নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমাদের দেশটা খুব দরিদ্র একটা দেশ। দরিদ্র দেশে যারা বিলাসিতা করে তাদের আমি খুব অপছন্দ করি। শুধু অপছন্দ না ঘৃণাও করি। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই দেখি- বাড়ির দাড়োয়ান, ড্রাইভার বা কাজের লোক একটা বা দু'টো বিদেশী কুকুর নিয়ে রাস্তায় বের হয়। একদিন আমি জিজ্ঞেস করলাম, কুকুরকে নিয়ে বের হয়েছেন কেন? তারা উত্তর দিল- কুকুর পটি করবে, তাই।
আমি বললাম- বাসায় পটি করে না?
বাসায়ও করে। প্রতিদিন কুকুর গুলোকে নিয়ে বের হই, এটাই নিয়ম।
কিছু মানুষের কত টাকা! তারা লাখ টাকা দিয়ে কুকুর কিনেন। কুকুরের পেছনে মাসে লাখ টাকা খরচ করেন। আর কোটি কোটি মানুষ তিনবেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। আমি মনে মনে ভাবি- যারা দরিদ্র দেশে এই রকম বিলাসিতা করে তাদের লজ্জা করে না? কুকুরের পেছনে এত টাকা খরচ না করে, এই টাকা গুলো দরিদ্র মানূষের কল্যানে খরচ করা যায় না? কুকুর আগে না মানুষ? মানুষ তো আশরাফুল মাখলুকাত।
আমাদের দেশে ধনীদের কুকুর প্রীতি মূলত পশ্চিমা সভ্যতা থেকে আমদানি হয়েছে। ধনীর অনেক ছেলে-মেয়েকে প্রায়ই দেখি কুকুর নিয়ে সকালে জগিং করতে বের হয়। কেউ কেউ শপিং এ বের হয়। গাড়িতে কোথাও যাওয়ার সময় কুকুরকে সাথে করে নিয়ে যায়। কুকুরকে কোলে বসিয়ে আদর করে। তখন রাস্তার জ্যামে থেকে থাকা গাড়িতে যদি কোনো ভিক্ষুক ভিক্ষা চায়, তখন তাকে ধমক দেয়া হয়। কুকুরের জন্য কত আয়োজন। আর মানুষের জন্য। ধনীদের একজন কুকুরের পেছনে দুইজন লোক খাটে।
কুকুর পোষারও কিন্তু অনেক নিয়ম কানুন আছে। কুকুর পোষার জন্য কুকুর মালিকদের আগে তাদের প্রতিবেশীদের অনুমতি নেওয়া দরকার। দরিদ্র দেশে কুকুর পোষার দরকারটা কি(?) আমি ভেবে পাই না। এই ঢাকা শহরে লক্ষ লক্ষ লোক দুপুরে ভাতের বদলে রুটি-কলা বা বিস্কুট খেয়ে লাঞ্চ করে। কত মানুষ না খেয়ে থাকে। অভুক্ত মানুষ গুলো হোটেলের পাশে ঘুরঘুর করে। আর ধনী ব্যাক্তিরা কুকুরের জন্য সাভারের আমিন বাজার থেকে কচি গরুর মাংস কিনে আনেন নিয়মিত। কুকুরের নিয়মিত চেকাপের জন্য যান পশু হাসপাতালে। মানুষ খাদ্যের অভাবে না খেয়ে থাকে, চিকিৎসার অভাবে মরে। আমি নিজের কানে এক ভিক্ষুককে বলতে শুনেছি- এক আকাশ কষ্ট নিয়ে ভিক্ষুক কাঁদতে কাঁদতে বলছে- হে আল্লাহ আমাকে মানুষ না বানিয়ে বিদেশী কুকুর বানালেও ভালো করতে। আরাম আয়াশে থাকতাম পারতাম। তিনবেলা পেটপুরে খাবার পেতাম।
