নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

“আমি সত্য, আমি মাংস, আমি প্রবৃত্তি, আমি ক্ষুধা, নির্লজ্জ নির্দয়— ”

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৭

১। শওকত আলীর প্রদোষে প্রাকৃতজন আমার অসম্ভব প্রিয়। লীলাবতীর মধ্যে আবহমান বাঙালী নারীকেই পাই। ইতিহাস লীলাবতী, শ্যামাঙ্গ, মায়াবতী, বসন্তদাস এবং অভিমন্যুদাস- সবার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তারপরও কষ্ট লাগে লীলাবতী আর শ্যামাঙ্গর জন্য। জানতে ইচ্ছা করে কি হয়েছিল সংসার আর স্বামীসুখ বঞ্চিতা লীলার। লেখকের উপরে মন বিদ্রোহ করে ওঠে একেক সময়।

২। রবীন্দ্রনাথের গোরা বারবার পড়ি। শুধু সুচরিতা- গোরার কেমিস্ট্রির জন্যই না, ব্রাহ্ম আর হিন্দু সমাজের রেষারেষিটাও দেখা যায়। উপন্যাসের মূল মেসেজ একেবারে শেষে। উপন্যাসের নায়কের নাম গোরা। মূলত গোরার পিতা ইংরেজ। সিপাহি বিদ্রোহের সময় এক ব্রাম্মন পরিবারের গোয়ালে তার জন্ম। জন্মের সময় সে মাকে হারায়। ব্রাম্মন দম্পতি তাকে মাতা-পিতার পরিচয়ে বড় করে। এই গোরা কালক্রমে বড় হিন্দু নেতা হয়ে যায় এবং ইংরেজ বিরোধী। সত্যযুগ ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করে জেলে গেলে তার মনে হয় নানান বেজাতের সাথে থেকে তার জাত চলে গেছে। জাতসুদ্ধি করবে বলে ঠিক করে। বিশাল মাঠে তার সব চ্যালাদের নিয়ে সেই সুদ্ধির আয়োজনে সে ব্যাস্ত। গোরার বাবা তখন মৃত্যু শয্যায়। সে গোরার মাকে ডেকে বলে কোন অব্রাম্মন জাতসুদ্ধি করতে পারে না। এ অধর্ম, তোমার মুখের দিকে চেয়ে আমি অনেক সহ্য করেছি কিন্তু তুমি গোরাকে না ফেরালে আমি তাকে বলে দিতে বাধ্য হব যে সে ব্রাম্মন তো নয়ই সে হিন্দুই নয়। গোরা আড়াল থেকে সব শুনে ফেলে।

৩। বিশ্ববিখ্যাত জাপানি লেখক হারুকি মুরাকামি একদিন ক্যাফেতে তার নিত্যদিনের কাজ করছিলেন। আর টিভিতে বেজ বল খেলা উপভোগ করছিলেন। হঠাৎ তার মনে হলো, তাকে একটি উপন্যাস লিখতে হবে- এবং এর পরপরই লিখে ফেললেন তার সেই কাঙ্ক্ষিত উপন্যাস।
অন্যদিকে ১৯৬৫ সালের জানুয়ারি মাসে দারিদ্র্য ও অস্থির ভুবনের মধ্যে একদিন মার্কেস তার স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে আলোকাপুলশোর দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মাঝপথে তার বিস্ময়কর উপলব্ধি হলো। বিদ্যুৎ চমকের মতো তিনি যেন তার নতুন উপন্যাসটির প্রথম পরিচ্ছেদের প্রতিটি লাইন দেখতে পেলেন। বেড়াতে যাওয়া আর হলো না। গাড়ি ঘুরিয়ে মার্কেস ফিরে এলেন বাড়িতে। নিজের ঘরের মধ্যে বন্দী হয়ে লিখতে শুরু করলেন তার সেই বিখ্যাত উপন্যাস 'নিঃসঙ্গতার একশত বছর'।
'পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাসের লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে লিখেছিলেন জীবনের প্রথম গল্প 'অতসী মামী'। তার লেখাটি 'বিচিত্রা' নামক পত্রিকাতে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ছাপা হয়েছিল।

৪। কবি ঢোল বাজানোর কাজ পায় এক মেয়ের দলে। সেই মেয়ে দিনে গান গেয়ে নেচে জীবন চালাতো আর রাতে দেহ বেঁচে। দলে বেহালা, হারমোনিয়া, বাঁশি বাজানোর লোকও ছিল। ওলাওঠাতে সেই মেয়ের মৃত্যু হয়। কাওকে না পেয়ে কবি একাই লাশ দাহ করে। কিন্তু এমন পাপিকে আগুন ছোঁয়ানো ছিল মস্ত পাপ। সবাই কবিকে বলে, তুমি এটা কি করলে? ভগবান যখন প্রশ্ন করবে তখন কি জবাব দেবে? কবি বলেছিল- কোন জবাব দিব না, মাথাটা নীচু করে চুপচাপ দাড়ায়া থাকবো। কবির কাছে আমিও শিখলাম নিরব বিদ্রোহ। যা আজো আমার পথ চলার পাথেও।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: প্রত্যক সাহিত্যিক লিখিয়ে গনের একেকটা সৃষ্টির সাথে বিশেষ উপলক্ষ্য থাকে , লেখাটি পাঠ করে তা বুঝা যায় ।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৯

ইসমত বলেছেন: হারুকি মুরাকামি'র উপন্যাসের নাম কী ছিল?
কবি কি তারাশঙ্করের?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.