নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ওবায়দুল কাদের সাহেব বিশ্বাস করুন- আমার প্রতিদিন বাসে উঠতে নামতে খুব কষ্ট হয়। দৌড়ে দৌড়ে বাসে উঠতে হয়, আবার চলতি বাস থেকেই লাফ দিয়েই নামতে হয়। ড্রাইভার বাস থামায় না। প্রতিদিন সকালে বাসের জন্য অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। একটা বাস এলে দাঁড়িয়ে থাকা সব লোকজন একসাথে ধাক্কা-ধাক্কি শুরু করে দেয়। কালি করা জুতো অসংখ্য পায়ের পাড়ায় ময়লা হয়ে যায়। শার্টের ইন নষ্ট হয়ে যায়। কোনো দিনই বাসের সিট পাই না। হেন্ডেল ধরে ঝুলে থাকতে হয়। কোনো-কোনোদিন হেন্ডেল ধরার জন্যও একটু জায়গা পাই না। বাসে যাত্রীসেবা নিয়ে কি কোনো সুনিদ্দিষ্ট নিয়ম নীতি আছে? এই সমস্যা ১০/২০ বছর আগেও ছিল, আজও আছে। তাহলে দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছরও আপনারা কি করলেন? কোন কোন সেক্টরের উন্নয়ন হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের সাহেবের অন্যান্য পরিচয়ের মধ্যে রয়েছে তিনি একজন সাংবাদিক এবং লেখক। প্রায় ৮ টি বই লিখেছেন। মন্ত্রী সাহেব জ্যোতিষীর মতো আমি বলে রাখলাম- এবারেও ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তির সীমা থাকবে না। আপনি যতই বলুন, নয় শ' বাস ঈদে সার্ভিস দিবে। এই আমি বলে রাখলুম, বাসের টিকট পাওয়া যাবে না। ভাড়া হবে ডবল। এবং দীর্ঘ যানজট এ মানুষের জীবন অর্ধেক শেষ হয়ে যাবে। নৌ পথ, সড়ক পথ এবং রেলপথ সব পথের যাত্রীদের একই অবস্থা হবে। লঞ্চ ডুবে মানুষ মরবে, সড়ক পথেও দুর্ঘটনা ঘটবে। আপনি হয়তো অন্য সবার মতো কঠোর হুশিয়ারি দিবেন। পরিবহনের লোকেরা নিয়ম না মানলে কঠিন শাস্তির কথা বলবেন। ফলাফল শূন্য। শূন্য এবং শূন্য।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত, দিনের কোনও সময়ই বাস খালি পাওয়া যায় না। এর কারণ বুঝতেছি না। যখনই বাসে উঠি তখনই ঝুলে যেতে হয়। এমন কি হাতির ঝিলে শুটিং ক্লাবের সামনে থেকে চক্রাকার নামে যে বাস সার্ভিসটি আছে- সেখানে লম্বা লাইন ধরে বাসে উঠতে হয়। এবং পাঁচ টাকার ভাড়া বিশ টাকা দিতে হয়। (শুটিং ক্লাব থেকে মগবাজার বা এফডিসি মোড় পর্যন্ত।) আবার ঢাকার চাকা বাসও শুটিং ক্লাব থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত ভাড়া হওয়া উচিত ৫ টাকা কিন্তু তারা ভাড়া নেয় ১৫ টাকা করে। জানি, এ ব্যাপারে আপনি কোনো দিনও কোনো পদক্ষেপ নিবেন না। আমি বলে রাখলাম কিছু দিন পর তারা ভাড়া আরও বাড়াবে। লাগবেন বাজি? এই ঈদে আমি বিছানায় শুয়ে, টিভিতে মানুষের ভোগান্তি লাইভ দেখব (অনেক রাগ আর ক্ষোভ নিয়ে)। আমাদের মহান নেতারা বলবেন, বাস, ট্রেন বা লঞ্চের ভাড়া বেশি আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়। বরং সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম আদায় করা হচ্ছে। টার্মিনাল এলাকায় যানজট নিরসনে এবং যাত্রী হয়রানি বন্ধের জন্য পুলিশ কাজ করছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ আছে।
