নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। রাস্তায় যখন কোনো মেয়ে হেঁটে যায়- সব শ্রেনীর পুরুষ লোলুপ চোখে তাকিয়ে থাকে। ওই বদ গুলো এত কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে থাকে যে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে।
২। প্রতিটা অলিতে গলিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শাক-সবজি মাছ সহ অন্যান্য দ্রবাদি'র দোকানপাট। ফলাফল সারাদিন যানজট। অফিসগামী লোকেরা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যথা সময়ে কর্মক্ষেত্রে ও স্কুলে পৌছাতে পারে না। পুলিশ তাদের কিছু বলে না। কারন গাড়ি করে এসে পুলিশ তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায় নিয়মিত।
৩। বাসে কিছু লোকজন হেলপার-কন্টাকটরদের সাথে ৪/৫ টাকার জন্য নোংরা ভাষায় কথা বলে। এরাই আবার প্রেমিকাকে নিয়ে ফাস্টফুডের দোকানে নানান খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে।
৪। রিকশা বাস, গাড়ি সিনএনজি এবং হোন্ডা রং সাইড দিয়ে যাতায়াত করে। ফলাফল গিটটু লেগে যায়। রং সাইড দিয়ে যাওয়ার মানসিকতা কবে বন্ধ হবে?
৫। ফুটপাত দিয়ে শান্তিমত চলাচল করা যায় না। দোকানের জিনিজপত্র ফুটপাতে সাজিয়ে রাখে। ফুটপাত মানেই চা সিগারেটের দোকান। ৪/৫ জন মিলে চা খায়, গল্প করে। এদিকে যে পথচারীদের হাঁটার সুযোগ নেই- সেদিকে কারো লক্ষ্য নেই।
৬। ঢাকা শহর হলো ভিক্ষুকের শহর। সিগনালে বাস থামলে- বাসের ভিতরেও ভিক্ষুক চলে যায়। এমন কোনো জায়গা বাকি নেই যেখানে ভিক্ষুক পাবেন না। ইদানিং ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা ভিক্ষা চাইছে।
৭। কিছু ছেলে বাসে উঠলেই বলে আমি স্টুডেন্ট। ভাড়া অর্ধেক। তারা ভালো করেই জানে এই বাসে উঠলে হাফ পাশ সিস্টেম নেই, এবং বাসে উঠার সময় হেলপারও হাফ পাশ নেই জানিয়ে দেয়। তারপরও তারা সেই বাসে উঠবে এবং হই চই ৩/৫ টাকার জন্য। অথচ এইসব পুলাপান'ই আবার সারারাত জেগে গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে মোবাইলে কথা বলে। গিফট কিনে দেয়। এটা অবশ্যই মানসিকতার দোষ।
৮। ঢাকা শহরের ৯৫% রিকশাওয়ালা এবং সিএনজি ড্রাইভার'রা প্রচন্ড বেয়াদপ। এদের মামা বললেও কোনো লাভ নেই।
৯। ঢাকা শহরের লোকজন ধাক্কা-ধাক্কি করা ছাড়া বাসে উঠতে পারে না। বাস যদি খালিও থাকে তবুও তারা ধাক্কা-ধাক্কি করবেই। এবং বাসে উঠার পর মেয়েদের সীটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। পেছনে জায়গা থাকলেও সেখানে যাবে না। আজকাল কিছু লোক মেয়েরা দাঁড়িয়ে থাকলেও সিট ছেড়ে দেয় না। অথচ তারা মহিলা সীটেই আছে। আজিব!
