নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঝে মাঝে এমন দিন আসে, বিরক্ত লাগে না

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯


ঘটনা ৪৫ মিনিটের। মগবাজার থেকে বাসে উঠেছি বনানী যাবো অফিসের কাজে। আমার সাথে আছেন বিজ্ঞাপন ম্যানেজার সবুজ ভাই। বাস ভরতি নানান রকম লোকজনে। আমি আর সবুজ ভাই দাঁড়িয়ে আছি। বাস চলছে তুফানের মতোন। অন্যদিনের তুলনায় আজ জ্যাম অনেক কম।

অন্য বাসের ড্রাইভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হেসে হেসে চিৎকার করে আমাদের বাসের ড্রাইভারকে বলল, চাকা নষ্ট, চাকা নষ্ট। আমাদের ড্রাইভার সে কথায় কান দিল না। কিন্তু নাবিস্কো এসে আমাদের বাসের চাকা নষ্ট হয়ে গেল। সবুজ ভাই খুবই বিরক্ত, একটু পর পর বিড় বিড় করে বলছেন- 'ফইন্নী...ফইন্নী' কি বলছেন, কাকে বলছেন কে জানে।

সবাই বাস থেকে নামলাম। হ্যাস্যমূখী কন্টাকটর বলল, ৫ মিনিটের মামলা। বাসের হেল্পার, কন্টাকটর আর ড্রাইভার মিলে চাকা ঠিক করতে লেগে গেল। কোথা থেকে দুইজন ঝালমুড়িওয়ালা এসে পড়ল। সবাই তার কাছ থেকে আগ্রহ নিয়ে ঝালমুড়ি খেতে শুরু করল। একটা ছোট্র বাচ্চা কান্না করছিল- আমি দিলাম ধমক, আমার ধমকে বাচ্চা হেসে ফেলল।

ঝালমুড়িওয়ালা নষ্ট হয়ে যাওয়া বাসের যাত্রীদের মৃদু ধমক দিয়ে বলছেন, আমি তো মেশিন না, হাতের কাজ, কত কিছু মেশাতে হয়। আফনেরা লাইনে দাঁড়ান, সুবাইকেই দিব। একলোককে দেখলাম তার স্ত্রীর কাঁধে হাত রেখে খুব কায়দা করে সিগারেট টানছেন। এক মুরুব্বি লোক দেখলাম, বাসের সব যাত্রীদের উপর তদারকি করছেন। তার তদারকি আবার সবাই হাসিমুখে মেনেও নিয়েছেন।

চাকা লাগানো নিয়ে ড্রাইভার, কন্টাকটর আর হেল্পারের মধ্যে ঝড়গা লেগে গেছে। চাকা কিভাবে লাগাতে হবে- এই নিয়ে তাদের তিনিজনের তিন রকম মতামত। এই সময় একজন যাত্রী এসে বলল- তোমরা সবাই সরে যাও এই চাকা আমি একাই ঠিক করে দিচ্ছি। সৌদিতে সাত বছর বড়-বড় গাড়ি চালিয়েছি। এই চাকা লাগানো কোনো ঘটনাই না।

অবশেষে বাসের চাকা লাগানো হলো। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ না। বাস বনানী যাওয়ার পর ড্রাইভার আবিস্কার করল- হেল্পার নিখোঁজ। হেল্পারকে সাথে সাথে ফোন দেয়া হলো- বজলু তুই কই? জানা গেল, বজলু চা খেতে গিয়েছিল। চা খেয়ে এসে দেখে- বাস চলে গেছে। আমাদের হাস্যমুখী ড্রাইভার বলল- কোনো সমস্যা নেই, তুমি অন্য বাস ধরে চলো এসো, বনানীতে লম্বা জ্যাম পড়েছে।

কোনো কিছুতেই আজ আমার বিরক্ত লাগছে। মাঝে মাঝে এমন দিন আসে, বিরক্ত লাগে না। বরং তুচ্ছ একটা ঘটনাতেও অনেক আনন্দ পাওয়া যায়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার দৈনন্দিন কাহিনী। ধন্যবাদ

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

সুমন কর বলেছেন: যানজটে জীবন অতিষ্ঠ। বিরক্ত হয়েও লাভ নেই।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সুন্দর কাহিনী। আমারও পড়তে বিরক্ত লাগল না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.