নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। পাটুরিয়া ঘাটে বাস জ্যামে পরেছে। নদী ফেরীতে পার হবো। বাসে একলোক উঠলেন খুব নিরিহ চেহারা। নরম সুরে তিনি বলছেনঃ আমার ছেলেটা হাসপাতালে ভর্তি। ১০ লাখ টাকা লাগবে। আমি একটা অফিসে পিয়নের কাছ করি। পরশু দিন অপারেশন। আপনারা কেউ যদি পারেন আমাকে সাহায্য করেন। আমি ভিক্ষুক না। লোকটির এমনভাবে কথা বলেছেন- সবাই তাকে টাকা দিচ্ছে। আমিও দিলাম ২০০ টাকা। আনুমানিক লোকটা আমাদের বাস থেকে প্রায় দুই হাজার টাকার মতো পেলো। লোকটির জন্য আমার খুব মায়া লাগলো। আহা বেচারা।
এই ঘটনার দুই মাস পর আমাকে অফিসের কাছে ফরিদপুর যেতে হলো। ফেরীঘাটে সেদিনও দেখি ঐ লোকটা। একই ঘটনা বলে সবার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। আমার মেজাজটা প্রচন্ড খারাপ হলো। আমি লোকটিকে ধরলাম। তার কাছ থেকে যা যা জানলাম- প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা উঠে। এই টাকার ভাগ দিতে হয় ১৩ জনকে। লোকটি আমাকে আরও জানালো এই রকম ( মানে তার মতো ) এই ঘাটে মোট ২৭ জন আছে। তারা একেক জন একেক রকম ঘটনা বানিয়ে সাধারন মানূষদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে।
আমার কথা হচ্ছে- তাদের হাত পা সবই আছে। তারা কাজ করে খেতে পারে। অন্তত পক্ষে রিকশা তো চালাতে পারে। তারা কেউই কাজ করে না কেন? কেন মানূষের সাথে প্রতারনা করছে?
২। অফিস থেকে ফেরার পথে এদেরকে একেক দিন একেক জায়গায় দেখি- তারা তিন চারজন। দেখে মনে হবে- একেবারে নিরিহ একটি পরিবার। গ্রাম থেকে শহরে এসে বিপদে পড়েছে। অল্প বয়সী মায়ের কোলে একটা ছোট বাচ্চা। বাচ্চার বাবা রাস্তায় আপনাকে দেখে বলবে- আমার মা, স্ত্রী আর বাচ্চাটাকে নিয়ে ঢাকা ঢাকায় আসছি চাকরির আশায়। নদী আমাদের সব ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। একটু সাহায্য করুন। আমাকে সাহায্য করতে হবে না, আমার ছোট বাচ্চা আর মাকে একটা রুটি কিনে দেন। আমরা টাকা চাই না। আমরা ভিখুক না। আমাদের সবই ছিল। কিন্তু আজ পথে বসে গেছি। ইত্যাদি ইত্যাদি...
আমি প্রতিদিন অফিস শেষে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরি। ঢাকা শহরের সমস্যা গুলো আমার চোখে খুব বেশি পড়ে। তারা আবছা অন্ধকার জায়গা বেছে নেয়। যদি দাঁড়িয়ে আপনি তাদের কথা শুনেন তো বিপদে পড়বেন। আপনার সবই কেড়ে নেয়া হবে। এইসব সমস্যার সমাধান নেই। সিটি কর্পোরেশন কি পারে না এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে? প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এদের ফাঁদে পড়ে বিপদে পড়ছে। সব হারাচ্ছে। দেখার কেউ নেই? তাহলে আপনারা কেন বলেন- দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে?