যানবাহনের স্বল্পতা, টিকিট কালোবাজারি, সড়ক-মহাসড়কগুলোর দুরবস্থা, দুর্ঘটনা, যানজট ইত্যাদি কারণে- এবছরও ঈদে ঘরে ফেরা লোকদের খুব কষ্ট হবে। নির্ঝঞ্ঝাট ও নিরাপদ ভ্রমণ বহুল প্রত্যাশিত হলেও তা হয়তো মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঈদ বা যেকোনো সময় উত্তরবঙ্গের যাত্রা বিভীষিকাময়। সামান্য ফেরী পার হতেই একবেলা পার হয়ে যাবে। ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে তিন ঘন্টা। বিশেষ করে, ফেরি ও লঞ্চঘাটে পদ্মা পাড় হওয়ার জন্য- প্রচন্ড মানষিক জোর রাখতে হবে। আমি আর একটা কথা বলে রাখলাম, মির্জাপুরের বোড়াইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার সড়কে থাকবে লম্বা যানজট। এবং টঙ্গী থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত ভয়াবহ অবস্থা থাকবে। আবার সাভার থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটারের মতো রাস্তা যেতে সময় প্রায় নয় ঘন্টা। আর কয়েকদিনের মধ্যেই আপনারা আমার কথার প্রমান পাবেন।
জন্মের পর একবারও সংস্কার করা হয়নি রাজধানীর অন্যতম প্রধান মহাখালী বাস টার্মিনাল। নানা সমস্যায় জর্জরিত প্রায় ৩৩ বছর আগে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই টার্মিনালটি। রাজধানীর অন্যান্য টার্মিনালের মতো ময়লা-আবর্জনা, চাঁদাবাজি, ভাসমান হকার, মাদকসেবনকারীদের অবাধ চলাফেরা, টোকাইদের আবাসস্থল ও বাসের গ্যারেজে পরিণত হয়েছে এই টার্মিনালটি। গাবতলী টার্মিনালজুড়ে হকারদের উৎপাত, পকেটমার, ছিনতাইকারী ও মলম পার্টির সদস্যদের অবাদ বিচরণ।
দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনে এমনিতেই দুর্ভোগের অন্ত নেই। উৎসব-পার্বণে এ দুর্ভোগ যেন শতগুণ বেড়ে যায়। ওবায়দুল কাদের অন্যসব নেতাদের মতোন এসি রুমে সারাক্ষন বসে না, তিনি প্রায়'ই রাস্তায় বেড়িয়ে পরেন। সমস্যা গুলো নিজের চোখে দেখেন, সমাধানের জন্য আপ্রান চেষ্টা করেন। কথা বলেন টেনে টেনে- শুনতে একেবারে খারাপ লাগে না আমার কাছে। তবে সুরভি'র ভালো লাগে না। সুরভি বলে আঞ্চলিক টান এসে পড়ে তাই টেনে টেনে কথা বলেন। তবে, লোকটা পরিশ্রমী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে লেখা পড়া করেছেন। কাদের সাহেবের বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী। যাই হোক, আমাদের মন্ত্রী কাদের সাহেব হুটহাট রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন, বাসে উঠে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন। ৬৬ বছরে বয়সেও কাদের সাহেব দুষ্টলোকদের কঠিন কথা বলেন। আশা করি তিনি সত্যি সত্যি কিছু ভালো কাজ করে দেখাবেন।
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সময় পেলেই কিছু লিখে ড্রাফ করে রাখি।
পরে বেশি সময় পেলে সেই ড্রাফ করা লেখা গুলো একটু গুছিয়ে পোষ্ট করি।
আজ বেশি সময় পেয়েছি- তাই তিনটা লেখা পোষ্ট করতে পেরেছি।
২| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৫
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখালেখি ভাল।
কোন গল্প, কবিতা, উপন্যাস এসব কি লিখছেন?
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ ভাগ, ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা উপন্যাস শুরু করেছি- কিন্তু কেন জানি আর এগুতে পারছি না। তাও প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। ৮/৯ পর্ব পর্যন্ত লিখেছিলাম।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এই ভোগান্তির অবসান ঘটুক!
৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৮
সেমাই এখনো টানেনি ক্রেতাদের বলেছেন: ভাইয়ুমনিইইইইইইইইইইইইইই!!!!!!!
এত্ত সুন্দর লিখিয়াছ মুখ বাকা হইয়া গিয়াছে !!!!!!
৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০৪
দরজার ওপাশে আমি বলেছেন: ভাইজান, এটা তো পুরাই মিলে গেলো যে আমার সাথে
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১০
বিজন রয় বলেছেন: আজকাল এত পোস্ট দেন কেন?