নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝড়ের গল্প

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪



ঝড় দেখেছেন? কালবৈশাখী।
নিজের চোখে এই ঝড় না দেখলে আমি কোনো দিনও বিশ্বাস করতাম না যে ঝড় এত সুন্দর হতে পারে! বিশাল এক ধানক্ষেতের পাশে বসে 'থ্রি কমরেডস' বইটি পড়ছিলাম। দূরে পদ্মা নদী কিছুটা দেখা যায়। ধানক্ষেতের পাশ দিয়েই একটা খাল গেছে। সময় তখন মধ্য দুপুর। চারপাশ কেমন থমকে আছে। খুব গরম, একটূও বাতাস নেই। ঠিক এই রকম সময়ে আচমকা বাতাস বইতে শুরু করলো। গরম বাতাস। থ্রি কমরেডস হাত থেকে পড়ে গেল। চারপাশের গাছপালা গুলো হাহাকার করে উঠলো। মুহূর্তের মধ্যে আকাশ ভরা কালো মেঘ জমতে শুরু করলো। দেখতে দেখতে মধ্যদুপুর, রুপ নিলো সন্ধ্যার। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। ব্রজপাতও কি হলো বেশ কয়েকবার?

আকাশে ঘুড়ির মতো কি কি যেন উড়ছে। ঠিক এই সময়ে দেখি বিশাল এক মেঘের খন্ড আমার মাথার উপরে। সব কিছুই বড্ড আবছা লাগছে। চারপাশে গুমগুম আর শো শোঁ শব্দ। মনে হলো যেন কোনো অশরীরী কাঁদছে। অনেকক্ষন পর আমি বুঝতে পারলাম- বাতাস আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে। কিছুতেই আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, চোখ মেলে তাকাতেও পারছি না। নদী থেকে মাছ ধরে ফিরে আসা দু'টো নৌকা চোখের সামনেই উলটে গেল। বিশাল বিশাল গাছ, ঝরে পড়া পাতার মতো পড়ে যাচ্ছে। কলা গাছ গুলো রসির মতো দুলছিল। উন্মাদ বাতাস যেন সব কিছু কেড়ে নিতে চাইছিল। কার বাড়ির ঘরের চালা, ঘুড়ির মতো আকাশে উড়ছে?

আমার মাথা কাজ করছিল না। চিন্তাশক্তি সব যেন হারিয়ে গেছে। আমি চোখ দিয়ে মন ভরে এই ঝড় দেখতে পারলাম না। ধুলোবালি উড়ে এসে তীরের মতো চোখে আর শরীরে বিঁধছে। একটা বিশাল তেতুল গাছ উপড়ে ফেললো এই ঝড়, আমার পায়ের কাছে। গমগম আর শোঁ শোঁ শব্দে কান স্তব্দ হয়ে পড়েছে। বোধ শক্তিহীন অসাড় হয়ে পড়লাম আমি। তবু বেঁচে থাকার তাগিদে একটা চালতা গাছ ধরে আঁকড়ে রইলাম। থ্রি কমরেডস কোথায় ছিটকে পড়েছে কে জানে! তবু কিভাবে কিভাবে যেন এই মহান ঝড়কে অনুভব করলাম আমার সম্পূর্ণ সত্তা দিয়ে। এইভাবে প্রায় দশ মিনিট খেলা করে ঝড়টা থেমে গেল। তারপর শুরু হলো বৃষ্টি। ঝুম বৃষ্টি। ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরলাম। মা আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার শৈশবে যখন গ্রামে বেড়াতে যেতাম
তখন দেখেছি ঝড় দেখার মাঝে এক উদ্দাম আনন্দ আছে ,তবে বেশির ভাগ সময় ই বড়দের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা সম্ভব হতো না।

আপনার বর্ণনা ভালোলেগেছে ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২১

জাহিদ অনিক বলেছেন:


আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি।


ঝড়, কালবৈশাখী, সিডর আইলা সব কিছুই নিজের চোখে দেখেছি।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: সামনা-সামনি? না টিভিতে?

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৯

ওমেরা বলেছেন: ঝড় আমি দেখেছি শীপে ফিনল্যান্ড যাওয়ার সময়।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লিখে ফেলুন না.।.।.। আমরা আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে শিহরিত হই।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: ছোট বেলায় পাঠ্য বইয়ে পড়া 'ঝরের পরে' গল্পের প্রধান চরিত্র মাহবুবের কথা মনে পড়ে গেলো।
প্লাস।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

নীলপরি বলেছেন: এরকম ঝড় দেখেছি । আপনার বর্ণনা বেশ লাগলো ।সাথে শিরোনাম ও বিষয়ে মিল আছে ।
এর আগে আপনার লেখায় মন্তব্য করে উত্তর পাইনি । এবারেও না পেলে অসুবিধা নেই ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: কে বলেছে আমি উত্তর দেই না????

এই নিন উত্তর।
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য।
কেমন আছেন? দিনকাল কেমন যাচ্ছে?

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন: সামনা-সামনি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.