নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মানুষ পাথর নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তা ও তৎপরতায় মানুষ নিজেকে বদলে নেয়। এটাই একটা বন্য পশুর সঙ্গে একজন সভ্য মানুষের পার্থক্য।
বছরের পর বছর বিমানের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও অনিয়ম দুর্নীতি কমেছে এমন কথা শোনা যায়নি। বিমানে খাবারদাবার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট। লোক নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট। জ্বালানি তেল পাচার করে দিচ্ছে সিন্ডিকেট। অসাধু সিন্ডিকেটগুলোয় পাইলট, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী, সিবিএ নেতা, সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত। সহজ সরল সত্সিয হলো- সিন্ডিকেটের প্রতিটি সদস্য প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
রেটিং করার অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘স্কাইট্র্যাকস' গত বছরের আগস্টে তাদের প্রতিবেদনে বিমান বাংলাদেশ এয়াললাইন্সকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ এয়ারলাইন্স হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন। প্রায় একই সংখ্যক যাত্রী দেশে প্রবেশ করেন। অনেকে বলেন, জন্মের পর থেকে বিমান সোজা হয়ে কখনো দাঁড়াতে পারেনি। অনিয়ম-দুর্নীতি-চুরির খনি হিসেবে পরিচিত পেয়েছে বাংলাদেশ বিমান। বিমানে যত রকমের কেনাকাটা হয়, সব কিছুতেই পুকুর বা সাগর চুরির ঘটনা ঘটে। এক সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের ইচ্ছেয় চলত বিমান।
পর্যটনশিল্প বিকাশের সম্ভাবনার মধ্যে আমরা হিমালয় সমান সমস্যা নিয়ে বসে আছি। সত্যিকার অর্থে এই খাতকে কাজে লাগানো লেগে রাতারাতি দেশের অবস্থা বদলে যেত। আমাদের কাছাকাছি দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোটদেশ সিঙ্গাপুর। অথচ এর জাতীয় আয়ের ৭০ ভাগ আসে পর্যটন শিল্প থেকে। একইভাবে নেপাল অর্জন করে ৪০ ভাগ। তাহলে আমরা কেন পারছি না? সত্যি কথা বলতে- দশ বছর আগে কক্সবাজার বা সিলেট অথবা বান্দরবান গেলে যে সব সমস্যা হতো আজও তো সেই সব সমস্যা আছে। তাহলে এই মন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহনের পর কি করলেন?
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন- রাশেদ খান মেনন। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা শহরের বাংলা মোটর থেকে মগবাজার মোড় পর্যন্ত সড়কের নামকরণ করা হয়েছে "রাশেদ খান মেনন সড়ক"। ষাটের দশকের তুখোর ছাত্রনেতা তিনি। ১৯৯২-এর ১৭ আগস্ট নিজ পার্টি কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ করে তাকে হত্যার চেষ্টা হয়। প্রথমে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও পরে লন্ডনে কিংস কলেজে দু’বার অস্ত্রোপচার হলে তিনি জীবনে বেঁচে যান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাজনৈতিক বিভিন্ন সভা, সম্মেলন ও সেমিনার উপলক্ষ্যে ভারত, নেপাল, গণচীন, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপের জার্মানী, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, বুলগেরিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। চারটি বই তিনি লিখেছেন।
মেনন সাহেব বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে যান। সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। পত্র-পত্রিকায় দেখি, কত কিছু উদ্বোধন করেন, নানান রকম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হোন। সংসদেও অনেক উন্নয়নের কথা বলেন। সত্যিকার অর্থে বিমান এবং পর্যটন শিল্পের কি কি উন্নয়ন ঘটেছে কেউ আমাকে বলবেন কি? প্লীজ বলুন। আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিন- মেনন সাহেব ক্ষমতা নেওয়ার পর কি কি উন্নয়ন গুলো বিমান ও পর্যটন শিল্পে হয়েছে।
(বিঃ দ্রঃ এরপর খাদ্য মন্ত্রীর পালা। আমার সাথেই থাকুন। ব্লগ পড়ুন আপনার সুচিন্তিত মতামত দিন।)
২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: খুব বিপদে না পড়লে মনে হয় কেউ বাংলাদেশ এয়ারলাইন এ যায় নাহ। পর্যটনের বাড়তে চাইলে এয়ারলাইন, এয়ারপোর্ট ইত্যাদি আধুনিকায়ন এর কোন বিক্লপ নেই। আর বহুদিন ধরে চলে আসা দূনীতির মেনন সাহেব খুব ই অসহায়।
০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: একজন মন্ত্রী হয়েও দুর্নীতি দূর করতে পারছেন না!!!!
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা শহরের বাংলা মোটর থেকে মগবাজার মোড় পর্যন্ত সড়কের নামকরণ করা হয়েছে "রাশেদ খান মেনন সড়ক"।
-মুক্তিযুদ্ধ বড় অবদান হচ্ছে, আগরতলায় খেয়েদেয়ে ভালো ছিলেন।
০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতে ছিলেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে এয়ারলাইনস, "স্বর্ণ পরিবহন বিমান সংস্হা"।
৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,
একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যকে নিয়ে লিখেছেন ।
আপনার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি আপনার এই লেখার ২য় আর ৩য় প্যারা । এগুলোই উন্নয়ন তবে বিমান ও পর্যটন সংস্থা তথা দেশের নয়, কতিপয় ক্ষমতাবান মানুষের ।
৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর সবচাইতে জঘন্য নিকৃস্টতম এয়ার লাইনস হল এই বিমান বাং। আর এর মন্ত্রী আরো নীচু মানের চামচা।
৭| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
খরতাপ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে কোন গৌরবজ্জল অবদান তিনি রেখেছেন, বিশদ বলবেন কি? আম্র জানার খুব ইচ্ছা। যতদুর জানি, ৬৯ এর আইয়ুব বিরোধী গণ অভ্যূত্থানের সময় তার বিচার হয় এবং অর্ধেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়। এরপর থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি সব ধরণের রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। তাহলে মুক্তিযুদ্ধে 'অবদান' তিনি কিভাবে রাখলেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মগের মুলুকে সব জায়েজ!