নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুত ভাবনা

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৬



পৃ্থিবীর অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে।
মানুষ হয়ে পড়ছে হিংস্র। নিষ্ঠুর। মার্কিনীরা পারমানবিক বোমা তৈরী করছে। বিশেষ করে উন্নত দেশ গুলো উন্নয়নশীল দেশ গুলোকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সবকিছু দখল করছে পুঁজিবাদীরা। দরিদ্র দেশ গুলো খাবার পাচ্ছে না, পাচ্ছে গ্রেনেড, অস্ত্র আর গোলা বারুদ। মায়া-মমতা মানুষের মন থেকে উঠেই যাচ্ছে। এমতবস্থায় ভবিষ্যত প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আমাদেরকে পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য কিছু করতেই হবে। হবেই। কিন্তু সবাই আছে নিজ নিজ ধান্ধা আর বাসনায় মত্ত। দিনরাত ভাবি, কি করে পৃ্থিবীটাকে সুন্দর করে সাজানো যায়? কিভাবে পৃথিবীর মানুষ গুলোকে সুখী করা যায়?

আমি অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করেছি- পৃ্থিবীটাকে সুন্দর করে সাজাব। সব খারাপ ব্যাপার গুলোকে পৃথিবী থেকে উধাও করে দিব। পৃথিবী হবে আনন্দময়। কোনো দুঃখ, হিংসা বিদ্ধেষ থাকবে না। দুষ্টলোক গুলো না থাকলে পৃথিবীতে আর কোনো সমস্যাও থাকবে না।

পৃথিবীকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য আমার কিছু মানুষের সাহায্য দরকার। কিন্তু মজার এবং দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যাদের সাহায্যে নেব তারা কেউ বেঁচে নেই। আমি আইনস্টাইন, ডারউইন, সক্রেটিস, আব্রাহাম লিংকন, রবীন্দ্রনাথ, টেড হিউজ, ব্রার্ট্রান্ড রাসেল, ফয়েড, আরজ আলী মাতুব্বর, হো চে সিন, পীথাগোরাস, প্লেটো, এডিসন- এদের কথা বলছি। যে করেই হোক এদের আবার পৃথিবীতে জীবিত ফিরিয়ে আনব। এদেরকে দিয়েই পৃথিবীকে নতুন করে সাজাব। এখন যারা আছেন তাদেরকে দিয়ে সম্ভব নয়। একেবারেই সম্ভব না।

পৃথিবীর সব মানুষকে একত্রিত করব। মানুষের অস্থিত্বের গভীরে প্রলয়ঙ্করী ঝড় সৃষ্টি করব। এই প্রচন্ড আলোড়নই শেষ পর্যন্ত জাগিয়ে তুলবে প্রবল জীবনতৃষ্ণা, মনুষ্যজীবনের শ্রেষ্ঠ বোধ শ্রেয়কে অনুসন্ধান ও প্রাপ্তির ক্ষান্তিহীন বাসনা। এখন আমার প্রয়োজন -বিশাল একটা গবেষনাগার (প্রায় বিশ একর জায়গা জুড়ে)। এই গবেষনাগারের মঞ্চে পৃথিবীর সব কিংবদন্তী মানুষ আর জ্ঞানীগুনীরা সেমিনার করবে। এই বিশ্ব সেমিনার স্যাটালাইটের মাধ্যমে সবাই ঘরে বসেই দেখতে পারবে লাইভ। গবেষনাগারটি পৃথিবীর সব জ্ঞানী মানুষদের তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠবে।

সেমিনারে মহৎ ব্যাক্তিদের কথা দিয়ে পৃথিবীবাসীকে মোহগস্ত করা হবে। কোনো বাদ্যযন্ত থাকবে না। আমার কথা হলো- সত্যকে বিশ্বাস ও লালন করতে হবে এবং সত্যকে মনে প্রানে ধারন করতে হবে। যুক্তির মাধ্যমে সবার সামনে সমস্যা গুলো তুলে ধরব। কারন সত্যকে আমি বিশ্বাস করি এবং 'সত্যের' পথ অনুসরন করেই আমি চলেছি। কেউ হয়ত কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করতে পারেন' আমি কেন প্রকাশ্যে রাষ্ট্রিয় ভাবে আলোচনা করছি না। তার কারন হলো- আমি এক স্বর্গীয় বা অলৌকিক ভবিষ্যদ্ধানীর দাস মাত্র।

