নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে- ৩২

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৬

# আলী ও নিনু একটি বিশ্বখ্যাত উপন্যাস।এটি প্রথম প্রকাশ পায় জার্মান ভাষায়;১৯৩৭ সালে,ভিয়েনা থেকে।প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং বলশেভিকদের আগ্রাসনের সকরুণ প্রক্ষাপটে মুসলিম তরুণ আলী খান সারভানশীরের সঙ্গে খ্রিস্টান রাজকন্যা নিনু কিপিয়ানীর প্রেম,প্রণয়,বিচ্ছেদ এবং আযারবাইজানের স্বাধীনতার সমাপ্তিকে নিয়ে লেখা এ-বই অনূদিত হয়েছে ২৯টি ভাষায়, ৮৭টিরও বেশি সংস্করনে।

বাংলায় এটি অনুবাদ করেছেন বুলবুল সারওয়ার।টাইম ম্যাগাজিনে বইটি নিয়ে লেখা হয়েছে-প্রগাঢ় প্রেমের অনবদ্য দলিল: দুটি ভিন্ন সংস্কৃতির অবিশ্বাস্য সুন্দরতম দ্বন্দ্ব ও সহাবস্হান।আপনিও পড়ুন বইটি।আশা করি ভাল লাগবে।১৮০ টাকা মূল্যের বইটির বাংলা অনুবাদ এনেছে ঝিঙেফুল প্রকাশনী।



# পায়ের তীব্র ব্যথা উপেক্ষা করে তখন দিনরাত খোয়াবনামা লিখছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস! ক্যান্সারকে বাত ভেবে ডাক্তাররা তখন ভুল চিকিত্‍সা দিচ্ছিলেন ইলিয়াসকে৷ প্রচন্ড পায়ের ব্যথা নিয়েই তিনি খোয়াবনামা উপন্যাসটি লেখা শেষ করেন ৩১ ডিসেম্বর৷ ১৯৯৬ সালে ১৩ জানুয়ারি তাঁর পায়ের হাড়ে ধরা পড়ে ক্যান্সার৷ ক্যান্সারের কারণে ২০ মার্চ তাঁর ডান পা সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়৷ সেই বছর বই আকারে প্রকাশিত হয় তাঁর কালজয়ী উপন্যাস খোয়াবনামা!

এই উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি! সমগ্র খোয়াবনামা জুড়ে শুধু মানুষ, মানুষের ভীড়। মানুষের কথা। তাদর জীবন প্রণালী, সমাজজীবন, আশা-আকাঙ্খা, জীবনের যন্ত্রণা, প্রেম, বিশ্বাস, ইতিহাসলগ্নতা, ঐতিহ্য, মিথষ্ক্রিয়া--জীবনকে প্রতিফলিত করতে যা কিছু প্রয়োজন --সবকিছু এতে বর্ণীত হয়েছে। মিথের সঙ্গে জীবনকে গেঁথে দেওয়া একমাত্র খোয়াবনামা ছাড়া অন্য কোনো বাংলা উপন্যাসে নেই।



# আরব দেশে কায়াস নামে এক লোকের দুটি ঘোড়া ছিলো । ঘোড়া দুইটি ছিলো খুবই তেজী আর দেখতে খুব সুন্দর । ঐ অঞ্চলের কোন ঘোড়াই তাদের সাথে দৌড়ে পারতো না । এদের একটার নাম ছিলো দুলকি আর একটির নাম মুলকি । দুলকি আবার মুলকির চেয়েও বেশি দ্রুত ।



বড় বড় ব্যবসায়ীরা কায়াসের ঘোড়া দুইটি কিনার জন্য অনেক দাম হাকালো কিন্তু কায়াস কিছুতেই ঘোড়া দুইটির একটিও বিক্রি করতে রাজি না ।



এক রাতে এক চুর আসলো কায়াসের ঘোড়া চুরি করতে । চুর যখন দুলকির পিঠে চড়ে রওনা হয়ে গেছে তখন ঘোড়ার খুরের শব্দে কায়াসের ঘুম ভেঙ্গে যায় । ঘুম ভেঙ্গে বিষয়টা বুঝতে পেরে কায়াস মুলকির পিঠি চড়ে চুরকে পিছু ধাওয়া করতে থাকে ।



চুর যদিও দুলকির পিঠে ছিলো কিন্তু দুলকিকে দ্রুত চালাবার টেকনিক তার জানা ছিলো না । তাই তাদের মাঝে দূরত্ব দ্রুত কমতে থাকে ।



হঠাৎ কায়াস চিন্তা করলো , আমার দুলকি আজ পর্যন্ত কোনো রেসে হারে নাই । আজ অযোগ্য চালকের জন্য মুলকির কাছে হারতে যাচ্ছে ।



কায়স পিছন থেকে চিৎকার করে চুরকে উদ্দেশ্য করে বললো , তুমি দুলকির বাম কান ধরে মোচড় দাও । চুর পিছনে তাকিয়ে কায়াস কে দেখে হতাস হলো এবং আর কোনো উপায় না দেখে দুলকির বাম কান ধরে মোচড় দিলো । এতে দুলকির বেগ দিগুন হয়ে যায় এবং দ্রুত কায়াসের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলো ।



কায়াস তার প্রিয় ঘোড়াটি হারালো কিন্তু তাকে আজীবন রাখলো অপরাজেয় হিসাবে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: চুর শব্দের অর্থ হল কোন কিছুতে বুঁদ হয়ে থাকা। যেমন মদে চুর হয়ে আছে সে

আপনার লেখা পড়ে মনে হল আপনি চুর বলে বাংলা ভাষার চোর শব্দকে বুঝিয়েছেন। তা হয়ে থাকলে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার বাঙলা জ্ঞান খুবই সীমিত বা খুবই নিম্নমানের

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.