একবার তো আমি এক ধনী লোকের বাসায় বিদেশী কুকুরের বিস্কুট খেয়ে ফেলেছিলাম। গুলশানের মার্কেট গুলোতে কুকুরের জন্য বিশেষ বিদেশী খাবার পাওয়া যায়। কুকুরের আছে নানান রকম নাম- স্পেজ, ডোনারমেন, লেভরা ডগ, গোল্ডেন রিট্রিউভার, ডালমাসিয়ান, পার্ক, শেফার্ড ইত্যাদি। প্রজাতিভেদে এসব কুকুরের মূল্য ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। কুকুরের ব্যবহারের জন্য খাঁচা, শিকল, বেল্টও নানান রকম। দামও খুব চড়া। কাটাবন গেলে চোখে পড়ে পাজারো গাড়ি থেকে নেমে বিদেশি কুকুর কিনছে অনেক ক্রেতারা। বিদেশি কুকুর গুলো ভাগ্য আছে- বলতে হবে। দামী গাড়িতে চড়ে বেড়ায়, ভালো ভালো খাবার খায়, খুব আদর যত্ন পায়। কুকুরের মালিকগন তাদের কুকুরের নাম রাখেন- টম, প্রিন্স, জ্যাক ইত্যাদি।
আমাদের র্যাবের ডগ স্কোয়াডে বর্তমানে মোট কুকুরের সংখ্যা ৬১টি। এগুলো জার্মানির শেফার্ড ও ইংল্যান্ডের লিউপার্ড প্রজাতির। ইংল্যান্ডের চিলপোর্ট কোম্পানী কুকুরগুলো সরবরাহ করেছে। কোটি টাকার উপরে তাদের দাম। প্রধানমন্ত্রী কোথাও গেলে তার আগের দিন এই কুকুরগুলো সেখানে গিয়ে গন্ধ শুঁকে। মানুষ যে কাজ নিখুঁত ভাবে পারে না, সেখানে এই কুকুর গুলো গন্ধ শুঁকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এই কুকুর গুলোর খাবারের রুটিন আছে- সপ্তাহে তিনদিন ৮শ’ গ্রাম করে গরুর মাংস ও এক কেজি করে মুরগির মাংস, ২৫০ গ্রাম ভাত ও পর্যাপ্ত সবজি খেতে দেয়া হয়।
কুকুর নিয়ে ঢাকায় একবার এক মেলা হয়। সারা বাংলাদেশ থেকে কুকুর মালিকগন তাদের পোষা বিদেশী কুকুর গুলোকে নিয়ে সেই মেলায় আসেন। তা এক দেখার মতো দৃশ! মানুষের বাচ্চাকেও মনে হয় এত আদর করা হয় না। কত ঢং, কত রঙ!! তাদের লজ্জা করছিলনা। লজ্জা করছিল আমার। ইচ্ছা করছিল সব গুলোকে কানে ধরে সারা প্রেসক্লাব ঘুরাই। তারা কি দেখে না, কত লোক না খেয়ে থাকে, ফুটপাতে রাত যাপন করে, টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারে না। দরিদ্র পিতা মাতা ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ চালাতে পারে না। মানুষের কত কষ্ট আর তারা আছে কুত্তা নিয়ে। ছিঃ ।
আগে দেখতাম- গুলশান, ধানমন্ডি বা বনানী'র অনেক বাড়িতে মেইন গেটে লেখা থাকতো কুকুর হইতে সাবধান। এখনও অনেক বাড়িতে লেখা থাকে 'কুকুর হইতে সাবধান'। মানে কি? তারা কি ভয়ানক কুকুর? মানূষকে কামড়ে কামড়ে মেরে ফেলে? তাহলে তারা এমন কুকুর পোষে কেন? আমি কয়েকবার এরকম কুকুরওয়ালা বাড়িতে গিয়ে মহা বিপদে পড়েছি। একবার তো এক কুকুর প্রায় আমার পাছায় কামড়ই দিয়ে দিল। কিন্তু কুকুরটা পুরোপুরি সক্ষম হতে পারেনি। তবে প্যান্টের পেছনের পকেট কামড়ে ছিড়ে ফেলেছিল। আমি যখন ছোট, তখন আমার মনে আছে- কোথা থেকে যেন আমাদের এলাকায় একটা কুকুর এসেছিলছোট লাল রঙের বাচ্চা কুকুর। কুকুরটাকে বেশ কিছু দিন আমি নিয়মিত খাবার দেই। রাস্তায় কুকুরটা আমাকে দেখলেই দৌড়ে আসতো। কুকুরটা একটু বড় হওয়ার পর, কে বা কারা যেন কুকুরটার উপর গরম পানি ফেলে দেয়। ফোসকা পড়ে ঘা হয়ে যায়। তার কিছুদিন পর কুকুরটা মরে যায়। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