এখনই আমাদের চিন্তা করার সময়-ভাবতে হবে, মন দিয়ে নিঁখুতভাবে ভাবতে হবে। দীর্ঘকায় কোনো মানুষের পাশে ক্ষুদ্রকায় কোনো মানুষ দাঁড়ালে ভাবতাম একজনের মাথা অপরজনের চেয়ে উচ্চতর, আমার ধারনা- নিঃসন্দেহে আমি জানি দশ, আটের চেয়ে দুই বেশী এবং দুই ফুট এক ফুটের চেয়ে বেশী। যেহেতু দুইয়ের অর্ধেক এক।

আমাদের বুঝতে হবে- মৃত্যু ভয়ে যেন ভীত না হয়ে বরং মৃত্যুকে আনন্দস্বরুপ গ্রহন করতে পারি। আর আমাদের স্মরন রাখতে হবে, মৃত্যু কিংবা জীবনে অথবা এ জীবনের পরও একজন মহৎ ব্যক্তির কেউ কখনও ক্ষতি করতে পারে না, আরো মনে রাখতে হবে -স্বর্গের দেবতারাও সবসময়ই শুভ ও মঙ্গলের পক্ষে।

আমি জানি, মৃত মানুষদের আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু খুব কঠিন নয়। আগে জানতে হবে -মানুষ কি? আসলে মানুষ বলতে কোনো কিছু নেই। কোটি কোটি এ্যাটম (Atom) একত্রে জড় করে মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে। দেহ বিজ্ঞানের মতে, জীবকোষ বিভক্ত হতে হতে প্রথম কোষ থেকে মাত্র পঞ্চাশ বা বায়ান্ন বার বিভক্ত হলেই প্রায় ত্রিশ কোটি কোষের অভিনব এবং অবিশ্বাস্য ভাবে মনুষ্য সৃষ্টি সম্ভব। গোটা মানব দেহটার এই যে পূর্ন গঠন ও অবয়ব, এ সর্ম্পূন শরীরটার কোটি কোটি এ্যাটম গুলো কীভাবে পরস্পর সামঞ্জস্য রেখে দেহকে এত সুষ্ঠভাবে খাড়া করে চালিয়ে নিয়ে যায়।

অনেক বিষয় আছে- যা স্থুলজ্ঞানে বা যুক্তিতে বা দৃষ্টি শক্তিতে ধরা পড়ে না। প্রেমানুভূতি, ভালোবাসা, ব্যাধি পীড়ার যন্তনা, ব্যর্থতার অভিক্ষেপ, সর্প দংশন জ্বালা, বিচ্ছেদ-বেদনা, প্রসব ব্যাথা ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় আছে যা কোনোদিন জ্ঞানে বা যুক্তিতে বা দৃষ্টিতে ধরা পড়বে না। দেখিনা-বুঝিনা-জ্ঞানে খাটে না বলে সব বিষয় বা সত্তাকে বা সত্যকে উড়িয়ে দেয়া ঠিক না। যেমন একজন নারীর প্রসব ব্যাথায় ভোগে, দুনিয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিক বা যে কোনো নম্বরের জ্ঞানীলোক এই একটি প্রসব ব্যাথা, অনুভুতি জ্ঞান খাটিয়ে বা যুক্তি দিয়ে অনুধাবন করা যাবে না- এবং পারবে না বলেত প্রসব ব্যাথাকে অস্বীকার করা যাবে না। অনেক সমস্যা আছে যা ঐ সমস্যায় না পড়লে বোঝা যাবে না।

