নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মানসিকতা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অন্যের কষ্ট দেখে, অন্যের অসহায়ত্ব দেখে আমরা মজা নিতেও কার্পণ্য করি না...

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫২


আপনার ছেলে-মেয়ে কোথায় যায়? কি করে? কার সাথে মিশে? ক্লাসের কথা বলে কি ক্লাসে যায় নাকি বন্ধুদের সাথে আড্ডায়?

ছেলে-মেয়ের এমন খবর অনেক মা-বাবাই রাখেন না, ভাবেন 'আমার ছেলে-মেয়ে কখনও খারাপ কিছু করবে না। নো নেভার। ছেলে বা মেয়েটা বড় হয়েছে, সে তার মত চলুক। ভালো মন্দ তো সে বুঝে। কিন্তু সে তার মত চলতে গিয়ে কখনো কখনো খারাপ মানুষের সাথে চলা শুরু করে, একসময় তাদের দলেই যোগ দেয়।

স্কুল-কলেজের সময় গুলোতে পার্কে, লেকে এবং বড় বড় শপিং মলের ফাস্টফুডের দোকান গুলোতে গেলেই দেখতে পাবেন- ছেলে-মেয়েরা কিভাবে বসে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই ছেলে-মেয়ে গুলো কাদের? তাদের বাবা-মা কারা? সারারাত জেগে তারা ফোনে কথা বলে, ভিডিও চ্যাট করে। আর তাদের শেষ পরিণতি হলো- বন্ধুর ফ্ল্যাট বা কোনো হোটেলে। তারপর সম্পর্কের ছেদ।

রাস্তার মোড়ে কিংবা চায়ের দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে একসময় কোনো কিছুকেই পরোয়া করে না। রাস্তায় কোনো মেয়ে দেখলেই তাদের পথ আগলে বা পিছু নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। মেয়েদের স্কুল বা কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। কোনো মেলা বা শপিং মলে গিয়ে সুযোগ পেলেই মেয়েদের গায়ে হাত দিচ্ছে। প্রেম ভালোবাসা নাম দিয়ে- বন্ধুর ফ্লাট অথবা কোনো নির্জন স্থানে গিয়ে... ।

ছেলে-মেয়ের এমন দৃশ্য অনেক মা বাবার চোখেই পড়ে না। তারা ভাবেন ছেলে তো মন দিয়ে লেখা করছে , নিয়মিত ক্লাসে যায়, প্রাইভেট পড়তে যায়। সহজ সরল সত্য কথা হলো- বেশির ভাগ বাবা-মা'ই নিজের ছেলে-মেয়ের ভুল গুলো চোখে দেখেন না।

যেসকল মা বাবারা বলে থাকেন যে, আমার ছেলে এমন না, সে কেন মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে? সেই সব বাবা-মাদের বলতে চাই, সে যদি আপনার ছেলে না হয় তাহলে কার ছেলে? আপনাদের মতই অন্য কোনো বাবা মায়ের সন্তান, কোনো বোনের আদরের ভাই।

সব বাবা-মার একটাই চাওয়া তার ছেলে-মেয়ে যেন মানুষ হয়। প্রতিটা বাবা-মাকে বলতে চাই- যদি সত্যিই চান, আপনার ছেলে-মেয়ে মানুষ হোক- তাহলে তাদের প্রতিটা মুহূর্তের খবর রাখুন। বাবা-মার একটু সজাগ দৃষ্টি সমাজের অনেক অপরাধ কমিয়ে দিতে পারে।

শুধু মানুষের চেহারা নিয়ে জন্ম নিলেই মানুষ হ‌ওয়া যায় না, মনে রাখবেন, অমানুষরাও দেখতে ঠিক মানুষের মতোই।

পরিবার থেকে যদি সন্তানদের খবর রাখা না হয় তাহলে সন্তান তো খারাপ পথেই যাবে। মনে রাখবেন, আপনার ছেলে বা মেয়েও হতে পারে ভয়ংকর অপরাধীদের একজন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৪

অবনি মণি বলেছেন: শুধু মানুষের চেহারা নিয়ে জন্ম নিলেই মানুষ হ‌ওয়া যায় না, মনে রাখবেন, অমানুষরাও দেখতে ঠিক মানুষের মতোই।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: স্কুল-কলেজের সময় গুলোতে পার্কে, লেকে এবং বড় বড় শপিং মলের ফাস্টফুডের দোকান গুলোতে গেলেই দেখতে পাবেন- ছেলে-মেয়েরা কিভাবে বসে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই ছেলে-মেয়ে গুলো কাদের? তাদের বাবা-মা কারা?

এই ব্যাপারটা খারাপ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.