্রিলস। কি সব যে করে!

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১০:৩০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বর্ণাঢ্য জীবন.....তার স্টাইল খুব পছন্দ।মাঝে মাঝে মনে হয় এই তো লাইফ!

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: দেখেছি উনাকে.... টিভি তে

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১১:২২

িনর্বাক ব্রহ্মপুত্র বলেছেন: আমার গুরু...............স্যালুট েবয়ার িগ্রলস

৬| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৪২

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: ওয়ানফ মোষ্ট ফেবরিট পার্সান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.