নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বক্সিং এর জন্মলগ্ন প্রাচীন গ্রিস থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৬৮৮ অব্দে অলিম্পিক গেমস। ২০০৪ সালে, ESPN এ বিশ্বের সবচেয়ে জটিল খেলা হিসাবে স্থান পেয়েছিল বক্সিং। বড়দিনের পরের দিন অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে পালন করা হয়। বক্সিং বা মুষ্টিযুদ্ধের ইতিহাসও অনেক পুরনো। যিশুখ্রিস্টের জন্মের প্রায় ১৬০০ বছর আগেই সান্তরিনির গ্রিক দ্বীপে এ খেলা প্রচলিত ছিল।
বক্সিং খেলা যেখানে দুটি মানুষ শক্তি, প্রতিবর্তী ক্রিয়া, এবং সহনশীলতার পরীক্ষায় দস্তানা হাতে নিয়োজিত থাকে প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘুষির মাধ্যমে নকআউটের লক্ষে। বক্সিং এক থেকে তিন মিনিট চক্রের অন্তর একটি ধারাবাহিক খেলা যেটি একজন রেফারির তত্ত্বাবধানে খেলা হয়। প্রাচীন গ্রীসে যোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বক্সিং খেলার আয়োজন করাহত। বক্সিং প্রাচীন রোমে একটি জনপ্রিয় দর্শক সমাগমের খেলা ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রকি মারসিয়ানোই একমাত্র হেভিওয়েট মুষ্টিযোদ্ধা, যিনি অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কখনও হারেননি! বিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মুহম্মদ আলী খেলার সময় প্রতিপক্ষকে কনুইয়ের সাহায্যে নিচ থেকে গুঁতা মেরে ধরাশায়ী করতেন। তবে অ্যারন ব্রাউনই প্রথম যোদ্ধা, যিনি মুহম্মদ আলীর ভঙ্গি অনুসরণ করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেন।
মোহাম্মদ আলীর একটা লাল সাইকেল ছিল যেটি এক ক্রিসমাস ডেতে তার বাবা তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল। সাইকেলটি তার প্রিয় ছিল। সাইকেলটিকে এক দোকানের পাশে রেখে একদিন সে ও তার বন্ধুরা মিলে পার্শ্ববর্তী বাজারে আড্ডা দিচ্ছিল। পপকর্ন খাচ্ছিল। বাড়ি ফেরার মুহূর্তে দেখেন তার সাইকেলটি আর নেই। তার উপহার পাওয়া সাইকেলটি চুরি যাওয়ায় কষ্ট পান তিনি। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু। চোরের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন কিশোর মোহাম্মদ আলী।
সিদ্ধান্ত নেন পুলিশকে জানানোর। পাশের এক জিমে (ব্যায়ামাগারে) জয়ি মারটিন (যিনি বক্সিং এর প্রশিক্ষন দিচ্ছিলেন) নামক এক পুলিশের কাছে যান মোহাম্মদ আলী। পুলিশ তার অভিযোগ, ছোট এই বালকের হতাশাগ্রস্ত চেহারা সর্বোপরি চোরের ওপর তার প্রতিশোধ নেয়ার তীব্র ক্ষোভ দেখে মোহাম্মদ আলীকে পরামর্শ দিলেন- যুদ্ধে যাওয়ার আগে যুদ্ধ শিখে নাও। এমন উৎসাহ দিয়েই বালক মোহাম্মদ আলীর হাতে জিমে ভর্তি হওয়ার ফরম তুলে দিলেন।
মুষ্টিযুদ্ধ খেলা বৈধ নয়। কারণ এ খেলা বড় ঘাত প্রতিঘাত এর খেলা। যাতে বিপদাশঙ্কা খুব বেশী। আর মহান আল্লাহ বলেন, “তোমরা নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করো না।” (বাকারাহঃ ১৯৫)। বক্সিং খেলা মানেই হল মুখে আঘাত করা, যাতে পয়েন্ট পাওয়া যায় সব থেকে বেশি। আল্লহ রব্বুল আলামীন পাক কালামে চারিত্রিক ত্রুটি জনিত ঘটনায় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পূর্বে তিনটি ধাপ রেখেছেন। তার তৃতীয় নাম্বার ধাপ হল প্রহার করা। তাফসীরের বর্ণনায় সেমতাবস্থায়ও স্ত্রীর মুখে আঘাত করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লহ রব্বুল আলামীন বলেছেন, “মানুষকে সর্বোত্তম সুরতে (আকৃতিতে) সৃষ্ট করা হয়েছে”। মানুষের মুখ বাদ দিলে আর তাকে বাহ্যিক-ভাবে চেনার মত কিছুই থাকেনা। মুখের কোন চিহ্ন ঢেকে রাখার বা আড়াল করার মত ব্যবস্থাও নেই। শত কাপড়-চোপড় পরলেও মুখ বা চেহারাকে খোলাই রাখতে হয়। শুধু মাত্র মুখের মাধ্যমেই আমরা একে অপরকে চিনে থাকি। অতএব শরীরের সর্ব শ্রেষ্ঠ অংশ তথা অবয়বে বক্সিং, কারাটে অথবা যে কোন উছিলায় আঘাত করাকে ইসলাম হারাম ঘোষণা করেছে।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লাস্ট পোষ্টে করা বিভিন্ন ব্লগারদের মন্তব্যের জবাব দিলেনা। অথচ দিলে ব্যাপারটা ভালো হত।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে এখন তাদের সবাইকে মন্তব্যের জবাব দিয়ে দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
আরেকটু বিস্তারিত হলে ভাল হত।