নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইজরাইলকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী জাতি ঘোষনা করা হোক

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৫

ফিলিস্তিনের অবস্থান এশিয়া মহাদেশের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে। প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি অবিচারের জন্য সারাবিশ্ববাসীই কোন না কোনভাবে কমবেশী দায়ী, যদিও মূল অপরাধী জায়নিস্টরা, ব্রিটিশ ওপনিবেশবাদীরা এবং আরব রাজারা। ১৯০৫ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার।



বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এবং জনগন পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার মনে করে, শুধু ইজরায়েল, যুক্তরাষ্ঠ্র এবং মাঝে মাঝে কিছু ইইউ ডিপ্লোমেটরা পূর্ব জেরুজালেমের উপর ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্ব মানতে রাজি না। ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার বৃহৎ দেশ যে কিনা সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।



ইহুদীবাদী ইসরাইল ১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনকে দখল করে রেখেছে। তাদের এ অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ জানিয়েছে তাদেরকে হত্যা কিংবা কারাগারে বন্দী করা হয়েছে এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। বিষ্ময়কর হলেও সত্য যে, ইসরাইলী সেনাদের হামলা থেকে নিষ্পাপ শিশুরাও রেহাই পায় না।



ইসরাইলের নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। কোথায় আজ মানবতা? সন্ত্রাসী ইজরাইল ড্রোন, হেলিকপ্টার, এফ-১৬ জঙ্গি বিমান দিয়ে একের পর এক হামলায় ছোট্ট শিশুর রক্তে ভেসে যাচ্ছে গাজার মাটি। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শুধু লাশ আর ধ্বংসস্তূপ। কোথায় তুমি ইউনিসেফ? জাতিসংঘ কোথায় গেল তোমার আইন?



রাতে গাজায় সমুদ্র সৈকতে একটি বারে সমবেত হয়েছিলেন বেশ কিছু ফিলিস্তিনি যুবক। তারা সেখানে সমবেত হয়েছিলেন আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ সেমি ফাইনাল ম্যাচ দেখতে। কিন্তু সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এই পৃথিবীতে শিশুদের চেয়ে শাদা আর কি আছে আর সে শিশুরাই মিসাইল, সন্ত্রাস আর নির্যাতনের শিকার হয় সবার আগে।



আমি বুঝিনা জাতীসংঘ নামক এই কসাই খানাটা কেন রাখা হয়েছে। যারা নিপিঁরীতের পাশে দাড়াতে জানেনা অথচ ভোগবাদী সমাজকে তামাক পেতে দেয়। আমি চাই- বাংলাদেশের জনগণ আর কিছু করুক না করুক অন্তত প্রতিবাদ তো করতে পারে... শাহবাগ কি শুধু দেশের জন্য...!! শাহবাগে আরো অনেকভাবে জমায়েত হওয়া যায়।



আজ মনে হচ্ছে, হিটলার সব ইহুদিকে না হত্যা করে বড় ভুলই করেছে ! তাহলে আজ নিরীহ ফিলিস্তিনের এই করুন অবস্থা হত না। হে প্রভু তুমি কি চোখ বন্ধ করে আছো? পরম করুণাময় দয়ালু হে আল্লাহ! তুমি ওদের সহায় হও, তুমি ফিলিস্তিনের ঐ নিষ্পাপ শিশু গুলোর আর্তনাদ কবুল করো।



এ হামলা অচিরেই থামাতে হবে। তীব্র ঘৃনা জানাই ইজরাইলের এধরনের ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার। সেই সাথে ইজরাইলকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী জাতি ঘোষনা করা হোক এবং একঘরে করে রাখা হোক তাদেরকে। আমি হত্যা চাই না। শান্তি চাই। আমাকে বাচঁতে দাও হে মানুষ।



পৃথিবীতে ইসরাইল হল একমাত্র দেশ যার নাগরিকত্ব আপনি ইহুদি হলেই পাবেন। পৃথিবীর যে কোন ইহুদিই ইসরাইলের নাগরিকত্ব পায় বলেই ইসরাইলকে বলা হয় প্রমিজ ল্যান্ড। ইহুদিদের প্রধান নবী হলেন হজরত মূসা, যার কিতাব হলো তাওরাত। আমরা ঈসাকে একজন নবী বলে মানলেও ইহুদিরা মানে না। আমেরিকার মদদে ইসরাইল এখন এতটাই শক্তিশালী যে, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য।



সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মাঝখানে ইসরাইল একটি জ্বলন্ত সমস্যার নাম। ইসরাইলী প্রশাসন আইন, মানবাধিকার এসবে বিশ্বাস করেনা। তারা টিকে থাকতে চায় শক্তি প্রয়োগ করেই। ষাটের দশকে দেশটি পারমাণবিক বোমার অধিকারী হয়। বিশ্বের অনেক দেশ তাদের উন্নয়ন ও আধুনিকতার কারণে সারা পৃথিবীতে পরিচিত তবে ইসরাইল এমন একটি দেশ যে দেশটি বিশ্বে হত্যাযজ্ঞের কারণে পরিচিত।



ইসারায়েলের নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ খুব কম। দেশটি ১৯৭০-এর দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান পেয়ে আসছে। মুসলমানরা বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইসরাইল রাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করে থাকে। এই ঘৃণার পিছনের কারণও অযথা নয়, কারণ এই ইসরাইলের হামলায় গত ৪০ বছরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনের রক্ত ধারা প্রবাহিত হয়েছে। বিনা দোষে কোনও প্রকার কারণ ছাড়াই ইসরাইল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যা করে এবং রক্তে রঞ্জিত করে মুসলিম এলাকা।



ফিলিস্তিনের যে মানুষগুলোর বয়স এখন ৪২ তারা জন্মের পর থেকেই ইসরাইলের নির্যাতনকে মোকাবেলা করে আসছে। সে নির্যাতনে নিহত হয়েছে হাজার ফিলিস্তিনী। কারাগারে বছরের পর বছর ধরে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনী আর বাকিরা চালিয়ে যাচ্ছে কঠিন ও অসম এক স্বাধীনতা সংগ্রাম।



ফিলিস্তিনের আকাশ-বাতাসে শুধু ছোট ছোট শিশু আর নারীর বুকফাটা হাহাকার। নবজাত দুগ্ধ শিশুদের মায়ের বুকে ঘুমন্ত অবস্থায়ই ঝাঝরা করে দিচ্ছে সতেজ প্রাণটাকে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩০

চটপট ক বলেছেন: এই ইসরাইলিদেরই ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় দিয়েছিল, আর এর প্রতিদান এরা ভালই দিচ্ছে !!!

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৪

সাইফ সোহন বলেছেন: ফিলিস্তানিরা নৃশংস বর্বরতার স্বীকার
আর বিশ্ব নেতাদের শুধুই সমবেদনা।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৫

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন বলেছেন: ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করুন

Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.