নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
(আব্বা তো ধমক ছাড়া কথাই বলতে পারে না। সেই ধমকের মধ্যেও কেমন যেন একটা আদর আদর ভাব থাকে! কিছুদিন পরপর এই ধমক না শুনলে ভালো লাগে না।)
আব্বা'র প্রতি আমার হাজার হাজার অভিযোগ। যাই হোক, আজকে বাবা দিবস। আমি বাবাকে বাবা ডাকতে পারি না। আসে না। আব্বা'ই ডাকি। তৃপ্তি পাই। সেক্ষেত্রে আমার ক্ষেত্রে 'আব্বা দিবস'। এই দিবসটা জরুরী।
অনেক বছর আগের একটা ঘটনা মনে পড়ল-
গ্রাম থেকে আমার মামা অনেক গুলো ডাব এনেছেন। কেউ ডাব কাটতে জানে না। প্রায় এক সপ্তাহ ডাব গুলো মাটিতে পড়ে আছে। আমি মা'কে বলেছিলাম দোকান থেকে ডাব গুলো কেটে আনব। মা বলল- দোকান নিয়ে গিয়ে ডাব কাটতে হবে না। আমি-ই কত্ত পারি ।
সকাল দশ টা। আমি বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছি। মা চিৎকার করে আমাকে ডাকলেন। দৌড়ে মার কাছে গিয়ে দেখি, বটি দিতে ডাব কাটতে গিয়ে মা তার হাতের একটা আঙ্গুল কেটে ফেলেছে। আঙ্গুলটা পুরোপুরি কেটে পড়ে যায়নি একটু খানি ঝুলে ছিল।
এই সময় আমি ছাড়া বাসায় আর কেউ ছিল না। তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। মা'কে নিয়ে গেলাম বাসার কাছে এক হাসপাতালে। হাসপাতালের নাম ছিল 'নিউ এরা'। তারা তুলা দিয়ে মা'র আঙ্গুল প্যাচিয়ে বলল- এইটা আমরা পারব না। তাড়াতাড়ি ঢাকা মেডিকেল যান। খুব তাড়াতাড়ি যেতে হবে। তা না হলে আঙ্গুলটা বাঁচানো যাবে না। সেদিন রিকশা করে ঢাকা মেডিকেল যেতে সময় লেগেছিল ২ ঘন্টা।
গিয়ে দেখি ঢাকা মেডিকেলের অবস্থা ভয়াবহ। নোংরা পরিবেশ। আর দালাল দিয়ে ভরা। এবং নার্সদের ব্যবহার অতি জঘন্য। যাই হোক, ঢাকা মেডিকেলেও মা'র চিকিৎসা হলো না। তারা যেতে বলল- পঙ্গু হাসপাতালে। পঙ্গু হাসপাতালে যেতে সময় লাগল আরও ২ ঘন্টা।
পঙ্গু হাসপালাতের অবস্থাও ঢাকা মেডিকেলের মতন।বিশ্রি এবং নোংরা। সেখানে দালালদের সাথে কথা না বলে উপায় নেই। হাসপাতালের একজন ডাক্তার এর চেয়ে দালালের ক্ষমতা বেশী।
পঙ্গু হাসপাতাল থেকে মাকে বলা হলো- এক্স-রে করতে হবে। তারপর চিকিৎসা হবে। এক্স-রে করতে গিয়ে দেখি, একজন দালাল বলল- আমাকে দুই শো টাকা দেন, আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আপনি এক্স-রে করতে গেলে বলবে, মেশিন নষ্ট আজ এক্স-রে হবে না।
সকাল দশটার ঘটনা, এখন বিকেল চারটা। আমি ছোট মানূষ, তারপরও আমার খুব রাগ লাগছিল। আমার পকেট ভর্তি টাকা নেই যে দালালদের দিয়ে দেব। মা নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে। খুব অসহায় লাগছিল। আমি এখন মা'কে নিয়ে কি করবো?
হঠাৎ মনে হলো, আমি এত সব চিন্তা করছি কেন! আমার আছে একজন সুপারম্যান। তাকে খবর দিলেই সে নিমিশে সব সমাধান করে দিবে। প্রমানিত। সুপারম্যান হলো আমার পিতাজ্বী।
তখন মোবাইল ছিল না। আব্বাকে টিএন্ডটি-তে ফোন করলাম। ফোন করার কিছুক্ষন পরেই আব্বা চলে এলো। আব্বা হাসপাতালে পা দেয়া মাত্র- যেন হাসপাতালটি কেঁপে উঠল। ৫ মিনিটের মধ্যে আব্বা মা'র সব চিকিৎসার ব্যবস্থা করলো!
পৃথিবীর সকল আব্বা ভাল থাকুক।
২| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সকল আব্বাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
৩| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: লেখাটি ভাল লাগল ।
৪| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ছবিতে বাবার সাথে আপনার পারসোনালিটি মেয়ে মানুশের মত মনে হল?
৫| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমিও বাবাকে আব্বা বলে ডাকি।
৬| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
উম্মে সায়মা বলেছেন: সব বাবা সন্তানের কাছে সুপারম্যান। পৃথিবীর সব বাবার জন্য শুভ কামনা।
৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: রাজীব ভাই আপনার চেয়ে দেখি আপনার বাবা বেশি হ্যান্ডসাম........... !!
সকল বাবার জন্য শুভ কামনা ।
৮| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: প্রত্যেকটা বাবাই এক একটা সুপারম্যান ।
শেষ পর্যন্ত আপনার মায়ের আংগুল জোড়া লেগেছিল ?
১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী জোড়া লেগেছে।
৯| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে বাবাকে ডাকার সম্বন্ধনও পালটে যায়। যারা বেশি বয়সী তারা বাজান বলে ডকাতো, যারা বয়সী হয়ে গেছে তারা বাবা বলে ডাকতো, যারা এখন ৩০/৩৫ বয়সে আছে তারা ডাকে আব্বা বলে, ছোটরা ডাকে আব্বু বলে তাছাড়া ডেট, ডেডি, বাপি এগুলো আছেই। সমাজে যার যার অবস্থান থেকে সে তার বাবাকে বিভিন্নভাবে ডাকে। আরো বিস্তারিত লিখলে মন ভরতো। পৃথিবীর সব বাবারাই যেন সুখে থাকে। ধন্যবাদ।
১০| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
ওমেরা বলেছেন: আপনার বাবা আপনার কাছে সুপারম্যান !আপনার সন্তানের কাছে আপনি সুপারম্যান । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সব বাবারা শান্তিতে থাকুক, এই কামনা রলো।
যেসব বাবাদের শিশু ভিক্ষা করছে, তাদের কস্টের সীমা নেই।