নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, সাধারনত মেয়েরা সবচেয়ে বেশী যে বিষয়ে গীবত করে সেটা হল শাশুড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি। এটা যে শুধু উপমহাদেশের মেয়েদের মধ্যে বেশী তা কিন্তু নয়; বরং এটি একটি গ্লোবাল ব্যপার। কিছু কিছু মেয়ে তো রীতিমত 'mother-in-law phobia' তে ভুগে এবং তার এই ফোবিয়াকে আরও বাড়িয়ে দেয় তার আশেপাশের লোকজন। এর ফলে কোন রকম কারন ছাড়াই তারা বিয়ের পরের দিন থেকেই তার স্বামীর বাড়ির সবাইকে এবং বিশেষ করে শাশুড়িকে তার প্রতিপক্ষ মনে করে।
যে কথাটা নিজের মা বললে সে মোটেই আমলে আনতো না, সেই একই কথা শাশুড়ি বললে সে আকাশ-পাতাল এক করে ফেলে। যদি আপনার শাশুড়ির কথায় আপনি দুঃখ পান তাহলে তার সাথে ভদ্রভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন, তাকে আপনার কষ্টটি খুলে বলুন। তাকে প্রতিপক্ষ মনে না করে বরং নিজের মায়ের মত মনে করুন। তার সাথে সুখদুঃখের কথা বলুন। দেখবেন, সে আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে যাবে। বাইরের লোকের কাছে উনার গীবত করে কেন নিজের পাপের বোঝা বাড়াচ্ছেন? আপনি যেভাবে আপনার শাশুড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে বেড়ান ঠিক সেইভাবে কি নিজের মা বা বোনের কথা আপনার বান্ধবীকে বা প্রতিবেশীকে বলেন?
বিয়ে মানে কুরবানি, বিবাহিত মানে মৃত --> এরকম কিছু কথা সমাজে প্রচলিত। নতুন প্রজন্মের মাঝে খুব বেশি ফান বা মজা-মশকরা হিসেবে এইসব ব্যবহৃত হয়। আপনি কি ভেবে দেখেছেন আপনি যেই ফান করেন তা কি সঠিক নাকি বেঠিক? আপনার জীবনের প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হচ্ছে কিনা তা যখন চিন্তা করবেন, এটাই আপনার ঈমানের পরিচয়। বৈবাহিক সম্পর্কে প্রভাব রাখতে পারে যে কোন অসুস্থতা বিয়ের আগে অবশ্যই জানিয়ে নিতে হবে।
বিয়ে থেকে খুব বেশি আশা করলে হয়ত বিয়ের পরে আবার ধাক্কা খাবেন। বিয়ে হয়ত আপনার জীবনে একটা উদ্দীপনা হতে পারে, দ্বীন পালনের মতন একজন সঙ্গী পেলে। কিন্তু বিয়ের পরে দায়িত্ব বেড়ে যায় আরো, আপনার দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়। একটি জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে সম্পাদনের পর মডারেট দম্পতি এই ভেবে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে যাক সারাজীবন মানুষকে বলার মত কিছু একটা পেলাম আর একটি সুন্নাহময় সাধাসিধে বিয়ে সম্পাদনের পর মুমিন দম্পতি এই ভেবে প্রশান্তি অনুভব করে যে আল্লাহর সন্তুষ্টির মধ্যে দিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু হল এবং এই বলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে হে আল্লাহ তুমি আমাদের এই প্রশান্তিকে জান্নাত পর্যন্ত বিস্তৃত কর।
বিয়ের আগে সত্যিই অনেক প্রস্তুতি দরকার। যারা মনে করেন প্রস্তুতি ছাড়াই বিয়ে করলে সমস্যা নেই,তারা এখনকার সময়ে চারিদিকে দাম্পত্য কলহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের পরিমাণ দেখলেই বুঝতে পারবেন মানুষে মানুষে অমিলগুলো এখন সংসারে সহাবস্থানে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যাই হোক, বিয়ের মূল প্রস্তুতিটা মানসিক, তবে এর সাথে আরো অনেক কিছুই চলে আসে। আপনাকে ফোকাসড হতে হবে। আবেগ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
এক ব্যক্তি একজন শাইখের কাছে এসে বললো, "শাইখ, আমি কয়েক বছর হলো বিয়ে করেছি, সংসারে আমার সন্তানও আছে । কিন্ত কিছুদিন হলো আমি আবিষ্কার করছি যে আমি আমার স্ত্রীর প্রতি আর আকর্ষণ অনুভব করছি না।"
শাইখ : কেন? উনি কি মোটা হয়ে গেছেন?
লোকটি : না, সে তো আগের মতই আছে।
শাইখ : আপনার স্ত্রী কি কোন দুর্ঘটনায় পড়ে তার আগের শারীরিক গঠন হারিয়ে ফেলেছেন?