১০। ঢাকা শহরের যেখানেই যাবেন, সেখানেই মানুষের ভীড়। বাস, লঞ্চ, ব্যাংক, ফ্লাইওভার ব্রীজ, অফিস-আদালত, বাজার, ফ্ল্যাক্সির দোকান। এমন কি রাস্তার পাশের চায়ের দোকান পর্যন্ত।
১১। গাড়ি, বাস, ট্রাক, সিএনজি ইত্যাদি যানবাহন অকারনে হর্ন বাজাবেই। ফলাফল শব্দদূষন। সবার মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। কে কার আগে যাবে।
১২। চেক পোষ্টের নাম দিয়ে পুলিশ সাধারন মানুষকে হয়রান করে। একবার তাদের থামালে, নানান তালবাহানা করে ৫০ টাকা হলেও নিবে। অথচ তারা ভালো করেই জানে কে কোথায় ইয়াবা বিক্রি করছে। তাদের ধরবে না। কারন তারা নিয়মিত টাকা দেয়।
১৩। ঢাকা শহরের প্রতিটা লোক কোনো না কোন ভাবে প্রতারনার স্বীকার হবেই। প্রতিটা ব্যবসার সাথে মিশে আছে মিথ্যা আর প্রতারনা।
১৪। সরকারি অফিস আদালত ব্যাংক হাসপাতালের লোকজন টাকার জন্য জিববা বের করে বসে থাকে। এবং তাদের ব্যবহার খুব খারাপ।
১৫। গুলিস্তান, ফার্মগেটে, মিরপুর-১০, কমলাপুর, এবং সদরঘাট দুষ্টলোকদের আড্ডাখানা। এসব জায়গায় চুরি, ছিনতাই, পকেটমার, মলমপাটি থাকবেই।
২| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
"১। রাস্তায় যখন কোনো মেয়ে হেঁটে যায়- সব শ্রেনীর পুরুষ লোলুপ চোখে তাকিয়ে থাকে। ওই বদ গুলো এত কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে থাকে যে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে। "
-মেয়ে হেঁটে গেলে, কুকুর হেঁটে গেলে, পাখী উড়ে গেলে মানুষ তাকায়; এটা প্রাকৃতিক নিয়ম। অনেকবার, আমাকে বিদেশে অনেক মেয়ে প্রশ্ন করেছে, আমি তার দিকে কেন তাকিয়ে আছি? প্রতিবারই একই উত্তর ছিল, "তুমি সুন্দরী, প্রতিটি নারীই সুন্দরী, তোমার দিকে তাকানোই স্বাভাবিক; মানুষ সুন্দর ও ভয়ংকরের দিকে স্বাভাবিকভাবে তাকায়! ২/১ জন হয়তো বিক্ষুব্ধ হয়েছে, যা আসলে অস্বাভাবিক
১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ওস্তাদ আমি বলতে চেয়েছি- কিছু মানুষের তাকানোর মধ্যে থাকে শুধু নোংরামো। তখন তাদের চোখে মুখে কুৎসিত ভাব প্রবলভাবে ফুটে ওঠে।
৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমার মনে হয়, যারা এই ধরণের শহর চালনায় যারা কোনভাবেই দক্ষ নয়, তারা সেখানে মেয়র হয়, এটাই ঢাকার জন্য আসল বাজে ব্যাপার।
১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: কিছুদিন আগে মেয়র সাঈদ খোকন টিভি ক্যামেরার সামনে চিৎকার করে গুলিস্তানের হকারদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন- এক ইঞ্চি জায়গা দেব না। গুলিস্তানের ফুটপাত দখল মুক্ত হবে। হবেই।
আমি গুলিস্তানে গিয়ে দেখলাম আসলেই এক ইঞ্চি জায়গায় নেই- যে পা রাখতে পারি। ভয়াবহ অবস্থা।
৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৫
মাস্কে মাসের শালাই শালাই ঝাম্পের ঝাহ বলেছেন: ভালো লিখেছেন, হিজড়াদের বিষয়টা বাদ পড়ে গেল, এদের অত্যাচারে বাহিরে বের হওয়া যায় না, জোর করে টাকা অদায় করে, এরা এতটাই বেয়াদপ যে টাকা না দিলে সবার সামনে মুখ খারাপ করে গালি দেবে এমনকি নিজের কাপড় খুলে ফেলবে অাপনাকে অপমান করার জন্য
৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৯
মাস্কে মাসের শালাই শালাই ঝাম্পের ঝাহ বলেছেন: ভালো লিখেছেন, হিজড়াদের বিষয়টা বাদ পড়ে গেল, এদের অত্যাচারে বাহিরে বের হওয়া যায় না, জোর করে টাকা অাদায় করে, এরা এতটাই বেয়াদপ যে টাকা না দিলে সবার সামনে মুখ খারাপ করে গালি দেবে এমনকি নিজের কাপড় খুলে ফেলবে অাপনাকে অপমান করার জন্য
৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১:২৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই শহর টা খুব অদ্ভুত, যান্ত্রিক, কোন মায়া, মমতা নেই। মানুষকে বদলে ফেলে নিমিষেই!!
৭| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এবার যে গুলো ভাল লাগে তা নিয়ে একটা লেখা লিখে ফেলুন রাজীব ভাই।
৮| ২০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর নিকৃস্টতম শহর সম্পর্কে আর কি পড়ব। দুনিয়াতে সবচাইতে জঘন্য অসৎ নীচু মনের অশিক্ষিত অসভ্য অদক্ষ মানুষগুলো এই শহর চালায়!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তরকারিওয়ালাদের দরকার আছে। না হয় অফিস থেকে ফেরার পথে আগের মত মূল বাজারে যাওয়াটা বিরক্তিকর...
বাসে সামান্য ভাড়ার জন্য এত ক্যাচাল আসলেই দৃষ্টিকটু...
ছাত্রদের হাফ পাশ চাওয়াটা একদম বাজে। সামান্য কয়েক টাকার জন্য এভাবে ব্যক্তিত্ব নষ্ট করা...
সবচেয়ে বড় কথা এই মেন্টালিটির জনগণ আর প্রশাসন দিয়ে রাজধানীর অবস্থার উন্নয়ন হবে না...