নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইকোলজি

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

মানুষ কষ্ট পায় না, কষ্ট তৈরি করে, কে কেমন কষ্ট তৈরি করবে সেটা তার বেড়ে ওঠা পরিবেশ, শিক্ষা, কোয়ালিটি অব ইনফরমেশন, বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। মানুষ কোনো একটি ঘটনাকে নেতিবাচক চিন্তা করতে করতে পাহাড়সমান কষ্ট তৈরি করে ফেলে যে সকল চিন্তা তৈরি করে তার মধ্যে ৯৫ ভাগ চিন্তাই কিন্তু বাস্তবে ঘটত না। অর্থাৎ মানুষ ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা নিয়ে যে নেতিবাচক কষ্টদায়ক চিন্তা করে তা ৯০ ভাগ চিন্তা অর্থহীন বা বাস্তব হয় না, অথচ এসব নেতিবাচক চিন্তা করে সে নিজেকে কষ্ট দিয়ে জীবনকে নষ্ট করে, ধ্বংস করে।



সাইকোলজি এমন একটা বিজ্ঞান যেটা আপনার মানসিক প্রক্রিয়া (চিন্তা, আবেগ, সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়া, স্মৃতি) আর আচার-আচরন নিয়ে কাজ করে। সাত হাজার বছর আগে ধারণা করা হত শয়তান বা দুষ্ট আত্মা থেকে মানসিকে রোগ সৃষ্টি হয়। এ পৃথিবীটা অনেক বড়। প্রতিটি মানুষ সৎ হয়ে সৎ চিন্তা করে সফলতার শীর্ষে চলে যেতে পারে। সেই সফলতার পথে সামনে বাধা পেলে ডান পাশ দিয়ে, নতুবা বাঁ পাশ দিয়ে, নতুবা নিচ দিয়ে, কোথাও পথ না পেলে মাড়িয়ে চলুন। নদীর গতিকে যেমন আটকে রাখা যায় না ভেঙে বেরিয়ে যায় মানুষের জীবনের গতিকেও আটকে রাখা যায় না।



প্রতিটি মানুষকে সৃষ্টিকর্তা পরিপূর্ণ এবং স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে তৈরি করেছেন। আমরা আমাদের অতীতকে বদলাতে পারি না, কিন্তু ভবিষ্যৎকে বদলাতে পারি। মানুষের নিয়ন্ত্রণে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি থাকে তা হলো আপনি নিজে, আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই দেখবেন সবকিছু যেন নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে সামলে নিয়ে জীবনের সঠিক গতিময়তা বজায় রাখা যোগ্য মানুষের কাজ।



ঠান্ডা মাথায়, ধৈর্যের সাথে বিবেচনা ও মূল্যবোধের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারাকেই বলে প্রোঅ্যাক্টিভ বা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। আপনি যদি এক ঘণ্টা মন খারাপ করে থাকেন তবে ওই এক ঘণ্টা আপনার জীবনের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। যা কোটি টাকার চেয়ে ক্ষতিকর। Happiness is not Destination, Happiness is Journey. কারো ব্যাপারে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে মানুষকে বুঝতে চেষ্টা করুন। দেখবেন সবার মধ্যেই কিছু না কিছু ভালো গুন আবিষ্কার করতে পারবেন।



আমরা দামী রেস্তোরাঁয় গেলে বড়সড় বখশিশ দেই, কিন্তু রিকশাওয়ালা কিংবা বাসের হেল্পারদের ২ টাকা বেশি দিতে চাই না! রিলেটিভিটি! আমরা যদি র‍্যাশনালই হতাম তাহলে নিশ্চিত এভাবে কাজ করতাম না? বেতন নিয়ে দুঃখ থাকে, থাকে পদ নিয়ে, আফসোস থাকে অফিস এর দেয়া সুযোগ সুবিধা নিয়ে। উপায় সহজ তুলনা করা! তুলনামূলকভাবে যেই বন্ধুরা জাস্ট আপনার চেয়ে কম আয় করে তাদের সাথেই থাকুন! তাদের সাথেই বেতন নিয়ে কথা বলুন। গর্বের বেলুনটা চুপসে যাবে না! বরং আরও একটু বাতাস পাবে!



