নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ রচিত ‘লালসালু’ একটি বিখ্যাত কালজয়ী উপন্যাস।বেশ কয়েকটি শক্তিশালী নারী চরিত্রের প্রাধান্য পেয়েছে এই উপন্যাসে,তাদের মধ্যে জমিলা অন্যতম।জমিলা অত্যন্ত সাহসী এক নারী।মজিদ নামের প্রতিকী দ্বারা ভ্রান্ত না হয়ে, মজিদের সাথে না লেগে থেকে সে পরিবর্তন চেয়েছে। ধর্মকে পুঁজি করে যারা সমাজকে শোষন করে জমিলার মৃত্যু তাদের কপালে কলংকের চিহ্ন এঁকে দেয়।
২। লেখক জহির রায়হানের কিংবদন্তিতূল্য জনপ্রিয় উপন্যাস “হাজার বছর ধরে”।আর এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র টুনি,অবশ্য অনেকে আম্বিয়াকেও কেন্দ্রীয় চরিত্র বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।তবে আম্বিয়ার চেয়ে টুনির জীবনের উত্থান পতনকেই লেখক বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন।টুনি গ্রামের সহজ, সরল, চঞ্চল এক মেয়ে। টুনির পরিণতি হয়েছে হৃদয় চিরে যাওয়ার মতো কষ্টকর।শেষ পর্যন্ত শূন্য বুকে বাপের বাড়ি ফিরে টুনি,তবুও শৃংখল ভাঙ্গেনি।
৩। দেবদাস এর চন্দ্রমুখী। পার্বতীর কারনে দেবদাস রাস্তায় নেমেছে আর চন্দ্রমুখী দেবদাসকে রাস্তা থেকে তুলে এনেছে।চন্দ্রমুখী এক রূপবতী,মায়াময়ী,ভালোবাসার অনুরাগী এক নারী।দেবদাসের প্রতি যার ছিলো অপরিসীম ভালোবাসা। নিষ্পাপ,আর নির্মোহ ভালোবাসার গভীর সমুদ্রে অবগাহন করে চন্দ্রমুখী নিজেকে নতুন করে চিনতে পেরেছিলো।বাঈজীর কাজ ছেড়ে দিয়ে এক ভক্ত অনুরাগীর মত দেবদাসের সেবাযত্নে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছে সে।
৪। সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র দীপা ছিলো সাহসী ও স্বতন্ত্র চরিত্রের অধিকারীনি এক নারী। অসাধারন।যার জীবনে এসে মিশেছে নানা নাটকীয়তা,আর এসব নাটকীয়তাকে ছাপিয়েই যার জীবন এগিয়ে গেছে সমান্তরালভাবে-সেই দীপা। দীপাবলি বন্দোপাধ্যায়।
৫। সাহিত্যের এক অবিস্মরনীয় সৃষ্টি পথের পাঁচালীর দুর্গা। তুলেছিলো।দুর্গাকে ভালোবাসেনি, দুর্গার মৃত্যুতে কাঁদেনি এমন লোক খুব কমই আছে!
৬। আবু ইসহাকের বিখ্যাত উপন্যাস সূর্য দীঘল বাড়ী।এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জয়গুন। অজ্ঞ-অশিক্ষিত মানুষদের কুসংস্কার-অজ্ঞতা-গোঁড়ামি এবং ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে নিজেদের স্বার্থের জাল আরো ব্যাপক আকার বিস্তার করে।সমাজের ঐসব ভন্ড লোকদের কারনে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হয়েও উঠে দাঁড়ায় জয়গুন।
৭। বাংলা সাহিত্যের অনবদ্য সৃষ্টি রাজলক্ষী চরিত্র। রাজলক্ষী সাহসী,দৃঢ়,প্রত্যয়ী, দয়াময়ী,আবেগী সুন্দরী রমনী। রাজলক্ষী সব সময় চাইতো শ্রীকান্ত তাকে বিয়ে করে অনৈতিক জীবন থেকে তাকে মুক্ত করুক।
৮। গর্ভধারিনীর জয়িতা। সমাজপতিদের কৌশলের মারপ্যাঁচ, রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পড়ে জয়িতা শহর ছাড়তে বাধ্য হয় । তারপর ও থেমে থাকেনা তার যুদ্ধ । গ্রামে গিয়েও নানান জটিলতায় পরতে হয় জয়িতাকে।জীবনের সহজ সরল অংকগুলো জটিল মারপ্যাঁচে হারাতে চায় জয়িতাকে ।
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
মহান অতন্দ্র বলেছেন: প্রতিটি চরিত্রই ভীষণ প্রিয় আমার। চমৎকার লেখা।
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সবগুলো চরিত্রই ভাল লাগে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে রাজলক্ষী।
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: সবগুলো চরিত্র আমারও ভীষণ প্রিয়
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৪
বোকামানুষ বলেছেন: দীপাবলি সব সময়ের জন্য প্রিয় একটি চরিত্র সংগ্রাম সাহসীকতার জন্য আর টুনিকেও অনেক ভাল লেগেছে ওর সারল্য আর ছেলেমানুষির জন্য