এদিকে দেশীয় কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী। শুধু ঢাকা না বড় বড় জেলা শহরেরও একই অবস্থা। দিনদিন নগরীতে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বাড়ছে। যখন পথচারী কুকুরের কামড় খায় তখন সিটি কর্পোরেশন থেকে বলা হয়- কুকুরে কামড়ানো লোকজনের জন্য ভ্যাকসিন সহজলভ্য করা হয়েছে। প্রতি বছর শুধুমাত্র রাজশাহীতেই কুকুরের কামড়ের শিকার হয় অন্তত ৫শ’ গবাদি পশু। মানূষও কম যায় না- তারা কুকুরের গায়ে গরম পানি ফেলে দেয়, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কুকুরের পা ভেঙ্গে ফেলে। বিদেশি কুকুর যে পরিমান যত্নআত্তি পায়, দেশি কুকুর তার একশো ভাগের এক ভাগও যত্ন পায় না। তারা পথে ঘাটে খাবারের আশায় ঘুর ঘুর করে। নগরবাসী তাদের দিকে ফিরেও তাকায় না। তবে কেউ কেউ ফিরে তাকায়। যেমন- আমার আগের অফিস ছিল ইস্কাটনে। প্রতিদিন বিকালে দেখতাম হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট কলেজের সামনে সুন্দর একটা মেয়ে রাস্তার পাশের চায়ের দোকান থেকে অনেক গুলো বিস্কুট কিনে একটা কুকুরকে খেতে দেয়। অসংখ্য দিন আমি দেখেছি। দৃশটা আমার কাছে খুব ভালো লাগতো। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যেত। কুকুরটা মেয়েটাকে দেখলেই দৌড়ে আসতো। মেয়েটাকে বিস্কুট খেত দিত। কুকুরটা আরাম করে বসে বিস্কুট খেত।
যতদিন আমরা বিদেশী কুকুরের পিছনে ছুটতে থাকবো ততদিন দেশের কোন উন্নতি হবে না। try to understand- কুকুরের চেয়ে মানুষ উত্তম। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব ভুলে গেলে চলবে না। তাই আসুন আগে মানুষকে ভালোবাসি। মানূষের জন্য কিছু করি। মিথাশ্রয়ী মহাকাব্য মহাভারত অনুসারে, ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের স্বর্গ যাত্রাকালে তার সঙ্গী ছিলো কুকুর।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: বৈষম্য দরিদ্র দেশ গুলোর জন্য অভিশাপ।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
আমপাবলিক বলেছেন: বিদেশি কুত্তা না কিইন্না দেশি কুত্তা পালন যায় নাহ! তাহলে দেশি কুত্তারও একটু ইজ্জত বাড়তো।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিকই বলেছেন।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভুল করে কুকুরের বিস্কুট খাওয়ার পর, আপনি কি ঘেউ ঘেউ করেছিলেন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: গরীব সুর করে গান গাইলেও অন্যের কাছে ঘেউ ঘেউ মনে হয়।
আজকের কথাই বলি- আজ অফিসে এক লোকের সাথে দরকারী বিষয়ে কথা বলছিলাম, পাশ থেকে এক সিনিয়র লোক ঝারি দিয়ে উঠল। আজ আমি গরীব বলেই অই লোক ঝারি দিতে পেরেছে। যদি ধনী হতাম তাহলে অই লোক আমার জন্য তেলামি করতে করতে- মুখ দিয়ে লালা পড়টো।
তবে আপনার মন্তব্য পড়ে আমি হেসেছি। আমি জানি আপনি এই রকম একটা মন্তব্য করবেন। মিলে গেছে। ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
বনসাই বলেছেন: মানুষেরা গরীব কেন?
