নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
অস্ট্রিয়ার ইতিহাস ৯৭৬ সালে শুরু হয়। অস্ট্রিয়া পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত। দেশটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকাই পর্বতময়। ১৯৩৯ সালে নাৎসি জার্মানি অস্ট্রিয়াকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে নেয়। বর্তমানে দেশটি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
অস্ট্রিয়া ১৯৫৫ থেকে জাতিসংঘের এবং ১৯৯৫ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। ভিয়েনা বর্তমানে অস্ট্রিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। শহরের জনসংখ্যা ১৬ লক্ষের বেশি। রপ্তানি ও পর্যটন শিল্প দেশটির আয়ের বড় উৎস। ১৯৪৫ সালে জার্মানির পরাজয়ের পর মিত্রশক্তিরা অস্ট্রিয়াকে চারভাগে ভাগ করে। অস্ট্রিয়াতে প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্ম প্রধান।
অস্ট্রিয়ার পাঁচটি প্রধান শহর হল ভিয়েনা, গ্রাৎস, লিন্ৎস, জাল্ৎসবুর্গ এবং ইন্সব্রুক। অস্ট্রিয়ার পুরা নাঙহান প্রজাতন্ত্রি অস্ট্রিয়া। দেশটির মোট আয়তন- ৮৩,৮৫৮ বর্গকিমি। অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র অস্ট্রিয়া। বিশ্বে বসবাসের জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত শহর নির্বাচিত হয়েছে। বিশাল জনসংখ্যা নিয়ে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা এখন বিশ্বের সেরা শহর। আরেকটি কারণে এটি জনপ্রিয় তা হচ্ছে এখানে জীবিকা নির্বাহের খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
অস্ট্রিয়াতে আছে, বিশ্ব বিখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনা অন্যতম। ইউরোপের তৃতীয় পুরাতন এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানকার সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কোন প্রকার টিউশন ফি দিতে হয়না। আমাদের দেশে অস্ট্রিয়ান অ্যামব্যাসি নেই তাই ভিসা নিতে হলে ভারতে যেতে হবে। কেউ যদি জার্মান ভাষা জানে তাহলে তার জন্যে পার্ট টাইম চাকরি পাওয়াটা সহজ হয়।
হিটলারের জন্ম অষ্ট্রেয়াতে। রোমানদের শাসনে ছিল অনেক বছর ধরে এই অষ্ট্রিয়াতে। এখানকার মুদ্রামান ইউরো, জীবন যাত্রার মান খুবই ব্যয়বহুল। ঘরভাড়া, পানি, বিদ্যুৎ এবং পরিবহন সরকারী প্রশাসনে চলে। তাই ঘরভাড়া, পানির ও বিদ্যুৎ বিল খুবই কম, সাধারণ পরিবহনের জন্য সরকারকে ৩৬৫ ইউরো প্রতিজন দিলেই সব রকম পরিবহন খরচ থেকে মুক্ত এক বৎসরের জন্য। অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনাকে (রাজধানী) মিউজিক্যাল সিটি বলা হয়। এখানে সব সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। অপেরা হাউজে মিশন ইম্পসিবল ৫ এর দৃশ্য নেওয়া হয়। গরমের সময় বেশিরভাগ স্থানীয়রা দেশের বাইরে বেড়াতে চলে যায়।
আশির দশক থেকেই ভিয়েনায় বাংলাদেশিদের বসবাস শুরু হয়। প্রথমদিকে যারা এসেছিলেন তাদের ৯৯ শতাংশই ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন অফিসে চাকরি নিয়ে এসেছিলেন তারা। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে যেখানে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস সেখানে ৩২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ৮০ লাখ। এখানে ৬ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছে। এই ৬ হাজারের মধ্যে ৮০ শতাংশই থাকেন রাজধানী ভিয়েনায়। অধিকাংশই বসবাস করেন সপরিবারে। অস্ট্রিয়ায় প্রায় ২শ’ বাঙালি ট্যাক্সি ড্রাইভার রয়েছেন। বাংলাদেশিদের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চারটি মসজিদ।
২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার স্ট্যাটাস ঠিক করে দেবেন; অপেক্ষা করেন; কোথায়ও অভিযোগ করবেন না, প্লীজ।
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার প্রবলেম সল্ভ হয়েছেে?
০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০১
রাজীব নুর বলেছেন: না। সমস্যা মিটে নাই বোন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বাঙালী পাওয়া যাবে নাহ এমন দেশ পাওয়া মুশকিল। যাক কমপক্ষে ইউরোপের কিছু দেশে বাঙালীদের কদর ভাল।