নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা- ৩১

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

সুন্দর ভাবে জীবন-যাপন করতে হলো, কিছু উপকরণ দরকার। প্রধান উপকরণ হচ্ছে টাকা। দ্বিতীয় উপকরণ হচ্ছে স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা এবং তৃতীয় প্রধান উপকরণ হচ্ছে- ঘুম এবং খাদ্য। এই তিনটি প্রধান উপকরণ ছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকা যায় না।



মেয়েপক্ষ ছেলের বাড়ি যৌতুক পাঠিয়েছে। খাট, আলমারি, ডেসিং টেবিল ফ্রিজ এবং টেলিভিশন। ছেলের বাড়িতে এইসব যৌতুক পেয়ে খুব আনন্দিত। ছেলের বড় বোন, আশে পাশের সব মহিলাদের বাড়িতে ডেকে এনে যৌতুকের সমস্ত জিনিস পত্র দেখাচ্ছে। যৌতুক দেখতে আসা মহিলারা নানান রকম মন্তব্য করছে। ''আরে খাট টা তো দারুন সুন্দর, এটা অবশ্যই সেগুন কাঠের। আরেক মহিলা বলল- আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগছে- আলমারিটা, মনে হচ্ছে এই আলমারিটা মালোশিয়ান কাঠ দিয়ে বানানো। এদের মধ্যে আবার একজন বলল, আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগছে ফ্রিজটা। ছেলের বড় বোন যৌতুক দেখতে আসাদের জন্য চা আর মুড়ি মাখাতে ব্যস্ত।



আমি প্রচন্ড মর্মাহত হলাম এই কারণে যে, শিক্ষিত ছেলেপক্ষ মেয়েপক্ষদের কাছ থেকে যৌতুক নিয়ে একটু লজ্জাবোধ করেনি। পাড়া-প্রতিবেশীকে নির্লজ্জের মতো যৌতুক দেখতে ডেকে নিয়ে আসা এবং এক ঝাঁক নির্লজ্জ প্রতিবেশী যৌতুক দেখে আহলাদে গদো গদো। এই আধুনিক যুগে এখনও যৌতুক আদান-প্রধান হয়, ভাবতেই খারাপ লাগে। এত গুলো প্রতিবেশীর মধ্যে একজন প্রতিবেশীও বলল না- যৌতুক নেওয়া ঠিক হয়নি। তার উপর ক'নের বাপ বেঁচে নেই। অবশ্যই মেয়েপক্ষ এই যৌতুকের জিনিস পত্র যোগাড় করতে অনেকি বেগ পেতে হয়েছে। আশরাফুল মাখলুকাতদের এই সমস্ত কর্ম কান্ড দেখে আমার বমি এসে যায়।



শিক্ষিত ছেলেপক্ষের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো। তারপরও ছেলেপক্ষ এই সমস্ত খাট, ফ্রিজ, টিভি ইত্যাদি জিনিস কেন গ্রহন করলো! লাজ-লজ্জা, মানবতা কি দুনিয়া থেকে একেবারেই উঠে গেল? তার মানে কি- আমরা মুখে মুখে আধুনিক, আড্ডায় নীতির কথা বলি কিন্তু বাস্তবে বদমাশ? অনেক যৌতুক নিয়ে আমাদের গর্ব হয়, কারন পাশের বাড়ি রফিক সাহেবের ছেলের চেয়ে অনেক গুন বেশী যৌতুক নিয়েছি, কাজেই আমরা জিতে গিয়েছি। রফিক সাহেবের পরিবার হেরে গিয়েছে। আহ! কি আনন্দ আকাশে বাতাসে! ক'নের পরিবার একটা ব্যাপার কেন বুঝে না- যে ছেলে যৌতুক নেয় সে ভালো না। ভালো হতে পারে না। যতই শিক্ষিত হোক। ভালো হলে কি আর যৌতুক নিতো?



দূর ফালতু বিষয় নিয়ে আবোল তাবোল লিখছি। এখন নিজের উপরই রাগ লাগছে। ভাবছিলাম আজ একটা ভূতের গল্প লিখব। কিছু দিন পরপর একটা কবিতা এবং একটা ভূতের গল্প না লিখলে ভালো লাগে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.