নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
গল্পের নায়ক কৃশানু মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। বুদ্ধিদীপ্ত, কিন্তু সাধারণের দৃষ্টিতে স্মার্ট নয়, কারণ সে লাজুক, ইন্ট্রোভার্ট, নিজের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে ভালবাসে। এছাড়া তার মধ্যে আছে এক শিল্পীমন, সে সাহিত্যের ছাত্র, ছবিও আঁকে। অথচ তার স্কেচবুকে নেই কোনও নারীর ছবি। তার বয়সী এক যুবক শিল্পীর কাছে একটু অস্বাভাবিক ঘটনা, সন্দেহ নেই। শুধু স্কেচবুক বলে তো নয়, সে ট্রামে উঠে চেষ্টা করে লেডিজ সীট থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে, তার সহপাঠী মেয়েদের মুখের দিকে সে কখনও তাকায়না পর্যন্ত।
নারীভীতির কারণ কি শুধুই লজ্জা? কেবল লাজুক স্বভাবের জন্য নয়, এই আচরণের পিছনে আছে তার এক অদ্ভুত মানসিক সমস্যা। সেই সমস্যা সম্পর্কে সে যথেষ্টই সচেতন, কেবল জানে না কিভাবে বেরিয়ে আসবে সেই সমস্যা থেকে, কিভাবে স্বাভাবিক আর পাঁচটা ছেলের মত হতে পারবে। এ হেন কৃশানুর জীবনে হঠাৎই একসাথে তিনজন নারীর আবির্ভাব হয়। টিউশন পড়ানোর সূত্র ধরে ইভা, আইভি এবং হঠাৎ নতুন পরিচিত স্বাহা মিত্রের সংস্পর্শে এসে তার চরিত্রের নতুন নতুন দিক বিকশিত হতে থাকে। একই সঙ্গে সে যুঝতে থাকে তার নিজের সঙ্গে, নিজের মানসিক সমস্যার সঙ্গে।
এইসবের টানাপোড়েনে প্রেম ভালবাসা আবেগের জগতে ঘুরপাক খেতে থাকে কৃশানু, কিন্তু বুঝতে পারেনা নিয়তি তাকে নিয়ে যাবে কোনদিকে। শেষপর্যন্ত কি হয়, কৃশানু তার সমস্যার সমাধান করতে পারে কিনা, সেসব জানতে গেলে পড়তে হবে মূল উপন্যাসটি।
সবশেষে গল্পের পরিণতি প্রসঙ্গে বলি সারা উপন্যাসের তুলনায় শেষটা একটু যেন তাড়াহুড়ো করে করা, একটু বেশি মেলোড্রামাটিক। হয়তো এটাকে লেখকের একটা দুর্বলতা বলা যেতে পারে। তবু একটা কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না, যতই মেলোড্রামাটিক হোক, যতই আবেগের বাড়াবাড়ি থাক, উপন্যাসটা পড়তে শুরু করলে, ভাল লাগতে শুরু করবে।
প্রশ্নঃ উপন্যাসটির নাম বলুন? আমি একটু সহজ করে দিছি- এটি একটি প্রেমের উপন্যাস। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বইটি ১৯৬০ এর দশকে লেখা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
সাদী ফেরদৌস বলেছেন:
অন্তর্লীনা , নারায়ণ সান্যাল