নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিনটি সমস্যা এবং আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫



১। সরকারি অফিস গুলোর লিফটে, একজন লিফটম্যান থাকে। লাইন ধরে লিফটে উঠতে হয়। ছোট একটা লিফট। এর মধ্যে একজন (লিফটম্যান) একটা টুল নিয়ে বসে থাকে। যদি অই ছোট্র লিফটে টুল নিয়ে কেউ বসে না থাকে- তাহলে ওইখানে দুইজন লোক দাড়াতে পারে। হাতে স্মার্ট ফোন। কানে হেড ফোন। লিফট চালানো তো খুব কঠিন কিছু না।
লিফটে একটা ফ্যান থাকে। সেই ফ্যান আবার লিফটম্যান এমনভাবে বেঁধে রাখে যেন ফ্যানের বাতাস শুধু তার গায়ে লাগে। সরকারি অফিস ছাড়াও অনেক অফিস-আদালতে একজন লিফটম্যান থাকে। আচ্ছা, বাংলাদেশের মানুষ কি লিফট চালাতে জানে না? নাকি অত্র প্রতিষ্ঠান গুলো লিফটে একজনকে চাকরি দিয়ে দেশে বেকারত্বের হার কমাচ্ছে?
সরকারি এক অফিসের দশ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে লিফটে উঠেছি। উঠে দেখি ফ্যানটা শুধু তার দিকে তাক করা। আমি বললাম, ফ্যানটা চারপাশে ঘুরবে। তুমি শুধু তোমার দিকে দিয়ে রেখেছো কেন? আবার ছোট্র এই লিফটে একটা টুল নিয়ে বসে আছো। মোবাইল টিপছো। লিফটম্যান আমার ওপর রেগে উঠলো। আমার সাথে আরও দুইজন না থাকলে হয়তো আমাকে মারতো।

২। সরকারি অফিস আদালত গুলো অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন। সেদিন সাধারন জীবন বীমা অফিসে গিয়েছি। লিফট এর সাত তলায়। জনসংযোগ বিভাগ। দেখি দুইজন কর্মকর্তা সিগারেটর ধোয়া দিয়ে পুরো রুম ভরে ফেলেছে। তাদের মধ্যে কোনো লজ্জাবোধও নেই। আরেক রুমে গিয়ে দেখি- দরজাটা একটু ফাঁক করা, এক বুড়ো লোক এক মহিলার সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে। মহিলার ওড়না নিচে পড়ে আছে। অগ্রনী ব্যাংকের 'পিআরডি' সেকশোনে গিয়ে দেখি- তারা প্রত্যেকে বিরাট জমিদার। যার টেবিলের সামনে যাই, খুব বিরক্ত হচ্ছে। কিন্তু তারা কোনো কাজ করছে না। কেউ মোবাইলে কথা বলছে। কেউ ফেসবুকিং করছে। কেউ নাকের ভিতর দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে চুল ছিড়ছে। কেউ'ই আমাকে পাত্তা দিচ্ছে না। সরকারি অফিসের মানুষ গুলো এমন কেন? সোনালী ব্যাংকেরও একই অবস্থা। আবার এই আমি'ই যখন এক'ই কাজ নিয়ে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যাই- রিসিপশনের মেয়েটা হাসি মুখে কথা বলে, বসার জন্য বলে। চা-নাস্তা পাঠিয়ে দেয়। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ-কর্মে দক্ষ নয়। তাদের মধ্যে কোনো স্প্রীড নেই। যেন তাদের হাতে পায়ে কোনো জোর নেই। একটা লোকও ঠিক মতো কম্পিউটার চালাতে জানে না। এক পাতা কম্পোজ করলে ৭০ টা বানান ভুল থাকে। সরকারি হাসপাতালের দালালদের মতো- টাকার জন্য 'হা' করে তাকিয়ে থাকে।

