নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
দুনিয়ার প্রত্যেক জাতিরই একাধিক আনন্দ উত্সবের দিন থাকে। মুসলমানদের তেমনি আনন্দ উত্সবের দিন হচ্ছে দুটি। দিন দুটি হচ্ছে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা। 'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ'- কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কালজয়ী গান। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় কলকাতার হিজ মাস্টারস ভয়েজ থেকে এই গানের রেকর্ডটি প্রকাশিত হয়। এতে কণ্ঠদান করেন শিল্পী আব্বাস উদ্দীন।
প্রিয় নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, 'চাঁদ দেখে রোজা পালন এবং চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন করবে। চন্দ্র মাস ২৯ দিনে হয়, আবার ৩০ দিনেও হয়। যদি আকাশে মেঘ থাকায় চাঁদ দেখা না যায়, তবে ৩০ দিনের গণনা পূর্ণ করবে।' হযরত নবী করিম (স.) যখন মাতৃভূমি মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করেন তখন থেকেই ঈদের সূচনা হয়। ঈদের দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঈদের সালাত আদায় করা।
বাংলা সাহিত্যের প্রায় সকল কবিই তাদের প্রতিভা দিয়ে ঈদ নিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করেছেন। ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার আগে একটি খেজুর কিংবা খোরমা অথবা মিষ্টান্ন খেয়ে রওনা হওয়া সওয়াবের কাজ। বছরজুড়ে নানা প্রতিকূলতা, দুঃখ-বেদনা সব ভুলে ঈদের দিন মানুষ সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলিত হন। ঈদগাহে কোলাকুলি সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করে। ঈদ এমন এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হন এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করেন।
আব্বাসউদ্দীনের গান শুনে বাংলার মানুষ খুশি হয়। এবার খালেদা জিয়ার হুংকার শুনে ভীত হয়েছে। কারণ অতীতে এবং নিকট অতীতেও প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপির আন্দোলন মানে জনগণকে নিয়ে মাঠে নামা নয়; এই আন্দোলনের অর্থ জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙচুর, বাস-ট্রাকে আগুন লাগানো এবং ঘুমন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার সন্ত্রাস। কিন্তু গণ-আন্দোলনের নামে গণহত্যাকারী সন্ত্রাস চলুক, তা দেশের কোনো মানুষ চায় না।
যারা সারাবছর জীর্ণ পোশাকে থাকে, তারাও ঈদের দিনে সন্তানদের গায়ে নতুন পোশাক পরাতে চায়। প্রতিবছর ঈদের আগে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ লক্ষ্য করা যায়। তবে স্বস্তির বিষয়, এবার এ নিয়ে বড় ধরনের কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি।
ঈদের দিন ধনী, গরীব, বড়, ছোটতে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। আল্লাহর দেয়া খুশিতে মেতে ওঠে সবাই। তাই এদিন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, গরীব-দুখীদেরকে স্মরণ করে তাদের সাথে খুশি বন্টন করা উচিৎ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে
এল খুশীর ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে
শোন আসমানি তাকিদ।
(O heart, Ramadan has come to an end,
and the happy Eid knocks at the door for all,
Come, today give yourself away wholeheartedly,
heed the divine call.)
আসসালামু আলাইকুম,
ঈদ মুবারক। সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। এই ঈদ আমাদের সকলের জীবনে নিয়ে আসুক মহান আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: এখন আমার পোষ্ট সবাই পড়ে। আগে কেউ পড়তো না।