নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার অনেক রাগ

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২




১। রোদ আর ধুলো-বালি উপেক্ষা করে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকি। দশ মিনিট- বিশ মিনিট। বাস আর আসে না। যখন রাগ করে হাঁটা শুরু করি- তখন একের পর এক বাস আসা শুরু করে। চলন্ত বাসে তো আর লাফ দিয়ে ওঠা যায় না। প্রতিদিন একই ঘটনা।
কিন্তু আজ রাগ করেই সিনেমার নায়কদের মতো চলন্ত বাসেই লাফ দিয়ে উঠে পড়েছি। অনেক দূর যাওয়ার পর আবিস্কার করলাম ভুল বাসে উঠেছি। খুব রাগ লাগল। এই রাগ যে কার উপর জানি না। যাত্রাবাড়ি থেকে অনেক রাগ নিয়ে বাসের ভাড়ার চেয়ে দশ গুন বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশায় করে বাসায় ফিরলাম।

২। বুদ্ধদেব বসু আমার প্রিয় সাহিত্যিক।
রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর মতো সব্যসাচী প্রতিভা আর কেউ আসেনি। তার 'আমার যৌবন' বই আমার খুব ভালো লেগেছে। তিনিই প্রথম শার্ল বোদলেয়রের কবিতা অনুবাদ করেন। জীবনানন্দ দাশের প্রকৃত মূল্যায়ন বুদ্ধদেব ছাড়া তৎকালীন কেউই করেনি।
প্রতিভা বসু ছিলেন তার স্ত্রী। প্রতিভা বসুর লেখা আত্নজীবনী "জীবনের জলছবি"র মাধ্যমে বুদ্ধদেবকে ভালোভাবে চেনা যায়।
শৈশবে মানুষ হয়েছেন মাতামহের কাছে বিক্রমপুরে। মালখানগর হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। নোয়াখালির রামগন্জে এবং ঢাকার পুরানা পল্টনে দীর্ঘদিন থেকেছেন। জন্মের পর থেকেই মাতৃহীন অসাধারন প্রতিভাধর এই মানুষটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের কৃতি ছাত্র ছিলেন। তাঁর কবিতা ও গদ্য উভয়ই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

৩। আসমা বিনতে ওমাইর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব না যা তুমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির মধ্যে পড়বে। সাহাবী বললেন, অবশ্যই শেখাবেন। নবীজি বললেন, দোয়াটি হচ্ছে : ‘আল্লাহু আল্লাহ রব্বী লা উশরিকু বিহি শাইয়ান।
অর্থ : আল্লাহই আল্লাহ আমার প্রতিপালক। আমি তার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করি না। (আবু দাউদ : ১৫২৫)

৪। বিবাহিত পুরুষরা কখনও নরকে যাবেন না, কারণ পৃথিবীতেই তাঁরা নরক ভোগ করে ফেলেছেন। অবিবাহিত কোন পুরুষই কথাটা বিশ্বাস করেন না। এবং যথারীতি নরকবাসে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

৫। রবীন্দ্রনাথ কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সচেতন এবং সমাজ বৈষম্য নিধনকারী, পবিরর্বতনকামী নাগরিক। তিনি চেয়েছেন মানুষের মধ্যে ঐক্য ও উদার মানবিকতার প্রতিফলন ঘটুক। তিনি সমাজ বদলের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সমাজের ভেতরে মানুষের কর্মোদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সমাজবিরোধীশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সমবেত আত্মশক্তির প্রয়োজন উপলব্ধি করেছেন সেই সময়েই। ব্যক্তি সমাজ সৃষ্টি করে, আর সমাজ সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের। সমাজে সৎ অংশগ্রহণ সৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্ম দেয়। এটা ছিল তাঁর কর্মের মূল প্রত্যয়।

৬। বর্তমানে অকবিরা কবিতার সর্বনাশ করছে। ফেসবুকের ভোট যদি আপনি আপনার লেখার মানদণ্ড বলে মানেন তাহলে কোনোদিনই আপনি লেখক বা কবি নন।
ফেসবুক মূলত বাজারের চায়ের দোকানেরই প্রতিচ্ছবি, এখানে কোনো গাম্ভীর্য বা সিদ্ধান্ত আশা করা বোকামী।

৭। বাপ-দাদার কাছ থেকে সবাই জমি-জমা, টাকা পয়সা পায়। আমি পেয়েছি রাগ। এক আকাশ রাগ। রাগে জিদ্দে ফেটে পড়ি। গরীবের রাগের ধার কেউ ধারে না। গরীবের রাগের মুল্য দুই পয়সা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

Shohag Bashar বলেছেন: ভালো লেগেছে

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

করুণাধারা বলেছেন: দার্শনিক!

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: পৃথিবীর সব জ্ঞান নেওয়া হয়ে গেলো।।।। তবে কথা ড়ুলো সত্যি। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬

কালীদাস বলেছেন: ডরের চোটে কি কমেন্ট করতে ঢুকছিলাম ভুইল্ল্যা গেছি /:)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা.।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.