নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একটা মানুষ তখনই সুন্দর হয় যখন সে সার্বিক ভাবে সুন্দর। শুধু তার গায়ের রং ফর্সা বলে নয়। তার আচার আচরণ, চলন বলন, কথাবার্তা, শিক্ষাদীক্ষা, ধ্যান ধারণা, পোশাক আশাক সব কিছুর সমন্বয়ে একজন পরিপূর্ণ এবং সুন্দর মানুষ হওয়া সম্ভব। “ফর্সা ত্বক সৌন্দর্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়”। মনকে ফর্সা করুন আর ব্রেন কে তীক্ষ্ণ করুন, চিন্তা ভাবনা উন্নত করুন, কাজে আসবে। মানুষ মানুষকে চেহারা দিয়ে নয়, তার কাজ দিয়ে মনে রাখে। 'প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুণবিচারি' বলে বাংলায় একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে।
মেলানিনের মাত্রার তারতম্যের কারণেই মূলতো কারো গায়ের রঙ ফর্সা আর কারো কালো। কেমিক্যাল আমাদের কোমল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। নিজেকে যোগ্য করার প্রচেষ্টা করুন, দেখবেন গায়ের রং ফরসা করার প্রয়জন কত বেশি অপ্রোজনীয় মনে হচ্ছে। রাত ১১টার আগে ঘুমিয়ে পড়া উচিত। কারণ রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত ঘুমালে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হয়। ধৈর্য ও নিষ্ঠার সাথে নিয়মিত চর্চা করে গেলে সব রকম সমস্যা থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। এজন্য প্রয়োজন স্বদিচ্ছা ও রুটিন মাফিক চর্চা।
সূর্যের তাপ থেকে সব সময় নিজের ত্বককে রক্ষা করুন। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় এক গ্লাস করে অন্তত পানি পান করতে থাকুন। পানি নিজের মানসিক ও শারীরিক শক্তি ঠিক রাখতেও সাহায্য করবে। আলু ত্বক ফর্সা করার জন্য খুবই উপকারী। আলু চটকে তার মধ্যে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে নিন এবং তা মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। প্রতিটি মানুষেরই প্রচুর পরিমানে ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই ত্বক কে টানটান রাখতে সাহায্য করবে আর জিঙ্ক ত্বক কে বিকিরণ থেকে রক্ষা করবে।
ত্বকের যত্নে এবং উজ্জ্বল, সুন্দর ত্বক পেতে বহুল প্রচলিত এবং উত্তম পদ্ধতি হল মধুর ব্যবহার। একটি লেবু কেঁটে দুই ভাগ করুন আর মুখে ঘষতে থাকুন। এভাবে ১০-২০ মিনিট করার পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এটি করার ফলে আপনার ত্বক অনেকটা ফর্সা থাকবে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম তাজা টমেটো খেতে পারেন। খাবারে যত চর্বি কম তত ত্বকের জন্য ভালো। ত্বককে সজীব ও নরম ও সতেজ রাখতে সক্ষম দৈনিক আধ কাপ পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ার তরকারি।
সপ্তাহে একদিন ম্যানিকিওর এবং পেডিকিওর করবেন। প্রতিদিন ২০ মিনিটের জন্যে হলেও ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এটা আপনার দেহে রক্ত চলাচল ভালো করবে এবং ঘামের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে ত্বক হবে সজীব। ফাস্টফুড ও কোল্ড ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলুন। এটা আপনার ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর। আরো এড়িয়ে চলুন মশলাদার, তেলে ভাজা খাবার দাবার। এর বদলে প্রচুর ও সবুজ শাক সবজি খান। কথার উপরে সংযম রাখুন। আপনার কথায় কেউ যেন মানসিক দুঃখ না পায়। সেটা মাথায় রেখে কথা বলুন।
দই দেহের কোলেস্টরলের মাত্রা কমায় এতে করে হার্টের নানান ধরনের রোগ মুক্ত থাকে শরীর। নিয়মিত দই খেলে উচ্চরক্তচাপ কমে যায়। টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায়। নিয়মিত এলোভেরার ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে দাগহীন ত্বকের প্রতিশ্রুতি।
©somewhere in net ltd.