আমাদের ইর‍্যাশনাল চিন্তাই আমাদের এত দুর্দশার কারণ! আমরা যদি র‍্যাশনাল হতে পারি তাহলে সব বাংলাদেশীরই জীবন আমরা সুন্দর করতে পারব! আমরা সবাই সুখী হতে পারব! মনোবিজ্ঞানকে ইংরেজীতে বলা হয় psychic, এই psychic এবং psychology দুইটাই কাজ করে মন নিয়ে, তবে যিনি psychic তিনি কাজ করেন মনের প্যারানরমাল বিষয় নিয়ে আর যিনি psychologist তিনি কাজ করে মানুষের ভাবনা/আবেগ গুলো নিয়ে যেখানে একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখা থাকবে।



সোনাগাছির নিষিদ্ধ পল্লীতে পড়ে থাকলে এই ছেলেটির ভাগ্যে কি ছিল? ব্যক্তির মনোজগতে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি সবচে’ বড় প্রভাবটি ফেলে। সাধারণ কিছু মানসিক রোগের নাম- ১. সিজোফ্রেনিয়া, ২. মৃগী রোগ, ৩. হিসটেরিয়া, ৪. বিষন্নতা, ৫. মাদকাসক্তি। মানুষের ভেতরে যেসব মানসিক প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তার কোনোটি ইতিবাচক কোনোটি নেতিবাচক। অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে মানুষের মনে একধরনের মানসিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়; এ কারণে মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। সঠিক সময় কী করবে তা বুঝে উঠতে পারে না। এ সময় বিশ্বাসের অভাবে কাউকে সেসব সমস্যার কথা বলাও যায় না। আবার যদি কারও কাছে বিষয়গুলো খুলে বলতে পারে, পরামর্শ নিতে পারে; তাহলে অনেকাংশে চাপমুক্ত থাকা যায়। এমন পরিস্থিতে কোথায় পাবেন বিশ্বস্ত ও বাস্তবভিত্তিক সমাধান।



যদি কারো চিন্তার পরিবর্তন, আবেগের পরিবর্তন, স্মৃতিশক্তি পরিবর্তন, বিচার বিবেচনা বা বোঝার পরিবর্তন হয় এবং তা তার কথাবার্তা বা আচার আচরণে প্রকাশ পায় তাহলে তাকে মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে মনে করা হয়। ব্যক্তির ব্যবহারিক পরিবর্তন, তাতে যদি আশপাশের লোক কষ্ট পায় বা আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে কষ্ট পায় তবে বুঝতে হবে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত। আচার-আচরণের পরিবর্তনের ফলে যদি তার স্বাভাবিক কাজ কর্মের ব্যাঘাত ঘটে, কাজের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়, আহার-নিদ্রার পরিবর্তন হয়, লোকজনের সঙ্গে মেলামেশায় ব্যাঘাত ঘটে অর্থাৎ এক কথায় সামাজিক ও পেশাগত ক্ষতিসাধন করে তবে তাকে মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে গণ্য করা হয়।



মানুষের সাইকোলজি যে পাত্রে ঢালবে সেই পাত্রেরই রূপ নেবে। উদাহরণস্বরূপ, অস্কারপ্রাপ্ত ছবি “চিলড্রেন অব ব্রোথেল্স”-এর এক যৌনকর্মীর সন্তানকে নিইউয়র্ক ইউনিভার্সিটির “ক্যামেরা সোসাইটি” স্পন্সর করলে সে এখন গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পথে।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১:০২

রাশেদ আহমেদ শাওন বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.