নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রিফাত প্রিয় ক্রিকেট টিমের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য অনেক কষ্টে তার বান্ধবী পুষ্পকে রাজি করলেন। যথারীতি নির্দিষ্ট দিনে বান্ধবী পুষ্পকে নিয়ে মাঠে গেলেন খেলা দেখার জন্য। তারা বসলেন। খেলা শুরু হল। খেলা চলছে। পুষ্প এর মোবাইলে ফোন এল। সে মোবাইলে আষাঢ়ে গল্প শুরু করল। হঠাৎ এক খেলোয়ারের শর্টে বলটি ১২০ কি.মি. বেগে পুষ্প মুখ বরাবর আসতে লাগল। রিফাত হতাশ হয়ে উঠে দাঁড়াল। কিছুক্ষন পর দেখা গেল পুষ্পের কিছু হয়নি বরং সে তখন ও আষাঢ়ে গল্পে মগ্ন।
--পুষ্প কোন আঘাত পেল না এটা কিভাবে সম্ভব??
আষাঢ় বাংলা সনের তৃতীয় মাস। অন্যান্য মাসের মতো আষাঢ়ের নামকরণও হয়েছে তারার নামে। সে তারার নাম ‘আষাঢ়া’। অথৈ পানি তার বৈভব। বর্ষা বন্দনায় অকুণ্ঠ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ। ‘আবার এসেছে আষাঢ়, আকাশ ছেয়ে’, এমন গানের সুরে সত্যিই ‘পুরাতন হৃদয়, পুলকে দুলিয়া’ আবার বেজে ওঠে। ‘উতল-ধারা বাদল ঝরে৷ সকল বেলা একা ঘরে’, ‘সঘন গহন রাত্রি, ঝরিছে শ্রাবণধারা/ অন্ধ বিভাবরী সঙ্গপরশহারা’ এমন কত গানে যে তিনি উপলব্ধি করেছেন বর্ষাকে!
বর্ষা উপকারী না অপকারী বিতর্ক চলে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। সজল বর্ষা প্রকৃতিতে ফুরফুরে আমেজ আনলেও নদীগুলোতে পানি প্রবাহ বেড়ে গিয়ে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে বিদিত যে, পানির সাথে পলি বয়ে এনে সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা হিসাবে বাংলাদেশকে বিনির্মিত করেছে বর্ষা ঋতুই। এবার বর্ষা কতোটা ‘আশীর্বাদ’ কিংবা ‘অভিশাপ’ হয়ে দাঁড়াবে তা ঠিক করে বলা না গেলেও পূর্বাভাস ভালো পাওয়া যাচ্ছে না। কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষা ঋতুর হাসি।
বর্ষার নতুন পানি পেয়ে সোনা ব্যাঙের দল এক স্বরে গেয়ে উঠবে, মাছ শিকারে নামবে পেশাজীবী, সৌখিন মানুষ। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস জুড়ে এই বর্ষাকাল ব্যাপৃত থাকে। পৃথিবীর আর কোনো দেশে ঋতু হিসেবে বর্ষার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বা নাম নেই। বর্ষা ঋতু যেন শুধু বাঙালিদের ঋতু। বর্ষা মানেই গুচ্ছ গুচ্ছ কদম ফুলের সুবাস। পথ চলতে কিংবা বাসে ছোট শিশু কিংবা কিশোরীর হাতে শোভা পায় তরতাজা একগুচ্ছ কদম ফুল। হাত বাড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে ‘আফা নিবেন?’ মাত্র ১০ টাকা।
বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের জন্য স্বতন্ত্র। বর্ষার কোনো জুড়ি নেই। বর্ষা ঋতু কাব্যময়, প্রেমময়। বর্ষা কবিদের ঋতু, কবিতা-গানের ঋতু, আবেগের ঋতু, প্রিয়জনের সান্নিধ্য পাবার আকাক্ষার ঋতু। ‘বর্ষণমুখর সন্ধ্যা বা বৃষ্টিভেজা রাত আমার দেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও কি মিলবে? শীতপ্রধান দেশে বা পৃথিবীর অন্য দেশের কবিরা বর্ষার সঙ্গে পরিচিতই না। তাই বর্ষার কদরও তারা জানেন না। যেমন আমাদের বাঙালি কবিরা বর্ষায় কাব্য রচনায় নিমগ্ন থেকেছেন। তাই তো কবিগুরু বলেছেন—‘এমন দিন তারে বলা যায়/ এমন ঘনঘোর বরিষায়।’
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
২| ২৩ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
আহসানের ব্লগ বলেছেন: হুম ।
এখন ভিজে কাক হয়ে গেছি ।
বর্ষার স্বাদ আর নেয়া হলোনা ।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা বর্ষা বন্দনা করতে গেলে কবিগুরুর গান, কবিতা আসবেই
কিন্তু নজরুল ইসলামের বর্ষা বন্দনা বিষয়ে তেমন কিছু জানি না পোস্টে যেহেতু উনার নামও আছে সেই সম্পর্কেও কিছু লিখলে জানতে পারতাম
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ লিখব।
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: বেশী কিছু আশা করা ভুল । তবে আমি আরও কিছু আশা করেছিলাম ।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এমন দিন তারে বলা যায়/ এমন ঘনঘোর বরিষায় --------- অনেক দিন পর মনে করিয়ে দিলেন