৩। গত শুক্রবার। সময় দুপুর দুইটা। বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। মিরপুর যাবো। চারজন ট্রাফিক আছে। শুক্রবার, তার উপর আবার দুপুরবেলা। খুব বেশি গাড়ি-ঘোড়া নেই। কিন্তু চারজন ট্রাফিককে খুব ব্যস্ত এবং অস্থির মনে হলো। তবে তাদের চোখে মুখে অজানা এক আনন্দে ঝলমল করছে। ( এই রকম আনন্দে ঝকমক করা চেহারা দেখা যায়, রাস্তার চেকপোষ্ট পুলিশদেরও। একজন অতি সাধারন একটা হোন্ডা বা রিকশা যাত্রীদের থামিয়ে নানান কথায় জর্জরিত করে- অবশেষে, বিশ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ শ'- হাজার যা পারে নেয়, ছিনিয়ে নেয়।)
আমি অনেকক্ষন লক্ষ্য করে দেখলাম- একজন সার্জন খুব আয়েশি ভঙ্গিতে হোন্ডায় বসে আছে। চারজন ট্রাফিকের-গাড়ি রিকশার দিকে তাদের মন নেই। তারা হোন্ডা ধরার জন্য তাদের সব শক্তি, মেধা নিয়োগ করছে। এদিকে তাদের গাফিলতির জন্য চারদিকে বিকট জ্যাম লেগে গেছে। একজন ট্রাফিক একটা হোণ্ডা আটকে সার্জনের কাছে নিয়ে আসে বীরের মতো। সার্জন চিবিয়ে চিবিয়ে তর্ক করছে হোন্ডা চালকের সাথে। সার্জন কোনো না কোনো সমস্যা খুঁজে বের করছে। তারপর দুই শ' তিন শ', যার কাছে থেকে যা পাচ্ছে হাশি মুখে নিচ্ছে। তারপর হোন্ডা ছেড়ে দিচ্ছে। আমি এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। কম হলেও ৫০ টা হোন্ডাওয়ালার কাছ থেকে টাকা নিতে দেখলাম।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে ঘুষ দিয়ে সরকারী চাকুরী কিনার পর, সবাই লর্ড হয়ে যায়; ওরা সরকারে বিনিয়োগ করেছে।

১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: শতাব্দীর সেরা মন্তব্য। সত্য মন্তব্য।

২| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

বিজন রয় বলেছেন: সমস্যা থাকবেই।
জীবন মানে সমস্যা।

বাংলাদেশে একটু বেশি।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সরকারি চাকরিজীবিরা যা ইচ্ছে করুক । এ নিয়ে এ দেশে কথা না বলাই ভাল।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: আমাদের কিছু করার নেই। শিক্ষা ব্যাবস্থায় গলদ রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত না ঠিক হবে ততদিন ভালো কিছু আশা করা বোকামি।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে ঘুষ দিয়ে সরকারী চাকুরী কিনার পর, সবাই লর্ড হয়ে যায়; ওরা সরকারে বিনিয়োগ করেছে।
সহমত ।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

শিখণ্ডী বলেছেন: এদের বছরে এক মাস বেসরকারি অফিসে পাঠিয়ে তামাশা দেখা যেতে পারে, যে ওরা সেখানে কী করে! ;)

৭| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

নতুন বলেছেন: আমি এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। কম হলেও ৫০ টা হোন্ডাওয়ালার কাছ থেকে টাকা নিতে দেখলাম।

মোবাইলে ছোটো একটা ভিডিও করতে পারলে সেটা জনগনের মাঝে দিলে হয়তো এদের উপর ওয়ালারা একটু চাপে পড়তো..।

৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: ১ নং চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্যের সাথে একমত । ওরা সরকারে বিনিয়োগ করেছে ।

৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১০

সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনার চিন্তাধারায় পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। এর পিছনে কোন প্রভাবক কাজ করছে কি?

১০| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এদেরই যখন বলা হবে বেসরকারীকরণ করা হবে তখন সব রাস্তায় নামবে আন্দোলন করতে...

১১| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:১২

উম্মে সায়মা বলেছেন: কেন যে এমন আল্লাহ জানে! চাঁদগাজী ভাইয়ের কথাই ঠিক। সরকারী কর্মকর্তাদের এমন ভাব যেন তারা আমাদের দয়া করে কাজ করে দিচ্ছে।

১২| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

জাহিদ বেস্ট বলেছেন: ভাই, ভাল লিখেছেন। সবার কমেন্টসগুলোও খুব সুন্দর। ওদের আমি ঘৃনা করি যারা সরকারী চাকরী কিনে কাজ না করে জনগনের উপকার না করে, অপকার করছে এ দেশের তথা জাতির । ওদেরকেও আমি সমভাবে ঘৃনা করি যারা এসব অনিয়মের দেখভালের দায়িত্বে থেকেও কোন এ্যাকশান না নিয়েও বসে বসে তারাও ঘুম পাড়ছে। এজন্যই আমাদের দেশটা যতটুকু গতি নিয়ে এগুনোর কথা ছিল সেভাবে এগুয়নি।
কার কাছে এসব অভিযোগ করবো? কোন লাভ নেই রে ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.