ধনীর সম্পদের বন্টনে আপনার আগ্রহ খুব বেশি, তবে পন্থা ভালো নয়।
এতে গরীবের কোনো উপকার হবে না।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধনীর সম্পদ নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নাই।
আমার দুঃখ একটাই তাদের সম্পদ গুলো অবৈধ।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
অর্ক বলেছেন: বিস্তারিত লিখেছেন রাজীব ভাই। পুরোটা পড়লাম। সবই সত্য কথা। বিদেশী কুকুর আমদানি করে পোষা এই হত দরিদ্র দেশে এক প্রকার দেশ ও মানুষের মুখে থুথু দেয়ার সামিল। পুষতে চায়, দেশি কুকুর পুষুক। বিদেশি কুকুরের থেকে ঢের উপকারী ও প্রভুভক্ত দেশি কুকুর। আমার নানার বাড়িতে দেখেছিলাম, ভীষণ হিংস্র, প্রভুভক্ত কুকুর। ঘরে তালা টালা দেয়ারও প্রয়োজন হতো না কুকুরগুলোর কারণে। বাইরের মানুষের ছায়া দেখলে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলতো। ঘরের লোক যদি তর্জনী উঁচিয়ে বলে, অমুককে কামড় দাও, একেবারে নরখাদক হয়ে উঠবে। মনে পড়ছে, শৈশবে একবার নানা বাড়িতে গিয়েছিলাম মা'র সাথে রাতে, এমন আক্রমণাত্মকভাবে কাছে এসে গর্জন করা শুরু করলো যে রিক্সাআলার ভয়ে 'খালা খালা' করে মা'র কোলে ওঠার মতো অবস্থা। তারপর ঘরের ভিতর থেকে আত্মীয়রা এসে সেই কুকুরকে বুঝিয়ে ঠাণ্ডা করে।
সাদ রঙের বিদেশী এক ধরণের কুকুর আছে ওরা অলসের অলস আর ভীতুর ভীতু। ওদের কান মলে দিলেও ওরা টু শব্দ করে না। ওদের দিয়ে কোনও উপকারই হয় না। প্রভুভক্তও না। ওদের বিদেশীরাই পুষুক। বিদেশী কুকুর যারা পোষে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দেশী কুকুর পোষা শুরু করুক সবাই।
এখন কী করার আছে, বৈধভাবে উপার্জিত টাকা দিয়ে সে সমাজের ক্ষতি হয় না, এমন যা খুশি তাই করতে পারে। আমাদের কিছু করার বা বলার নেই, শুধু দুঃখ পাওয়া ছাড়া, দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া।
আপনার পোস্ট যথারীতি ভালো লাগা। তবে এভাবে দারিদ্র্যতার সাথে মানুষের পশুপ্রেমকে গুলিয়ে ফেলা যায় না! সরকারকে এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে, ব্যক্তিকে নয়।
আপনার পবিত্র বিশুদ্ধ মনের পরিচয় আরেকবার পেলাম লেখায়। ইশ, আপনার অর্থ সম্পদ থাকলে আমরা হাজী মোহাম্মদ মোহসিন, রণদা প্রসাদ সাহা'র পর আরেকজনকে পেতাম, দানবীর রাজীব নূর। আপনার মন আছে কিন্তু মামু (টাকা) নাই।
শুভেচ্ছা ভাই। মঙ্গল হোক আপনার।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: বিশাল মন্তব্য করেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনার নানা বাড়ির সেই কুকুর টার নাম কি ছিল?
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৩
আল ইফরান বলেছেন: মানুষের ভালোবাসা বরাবরই নিম্নমুখী
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: একদিন আমরাও বিদেশিদের মতো হবো- এই স্বপ্ন দেখতে আমার ভালো লাগে।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কুকুর নিয়ে শহরের কিছু মানুষ একটু বেশি মাত্রার আদিখ্যেতা দেখায়। তবে গ্রামে কুকুরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সৃষ্টির আদি থেকেই মানুষের বন্ধু কুকুর। প্রথম থেকেই মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কুকুর। কুকুরের প্রতি আমাদের যত্নবান হওয়া উচিত, তবে সেটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নয়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: কুকুর বা এই রকম প্রানী নিয়ে কিন্তু একটা হাদীস আছে।
