নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময় বিতর্কিত পুরুষ রাসপুতিন

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪





ইতিহাস কি শুধু তাদেরকেই মনে রাখে যারা মহান সব কীর্তির মাধ্যমে নিজেদের অমর করে রেখে গেছেন? নাকি শুধু তারাই মহাকালের পথে নিজেদের চিহ্ন রেখে গেছেন যাদের হৃদয় ছিলো আলো দিয়ে ভরা? আমরা স্বীকার করতে না চাইলেও এটাই সত্যি যে ইতিহাসের আলোকিত দিকের পাশাপাশি রয়েছে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন ছায়াও। নিজেদের “কুকীর্তির” মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে আছেন এমন মানুষের সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয়। এমনকি কেউ আছেন যাদের কুখ্যাতিই তাদের করে রেখেছে কিংবদন্তি। পুতিন দাবি করতেন, তার কাছে রোগ সারানোর ক্ষমতা রয়েছে এবং তিনি ভবিষ্যদ্বাণীও করতে পারেন।



রাসপুতিন একজন রুশ সন্ন্যাসী এবং জার ২য় নিকোলাস এর দরবারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। অনেকে তাকে চরিত্রহীন লম্পট এবং সে সময়ের রুশ রাজনীতিতে নানা ধরণের দুষ্কর্মের হোতা বলে মনে করেন। রাসপুটিনের জন্ম হয় তুরা নদীর তীরে সাইবেরিয়ার ছোট্ট একটি গ্রামে । রাসপুতিনের বাবা ঘোড়ার ব্যবসা করতেন। একবার তার কয়েকটা ঘোড়া চুরি হল- বালক রাসপুতিন নাকি ঘোড়া চোরের নাম বলে দিয়েছিল। গ্রামে লোক বলাবলি করল ছেলে তো খ্রিস্টের আর্শীবাদ পেয়েছে। ১৮ বছর বয়সে রাসপুটিনের মধ্যে ধর্মীয় পরিবর্তন আসে। তখন তিনি তিন মাস কাটান ভার্কোটারি মনাস্ট্রিতে। এরপর তিনি যখন নিজ শহরে ফিরে আসেন, তখন তিনি এক পরিবর্তিত মানুষ।



১৮৮৯ সালে রাসপুতিন বিয়ে করে। কনের নাম প্রাসকোভিয়া ফিয়োদরোনভা। তিনটি বাচ্চা হল এদের- দিমিত্রি, মারিয়া ও ভারভারা। কিন্তু সংসারে মন বসল না। ঘুরে ঘুরে বেড়াতে লাগল । অন্য এক নারীর সংসর্গে তার আরও একটি সন্তান ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির প্রতি সহানুভূতিশীল থাকায় রাজদরবারের লোকের হাতে তিনি গুপ্তহত্যার শিকার হন। তার জন্ম ১৮৬৯ সালের ২২ জানুয়ারি। রাসপুতিনের বড় এক ভাই ও ছোট এক বোন ছিল। মৃগী রোগে আক্রান্ত বোনটি নদীতে ডুবে মারা যায়। আরেকবার বড় ভাইও পুকুরে ডুবে যায়। পরে তিনি নিউমোনিয়ায় মারা যান। এ দুটি ঘটনা রাসপুতিনের জীবনে প্রবল প্রভাব বিস্তার করে।



১৯১৬ সালে রাশিয়ার এই প্রভাবশালীসন্যাসীকে বরফের নিচে পানিতে মৃতঅবস্থায় উদ্ধার করা হয় । যদিও পানিতে ডুবে তার মৃত্যুকে একটি নিছক দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচার করা হয় কিন্তু তার মৃত্যু যে একটি পরিকল্পিত হত্যা সেটি পরবর্তিতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়। রাসপুতিন এর দেহ নদীতে জমাট বরফ কেটে গর্ত করে পানিতে নামানোর আগে তার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়, এরপর তাকে পুরুষত্বহীন অর্থাৎ খাসি করানো হয় । তাছাড়া তার মাথায়, ফুসফুস ও কলিজাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।



বিংশ শতাব্দীর ডাক্তারদের ধারণা, রাসপুটিন হিপনোটাইজিং জানতো। উছ্বংখল জীবন-যাপন পদ্ধতি, অতিরিক্ত মাত্রায় এলকোহল সেবন, নারীদের প্রতি অশালীন আচরন প্রভৃতি কারণে রাসপুটিনের প্রচুর শত্রু তৈরী হয়। রাসপুটিনকে ১৯১৬ সালের ১৬ই ডিসেম্বর (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯শে ডিসেম্বর) সেন্ট পিটার্সবার্গে তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানায়। সেখানে প্রথমে রাসপুটিনকে সায়ানাইড মিশ্রিত মদ আর কেক খাওয়ানো হয়, কিন্তু রাসপুটিন মারা যায়নি। এরপর ফেলিক্স রাসপুটিনের বুকে গুলি করেন, এমনকি আরেকজন ষড়যন্ত্রকারী আরো দুইবার গুলি করে, কিন্তু তখনো রাসপুটিন মারা যায়নি। আহত রাসপুটিনকে পরে পেট্রোভস্কি দ্বীপের ব্রিজ থেকে নেভা নদীতে ফেলা দেওয়া হয়। কিছুদিন পর তার লাশ পাওয়া যায়।



