নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পাঁচ বছর আগে আমি পহেলা বৈশাখে।
১। এক সময় নববর্ষ পালিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে । কৃষিকাজ ঋতুনির্ভর হওয়ায় এ উৎসবের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির । তাই কৃষক সমাজের সাথে বাংলা সন এবং নববর্ষের একটি আত্মিক সম্পর্ক গ্রথিত হয়ে আছে ঐতিহাসিকভাবে । কেননা বাংলা সনের উৎপত্তি হয় কৃষিকে উপলক্ষ করেই ।
২। কারো জন্য কোনকিছু থেমে থাকে না, সব চলতে থাকে তার আপন গতিতে। তবু মাঝে মাঝে ভাবি, কাছের মানুষগুলোর এত এত ভালোবাসা, আদর। দিনে দিনে জমছে ঋণের পাহাড়। কি করে শোধ দেব আমি ? এই ছোট্ট জীবনে সবকিছু করে যেতে পারব তো? হঠাৎ করে সব কেমন যেন লাগছে, ঠিক বুঝতে পারছিনা। এমন চিন্তা এর আগে কখনো করছি বলেও মনে পড়ে না। এখন কেনই বা করছি সেটাও জানি না। তবে একটা ভয় কাজ করছে নিজের প্রতি নিজের। মৃত্যুর কাছাকাছি জায়গা (Near death experience) থেকে ফিরে আসা বেশির ভাগ ব্যক্তিই বলে থাকেন যে, তারা একটি আলো দেখতে পেয়েছিলেন। অনেকে আবার মৃত আত্মীয়-স্বজনকেও দেখে থাকেন। আমার সাহস পিঁপড়ার চেয়ে বেশী নয়। জীবনের কিছু কিছু ঘটনা জীবনের দিক পাল্টে দেয় । জানিনা একটু পরে কি হবে! আর কখনো লিখবো কিনা, কথা হবে কিনা। তবে যতক্ষন বেঁচে আছি, ভালো আছি- সবাইকে ভালোবাসি, সবার কথা মনে করি। এটাই প্রাপ্তি। আর কি হবে সেটা জানি না।
৩। পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনের স্বপ্ন রচনা করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশাখী গান গেয়ে নতুন বাংলা বছরকে স্বাগত জানাই আমরা। মিষ্টি মুখ, পান্তা ইলিশ আর নতুন দেশি পোশাকে আমরা এই দিনটিতে একদিনের জন্য হলেও পুরো বাঙালি হয়ে যাই।পহেলা বৈশাখ আর পান্তা ইলিশ যেনো সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈশাখী মেলার প্রধান আকর্ষণ এখন পান্তা ইলিশ। তাও আবার মাটির সানকিতে। এখন তো অনেকে নিজের বাড়িতেই এই বিশেষ খাবারের আয়োজন করছে। আর এ কারণেই বৈশাখ আসার আগেই ইলিশের দাম চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্ব শেরা উৎসবের দিন ৷ পুরাতনকে ভুলে নতুনকে আলিঙ্গন করার দিন ৷ এদিন গোটা বাঙালি আলোড়িত হয়, আন্দোলিত হয় নতুনের শক্তিতে উদযেবিত হয়ে ৷
৪। ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়োজন করে পহেলা বৈশাখের এ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবণ এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রার জন্য বানানো নয় রং-বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি। ১৯৮৯ সাল থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
৫। আজ ধুয়ে মুছে যাক 'তুমি মুসলিম না হিন্দু' নামক অসভ্যতার সব ছাপ !!! আমার প্রিয় সামু ব্লগের সমস্ত ব্লগারকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। সভাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। মিলেমিশে থাকুন। আমি বিশেষ করে শুভেচ্ছা জানাতে চাই- ব্লগার রিফাত হোসেন, চাঁদগাজী, সচেতনহ্যাপী, ধ্রুবক আলো, অতঃপর হৃদয়, ডঃ এম এ আলী, রেজা এম, রূপক বিধৌত সাধু, নিশাত১২৩, বর্ষন হোম, অপ্সরা, নতুন নকিব, সালমান মাহফুজ, রমানাথ রয়, নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ, গ্রামের ছোট্র ব্লগার খায়রুল, মহিউদ্দিন হায়দার, ইহা রাজু হয়, সিনবাদ জাহাজি, সামিউল ইসলাম বাবু, স্বপ্ন ফানুস, এম. সাইফ, নিভা ইয়ামা, প্রাইমারি স্কুল, সালমান মাহফুজ, সিনবাদ জাহাজি, সামিউল ইসলাম বাবু, স্বপ্ন ফানুস, এম. সাইফ, নিভা ইয়ামা, প্রাইমারি স্কুল এবং অগ্নিবেশ।
সবাইকে জানাই শুভ নববর্ষ।
বি দ্রঃ প্রায় তিন বছর পর আবার নতুন করে শুরু করলাম 'টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা' নামে লেখাটি। কেন এত দিন কিছু লিখি নাই, আজ আমি নিজেও তা জানি না। আবার শুরু করলাম। আপনাদের সহযোগিতা কাম্য।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:২২
রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার পোশাকটা সুন্দর হবে। বর্তমান পতাকার থেকে পূর্বের প্রথম উত্তোলিত স্বাধীনতার পতাকা তথা জনাব শিব নারায়ন সাহেবের আকাঁ বাংলাদেশের হলুদ মানচিত্রটি লাল এর ভিতর থাকলে বা শুধু হলুদ মানচিত্রটি থাকলে সুন্দর হত অনেক।
আমার কাছে আগের মানচিত্রটা একটা আকর্ষনীয় লাগে। কেন লাগে জানি না। স্বীকৃত পতাকটাও ভাল।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৪
TaবিZ FaরুK বলেছেন: খাওয়া দাওয়া বাড়ান, আপনার চাপা ভেণ্গে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
ধ্রুবক আলো বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ, অনেক শুভ কামনা রইলো।