বাড়িতে কুকুর থাকলে নাকি নামাজ হয় না।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ধনীরা গরীব লোকের থেকেও একটা কুকুর কে বেশি ভালবাসে? আজব দুনিয়া।
ভাই কুকুরে খাওয়া লেড়ো বিস্কুটের স্বাদ কেমন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক আগে খেয়ে ছিলাম। স্বাদের কথা মনে নাই।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২০
অর্ক বলেছেন: নাম আর আজকে মনে নেই ভাই! জ্যাকি, টাইগার, ভুতো, কালু এর কোনও একটা হবে!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
আর একটা প্রশ্ন রুমা কে? উত্তর না দিতে ইচ্ছা করলে দিবেন না।
জাস্ট কৌতূহল।
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
কুকুর মানুষের থেকে বিশ্বস্ত।
কুকুর ঘেউ ঘেউ করে, যা বলতে চায় মানুষ বোঝে না
মানুষ কথা বলে, যা বলতে চায় তা কেউ শুনতে চায় না।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: কাউকে ভালোবাসলে তার কথা বুঝা যায়।
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫০
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: শখের তুলা নাকি আশি টাকা।
তবে চোখের সামনে এতো দরিদ্র মানুষ দেখেও যারা লাখ লাখ টাকার কুকুর পালন করে শখের বশে তারাও এক প্রকার কুকুরই। তাদের জন্য শূধু ঘৃণা আর ঘৃণা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: খুব দুঃখ হয়।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দেশি কুকুর বেষ্ট! বিদেশি কুকুর যারা পালে তাদের উপর ভ্যাট বাড়ানো উচিত!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভ্যাটের লোকজন'ই তাদের সাহায্য করে কিভাবে ভ্যাট এড়ানো যায়।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪০
প্রামানিক বলেছেন: মানুষের চেয়ে বিদেশি কুকুরের মূল্য বেশি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: হুম, তাই।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮
কানিজ রিনা বলেছেন: কুকুর বলে তোরা মানুষরা একবেলা খেয়ে
ঘরে সাতবেলার খাবার যোগার রাখিস কিন্তু
আমি আমরা কুকুর একবেলা খাবার খেয়ে
আরএক বেলার জন্য আল্লাহ্কে ডাকি।
আমি একবার আমার এক আত্বিয়র বাসায়
বেড়াতে গিয়ে দেখলাম প্রায় দুই ডজন
বিদেশী নানান প্রজাতীর কুত্তা এই কুত্তা
পালার কর্মচারী অন্তত ছয়জন। বেশ ভালই
বেতন পায়। যখন আমি বল্লাম দেশে কত
গরীব ফুটপাতে না খেয়ে ঘুমায় বলতে পারেন?
তখন আত্বিও বলল কুকুর পালি বলেই কয়জন
লোক বেতন নিয়ে খেয়ে পড়ে বাঁচে।
সে কথার আর জবাব দিতে পারিনাই।
তবে আমাদের দেশের বেওয়ারিশ রাস্তার কত্তা
গুল বাড়িয়ালারা ভাগ করে নিয়ে পাললে
ভাল হত। বাড়ি ওয়ালাদের কত কত খাবার
নষ্ঠ হয় তাতে দুচারটা কুত্তা পালতে সমস্যা
থাকার কথা না। আসলে সমস্যাটা দেশে
নব্বই ভাগ মুসলিম দেশ বলে। কত্তার গায়ের
সাথে লাগলে নামাজ হয়না ঘরে কুত্তা রাখা
নাপাক। খৃষ্টান দেশে কোনও বেওয়ারিশ কুত্তা
নাই। আমাদের দেশে বেওয়ারীশ কুত্তা আর
স্টেশন ফুটপাতের শিশুরা প্রায় একই হালে
বসবাস রাস্তায়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি যে কুকুর নিয়ে লিখলেন সেই কুকুরের বাইরেও আরো অসংখ্য কুকুর আছে। তাদের থেকে সাবধান হওয়ার জন্য আমাদের সাইন বোর্ড দরকার।
কুকুরের বিস্কুট খেতে কেমন? এক পিস আমার জন্য নিয়ে এলেন না কেন, খেয়ে দেখতাম।
মালয়েশিয়াতে বেড়ালগণ আমাদের দেশের বেড়ালের মতো ঘরের কাটা কোটা খায়না। এব্যাপারে পোস্ট দিব ভাবছি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কোন কুকুরের কথা বলছেন? সরকারী কুকুরদের কথা?
