নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আক্কেল দাঁত এর সমস্যা ও প্রতিকার (বাঙালী দাত থাকতে দাতের মর্যাদা বুঝে না)

১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

আক্কেল দাঁত উঠলেই তার আক্কেল-বুদ্ধি বেশি থাকবে, আর না উঠলে কম থাকবে তার কোনো কারণ নেই। আক্কেল দাঁতে খুব ব্যথা হয় এবং খেতে কষ্ট হয়। আক্কেল দাঁতের সমস্যার ধরন বুঝে বেশিরভাগ সময়েই দাঁতটি ফেলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। দাঁতের রোগ হলে তার চিকিৎসা না করালে তা থেকে চোখ বা ব্রেইনের গুরুতর সমস্যা হতে পারে। আক্কেল দাঁত ওঠার সময় তার উপরের মাঢ়ি ফুলে যায়- ফলে তার ভেতর খাবার ঢুকে এই ব্যথার সৃষ্টি করে। ঢোক গিলতে কষ্ট অথবা হাঁ করতে কষ্ট হয়। অনেক সময় আবার আক্কেল দাঁত তার পাশের দাঁতেরও ক্ষতি করে।



আক্কেল দাতঁ সাধারনত ১৭ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে উঠে থাকে। কারো কারো এটি নাও উঠতে পারে; কারো সবগুলোই (৪টি) উঠতে পারে। সুস্থ্য ও স্বাভাবিক আবস্থানের আক্কেল দাঁত কোন সমস্যা তৈরী করে না। কিন্তু যদি দাঁতটি ওঠার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে বা দাঁতটির আকৃতি বা অবস্থানের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে থাকে; তবে বিভিন্ন উপসর্গ ও সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠিকমতো জায়গা না পাওয়াতে আক্কেল দাঁত অর্ধেক উঠে আর উঠতে পারে না।



আক্কেল দাঁতের যে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে শুরুতেই একটি এক্স-রে করানো প্রয়োজন। এক্স-রে তে দাঁতটির আকৃতি ও অবস্থান ভালোভাবে দেখে চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হয়। হালকা গরম লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি ও সাধারন ব্যাথার ঔষধই যথেষ্ট। আক্কেল দাঁত তুলে ফেললে ভবিষ্যতে খেতে বা কথা বলতে কোন সমস্যা হয়না। তবে মনে রাখা উচিত যে, “আক্কেল দাঁত তোলা” একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ন অপারেশন।



দাঁতের বাচ্চা দাঁত,

খাইতে পারি না ভাত,

ব্যথায় কাটে রাত

আজ চেনাবো আমার জাত।



দাঁত ব্যথার প্রাকৃতিক নিরাময়ঃ

দাঁত ব্যথা হলে ঘরেই আপনার ব্যথা কমিয়ে ফেলতে পারবেন। নিরাপদ প্রাকৃতিক ব্যথা নিরোধক দিয়ে দাঁত ব্যথা কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব। আসুন দেখে নেয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত ব্যথা কমানোর উপায়গুলো।



গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করতে থাকুন যতক্ষণ সম্ভব। দাঁত ব্যথা কমে যাবে।

ভ্যানিলা ভিজিয়ে রাখা পানি তুলায় ভিজিয়ে দাঁতে ধরে রাখুন। দাঁত ব্যথা কমে আসবে।

আপেল সাইডার ভিনেগার তুলায় লাগিয়ে দাঁতের সাথে ধরে রাখলে ব্যথা কমে আসে।

আক্রান্ত দাঁত দিয়ে একটুকরো আদা চিবিয়ে নিন।

রসুন থেঁতো করে লবণ দিয়ে দাঁতের গোঁড়ায় চেপে রাখুন। দাঁত ব্যাথায় আরাম পাবেন।

চিনি ও দুধ ছাড়া গরম চায়ের লিকার খান। দাঁত ব্যথায় সাময়িক আরাম পাবেন।

লবঙ্গের তেলের সাথে এক চিমটি গোলমরিচ গুড়ো মিশিয়ে ব্যথাযুক্ত দাঁতের গোড়ায় লাগাতে হয়। এতে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়।

সরিষার তেলের সাথে এক চিমটি লবন মিশিয়ে আক্রান্ত দাঁতের গোড়ায় ডলে দিতে হয়। এতে দাঁত ব্যথা কমে যায়।

কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আক্রান্ত দাঁতে দিলে দাঁতব্যথা কমানো যায়।

এক টুকরা তাজা পেঁয়াজ আক্রান্ত মাড়ি বা দাঁতে রেখে দাঁতব্যথা কমানো সম্ভব।

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে যান। সকালের নাস্তার পরে আবার দাঁত ব্রাশ করুন। দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য না বুঝলে পরে আফসোস করতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

অরনপ বলেছেন: খুব কাজের টপিক। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ।আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে আমার বিশ্বাস । এর আগেও একটা নিউজ পেয়েছিলা এই নিউজ ও অনেক উপকারী। যার দরকার হবে দেখতে পারেন। তবে আপানার এটা বাশি ভাল হইছে তাই আবারো লেখককে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। তবে এরকম আরো একটি লেখা পড়েছিলাম এখানে< http://muktomoncho.com/archives/545

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.