নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। 'দি আদার সাইড অভ মিডনাইট' লেখক- সিডনি শেলডন। এটাকে কী বলবেন? থ্রিলার নাকি আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া গ্ল্যামারাসের আড়ালে চাপা পড়া অন্ধকার এক জগতের বাস্তব প্রতিচিত্র? যেহেতু বইয়ের নাম "দ্যা আদার সাইড অফ মিডনাইট "এবং লেখক সিডনি শেলডন, সে হিসেবে সবাই থ্রিলারই বলবে। কিন্তু আমি এটাকে একচেটিয়া থ্রিলার বলতে রাজি নই।
২। মাদার তেরেসা বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। কিন্তু কোনো বারই তার সাথে দেখা করতে পারছিলাম না। বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। মাদার তেরেসার সাথে দেখা হয় আমার কলকাতায় ( সালটা মনে করতে পারছি না)। আমি তার সামনে গিয়ে বললাম- প্লীজ আপনি একটু আমার মাথায় হাত রাখুন, যেন আমার সমস্ত দুঃখ, কষ্ট, হতাশা মুছে যায়। সেদিন তেরেসা অনেকক্ষন আমার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দিয়েছিলেন। মার্বেল পাথরের ছোট্র একটা যিশু খ্রিস্টের মূর্তি উপহার দিয়েছিলেন। তখন আমার ক্যামেরা ছিল না- তাই তেরেসার ছবি তোলা হয়নি।
৩। একবার আইনস্টাইন আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আমার নানা তাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। আইনস্টাইন শান্তিনিকেতন ঘুরে আমার নানা বাড়ি এসেছিলেন। তখন আমার নানান বয়স ছিল সতের বছর। আইনস্টাইন তিন দিনের জন্য এসে তের দিন থেকে গেলেন আমার নানা বাড়ি। নানা বাড়ির পুকুর থেকে আইনস্টাইন তিন কেজি ওজনের একটা কাতলা মাছ ধরেছিলেন। এবং আইনস্টাইন নিজে কাতলা মাছ কেটে ধুয়ে রান্না করে নানা বাড়ির সবাইকে খেতে দিয়েছেন। আইনস্টাইন চলে যাওয়ার সময় আমার নানা তার কাঁধে হাত রেখে বেশ কয়েটা ছবি তুলেছিলেন।
৪। খবর পেলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এসেছেন ঢাকায়- একটা কবিতা উৎসবে। উঠেছেন রেডিসন হোটেলে। আমার প্রিয় লেখক সুনীল। রাত জেগে জেগে তার কত বই পড়েছি। ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে চলে গেলাম রেডিসনে। নানান বিধিনিষেধ অমান্য করে, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে গেলাম লেখকের রুমে। রুমে গিয়ে দেখি আমার প্রিয় লেখক মদ খাচ্ছেন। তার চোখ লাল হয়ে আছে। হাতে জলন্ত সিগারেট। আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন। বললেন- অটোগ্রাফ নিবে, ছবি তুলবে? আমি বললাম- না। এসব কিছু না, শুধু আপনাকে দেখতে এসেছি। সেদিন সুনীল আমাকে তার একটা বই এবং একটা কলম গিফট করেছিল।
৫। হুমায়ূন আহমেদকে দেখলাম মন খারাপ করে ধানমন্ডি লেকে বসে আছেন। আমি খুব সাহস নিয়ে তার পাশে গিয়ে বসলাম। হঠাত এক চা বিক্রেতা আমাদের সামনে আসতেই- আমি বললাম দু'কাপ চা দাও। হুমায়ূন আহমেদ খুব আরাম করে চা খেলেন। তারপর সিগারেট। তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত নানান বিষয় নিয়ে গল্প বললেন। আমি অবাক হয়ে অদ্ভুত সব গল্প শুনলাম। আমি এর আগে এত সুন্দর করে, এত সহজ করে কাউকে গল্প বলতে শুনিনি। স্যার আমাকে বললেন- তুমি শ্রোতা হিসেবে খুব ভাল। চলো আজ তোমাকে পুরান ঢাকা নিয়ে গিয়ে ভোলা ভাইয়ের বিরানী খাওয়াবো।
(মানুষ যখন কাউকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরে,তখন হাত দুটো অনেক সময় একটার উপর আরেকটা চলে আসে,নিজের অজান্তে দুটি হাত দিয়ে তৈরি হয় একটা ক্রস।এই ক্রসের অর্থ ভালোবাসা।মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা। -মুহাম্মদ জাফর ইকবাল)
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পটল দিয়ে রুই-মাছ তো শেষ অবধি খেলেন, দেখছি!
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঘটনা সব সত্য?
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সব ভালো তো?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: না, সব ভালো না। মোটামোটি চলছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লাগল ভাইয়া । ভাগ্যিস মাদার তেরেসার সময় অত মোবাইল ছিল না তাহলে বেচারাকে সেলফি তুলতে তুলতে কাহিল হয়ে যেতে হত।