লোকটি : না, সে আগের মতই আছে।
শাইখ : তাহলে কি আপনার এমন সময় যাচ্ছে যে আপনার পাশ দিয়ে কোন মহিলা অতিক্রম করলে আপনার চোখ সংযত থাকছে না, কিংবা আপনি কি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত?
লোকটি : হ্যাঁ !! কিন্তু আপনি তা কীভাবে বুঝলেন?
শাইখ উত্তর দিলেন, আপনি যখন হারামকে প্রশ্রয় দিবেন, তখন আপনি হারামের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করবেন। আপনি যখন হারামের মাঝে খাবেন, ঘুমাবেন, নিঃশ্বাস নিবেন, তখন হালালকে আপনার বিতৃষ্ণা লাগতে থাকবে।
যতই রেগে উঠুন জীবনসঙ্গিনীর গায়ে হাত কখনো তুলবেন না। আপনি যেমন আপনার স্ত্রীকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে এসে সংসার গড়েছিলেন, তিনিও কিন্তু তার নিজ পরিবার ছেড়ে আপনার কাছে এসেছেন দু'জনে মিলে সংসারটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। দু'জনের কোন বিষয়ে মতপার্থক্য হলে কিংবা স্ত্রী ভুল করে বসলেই গায়ে হাত তুলবেন না। এটি স্পষ্ট অন্যায়। স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা কাপুরুষতার লক্ষণ এবং এতে কেবল আপনি তার কাছে দিন দিন আরো ছোট হয়ে যাবেন। হয়ত তিনি আপনাকে মুখে প্রতিবাদ বা ঘৃণা প্রকাশ না-ও করে থাকতে পারেন, কিন্তু প্রতিবার আপনার ভুল আপনাকে তার কাছে ছোট করে দিবে।
অনেককেই বলতে শুনি, দোস্ত পর্ণ ছাড়তে পারিনা, সিগারেট ছাড়তে পারিনা, মিউসিক-মুভি ছাড়তে পারিনা, আর গার্লফ্রেন্ড তো ছাড়ার প্রশ্নই আসেনা। এগুলা লাইফের অংশ হয়ে গেছে। নামায পড়তে পারিনা, মন থেকে আসেনা। এমন কিছু মানুষই আমার জীবনের একটা বিশাল অংশ জুড়ে আছে। তাদের প্রতিনিয়ত নিরীক্ষা করি, বুঝতে চেষ্টা করি। তাদের কারোরই চেষ্টার অভাব নেই। বদ অভ্যাস আর অশ্লীলতা ত্যাগের সদিচ্ছা সবারই আছে। তবুও কেন জানি তারা পেরে ওঠেনা। কিছু একটা তাদের বাধা দিচ্ছে। তাদের পেছন থেকে আগলে রাখছে।
২| ০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, জাজাকাল্লাহ খায়র !
শেষের প্যারার ব্যাপারে বলছি, এদের নিয়ে দ্বীনি মাহফিলে যান। সৎ কর্মশীল মানুষের সাথে ওঠাবসা থাকলে ঈমান বৃদ্ধি পায়, আল্লাহ কোরানে "সাদেকিন"দের সাথে থাকতে বলেছেন। উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরে প্রফেসর মুহাম্মাদ হামীদুর রহমান স্যারের মাদ্রাসায় প্রতি সোমবার মাগরীব থেকে এশা পর্যন্ত দ্বীনি মাহফিল হয়, দেশে থাকতে আমি নিয়মিত যেতাম, আপনি এবং আপনার সাথের লোকজনকে সেখানে নিয়ে যান, মহিলাদের জন্যও আলাদা বসার ব্যবস্থা আছে।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ তথ্য আছে , পোস্টে +
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো পোষ্টটি।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
৫| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
নীল জোসনা বলেছেন: ভালো লিখেছেন ....। একটা জায়গায় দ্বিমত পোষন করছি ....।
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, সাধারনত মেয়েরা সবচেয়ে বেশী যে বিষয়ে গীবত করে সেটা হল শাশুড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি। এটা যে শুধু উপমহাদেশের মেয়েদের মধ্যে বেশী তা কিন্তু নয়; বরং এটি একটি গ্লোবাল ব্যপার। কিছু কিছু মেয়ে তো রীতিমত 'mother-in-law phobia' তে ভুগে এবং তার এই ফোবিয়াকে আরও বাড়িয়ে দেয় তার আশেপাশের লোকজন। এর ফলে কোন রকম কারন ছাড়াই তারা বিয়ের পরের দিন থেকেই তার স্বামীর বাড়ির সবাইকে এবং বিশেষ করে শাশুড়িকে তার প্রতিপক্ষ মনে করে।
শাশুড়ি গণ কি বৌ- ফোবিয়া তে ভুগেন না ?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: এর ফলে কোন রকম কারন ছাড়াই তারা বিয়ের পরের দিন থেকেই তার স্বামীর বাড়ির সবাইকে এবং বিশেষ করে শাশুড়িকে তার প্রতিপক্ষ মনে করে।
ঠিক কথা +++++++++++++++্