নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ এত নির্বোধ কেন?

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৬


পৃথিবীর আসন্ন বিপদ নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
সব বুদ্ধিমান মানুষেরা, বিদ্বান মানুষেরা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসে। ফলে গ্রাম ফাঁকা আর অন্ধকার হয়ে যায়। তখন আজেবাজে লোকেরা গ্রামে রাজত্ব করে। দিনের পর দিন ভুল শিক্ষা, ভুল রাজনীতি, ভুল ধর্ম, ভুল নৈতিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে আমাদের গ্রাম গুলোকে। হায়ার এডুকেশন, বেটার জব অপরচুনিটি, হায়ার স্ট্যাটাস- এইসব মানুষকে গ্রাম থেকে টেনে আনে শহরে দিকে। আমি ঠিক করেছি গ্রামে চলে যাব। কৃষক হয়ে যাবো, নিজের কাঁধে লাঙ্গল তুলে নিব। জমিতে সেচ দিব, ঘর আর উঠান মাটি দিয়ে নিজ হাতে লেপে দিব। আমি জানি, একদিন আমাদের সবাইকেই গ্রামে ফিরে যেতে হবে।

এইসব শহরের বড় বড় দালান তৈরি করা মানুষের খুব বড় ভুল হয়েছে। ঢাকা শহরের বাতাস বিষিয়ে গেছে। দূষনের শেষ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। মানুষের ভুল যেদিন ভাঙবে সেদিন মানুষ এইসব বড় বড় দালান ভেঙ্গে ফেলবে। কলকারখানা বন্ধ করে দেবে। আজ থেকে পঁচিশ/ত্রিশ বছর পর প্রকৃতি তার কঠিন প্রতিশোধ নিবে মানুষের উপর। কোনো এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঘটিয়ে একসাথে কমপক্ষে এক কোটি লোক মারা যাবে। তখন এত মৃত দেহ কবর দেয়ার লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় সমাজপতিরা এইসব নিয়ে ভাবছে না! রাজনীতিবিদরা কুটকচালিতে ব্যস্ত, আমলারা ব্যস্ত প্রশাসনিক কাজে আর সাধারন মানুষ ব্যস্ত অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের ধান্দায়।

এই পৃথিবীর জন্য, মাটির জন্য, গাছের জন্য- কারো কোনো মায়া নেই, চিন্তা নেই। মানুষের এই উদাসীনতা আমার অসহ্য লাগে। আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে- কেউ যদি গাছ কাটতো তাহলে আমি তাকে মরুভূমিতে পাঠিয়ে দিতাম। দু'টা বাচ্চা থাকার পরও যেন কেউ আর সন্তান নিতে না পারে তার জন্য জন্ম নিরোধোক পিল খাইয়ে দিতাম। যেসব কলকারখানা পরিবেশ দুষিত করে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতাম। মাটির নীচে তেল-গ্যাস ফুরিয়ে আসছে- এইসব নিয়ে কেউ ভাবছে না! মানুষ এত নির্বোধ কেন?

বিজ্ঞানীরা তাদের ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারে না। তারা রাজনীতিবিদ আর প্রশাসনের শিকার। বিজ্ঞানীরা আমাদের হাতে খেলনা দিয়ে আর রুপ কথার গল্প বলে আমাদের ভুলিয়ে রাখছে। রকেট উৎক্ষেপণ না করে, অস্ত্র না বানিয়ে অথবা এটম বোমা না বানিয়ে, সেই টাকা দিয়ে একটা মরুভূমিকে কিভাবে সবুজ বানানো যায় সেই কাজে খরচ করলে পৃথিবীর বেশী উপকার হয়, বা আফ্রিকার প্রাচীন রাষ্ট্র ইথিওপিয়ার দরিদ্র দেশের মানূষের কল্যাণে খরচ করা অনেক বেশী ভালো।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই তাদের মাথায় চিন্তা আসে। আর যাদের করার ক্ষমতা আছে তারা লুটপাটে ব্যস্ত থাকে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর লেখা

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রাকৃতিক ভাবনা, শান্তি ও সুখের আশায় মানুষকে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে থাকতে হবে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: প্রকৃতির কথা কেউ ভাবে না ওস্তাদ।
মানুষ শুধু নিজের কথা ভাবে। কিন্তু প্রকৃতি না থাকলে যে মানুষ থাকবে না, সেটা কেউ বুঝতে চায় না।

