নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর সময় জ্ঞান হারাবার আগে বলে উঠেছিলেন, ‘আমি এই পৃথিবীতে আমার প্রিয় অনেক কিছু রেখে গেলাম’

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২৫

বায়রনের বয়েস তখন দশ। মা ছাড়াও ঘরে এক আয়া ছিল। আয়ার নাম, মে গ্রে, -সে প্রায় রাতেই দশ বছর বয়েসী বালক বায়রনের লিঙ্গ ধরে খেলা করত। বায়রনের মতে, এটিই নাকি পরবর্তীকালে তার অতিরিক্ত কামবোধ করার অন্যতম কারণ। বায়রন যে কারণে তার প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন ওই একই কারণে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করেন অর্থাৎ তার অঢেল ধন-সম্পত্তির জন্য।
বায়রনের বাবা পূর্বে কারমার্থেন নামক এক বিবাহিত মহিলাকে ভ্রষ্ট করে। পরে কারমার্থেন তার স্বামীকে তালাক দিয়ে বায়রনের বাবা জন ম্যাড জ্যাক বায়রনকে বিয়ে করে।

বায়রনের জন্ম ১৭৮৮ সালের ২২ জানুয়ারি। ১৮১২ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে লর্ড বায়রণ লন্ডনের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুদর্শন, প্রাণবন্ত, আবেগপ্রবণ ও অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যা খুব কম পুরুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। তার এ গুণাবলি সহজেই নারীদের আকৃষ্ট করত। মাত্র আট বছর বয়সে মেরি ডাফ নামে এক বালিকার প্রেমে পড়েন।

দশ বছর বয়সে তার কাজিন মার্গারেট পার্কারের প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হন। আর পনেরো বছর বয়েস তার জীবনে মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়। এ সময় তিনি গভীরভাবে মেরি চাওয়ার্থের প্রেমে উন্মত্ত হন। পর্তুগাল, স্পেন হয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন দেশসহ গ্রিস ও তুরস্ক পর্যন্ত ভ্রমণ করেন। এথেন্সে অবস্থানকালে ব্রিটিশ ভাইস কনসালের কন্যা মিস থেরেসা ম্যাক্রিকে উদ্দেশ্য করে সুন্দর একটি ছোট কবিতা মেইড অব এথেন্স লিখেন। তিনি ১৮২৪ সালের ১৯ এপ্রিল মারা যান। তার মৃত্যুতে সমগ্র গ্রীস বেদনায় মুহ্যমান হয়ে পড়ে। মৃত্যুর পর লর্ড বায়রনের দেহ সুবাসিত মমি করে হৃদয়টি মিসোলঙ্গিতে সমাহিত করা হয়।

কবি বায়রন তার অসাধারণ কল্পনাশক্তি, বুদ্ধিবৃত্তি, ব্যক্তিচরিত্র অঙ্কন, ইতিহাসবোধ এবং আবেগপ্রবণতার জন্য ইংরেজি কবিতার ইতিহাসে এক অক্ষয় স্থান অধিকার করে আছেন। লর্ড বায়রন যাদের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী পরকীয়া প্রেম চালিয়েছিলেন তাদের অন্যতম হচ্ছেন লেডি ক্যারোলাইন ল্যাম্ব। ক্যারোলাইনের একটি অদ্ভুত অভ্যাস ছিল। তিনি নিজের যৌনকেশ কেটে তার বয়ফ্রেন্ডদের পাঠাতেন। এই কাজটি তিনি করতেন নিয়মিতভাবে। এর ফলে বয়ফ্রেন্ডরা তার কোনো চিঠি পেলে প্রকাশ্যে সেটা খুলতে সাহস পেতেন না। চিঠির মধ্য থেকে যৌনকেশ সকলের সামনে যদি পড়ে যায়, এই আতঙ্কে তারা ভুগতেন।

মৃত্যুর সময় জ্ঞান হারাবার আগে বলে উঠেছিলেন, ‘আমি এই পৃথিবীতে আমার প্রিয় অনেক কিছু রেখে গেলাম’।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০৮

আমি মিন্টু বলেছেন: :)

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১০

শিপন মোল্লা বলেছেন: সকল মানুষেরই মৃত্যু হয় প্রিয় কিছু মানুষদের রেখে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.