স্বাদ এর কথা ভুলে গেছি। অনেক আগে খেয়েছিলাম তো।
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪০
রুরু বলেছেন: আমি কুকুর ঘৃণা করি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: কুকুরকে ঘৃণা না করে যারা কুকুরের মতো আচরন করে তাদের ঘৃণা করুন।
১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬
আটলান্টিক বলেছেন: বিশাল পোষ্ট করেছেন রাজিব ভাই।হুমায়ুন আহমেদ খুব কুকুর পছন্দ করতেন।হিমুর অনেক বইয়ে তার কুকুর প্রীতির কথা বলা হয়েছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী তা আছে।
হুমায়ূন আহমেদের 'হিমু' বইতে কুকুরের কথা আছে। যে কুকুর (টুটি ফুটি) হুমিকে কামড়ে প্রায় মেরে ফেলেছিল।
১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ৩ নাম্বারে চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্য পড়ে একচোট হেসে নিলাম। প্রতি উত্তরে আপনার সাথে সিনিয়রের ব্যবহারে কষ্ট লাগলো।
পোস্টটা পড়ে "ধন্যবাদ" নামে একটা কবিতার কথা মনে পড়লো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব ওটা দুষ্টমি করেছেন।
২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৭
ফ্রিটক বলেছেন: জীব এ দয়া দেখানো ঠিক আছে কিন্তু এতো টাকা নষ্ট করে কুকুর পোষা বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়। ধন্যবাদ কবিতায় কুকুরের জন্মদিনে মানুষকে দাওয়াত করা হইছিল,যা ইন্টার এর বই এ আছে। আমার মনে হয় যারা এই বিদেশি কুকুর পোষে এরা এই কবিতাটি পড়ে নি। এরা মুর্খ বা গোড়া ছাড়া কিছু নয়।ভাল লাগল আপনার লেখা
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
টোনাল্ড ড্রাম্প বলেছেন: আমরা কিছুদিন যাবৎ দেশিও সুশিক্ষিত কুকুরের লম্ফ-ঝম্ফ লক্ষ্য করিতেছি যাহারা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশ এবং জাতিকে কুকুরীও সুলভ নেতৃত্ব প্রদান করিবে
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: তা যেন না হয়।
২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: "কুকুর হইতে সাবধান" ইহা জীবন্ত এক দেশি শ্লোগান!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কুকুর নিয়ে এক সপ্তাহ আগে আমিও একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম, আশাকরি ভাললাগবে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/tareq328/30225725#comments
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০০
রাজীব নুর বলেছেন: পড়েছি।
সুন্দর লিখেছেন।
২৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: মনুষের অতি কুকুর পিরীতির দরুন অদূর ভবিষ্যতে হয়তোবা কুকুর ফ্যামেলি মেম্বারের মর্যাদা পাবে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: অলরেডি অনেক পরিবারে কুকুর মেম্বারের মর্যাদা পেয়েছে।
২৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমাদের দেশি জিনিষে আভিজাত্যের অভাব!!!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০২
রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিকই বলেছেন।
২৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সৌম্য বলেছেন: বাংলাদেশের সরাইল হাউন্ড একমাত্র দেশী প্রজাতীর হাউন্ড ডগ। খুবই বিখ্যাত। বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীর কুকুর প্রীতি ছিল। শুনেছি উনি ১০/১২টা কুকুর পালতেন, কিন্তু উনি বলতেন, সরাইল হাউন্ডের চেয়ে ভালো হাউন্ড উনি কখনো পাননি।
ইদানিং আর জেনুইন সরাইল হাউন্ড পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এমনকি সরাইলে যেসব হাউন্ড আছে, ওগুলো দেশী কুকুরদের সাথে ব্রীড করে করে নতুন কুকুর হয়েছে। অরিজিনাল সরাইল হাউন্ডের গায়ে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ থাকে, যেটা এখন একদমই রেয়ার। একবার ডেইলি স্টারে দেখেছিলাম, গুলশানে এক ভদ্রলোক সরাইল হাউন্ডের প্রজাতি রক্ষায় নেমেছিলাম, আলাদা করে জেনুইন সরাইল হাউন্ড নিয়ে ব্রীড করাতেন। এখন কি অবস্থা সেই প্রজেক্টের কে জানে?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
ধন্যবাদ।
২৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮
বিজন রয় বলেছেন: এতদিন পর ব্লগার হওয়ার চেষ্টা করছেন!!
ভাল।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাইয়া ওটা Doverman হবে.
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল করেছি, আপনি শুধরে দিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
মানুষ ভুল করেই শিখে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
শামচুল হক বলেছেন: অনেক আগে দেখেছিলাম কুকুরের বেতন ১৫হাজার মানুষ গার্ডের বেতন ৫ হাজার।