নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ষা মানেই গুচ্ছ গুচ্ছ কদম ফুলের সুবাস

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৫

বাংলাদেশ, ভারতের উষ্ণ অঞ্চল, চীন, মালয় কদমের আদি নিবাস। সাধারণত আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসে এ ফুল ফোটে। কদম তিন রকমের। এগুলোর নাম—ধারাকদম, ধূলিকদম্ব ও ভূমিকদম্ব। কদম গাছের কাঠ সাধারণত চায়ের বাক্স, কড়ি-বড়গা তৈরিতে কাজে লাগে। দেশলাইয়ের কাঠি, কাগজ তৈরির জন্যও কদম কাঠ উপযুক্ত। কোনো কোনো অঞ্চলে কদম ফুল তরকারি হিসেবে রান্না করেও খাওযা হয়।



কদমের সঙ্গে বৃষ্টির ভালোবাসা খুবই নিবিড়। কদম সবার চেনা ফুল, পছন্দের ফুল। একসঙ্গে অনেক কদম গাছ থাকলে খুব সুন্দর দেখায়। দেশের প্রায় সব এলাকাতেই কদম গাছ দেখতে পাওয়া যায়। একসময় মাগুরার জেলার সর্বত্র চোখে পড়ত কদম গাছ। বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়ত সেই কদম ডালে ফোটা ফুল। কদম পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালে কৃমি থাকে না। টিউমার হলে পাতা বেটে সহ্যমতো গরম করে আক্রান্ত স্থানে লাগালে ফোলা কমে ও ব্যথা কমে।



কদম ছাড়া আষাঢ় যেন কল্পনাই করা যায় না। আষাঢ়কে বরণ করতে কদমফুল ছাড়া না চললেও এমন একদিন হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে যেদিন কদম ছাড়াই আমাদের মধ্যে আষাঢ় আসবে। আগের মতো কদমগাছ চোখে পড়ে না। এক সময় আষাঢ়ের পুরো সময়টা কদমগাছ ফুলে ফুলে ভরে থাকত। শীতে কদমের পাতা ঝরে এবং বসন্তে কচি পাতা গজায়। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ফল কুচি কুচি করে কেটে পানির সঙ্গে গরম করে দিনে-রাতে কয়েকবার কুলি করলে দুর্গন্ধ থাকে না। জ্বরে পানির তৃষ্ণা কমাতে এ পানি খেলে তৃষ্ণা কমে।



চোখ জুড়ানো ঘন সবুজ পাতার মধ্যে সাদা-হলুদ মঞ্জুরির ফুলের চির চেনা কদম গাছ এখন চোখে পড়ে কমই। একসময় মাগুরার জেলার সর্বত্র চোখে পড়ত কদম গাছ। বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়ত সেই কদম ডালে ফোটা ফুল। বর্ষা মানেই গুচ্ছ গুচ্ছ কদম ফুলের সুবাস। কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষা ঋতুর হাসি। বৃষ্টির স্বচ্ছ জলে ধুয়ে-মুছে কদম ফুল হেসে উঠে পাতার আড়াল থেকে।



কদম নামটি এসেছে সংস্কৃত নাম কদম্ব থেকে। কদম্ব মানে হলো ‘যা বিরহীকে দুঃখী করে’। প্রাচীন সাহিত্যের একটি বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে কদম ফুলের আধিপত্য। মধ্যযুগের বৈষ্ণব-সাহিত্যেও কদম ফুলের সৌরভমাখা রাধা-কৃষ্ণের বিরহগাথা রয়েছে। ভগবত গীতাতেও রয়েছে কদম ফুলের সরব উপস্থিতি।



বাংলা একাডেমীর লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংগ্রাহক ও মহম্মদপুর উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্যে গ্রন্থের লেখক মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ মিলটন বলেন, ‘মাগুরা অঞ্চলে এক সময় প্রচুর কদম গাছ চোখে পড়ত। কদমের সাদা-হলুদ, পাতার সবুজ কোটি ডাল আন্দোলিত করে প্রকৃতিতে আসত বর্ষা। কদম ছাড়া বর্ষা বেমানান। প্রকৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি ও ব্যাক্তি উদ্যেগে অন্য গাছের পাশাপাশি কদম গাছ রোপণ করা প্রয়োজন।’

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব দঃখজনক লেখাটিতে কেউ মন্তব্য করেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.