নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোমিওপ্যাথি বৃত্তান্ত

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০১

বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগের ফলে কোনপ্রকার শারীরিক পরিবর্তন হয় না, যদিও কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ গ্রহনের কারণে হয়ত রোগী মানসিক প্রশান্তি লাভ করে থাকতে পারেন। ভারত ও বাংলাদেশে বহুকাল থেকেই এই চিকিৎসা চলছে। বাংলা ভাষায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রচুর বইপত্র আছে এবং এগুলির ভিত্তিতে দেশে এই চিকিৎসা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি পৃথিবীর সকল দেশেই ব্যাপকভাবে প্রচলিত। নেদারল্যান্ড এ ৪৭% ডাক্তার হোমিওপ্যাথির সাহায্যে রোগীকে আরোগ্য করেন। হোমিওপ্যাথির জন্ম জার্মানীতে। বিকাশ ফ্রান্সে।

বেশিরভাগ হোমিও ডাক্তার দেখবেন খুব অমায়িক, ধার্মিক, দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি পরা সৌম্য চেহারার বয়স্ক একজন। কথা মন দিয়ে শোনেন, সময় নিয়ে বোঝান, রোগ ছাড়াও আশেপাশের বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইত্যাদি কারনে ডাক্তারের উপরে এমনিতেই ভক্তি চলে আসে আর বিশ্বাসটা আসে সেখান থেকেই। দেয়।মহাত্মা গান্ধী বলেছেন যে, “কম খরচে এবং (রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে) কম কষ্ট দিয়ে রোগ নিরাময়ের সর্বশেষ এবং সর্বোত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি হলো হোমিওপ্যাথি।” হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ক্ষেত্রে নিউটনের তৃতীয় সূত্র প্রত্যেক ক্রিয়াই সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে এ সূত্রের ভিত্তিতে এ চিকিৎসা ব্যাবস্থা।

হোমিওপ্যাথি জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান উদ্ভাবিত (১৭৯৬) এক চিকিৎসা পদ্ধতি। সাধারণত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরী করার জন্য একটি নির্দিষ্ট দ্রব্যকে ক্রমাগত লঘুকরণ করা হয় অ্যালকোহল অথবা পতিত জলে দ্রবীভূত করে। এই লঘুকরণ এতবার করা হয়ে থাকে যে শেষপর্যন্ত এই মিশ্রণে প্রাথমিক দ্রব্যের অনু পরিমানও অবশিষ্ট থাকে না। হানিম্যান নিজের উপর এবং অন্যদের উপর ওষুধগুলি পরীক্ষা করেছিলেন, অসুস্থদের নিরাময় দেওয়ার আগে। প্রথমে তিনি অসুস্থদের নিরাময় দেন নি, কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে, প্রায় একই রকম নিরাময়, রোগের মত একই রকম অভিলক্ষন দেখানোয়, বোঝা অসম্ভব হয়ে যাবে কোন অভিলক্ষণ নিরাময় থেকে এসেছে আর কোনটা রোগটি থেকে।

হোমিওপ্যাথি শব্দটি এসেছে দুটো গ্রীক শব্দ থেকে, ‘হোমোয়িস’, যার মানে ‘একইরকম’ এবং প্যাথোস, যার মানে ‘কষ্ট’। সহজ কথায় হোমিওপ্যাথি মানে খুব ছোট মাত্রায় প্রতিষেধক, যেটা সুস্থ লোকে নিলে তার মধ্যে রোগের অভিলক্ষণ দেখা যাবে, তা দিয়ে রোগের চিকিত্‌সা করা। পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত সফলতার সাথে গ্রহণ করেছেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ঔষধে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মনে রাখবেন, চিকিৎসায় যারা গ্যারান্টি দেবে তারা আপনার সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেবে। সঠিক কারণ নির্ণয় করে সঠিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করলে নি:সন্তান দম্পতিরা উপকার পাওয়ার আশা করতে পারেন।

মূলত বৃটিশ আমলেই ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথির বিকাশ শুরু হয়েছিল। হোমিওপ্যাথি ঔষধের প্রধান উৎস উদ্ভিদ। শতকরা ৭০ ভাগ ঔষধ তৈরি হয় উদ্ভিদ থেকে। এছাড়া উৎস হিসেবে রয়েছে প্রাণীজ, খনিজ এবং রোগজ জীবাণু। হোমিওপ্যাথির প্রথম ঔষধ চায়না (china)। এই চায়নার মাধ্যমেই হোমিওপ্যাথির আবিষ্কার। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান গবেষণার এক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি আমৃত্যু ইসলামী বিশ্বাসেই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। যে কারণে তিনি নিজ জন্মভূমি, স্বজাতি, আত্মীয়-পরিজন ত্যাগ করে দ্বিতীয় স্ত্রী মাদাম ম্যালনীকে নিয়ে প্যারিসে হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। মাদাম ম্যালনীও স্বামীর সাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

জটিল এবং দূরারোগ্য রোগে ভুগতে থাকা রোগীদের জীবনে সত্যিকারের ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারে হোমিওপ্যাথি ৷ এর কল্যাণে বহু মানুষ নতুনভাবে নিজেদের জীবন শুরু করতে পেরেছে ৷ চর্মরোগ, যৌনরোগ, বাত, ক্যানসার, টিউমার, পেটের রোগ এবং শিশু ও মায়েদের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি খুবই কার্যকর ৷

হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ক্যারিয়ারে সফল হতে আপনি যদি এই পেশাতে ভব্যিষতে কাজ করতে চান তবে অবশ্যই দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: হোমিওপ্যাথির উপর আমার আস্থা শতভাগ। কিন্তু ডাক্তার উপর নেই। আমার অভিজ্ঞতা মতে, এদের বেশিরভাগের আচরণ ঠিক মোল্লাদের মত। এরা একজন আরেকজনকে পছন্দ করে না। এমনকি অন্য ডাক্তারদেরকে ডাক্তারই মনে করে না। অন্য ডাক্তারের দেওয়া ঔষধ নিজেদের ফার্মেসী থেকে বিক্রি করে না। আবার অনেক সময় বলে এই রোগের জন্য এই ওষুধ না। ঐ ডাক্তার ভুল ওষুধ নির্বাচন করছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩২

নতুন বলেছেন: বুঝলাম না.....

* বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগের ফলে কোনপ্রকার শারীরিক পরিবর্তন হয় না, যদিও কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ গ্রহনের কারণে হয়ত রোগী মানসিক প্রশান্তি লাভ করে থাকতে পারেন।


* হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরী করার জন্য একটি নির্দিষ্ট দ্রব্যকে ক্রমাগত লঘুকরণ করা হয় অ্যালকোহল অথবা পতিত জলে দ্রবীভূত করে। এই লঘুকরণ এতবার করা হয়ে থাকে যে শেষপর্যন্ত এই মিশ্রণে প্রাথমিক দ্রব্যের অনু পরিমানও অবশিষ্ট থাকে না।


তারপরেও হোমিওপ‌্যাথি গ্রহন করার জন্য পরামশ` দিতেছেন?

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

মু. ইশরাত হোসেন লিপটন বলেছেন: হোমিওপ্যাথি চর্চায় মেধাবীদের এগিয়ে আসা উচিত। লেখার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি এ বিষয়ে আরো লিখবেন। আপনার লেখাটি আমার এফবিতে পোস্ট করলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.