নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। কোনো লেখকেরই উচিত নয় নিজেকে বা অন্য লেখকদের ধারণার পুনরাবৃত্তি করা, তাতে শিল্পের তৃপ্তি পাওয়া যায় না। সময়ের ধারাবাহিকতা ও ঐতিহাসিক পটভূমিকায় সব সময় মানুষকে দেখা উচিত। শিল্পী তার বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে চান, অথচ শিল্পের স্বভাবই হলো অনবরত পরিবর্তন।
২। আমি কোনও কালেই নেপোলিয়ানের ভক্ত নই। ইতিহাসের এইসব বিখ্যাত চরিত্র গুলি তো আসলে বিখ্যাত খুনী। নেপোলিয়ানও এক রক্তলোলুপ, উচ্চাকাংখী, স্বৈরাচারী ছাড়া আর কি! হিটলারের সাথে তার তফাত অতি সামান্য।
৩। কবিতা অতি বিশুদ্ধ শিল্প, তার মধ্যে যুদ্ধ-টুদ্ধ মেশানো উচিত নয়। কবিতা দিয়ে যুদ্ধ করা যায় না, কবিতা দিয়ে বাজারের দ্রব্য মূল্য কমানো যায় না, সে চেস্টা করতে গেলে - কবিতা আর কবিতা থাকে না।
৪। একটি মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর তাকে চুমু খেতে চাওয়া তো পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাভাবিক ব্যাপার।
৫। আমরা মনে করি আমরা অন্যায় করছি না, তবু আমাদের কোনও কোনও ব্যবহারে অন্য কেউ আঘাত পেতে পারে।
৬। শিল্প সাধনা একটা চব্বিশ ঘন্টার কাজ, লেখক শিল্পিদের কোনো চাকরি- বাকরি করা উচিত নয়। সরকার কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেও তারা কোনোরকম সাহায্য গ্রহন করতে পারবে না। নিজের সাহিত্য-শিল্প সামগ্রীর বিনিময়ে পাঠক- দর্শক-শ্রোতাদের কাছ থেকে যা পাবে, তা দিয়েই গ্রাসাচ্ছাদন করতে হবে। সেইজন্যই জীবন জীবনযাত্রার মানও হবে অতি সরল, পেট ভরাতে হবে অতি সাধারণ খাবারে, যে কোনো পোশাকে কাজ চালিয়ে নিতে হবে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন সাহিত্যিক আছে। এমনকি পশ্চিম বাংলাতেও আছে। এই এরকম সাহিত্যিক আমাদের দেশে একজনও নেই।
শিল্প সাধনা একটা চব্বিশ ঘন্টার কাজ, লেখক শিল্পিদের কোনো চাকরি- বাকরি করা উচিত নয়। সরকার কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেও তারা কোনোরকম সাহায্য গ্রহন করতে পারবে না। নিজের সাহিত্য-শিল্প সামগ্রীর বিনিময়ে পাঠক- দর্শক-শ্রোতাদের কাছ থেকে যা পাবে, তা দিয়েই গ্রাসাচ্ছাদন করতে হবে। সেইজন্যই জীবন জীবনযাত্রার মানও হবে অতি সরল, পেট ভরাতে হবে অতি সাধারণ খাবারে, যে কোনো পোশাকে কাজ চালিয়ে নিতে হবে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন সাহিত্যিক আছে। এমনকি পশ্চিম বাংলাতেও আছে। এই এরকম সাহিত্যিক আমাদের দেশে একজনও নেই।
৭।
মধ্য রাত।
দরজায় ঠক ঠক শব্দ! যদিও কলিংবেল আছে। বিছানা থেকে নেমে পিনহোল দিয়ে তাকিয়ে দেখি একটি মেয়ে। সাদা জামা পরা, হাতে অনেক গুলো সাদা ফুল! আমি মেয়েটিকে চিনতে পারলাম, অনেক বছর আগে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিল। আমি ভয় পাচ্ছি, দরজা খুলতে ভরসা পাচ্ছি না। মেয়েটি করুনা মাখা গলায় বলল দরজা খুলো.....
আমি বললাম, কি চাও? মেয়েটি বলল- ফুল গুলো তোমার হাতে দিয়েই চলে যাবো। আমি কি দরজাটি খুলবো?
আমার খুব অসস্থির লাগে, আমি ঘুমের মধ্যেই ছটফট করতে থাকি।
৮। কেউ অপমান করলে আমার উপকার'ই করে আসলে। সেই রাত্রেই একটা কবিতা বা অন্য কিছু লিখে ফেলি। অপমান বা অবজ্ঞা বরাবর'ই আমাকে কিছু লেখার প্রেরণা দেয়।
৯। বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।
ছোট হতে হতে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছি।
নাদের আলী, আমি আর কত ছোট হবো?
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভালো লেগেছে।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ৬ নাম্বারটা বেশি ভালো লেগেছে!
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"৪। একটি মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর তাকে চুমু খেতে চাওয়া তো পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাভাবিক ব্যাপার। "
-চুমু খেলে বিয়ে করতে হয়, দায়িত্ব নিতে হয়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: তা তো অবশ্যই।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: গাজী ভাইয়ের মন্তব্যে আমি অভিভূত।
কথাটা খুব খুব দামি কথা বলেছেন। একটা দায়িত্ব পূরণ কথা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই আমি উনাকে এত সম্মান করি, ভালোবাসি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার!
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।