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কাছ থেকে অনুপ্রেরনা পেয়েই এই লেখার জন্ম হয়েছে।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:১৮

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: আমার মতে,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরমানবিক শক্তি বিস্ফোরনের পথে ও অন্য গ্রহ আবিস্কারের পথে মস্তিস্কপচায় ও অর্থাপচয় না করে
এমন শক্তি বাতাসের মধ্যে সৃষ্টির করার লক্ষে মস্তিস্ক ও অর্থ ব্যয় করুক। যার ফলে কাউকে খাদ্য জোগাড় করা লাগবেনা,বাতাশের মধ্যদিয়েই প্রত্যেক মানুষের দেহে খাদ্য অটোমেটিক্যলি উপযুক্ত ক্যালোরী প্রতিনিয়ত পুরন হতে থাকবে এবং সকলকে স্বুস্থও রাখতে পারবে।
ফলে কাউকে খাওয়ার জন্য ছুটাছুটি করা লাগবে না। সকলেই গ্রামে বসে-ঘুরে প্রকৃত্বি দেখবে,নদী দেখবে,চাদের ম্লান আলো দেখবে। পুরা লাইফ সে আরামে ভেবে,উপভোগ করে ও অনুভূতি প্রকাশ করে তৃপ্ত থাকবে। আর যোগ বিয়োগ গুন ভাগও কাউকে শেখা লাগবে না। এমন কিছু আবিস্কারের লক্ষে কিছু ব্রিলিয়ান্টরাই অধ্যায়ন করুক।
কাউকে কোন ব্যাবসা-চাকুরি করার দরকার হবেনা। ফলে শহরেও তাকে আসতে হবে না। আর কর্ম যখন করা লাগবেনা তখন সব প্রযুক্তি ব্যাবসাও বন্ধ হয়ে যাবে। এবং মানুষকেও অভিনব কৌশলী হয়ে নিত্য-নতুন ব্যবসাক্ষেত্র সৃষ্টি করে অপরাধী হয়ে জীবন-যাপন করতে হবে না।
শুধু একটাই প্রযুক্তি চালু থাকবে-সেটা গোটা মানব জাতীকে অটোমেটিক্যলি উপযুক্ত ক্যালোরী বাতাসের মাধ্যমে গ্রহন করাবে এবং স্বুস্থ রাখতে পারবে। তাতে যেটুকু পৃথিবীর পদার্থ অপচয় হয় বা কার্বনডাই অক্সাইড সৃষ্টি হয়। পদার্থ ও কেমিক্যল এর ব্যবহার থাকবে না বলে-আমরা সকলেই দ্রুত ধংশের হাত থেকেও রক্ষা পাব।

পৃথিবীটাও বেচে যাবে,কেননা তাকে খনিজ ও পদার্থ হারাতে হচ্ছেনা। মাথাওয়ালারা যদি ইচ্ছা করে তাহলে এমন জীবনের পথে আমাদের নিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া এখানে প্রযুক্তি,আইন,ধর্ম,সমাজ আদী থেকেই যেগুলো আজোব্দি করে চলেছে তাতে আমাদের কোন সমাধান মিলছেনা। বরং উল্টো পূর্বের চেয়ে কঠিন ও জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে সকলকে পড়ে যেতে হচ্ছে এবং পৃথিবীটাও বিজ্ঞানীদের কতৃক খনিজ হারিয়ে দ্রুত ধংশের দিকে চলে যাচ্ছে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতকে আমি সম্মান করি।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মানুষ নির্বোধ কারণ মানুষের বোধ শক্তি হারিয়ে ফেলছে দিন দিন।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি ঠিক করেছি গ্রামে চলে যাব। কৃষক হয়ে যাবো, নিজের কাঁধে লাঙ্গল তুলে নিব। জমিতে সেচ দিব, ঘর আর উঠান মাটি দিয়ে নিজ হাতে লেপে দিব।

গ্রামে ফিরে যাওয়া আর গ্রামের পথ কিন্তু সহজ নয়।

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো পথই মসৃণ নয় ভাইজান। খানা-খন্দে ভরা।
তবুও স্বপ্ন দেখতে হবে।

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: একদিন মানুষ সভ্যতার নামে জুতা বানিয়ে নিজেদের গলায় ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে।

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২২

আলআমিন১২৩ বলেছেন: আজকাল গ্রামও সূখের না-গ্রামের সূখে কীট লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.