নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতের কাছে বই রাখুন এবং সময় পেলেই বই পড়ুন

১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৮



জীবন, যৌনতা, সমাজে মানুষের আচার-আচরণ, এগুলো যেহেতু পুরোপুরি শুধুমাত্র বায়োলজিক্যাল বিষয় না, এগুলোর সাথে সামাজিক এবং মানসিক ব্যাপারও যুক্ত থাকে। জগত হচ্ছে প্রতিযোগিতার। একজন বন্ধু আমার যতটা সহযোগী তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিযোগী। টিন এজার থেকে শুরু করে অনেক মধ্য বয়সী পুরুষও পর্ণগ্রাফি আসক্তিতে ভুগছেন। নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে পুরুষদের রূচিবোধের অধঃপতন হয়। পর্ণ সিনেমার অনৈতিক ও যৌনতা নির্ভর বিকৃত সম্পর্ক গুলোকেই তখন ভালো লাগতে শুরু করে। ফলে যারা নিয়মিত পর্ণ সিনেমা দেখে তাদের রুচি বিকৃত হয়ে যায়। জীবনের স্বাভাবিক সম্পর্ক গুলোতেও নিজের অজান্তে বিকৃতি খোঁজে তাদের চোখ।

তসলিমা নাসরিন বলেছেন- যৌন উত্তেজনা বেড়েছে তোমার, সে তোমার সমস্যা, আমার নয়। তোমার সেটি বাড়ে বলে আমার নাক চোখ মুখ সব বন্ধ করে দেবে, এ হতে পারে না। আমি তোমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নই যে তুমি আমাকে আদেশ দেবে আমি কী পরবো, কীভাবে পরবো, কোথায় যাবো, কতদূর যাবো। তোমার সমস্যার সমাধান তুমি করো। আমাকে তার দায় নিতে হবে কেন! যৌন উত্তেজনা আমারও আছে, সে কারণে তোমার নাক চোখ মুখ ঢেকে রাখার দাবি আমি করিনি।

যতই সময় গড়াচ্ছে পৃথিবীর মানুষগুলো যেন একেকটা নির্জন দ্বীপের মত একাকী হয়ে যাচ্ছে। ভোগবাদী পুঁজিবাদী সমাজই আমাদেরকে এখানে টেনে নিয়ে নিয়ে যাচ্ছে? রক্ষণশীল বাংলাদেশের অধিকাংশ কিশোরই বেড়ে ওঠার সময় সুস্থ পরিবেশ পায় না। তাই বাবা মা কে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে তার সন্তানের মানসিক বিকাশ ঠিকমতন হচ্ছে কিনা। তার সন্তান কিশোর বয়সে কী ধরনের আচরণ করছে। কার সাথে মেলামেশা করছে। এবং তার সাথে সঠিক যৌন শিক্ষার ব্যাপারে খোলাখুলি বন্ধু সুলভ কথা বলা।

কেউ ধর্ষক হিসাবে জন্মায় না। প্রকৃতি কাউকেই ধর্ষক হিসাবে পৃথিবীতে তৈরী করেনি। বরং এই সমাজব্যবস্থাই ধর্ষক তৈরী করছে। পর্নোগ্রাফি সব গুলো সাইট বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হোক। পৃথিবীতে শীর্ষ দ্বিতীয় রমরমা ব্যাবসার নাম পর্নগ্রাফি। অস্ত্রের পরেই পর্নগ্রাফি। বিনোদনের এত এত মাধ্যম থাকতে কেন পর্ণগ্রাফিই হয়ে ওঠে তরুন সমাজের আশ্রয়? কারন খুব সহজেই পর্ণগ্রাফি দেখার সুযোগ আছে। মেকআপ, লাইট ও ক্যামেরার কারসাজিতে তাদেরকে মোহনীয় ভাবে দেখানো হয় যা বাস্তব জীবনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। তাই পর্ণ আসক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিঃসঙ্গ থেকে যায় অথবা সংসারে অসুখী হয়।

শারিরীক চাহিদার মিটানোর জন্য কেউ কাউকে ধর্ষণ করে না। একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে ধর্ষণযোগ্য তখনই মনে করে যখন পর্নগ্রাফি দেখতে-দেখতে, দৃষ্টিভঙ্গি হয় ধর্ষকামী। সে দিনের পর দিন পর্ণ ভিডিও গুলো দেখে- তার রুচিবোধ নষ্ট হয়ে যায়। হিতাহিত জ্ঞান কমতে থাকে। মনের মধ্যে তীব্র ইচ্ছা জাগে পর্ণভিডিও গুলোর মতো কিছু করতে। ‘ইন্টারনেট পর্ণগ্রাফি’ এমন একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি করছে যারা শোয়ার ঘরে একেবারেই হতাশাগ্রস্ত। নতুন এই মিডিয়া তরুণ গোষ্ঠিকে এতই আকৃষ্ট এবং প্রভাবিত করছে যে, তারা প্রকৃত নারীর সান্নিধ্যে তেমন একটা আকর্ষণ অনুভব করছে না।

আজ যদি আমাদের চারপাশে প্রচুর শিল্প-সাহিত্যের চর্চা হত। প্রতিটা পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায়, গ্রামে-গ্রামে একটা করে লাইব্রেরী থাকতো। তাহলে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে যেত। মানুষ তো শুধু সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারে অথবা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। এই সমাজে সৃষ্টিশীল হওয়ার পথ খুব কম। আর মোবাইল অথবা কম্পিউটার টিপলেই- মুহূর্তেই রঙিন দুনিয়ার হাতছানি। অনেক নির্বোধ মনে করে, দুনিয়াটা মস্ত বড় খাও দাউ ফুর্তি কর” এই চিন্তা থেকেও অনেকে পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। চিন্তা করে মরে গেলেতো সব শেষ যতদিন বেঁচে আছি সব খাব আর সব দেখব । আমিতো আর রাস্তার কোন মেয়েকে ধর্ষণ করছি না শুধু আমার রুমে বসে ভিডিও দেখছি । এটা বড় কোন পাপ না।

এই ভয়াবহ বিধ্বংসী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ একটাই— পর্নগ্রাফি নির্মূলের মাধ্যমে একটা সৃষ্টিশীল নির্মল বিশুদ্ধ চিত্ত-বিনোদনভিত্তিক সমাজের নির্মাণ করা । বিকল্প কোনো রাস্তা আপাতত দেখতে পাচ্ছি না। শিশু ধর্ষণ, নারী ও শিশু হয়রানি সংক্রান্ত আইনের সংস্করণ করা এবং মামলা সত্য প্রমাণিত হলে দ্রুত বিচারের আওতায় জামিন অযোগ্য যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান রাখা। বই পড়ার নেশা আপনাকে এই নেশা থেকে দূরে রাখতে পারে। তাই হাতের কাছে বই রাখুন এবং সময় পেলেই বই পড়ুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোন কিছুতেই কাজ হবে না যতক্ষণ কঠোর শাস্তি নিশ্চিত না করা হবে...

২| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০৪

খালিদ১২২ বলেছেন: রক্ষণশীল বাংলাদেশের অধিকাংশ কিশোরই বেড়ে ওঠার সময় সুস্থ পরিবেশ পায় না। তাই বাবা মা কে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে তার সন্তানের মানসিক বিকাশ ঠিকমতন হচ্ছে কিনা। তার সন্তান কিশোর বয়সে কী ধরনের আচরণ করছে। কার সাথে মেলামেশা করছে। এবং তার সাথে সঠিক যৌন শিক্ষার ব্যাপারে খোলাখুলি বন্ধু সুলভ কথা বলা।
- ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.