নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিকশা কেন আস্তে চলে না

১৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

রিকশা কেবল বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। কিন্তু এখন রিকশার ব্যবহার সবচয়ে বেশি বাংলাদেশেই। বিশেষ করে ঢাকা এখন রিকশার শহর হিসেবেও পরিচিতি পাচ্ছে। রিকশার উদ্ভব জাপানে। ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে। ১৮৭০ সালের পর রিকশা সে দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ একটাই। পালকির চেয়ে রিকশা দ্রুত দৌড়ায়। ঘোড়ারগাড়ি বড়লোকের বাহন। ১৮৭২ খিষ্টাব্দে টোকিয়ো শহরে সর্বমোট রিকশার সংখ্যা ছিল ৪০,০০০ । তখন থেকেই এটি জাপানি জনগনের গমনাগমনের প্রধান বাহন হয়ে ওঠে।



১৮৮০ সালের দিকে রিকশা পৌঁছয় ইন্ডিয়া। ১৯০০ সালের দিকে রিকশা পৌঁছয় কলকাতায়। ভূমি থেকে উৎখাত হয়ে শহরে আসা কৃষকের প্রথম পেশা হয়ে উঠছিল রিকশা বাওয়া। উনিশ শ তিরিশ ও চল্লিশের দশকে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে রিকশা হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। ১৯৪১ সালে ঢাকায় কতটি রিকশা ছিলো বলেন তো?

৩৭ টি। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জ্বালানি সংকটের কারণে রিকশার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। যদিও জাপানে এখন রিকশার প্রচলন নেই।



বাংলাদেশে রিকশার ঐতিহ্য থাকলেও তাই বড় বড় সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি রিকশার পেছনেই রিকশাচিত্র রয়েছে। রিকশাচিত্রগুলোয় স্থানীয় চলচ্চিত্র তারকা, মসজিদ, দেব-দেবী কিংবা প্রকৃতি-পরিবেশের চিত্র রয়েছে। ভারতের কলকাতায় প্রচলিত হাতে টানা রিকশা ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে বন্ধ করার পক্ষে মত রয়েছে। বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকার যানজটের জন্য রিকশাকে দায়ী করা হয়ে। শহুরে জীবনে অনেক প্রেম, রোমাঞ্চ আর অবকাশ যাপনের বাহন এ রিকশা।



রিকশা পরিচ্ছন্ন বাহন, এটি বায়ুদূষণ ঘটায় না। ঢাকায় গণপরিহন ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে দরিদ্র এবং নিম্ন মধ্যবিত্তের ‘ট্যাক্সি ক্যাব’ হিসেবে রিকশার কদর রয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ রিকশা চালনা, তৈরি ও মেরামতের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করে। মার্কিনরা দাবি করেন, ১৮৪৮ সালে আমেরিকার বোস্টন শহরের মার্কিন কামার অ্যালবার্ট টোলম্যান মিশনারিদের জন্য প্রথম রিকশা তৈরি করেন। ১৯৬০ সালের দিকে রিকশার সঙ্গে চেইন লাগিয়ে দেয়া হয়, যাতে মানুষের শ্রম কমে। ষাটের দশকে নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের নেত্রকোনার ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে চেইন লাগানো রিকশা বাংলাদেশে আনেন। এভাবেই বাংলাদেশে রিকশা চলাচল শুরু হয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

জাহিদ২৬ বলেছেন: সেই রিক্সা যদি এখন উন্নত হয় দোষ কোথায়?
আমি ব্যাটারি চালিত রিক্সার কথা বলছি

২| ১৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: হুম। এখন তো ভাই পায়ের কারবার নাই। মুটুরের কারবার। ইস্টার্ট দিলেই হল। উড়াইয়া নিয়া যাইবো।

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: হুম। এখন তো ভাই পায়ের কারবার নাই। মুটুরের কারবার। ইস্টার্ট দিলেই হল। উড়াইয়া নিয়া যাইবো।

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: হুম। এখন তো ভাই পায়ের কারবার নাই। মুটুরের কারবার। ইস্টার্ট দিলেই হল। উড়াইয়া নিয়া যাইবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.