নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমার এক বন্ধু আছে- কারো উপর মেজাজ খারাপ হলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মনে মনে। আমি বললাম- মনে মনে গালি দিয়ে লাভ কি? সে তো শুনতে পায় না, জানেও না এবং বুঝেও না। বন্ধু বলল- কিন্তু আমি বিপুল আনন্দ পাই। বন্ধু বলে আমার এই গালি থেকে কেউ ছাড় পায় না। অফিসের বস, বন্ধুবান্ধন, আত্মীয় স্বজন, পরিচিত-অপরিচিত এমনকি মন্ত্রী মনিস্টাররাও।
বন্ধুর নাম শফিক আহমেদ। সে দেশের এক নম্বর ফানিচার কোম্পানিতে চাকরি করে। মোটা টাকা বেতন পায়। আমি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেই। সে বিরাট চোর। তার গ্রামের বাড়িতে লক্ষ লক্ষ টাকার ফানিচার চুরী করে নিয়েছে। যাই হোক, গতকাল তার সাথে দেখা মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে, প্রায় চার বছর পর। আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো। একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল।
অনেক কথার পর বলল, যাদের সাহিত্যজ্ঞান নেই, মেধা নেই- এক কথায় কোনো যোগ্যতা নেই তারাই ব্লগে লেখে। ব্লগে লেখা ছাড়া তাদের উপায় নেই- কোথাও তাদের গল্প কবিতা প্রবন্ধ বা উপন্যাস প্রকাশ করবে না। যাদের সত্যিকার যোগ্যতা আছে- তারা পত্রিকায় লেখে, বছর বছর তাদের বই বের হয়। এবং তারা নানান রকম সাহিত্য পুরস্কারও পায়। ব্লগে যারা লিখে তারা গরু। যোগ্যতাহীন এবং যে গুটিকতক লিখে বা ব্লগ পরে মন্তব্য করে তারা একেবারে মেধাহীন।
আমার খুব রাগ হলো। কিন্তু আমি অতি ভদ্র বলে চুপ করে বসে থাকলাম। চুপ করে সহ্য করে গেলাম। কথায় বলে না- 'কয় জন বড় না, সয় জন বড়।' এই শফিক আহমেদ একদিন ঢাকা এসে না খেয়ে ছিল, থাকার জায়গা ছিল না। লেখা পড়ার খরচ ছিল না- সব কিছু আমি দিয়েছি। জামা কাপড় দিয়েছি।
ব্লগে এইসব রাগের কথা বলা ঠিক না।
অন্য প্রসঙ্গে আসি- মসজিদে জামাতে ফজর নামাজ পড়ার জন্য এক ব্যাক্তি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ওযূ করে মসজিদে যাচ্ছে। মাঝ পথে সে পা পিছলিয়ে পড়ে গেল। তাঁর কাপড় নষ্ট হয়ে গেল। সে বাসায় ফিরে এসে কাপড় বদলিয়ে আবার ওযূ করে মসজিদের দিকে রওয়ানা দিল।
মাঝ পথে আবার সে পা পিছলে পড়ে গেল। তাঁর কাপড় ময়লা হয়ে গেল। তিনি আবার বাসায় গেল কাপড় বদলিয়ে ওযূ করে আবার মসজিদের দিকে রওয়ানা দিল।
মাঝ পথে আসতে লন্ঠন হতে এক লোকের সাক্ষাত পেল। লোকটিকে সে জিজ্ঞাস করল, আপনি কে? সে উত্তরে বলল, আমি আপনাকে দু'বার পড়ে যেতে দেখলাম তাই ভাবলাম মসজিদের যাওয়ার জন্য আমি একটি প্রদীপের ব্যবস্থা করে দেই। লোকটি লন্ঠন হাতে তাঁকে মসজিদ পযর্ন্ত এগিয়ে দিল। লোকটি সাহায্যকারীকে বললেন, চলুন নামায পড়ে নেই। লোকটিকে বারবার বললার পরও লোকটি নামাজ পড়ল নাহ্। তখন লোকটিকে প্রশ্ন করল, আচ্ছা আপনি নামাজ পছন্দ করেন না, বলুনতো আপনি কে?
