নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার নবাব

২০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

নবাব সিরাজউদদৌলা বাঙালি ছিলেন না। বাঙালির আপন ছিলেন, বাঙালির দরদি ছিলেন। তিনি বাংলার ছিলেন না কিন্তু বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন। আমাদের এই ঢাকার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা হয়ে আছে নবাব পরিবারের দুর্দিন, দুঃসময়ের জীবন। সিরাজউদদৌলার মৃত্যুর পর তার প্রিয়তমা স্ত্রী লুৎফুননিসা, একমাত্র শিশু কন্যা উম্মে জোহরা, নানা আলীবর্দী খানের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা সহ নবাব পরিবারের নারীদের ৮ বছর বন্দি করে রাখা হয়েছিল বুড়িগঙ্গা পাড়ের জিঞ্জিরা এলাকার একটি প্রাসাদে।



ইরান থেকে ভাগ্য অন্বেষণে বাংলায় আসা নবাব আলীবর্দী খানের কোন ছেলে সন্তান ছিল না। তার ছিল ৩ কন্যা। ঘসেটি বেগম, ময়মুনা বেগম ও আমেনা বেগম। নবাব সিরাজউদদৌলা বিয়ে করেন ইরাজ খানের কন্যা লুৎফুননিসাকে। ইরাজ খানের পূর্বপুরুষরা ছিলেন মোঘল দরবারের কর্মকর্তা। নবাব সিরাজউদদৌলার মৃত্যুর পর থেকে তার ৫ম বংশধর পর্যন্ত কাউকে সরকারি কোন চাকরি দেয়নি বৃটিশ সরকার। নবাবের ৬ষ্ঠ বংশধর সৈয়দ জাকি রেজা ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহর কাছে এসে ধরনা দিলে ১৯১৩ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর তিনি বৃটিশ সরকারের কাছে তাকে একটি চাকরি দেয়ার জন্য অনুরোধ করে চিঠি লেখেন।



ঢাকা শহরের শাহবাগ, বেগুনবাড়ী সহ অনেকাংশেরই মালিক ছিলেন নবাব আবদুল গনি। তিনি বেগুনবাড়ীতে চা বাগান করেছিলেন। ঢাকায় পেশাদারী ঘোড়দৌড় শুরু করেছিলেন বলে অনেকের মতে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানও নাকি নবাব আবদুল গনির সম্পত্তি ছিল। তখন ঘোড়দৌড় ঢাকায় শহুরে বিনোদন হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বাব আবদুল গনিই ঢাকা শহরে প্রথম বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার আবদুল গনিকে শুধু 'নবাব' উপাধি দিয়েছিলেন তা-ই নয়, বংশানুক্রমিকভাবে সে উপাধি ব্যবহার করার অধিকারও দেওয়া হয়েছিল। সে থেকেই এ পরিবারটি ঢাকার নবাব পরিবার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ঢাকার প্রথম সংবাদপত্র 'ঢাকা নিউজ'-এর তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় উদ্যোক্তা।



ঊনিশ শতকের ষাট-সত্তর দশকে ঢাকার নবাব পরিবার বর্তমান ‘দিলখুশা’ এলাকায় তৈরি করেছিলেন বেশ কয়েকটি অট্টালিকা ও একটি সুদৃশ্য বাগানবাড়ি। পুরানা পল্টন এলাকাজুড়ে এক সময় গড়ে ওঠেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনানিবাস। পাশেই ছিল জলাভূমি। ১৯০৫ সালে ঢাকায় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী স্থাপিত হলে সরকার দিলখুশা বাগানের দক্ষিণ অংশে সরকারি অফিস নির্মাণের জন্য নবাবদের কাছ থেকে লিজ নেয়। সেখানেই গড়ে ওঠেছিল এখনকার ‘বঙ্গভবন’।



নবাবী আমলে বর্তমানের শাহবাগের একাংশের নাম ছিল নূরখান বাজার। ঊনবিংশ শতকের আশির দশকে তোলা ছবিতে গোলপুকুরের পাশে ওই ইমারতের চিহ্ন দেখা গেলেও বর্তমানে শুধু কবরটির অস্তিত্বই রয়েছে, ইমারতটি আর নেই। নূরখানের কবরের ওপর গড়ে উঠেছে বর্তমানের চারুকলা ইনস্টিটিউশনের প্রিন্টমেকিং বিভাগ। খাজা-নবাব পরিবারেরই সম্পত্তি আহসান মঞ্জিল। বহুকাল ঢাকায় আহসান মঞ্জিলের মতো জাঁকালো ও উঁচু ভবন আর ছিল না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৩২

এম হাবিব আহসান বলেছেন: +++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.