নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফোটোগ্রাফী- ১৮

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৩

একজন দক্ষ আলোকচিত্রী হতে চাইলে- কম পক্ষে পাঁচ লাখ ছবি তোলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সময়, তীব্র ইচ্ছা এবং এক আকাশ ভালোবাসা থাকতে হবে ভালো ফোটোগ্রাফীর জন্য। অতি তুচ্ছ জিনিসও দেখার চোখ থাকতে হবে। অন্য দশ জনের চেয়ে আপনার দেখার চোখ অবশ্যই আলাদা হতে হবে।

দীর্ঘদিন ছবি তোলার ফলে, ক্যামেরার সব বিষয় অটোমেটিক আপনার হাতে চলে আসবে। নিয়মিত বিখ্যাত ফোটোগ্রাফারদের ছবি দেখুন। তাতে আপনার জানার পরিধি বাড়বে এবং নতুন নতুন আইডিয়া পেয়ে যাবেন।



বেশীর ভাগ মানূষ লেখা পড়ার চেয়ে ছবি দেখতে বেশী পছন্দ করেন। এজন্য সংবাদপত্রে প্রচুর ছবি ব্যবহার করা হয়। বই পড়ে যেমন অনেক কিছু শেখা যায়- তেমনি ছবি দেখেও অনেক কিছু শেখা যায়। ছবি এমন ভাবে তোলা উচিত- যেন ফোটোশপ না করতে হয়। একজন চিত্রকর যেমন ছবি আঁকেন, ফটোগ্রাফারও তাঁর ছবিতে আবেগ, জীবনবোধ কিংবা অনুভতি বন্দি করেন।



আজকে আমি আলোচনা করতে চাই- 'ল্যান্ডস্কেপ' নিয়ে। অনেকেই ল্যান্ডস্কেপ ফোটোগ্রাফী ভালোবাসেন। সহজ ভাষায়- বিশাল মাঠ, নদী, প্রকৃতি অথবা আকাশ ইত্যাদি ফোটোগ্রাফীকেই ল্যান্ডস্কেপ বলা হয়। ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফার, তাদের কাজ শুধু বিভিন্ন স্থানকে দর্শনীয় স্থানের মতো করে ছবি তোলা।

ল্যান্ডস্কেপ ছবি তোলার সময় হলো সকাল এবং বিকাল। সকালে ও বিকালে সূর্যের আলো কিছুটা হেলে পড়ার কারণে আলো-ছায়ার পার্থক্য অনেক ভালভাবে ধরা যায়। রুল অফ থার্ড মেনেই সব সময় ছবি তোলা উচিত। ল্যান্ডস্কেপ ছবির জন্য আপনি যেতে পারেন- কক্সবাজার, বান্দারবান অথবা সুন্দরবন। আরাম করে ছবি তোলার জন্য ট্রাইপড ব্যবহার করতে পারেন। এপেচার কম এবং শাটার স্পীড বেশী রাখাই ভালো।



''ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি'' ম্যাগাজিন নিয়মিত সংগ্রহ করে পড়ুন। ভালো ফটোগ্রাফির কোনো গোপন ফর্মুলা নেই। ফ্রান্সের বিখ্যাত ফটোগ্রাফার রবার্ট দসিনেসুর মতে, ‘যদি আমি জানতাম কিভাবে একটি ভালো ছবি তুলতে হয়, তাহলে আমি সবসময়ই সেভাবে তুলতাম।’ আমার কাছে সেই ছবিটিই গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমি আমার ভাষা খুঁজে পাই। আর ভালো ছবি সেটাই যা আমার সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকবে।



্যারা ল্যান্সস্কেপ ভালোবাসেন তারা এনসেল এডামস এর তোলা ছবি গুলো দেখতে পারেন। এন্সেল এডামসের জন্ম ১৯০২ সালে সানফ্রান্সিসকো, ক্যালিফোর্নিয়ায়। এনসেল এডামস কোন দৃশ্যের ছবি নেবার আগে সেটাকে মনের চোখে অন্যভাবে দেখতেন। ক্যামেরা দিয়ে চেষ্টা করতেন মনের চোখোড়ি দেখা দৃশ্যটার কাছাকাছি যেতে। এন্সেল এডামস মারা যান ১৯৮৪ সালে।

আগে চোখ এবং মন দিয়ে দেখ। এর পর লেন্সের ভেতর দিয়ে দেখ। এন্সেল এডামসের বিখ্যাত প্রিভিজুয়ালিজেশন এর থিওরী। সৃষ্টিশীল কাজের জন্যই তিনি আজ পৃতিবীতে বিখ্যাত একজন ফটোগ্রাফার। অবাক লাগে ডিজিটাল ক্যামরা ছাড়া তিনি এত সুন্দর ছবি তুললেন কি ভাবে? কতটা অভিজ্ঞ হলে এ ধরনের কাজ করা যায় তার ছবি গুলো দেখেই বুঝা যায়। সাদা কালো ছবি যে কত সুন্দর হতে পারে তা বুঝার জন্য এনসেল এডামসের ছবি দেখুন।



ইচ্ছা ছিল ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে অনেক আলোচনা করবো কিন্তু লিখতে গিয়ে দেখছি আমি কিছুই জানি না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.