মৃত্যুর পূর্বে রাসপুটিন জার নিকোলাসের কাছে এক অদ্ভুত ভবিষ্যতবানী করে যানঃ “যদি আমি সাধারণ জনগনের হাতে মারা যাই, তুমি, রাশিয়ার জার, তোমার সন্তানদের জন্য কোনো চিন্তা করো না, তারা আরো শত শত বছর রাশিয়া শাসন করবে।……আর যদি আমার মৃত্যুর কারণ হয় তোমার আত্মীয়দের মধ্যে কেউ, তাহলে শুনে রাখো, তোমার পরিবারের সবাই আগামী দুই বছরের মধ্যে খুন হবে, খুন হবে রাশিয়ার জনগনের হাতে………”



রোমানভ পরিবারের সদস্যের হাতে রাসপুটিনের খুন হওয়ার তিন মাস পর ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে নিকোলাস দ্বিতীয় ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হোন, এবং দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে নিকোলাসের পরিবারের সবাই নিহত হোন, রাশিয়ার জনগনের নেতাদের হাতে!



সব রাশিয়ান বিশ্বাস করে না যে, রাসপুটিন ও জারিনা প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন এবং তারা জার্মানদের সাথে আলাদা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়া ও জার্মানি ছিল পরস্পরের শত্রু।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো লিখেছ। রহস্যময় পুরুষ রাসপুটিন

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

সোহানী বলেছেন: অজানা তথ্য... জানা ছিল না ++++++।

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন তো ! ভাল লাগলো রাসপুটিন কাহন ।

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন পোস্ট-- চরম ভাললাগা রেখে গেলাম

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

নীল লোহীত বলেছেন: ভালো লাগলো।
অনেক তথ্য অজানা ছিল।

আমার একটা প্রশ্ন ছিল, "রাসপুটিন" শব্দটার আভিধানিক কোন অর্থ আছে কি?

যেমন বাংলা কোন একটা গানের ভিতর শব্দটা শুনেছিলাম।

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০০

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: বাহ্, একসাথে বেশ কিছু তথ্য জানা হল রাসপুটিন সম্পর্কে। রাসপুটিন সম্পর্কে ছেড়া ছেড়া ভাবে একটু জানা ছিল আর বনি এম-এর গানটা থেকে খানিকটা জানা।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জানলাম ওনাকে কিছুটা !
তথ্যগুলো কি উইকিপিডিয়া থেকে নিয়েছেন ?

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০০

তিথীডোর বলেছেন: স্কুল জীবনে বহুত শোনা সেই বনি এম এর গানটা মনে পরে গেলো ---
RA RA RASPUTIN
Lover of the Russian queen...!

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: উনার অপকর্মের কয়েকটা উদাহরন তো দিতে পারতেন যেমন কিভাবে করতেন?

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২০

রামন বলেছেন:
নীল লোহীত,স্বপ্নবাজ অভি,ইমরান আশফাক এবং লেখক @

এই লেখকের নিকট থেকে উত্তর আশা করা এক প্রকার অরন্যে রোদন ছাড়া আর কিছু নয়৷ উনি একজন উচ্চ মাপের দুর্দান্ত লেখক। আমাদের সকলের প্রশ্ন উনার কাছে সস্তা এবং ফালতু মনে হয়৷এই কারণে তিনি প্রশ্নের উত্তর দেন না৷কিন্তু এই হাই-ফাই লেখক যখন অন্যের লেখা কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেন তখন তার আত্মমর্যাদা কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকবে,সেটা কী তিনি কখনও অনুমান করেছেন !? কোন লেখার উত্কৃষ্টতা, শ্রেষ্ঠতা বজায় রাখার জন্য উদ্বৃতি স্বরূপ অন্য লেখকের লেখার অংশ বিশেষ সংযুক্ত করা দূষণীয় কিছু নয় কিন্তু তখনি লেখকের সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় ঘটে যখন তিনি লেখাটির তথ্য-সুত্র উল্লেখ করতে লজ্জ্বা বোধ করেন।আশাকরি লেখক আমার মনের ভাব অনুধাবন করতে পারছেন এবং আমার এই অপ্রিয় মন্তব্যটি যদি আপনাকে আঘাত দিয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

রাজীব নুর বলেছেন: হুম, আমি মাঝে মাঝে লেখা কপি করি। কিন্তু সব সময় না। আপনি যদি আমার ব্লগ গুলো দেখেন তাহলে আমার সাথে একমত হবেন। আমি গর্ব করে বলতে পারি- আমি একজন পরিশ্রমী ব্লগার।

ভালো থাকুন। শুভ কামনা।

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বিশাল এক মন্তব্য করেছেন।
আজ কোথায় আপনি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.