৩। পকেট মারের জন্য গুলিস্তান বিখ্যাত। যুগ যুগ ধরে এখানে পকেটমার হচ্ছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। এই পকেটমারের টাকা গুলোও দিন শেষে ভাগাভাগি হয়। কারা কারা এই টাকার ভাগ পায় শুনলে অবাক হবে! যদি গুলিস্তান এলাকায় কোনো পকেটমার ধরাও পড়ে, দেখবেন ছদ্মবেশে তাকে বাচানোর জন্য তার লোকজন মুহূর্তের মধ্যে এসে পড়েছে। গুলিস্তান এলাকায় আমার চাচার সেলাই মেশিনের দোকান আছে। আমি সেখানে এক বছর ছিলাম। প্রতিদিন যাওয়া আসা করতে-করতে আমি সব গুলো পকেটমারকে চিনে ফেলেছি। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি- কি যে দক্ষতার সাথে তারা মানূষের পকেটমারে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না।
এক সরকার থেকে আরেক সরকার ক্ষমতায় আসে। কিন্তু গুলিস্থানের পকেটমার আর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কেউ কোনোদিন পারেনি। পারবেও না। গুলিস্তানের ফুটপাত সম্পর্কে কিছুদিন আগে সাঈদ খোকন একবার গুলিস্তান এসে বলেছিলেন- এক ইঞ্চি জায়গা দেয়া হবে না। তারপর আমি গুলিস্তান গিয়ে দেখি, আসলেই এক ইঞ্চি জায়গা পেলাম না পা রাখার জন্য। সাঈদ সাহেব ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পারেন নি। কেউই পারবে না। অন্তত জলিলও পারবে না।
আপনি জানলে অবাক হবেন- গুলিস্তান এলাকার ফুটপাত লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। আর একটা কথা- যে জায়গা গুলোতে ছিনতাই হয়, সে জায়গা গুলোতে পুলিশের চেকপোষ্ট বসে না। কেন কেন কেন???
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সমাধান কি?
সমাধানটা করবে কে?
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই সব সমস্যার সমাধান আজীবনেও হবে বলে মনে হয় না।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে দেশ কিভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে?
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকা শহর ১৯৭২ সালে এত বেশী ডুবতো না; এখন ব্যাংক প্রস্রাব করলেও ডুবে যায়; সমস্যা প্রতিদিন যোগ হচ্ছে; সসম্যা সমাধানের জন্য যে ধরণের লোক দরকার, সাইদ খোকন মোকন ঐ ধরণের মানুষ নন, এরা নতুন সমস্যা যোগ করে চলে যাবে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার আর ভালো লাগে। এই দেশে আমার আর থাকতে ইচ্ছা করে না।
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ব্যাঙ প্রস্রাব করলে নাকি ঢাকা ডুবে যায়; সত্যিই কি তাই?
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
@অনন্য দায়িত্বশীল আমি ,
বুড়ি গংগায় যা দেখছেন, ওগুলো পানি নয়, ঢাকাবাসীর হিসু
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: শুনেছি বেশ কিছুটা নাকি পরিস্কার করা হয়েছে।
এখন আর বিকট গন্ধ হয় না।
৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আসলে...... কিছু বলতে ইচ্ছা করছেনা। সুযোগ পেলে বাইরে চলে যাব।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আমিও.।.।.।
৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: আপনি বাইরে চলে যেতে চান। আর আমরা যারা বাইরে আছি তারা দেশে ফিরতে চাই। কিন্তু ফেরার পথ নাই। দূর থেকে নিজ মাতৃভুমিকে দিন দিন একটা নরকে পরিনত হতে দেখা যে কি কষ্টের বলে বোঝানো যায় না।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই নরক থেকে থেকে বধির হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন।
৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখন আর সরকারও পরিবর্তন হয়না ফুতপাতের মত্ দশা ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ফুটপাতের যে অবস্থা দেশেরও একই অবস্থা।
৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন আবার নতুন স্টাইল। বাসে উঠে সবাইকে একটা কাগজ দেয়া হয়। সেখানে কিছু সাহায্যের আবেদন। আবার সেই কাগজ সংগ্রহ করে কারো কারো কাছে টাকা পায়। এদের কারণে প্রকৃত ভিখারীরা বঞ্চিত হয়...
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: কথা সত্য।
১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯
বেয়াদপ কাক বলেছেন: করুণা পেতে এবং তা বিক্রি করে খেতে কিছু মানুষ খুব পছন্দ করে। এতে শারীরিক কোন পরিস্রম নেই। এদের বিবেক বোধ প্রায় শূন্যর কোঠায়।মানুষ করুনা করতেও খুব ভালোবাসে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
নীল-দর্পণ বলেছেন: ফার্মগেটে দেখি এক লোক খুব ভাল পোষাক পড়া, বলছে সে শিক্ষক। কোন এক কারনে সাহায্য চাইছে !
একই লোককে আম্মা বাসে দেখেছেন! ধান্ধাবাজীর যে কত পথ বের করছে!