মানবদেহের অনুগুলো জীবন্ত এবং জৈব শরীরের যত বিবর্তনই হোক না কেন দেহের অনুগুলো কোনোকালেও ধ্বংস হয় না। এরা বিভিন্ন রুপান্তর গ্রহন করে মাত্র। যারা মনে করে মানুষ মরে গেলে দেহটা পঁচে যায় বা আগুনে পুড়লেই ছাই বা ভস্ম হয়ে যায়, তাদের এই ধারনাটা একটা অলীক ও সেকেলে ধারনা। মরার পরে মানবদেহ পুড়েই যাক বা গলেই যাক বা দুর্ঘটনায় ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যাক বা জীব জন্তুতে ভক্ষন করুক মানুষ কোনোদিন'ই ধ্বংস হয় না। আসল ঘটনা হচ্ছে, অসংখ্য অনুকে একটা প্রচ্ছন্ন জীবনীশক্তির অচ্ছেদ্য বন্ধন দিয়ে জালকের মত জড়িয়ে দেহকে চলমান করে রাখা হয়েছে। অনুগুলো আপন শক্তিতে স্বকীয় সত্তায় দেহে অস্তিত্বমান আছে। এই অদৃশ্য জীবনী শক্তিকে জীবাত্মা বলে ধারনা করা হয়। যার কারন দেহের ভেতর নিউক্লিক এসিড সক্রিয় থাকে, তাতে করে মানবদেহ সজীব থাকে এবং দেহের বিভিন্ন সিস্টেমগুলো কর্মক্ষম থাকে। যার ফলে মানুষ তার অনুভূতির জৈব বহিঃপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়। মরনের পরে মানুষের নাভীমূল কোনোদিন ধ্বংস হয় না।

দেহের অসংখ্য অনুগুলো জীবাত্মার সান্নিধ্যে থাকাকালীন তাদের অজৈব শরীরে জৈব শক্তির একটা নিবৃ্ত প্রবাহ সক্রিয় থাকে। যেমন- চুম্বকের সাথে থাকতে থাকতে সাধারন লোহাও চুম্বক শক্তি প্রাপ্ত হয়। চুম্বকপ্রাপ্ত লোহার টুকরাটি যেখানেই সরিয়ে নেয়া যাক, আসল চুম্বকের গুনাগুন তার মধ্যে বিরাজমান থেকে যায়। যদিও সে আসল চুম্বকের মত শক্তিশালী না থাকুক।

এখন, মানুষকে পুনরায় সৃষ্টি করতে হলে- দেহের একটি পরমানু খুঁজে পেলেই হবে। এক একটা পরমানুর ভেতরে একটি করে জ্যান্ত মানুষ ধূলিরুপে মানুষের দেহে দেহেই লেগে থাকে। কাজেই কোটি কোটি অনু দিয়েই মৃত মানুষদের আবার পৃথিবীতে নিয়ে আসব। হুম...এই কথা সত্য যে মহাজাগতিক রশ্মি মানুষের অনুকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, এ কথার মানে এ নয় যে, অনুগুলো একেবারেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

(পুরানো একটি লেখা। বেশ কিছু এডিট করলাম আজ। আসলে আমি নানান রকম লেখা অনেক আগ্রহ নিয়ে শুরু করি। কিন্তু আগ্রহটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৩

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: আমি অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করেছি- পৃ্থিবীটাকে সুন্দর করে সাজাব। সব খারাপ ব্যাপার গুলোকে পৃথিবী থেকে উধাও করে দিব। পৃথিবী হবে আনন্দময়। কোনো দুঃখ, হিংসা বিদ্ধেষ থাকবে না। দুষ্টলোক গুলো না থাকলে পৃথিবীতে আর কোনো সমস্যাও থাকবে না।

এরকম যদি সত্যিই হত!!!!!

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২২

আশিক আশরাফ রহমান বলেছেন: আইনস্টাইন অ্যাটম বোমা বানানোর প্রধান পরামর্শদাতাদের মধ্যে একজন ছিলেন ।

টেড হিউজের বিরুদ্ধে তার বউকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আছে ।

এডিসন ছিলেন বিজনেসম্যান। নিকোলা টেসলার অলটারনেটিং কারেন্ট এর বিরোধিতা করে তার সাফল্য থামাতে আলটারনেটিং কারেন্ট প্রয়োগ করে প্রকাশ্য জনসম্মুখে হাতি , কুকুর মারতেন তিনি। নিজের কম্পানি বাঁচাতে এহেন কোন খারাপ কাজ নেই তিনি করেন নি ।

এদের নিয়ে সুন্দর পৃথিবী সাজাবেন আবার ?

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে যারা আছেন, তাদের থেকে তারা অনেক উন্নত।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৩২

উম্মে সায়মা বলেছেন: এমন অদ্ভুত ভাবনা যদি সত্যি করা যেত!

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তারপর কি অবস্হা, ভাবীর শরীল ভাল আছে; হাসপাতালের কোন ব্যবস্হা করতে পারছেন?

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: হাসপাতালে আর যেতে হবে না। মিস ক্যারেজ হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.