লোকটি বলল, আমি শয়তান। আমি আপনাকে প্রথম বার পা পিছলিয়ে ফেল দিয়েছিলাম যাতে মসজিদে নামায না পড়ে আপনি বাড়ী ফিরে যান। কিন্তু আপনি যখন পা পিছলিয়ে পড়ে যাওয়ার পর ও বাড়ী গিয়ে ফিরে আসলেন তখন আল্লাহ্তালা আপনার সব গোনাহ্ মাফ করে দিলেন।
দ্বিতীয়বার যখন আপনি পড়ে যাওয়ার পরও বাড়ী গিয়ে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদে রওয়ানা দিলেন তখন আল্লাহ্তালা আপনার পরিবারের সকলের গোনাহ্ ক্ষমা করে দেন।
এর পর যদি আপনি আবার পড়ে গিয়ে আবার বাড়ী থেকে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদে আসেন, না জানি আল্লাহ্তালা সকল এলাকাবাসীর গোনাহ্ মাফ করে দেন। সে ভয়ে আমি তাড়াতাড়ি লন্ঠন হাতে আপনাকে মসজিদে পৌছে দিয়ে গেলাম।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: লেখাটি দারুণ লেগেছে।
আপনার সেই বন্ধুকে বলা উচিৎ ছিল-তোর যদি যোগ্যতা বলে কিছু থাকে তবে ব্লগ লিখে তা দেখা।
ব্লগ ও ব্লগারদের এভাবে অপমান হতে দেওয়া ঠিক নয়।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
সামিয়া বলেছেন: শেষের গল্পটা জানা।।
আপনার বন্ধুর সমালোচনা পড়ে মজা পেয়েছি, যাদের সাহিত্যজ্ঞান নেই, মেধা নেই- এক কথায় কোনো যোগ্যতা নেই তারাই ব্লগে লেখে। ব্লগে লেখা ছাড়া তাদের উপায় নেই- কোথাও তাদের গল্প কবিতা প্রবন্ধ বা উপন্যাস প্রকাশ করবে না। হাহ হাহ হাহ
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: এখন সে আর আমার বন্ধু না।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: যেখানে আপনি ভদ্র বলে চুপ হয়ে ছিলেন, তাও আপনার বন্ধু সেখানে আমরা কি বা বলতে পারি। 'কয় জন বড় না, সয় জন বড়।' সহমত।
শয়তানের গল্পটি জানা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের মনে রাখতে হবে কিছু দুষ্টলোক সব জাগায়'ই থাকে।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে। তবে শেষেরটা প্রচলিত।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শয়তান তো দেখছি ক্ষতি করতে গিয়ে উপকার করে বসলো!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই টাই তো মজার ব্যাপার।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: শুরুটা ভাল লাগল। কিন্তু শুরুর তুলনায় শেষটা ভাল লাগল না।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সময়ের অভাবে আপনাদের সকলকে আলাদা আলাদাভাবে ধন্যবাদ জানাতে পারলাম না। আমাকে ক্ষমা করবেন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সময়ের অভাবে আপনাদের সকলকে আলাদা আলাদাভাবে ধন্যবাদ জানাতে পারলাম না। আমাকে ক্ষমা করবেন।
৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৮
নতুন বলেছেন: শিমুল কাঠই হোক আর সেগুন কাঠই হোক, আগুনের চেহারাটা একই
আসলে কাঠের উপাদান যেহেতু ভিন্ন তাই আগুনের চেহারাটা ভিন্নই হবে। রং আলাদা হবে...
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে। তবে সেই আগুন দিয়ে রান্নার কিন্তু বেশ কম হবে না।
৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
নতুন বলেছেন: আসলে সব কাঠের রান্নাও আক রকমের হয়না।
মিস্টির দোকানে তেতুল কাঠ ব্যবহার করে তাতে মিস্টি ভালো হয়...
শিমুল কাঠের আগুনে মিস্টি হবেনা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই ব্যাপারে ভাল বলতে পারবে বাবুর্চিরা।
১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪২
সাখাওয়াত হোসেন রাজু বলেছেন: পরেরটার কোন হাদীসের অংশ।যদি হয় তাহলে অনশ্যই উৎস টা দিবেন প্লিজ।
০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: খুজতে হবে।
১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার কবিতার বই আছে। এখন ব্লগে লিখলে কী আমার লেখার মান কমে যাবে। আমি তো আমি। আমি তো কপি পেষ্ট নৈ।
০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: না না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
jhshovon বলেছেন: ভাল লাগলো