নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পশ্চিম আফ্রিকার ভূমি বেষ্টির দেশ মালি
বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মহাদেশ হিসেবে আফ্রিকার পরিচিতি। যেখানে ধনীর চেয়ে গরিবের সংখ্যাই বেশি। মালি পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম বামাকো। বামাকোর লোকসংখ্যা ১০ লাখের উপরে। মালির মুদ্রার নাম সেফা। এক ডলারের মূল্যমান ৬০০ সেফার সমান। ১৯৬০ সালে মালি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯১ সালে মালি স্বৈরাসন থেকে মক্ত হয় এক সেনা অভ্যুত্থান। মালির অধীকাংশ মানুষ ইসলাম ধমাবালী। স্বর্ণ ও লবণের খনি শত শত বছর ধরে মালির অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করছে। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোওবাকার কিয়েতা। প্রধানমন্ত্রী মদিবো কিয়েতা। মালির আয়তন ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৯ বঃ মাঃ। লোকসংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ১৭ হাজার ১৭৬ জন। শিক্ষিতের হার ২৭%-৪৬%।
দেশটির উত্তরে প্রায় অর্ধেক জুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। দেশের বাকি অংশ জুড়ে রয়েছে সবুজ তৃণভূমি। মালিতেই ছয় হাজার ফরাসি নাগরিক বাস করছে। মালি বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত। মানুষের গড় আয়ু এবং স্বাক্ষরতার হার সেখানে বিপজ্জনকভাবে কম। মালির উত্তরে মধ্য সাহারা, দক্ষিণ অংশে রয়েছে নাইজার এবং সেনেগাল নদী। প্রধান পেশা কৃষি ও মৎস চাষ। প্রধান খনিজ পদার্থ স্বর্ণ। মালির ৬৮% অধিবাসী গ্রামে বাস করে। মালিতে জন্ম হার ১০০০ জনে ৪৫.৫৩ জন। প্রত্যেক বিবাহিত নারীর গড় সন্তান সংখ্যা ৬.৫ জন। মৃত্যু হার ১৬.৫ প্রতি হাজারে। গড় আয়ু ৫৩.০৬ বছর । শিশু মৃত্যুর হার অত্যধিক। হাজারে ১০৬ জন।
মালির বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিমের সঙ্গে ম্যাখোঁ
মালিতে তিনটি প্রধান ইসলামী গ্রুপ হলো আনসার আল দ্বীন, মুভমেন্ট ফর ইউনিটি অ্যান্ড জিহাদ ইন ওয়েস্ট আফ্রিকা (মুজাও) এবং আলকায়েদা ইন ইসলামিক মাগরিব (আকিম)। ফ্রান্স ২০১৩ সালের মালিতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মালির প্রতিবেশী দেশ নাইজার থেকে একাধিক প্রেডেটর ড্রোন উড়িয়ে মালিতে বিদ্রোহীদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে এবং ফরাসি সৈন্যদের খবরাখবর দিচ্ছে৷ বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মালিতে শান্তি রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। এখনো দেশটিতে বিভিন্ন জঙ্গি এবং আত্মঘাতী হামলার খবর মাঝে মাঝেই শোনা যায়।
ছবিতে সান্কোরে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়, মালির স্বকীয় স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন
মালিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম দল আসে ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল। ২৫ এপ্রিল আসে মুল দল। মালিতে ১০টি দেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ করেছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, চীন, নেদারল্যান্ড, নাইজার, আইভরিকোষ্ট, সেনেগাল, চাঁদ ও বরকিনা ফসো। মালিতে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী সংখ্যা ১৭২২ জন ( মে ২০১৫)। এর মধ্যে সেনাবাহিনী ১৩১০ জন, নৌবাহিনী ১৩৩ জন, বিমান বাহিনী ১২৩ জন, পুলিশ সদস্য ১৪০ জন এবং স্টাফ অফিসার ১৬ জন।
শতকরা অন্তত ৪০ ভাগ মটর সাইকেল চালক মহিলা। নাইজার নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে বামাকো নগরী। বামাকোর দুই অংশ দুইটি সেতু দ্বারা সংযুক্ত। সেতু সংলগ্ন পাঁচ তারকা হোটেল লিবিয়া হোটেল। লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কর্নেল গাদ্দাফীর পতন ও মৃত্যুর পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। গাদ্দাফী বেঁচে থাকতে মালির লিবিয়ার সাথে খুব সুন্দর সম্পর্ক ছিল। অনেক ব্রীজ, রাস্তা ঘাট লিবিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট করে দিয়েছিলেন। ইন্ডিয়ান নায়িকা ঐশ্বেরিয়া মালিতে এসে বেশ কিছু দিন থেকে গিয়েছিলেন।
আফ্রিকার মাটির নিচে রয়েছে অসংখ্য খনিজ সম্পদ, রয়েছে শক্তিশালী জনবল। তারপরও পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশের তালিকার প্রথম ১০টি দেশই আফ্রিকার। আফ্রিকাতে মোট ৫৪টি দেশ রয়েছে।
মালির রাজধানী বামাকো।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২০
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, অজ্ঞতা ওখানেও ইসলামের ভূল ব্যবহার করছে।
কিন্তু ঐশ্বরিয়া তো কোন জ্ঞানী ব্যক্তির মধ্যে পড়ছেনা,এজন্য তার সেখানে থাকা না থাকার কোন বিষয় থাকেনা।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৪০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বর্ণনা ও ছবি মিলে চমেৎকার।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
ভাললাগে না বলেছেন: আফ্রিকার মাটির নিচে অনেক সম্পদ কিন্তু তাদের রাজনীতির কারনে তারা পিছিয়ে আছে। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ভালই ইন্ধন দেয় এসবে।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
ইমরান আশফাক বলেছেন: মালি দেশটার সংগে সম্পর্ক আরও প্রগাড় করার উদ্যোগ নিতে পারে বাংলাদেশ।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: মহান ধজঃভঙ্গ ফ্রান্স মালিকে আবার উপনিবেশ বানাইতেছে ! কারণ দেশটির সম্পদ না হইলে তাহার ইয়ে দাড়াইতেছে না ! অবশ্য সন্ত্রাসবাদের প্রলেপ লাগাইয়া দিতেছে যেন তাহাদের ঢুলিরা ঢোল বাজাইয়া তাহাদের অপকর্মকে জায়েজ বানাইতে পারে !
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
প্রোলার্ড বলেছেন: আফ্রিকার স্বর্ণ আর হীরার লোভে লুটেরা ইউরোপিয়ানরা এখানে এসেছিল। সারা বিশ্বেই লুটপাট চালিয়েছে ইউরোপীয়ানরা । তাই ওদের দেশে যখন ম্যাসাকার হয় তখন মনে হয় এটা ওদের প্রাপ্য।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ টারজান০০০০৭ বলেছেন : মহান ধজঃভঙ্গ ফ্রান্স মালিকে আবার উপনিবেশ বানাইতেছে ! কারণ দেশটির সম্পদ না হইলে তাহার ইয়ে দাড়াইতেছে না ! অবশ্য সন্ত্রাসবাদের প্রলেপ লাগাইয়া দিতেছে যেন তাহাদের ঢুলিরা ঢোল বাজাইয়া তাহাদের অপকর্মকে জায়েজ বানাইতে পারে !
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব দেশের মানুষ ভয়ংকরভাসবে পেছসনে পড়ে আছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:১১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