নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন সোমালিয়া দেশটি সম্পর্কে জানি

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৪

সোমালিয়া উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম মোগাদিশু। বিশ্বে অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা সোমালিয়ায় সবচেয়ে বেশি। সেখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে আড়াই লাখই দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত। অনাহারে গত বছরে প্রায় লাখখানেক মানুষ মারা গেছে। দুর্ভিক্ষে শিশুরাই বেশি কষ্ট পাচ্ছে। প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু তীব্র ও চরম দুর্ভিক্ষের শিকার। ইথিওপিয়ার বোকোলোম্যানো, মেলকাডিডা ও কোবে এই তিনটি শরণার্থী শিবিরে ১ লাখ ১০ হাজার সোমালিয় অনাহারী রয়েছে।

জলদস্যুদের কথা মনে হলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে গল্প উপন্যাসে পড়া কাধে তোতাপাখি, কাপড়দিয়ে বাঁধা অন্ধ চোখের দুধর্ষ দস্যুর কথা অথবা হলিউডের সাড়া জাগানো ছবি পাইরেটস অব দ্য ক্যারাবিয়ানের নায়ক জ্যাক স্প্যারোটের কথা। কিন্তু সেসবতো চলচিত্রের ফ্যান্টাসি মাত্র, আজ যে জলদস্যুদের কথা আলোচনা করবো তা ফ্যান্টাসি না হলেও কোন অংশেই তা থেকে কম নয়। একবিংশ শতাব্দির এই জলদস্যুরা সোমালিয়ার জলদস্যু নামে বা পাইরেটস আব দ্যা সোমালিয়ান নামে পরিচিতি পেয়েছে।

আল-শাবাব সোমালিয়া ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন, যা আল-কায়েদার টিস্যু হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী হিসাব তখনও ৬১২ জন মানুষ এবং ২৬ টি জাহাজ এই জলদস্যুদের কাছে আটক ছিল। সোমালিয়ার এক তৃতীয়াংশ মানুষকে এখনো বৈদেশিক খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হয়। সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জওহারে নারী-পুরুষের করমর্দন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

একুশ শতকের প্রথমদিকে সোমালিয়ায় প্রচণ্ড রকমের যুদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে জলদস্যু পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করে নিয়েছে এখানকার অনেকে। অভাব আর দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় হিসেবেই যেন এটাকে বেছে নিয়েছে এরা। ১৯৯১ সালের থেকে সোমালিয়ায় কোনো স্থিতিশীল সরকার ব্যবস্থা নেই। জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত সরকার শুধু মুগাদিসুর একটি অংশ এবং ছোট কিছু এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করে।

বেশিরভাগ জলদসু্যর বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। শুধু অর্থের লোভে জাহাজ ছিনতাই করে তারা। মুক্তিপণের টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, সুন্দরী বউ, প্রভাব-প্রতিপত্তি সবই পায় তারা। জলদসু্যদের টার্গেটে পরিণত হয় ছোটখাটো জাহাজ থেকে মালবাহী জাহাজ, তেল ও রাসায়নিক ট্যাংকার।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০১

খেলাঘর বলেছেন:


সোামালিয়া, ইথিওপিয়া বাদ দেন, বানলাদেশ নিয়ে লেখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.