নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিন্দিত নগরবাসী

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৬



আজকের সকালের ঘটনাটা দিয়েই লেখাটা শুরু করি।
সকাল আট টায় বাসা থেকে বের হই। আজ বাসায় নাস্তা করিনি। সুরভি সকালে নুডুলস রান্না করেছে। কেন জানি নুডুলস খেতে ইচ্ছা করেনি। বেচারা খুব মন খারাপ করেছে। অসহায় মানুষের মতো বাসের জন্য আধা ঘন্টা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারলাম না। শেষে হাঁটা শুরু করলাম। অনেকক্ষন পরপর দুই একটা বাস এলেও এমন ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তাদের সাথে আমি পেরে উঠি না। আমার মতো অসংখ্য মানুষের প্রতিদিনকার রুটিন এটা। শুক্রবার, শনিবার নেই- আল্লাহর ত্রিশ দিন'ই একই অবস্থা। অথচ সরকার বলছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। তবে আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

সকাল সাড়ে এগারোটায় মৌচাক মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, অফিসের কাজে নতুন বাজার যাবো। বাসে উঠতে পারছি না। ভয়াবহ অবস্থা। যা-ও দুই একটা বাস আসছে- সেগুলো আবার দরজা লাগানো। হেলপার মাথা বের করে বলছে- সিট নাই, সিট নাই। ইচ্ছা করছে হেলপারকে টেনে নামিয়ে কিছুক্ষন পিটাই। চারদিকে মানূষের ব্যস্ততা। এমন সময় এক মেয়ের চিৎকার শুনতে পেলাম। কে বা কারা তার মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। ফ্লাইওভার ব্রীজের নিচে চারজন পুলিশ বসা। তাদের কানে হেডফোন। হয়তো তারা তাদের স্মার্ট ফোনে গান শুনছে, ফেসবুক চালাচ্ছে। আমি দেখলাম ১৬/১৭ বছরের এক ছেলে দৌড়াচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে সে কোথায় যেন উদাও হয়ে গেল। এদিকে বেশ কিছু জনতা চিৎকার করে বলল- ধর ধর ধর....। পুলিশ তখনও তাদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত।

মৌচাক মার্কেটের সামনে এই ঘটনা নতুন না। প্রতিদিন এই ঘটানা ঘটছে। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা এবং রাতে প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটছে। একই ছেলেপেলে প্রতিদিন এই কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। বলার কেউ নেই। প্রতিদিনই পুলিশ আয়েশি ভঙ্গিতে ব্রীজের নিচে বসে থাকে, মোবাইল নিয়ে তারা ভীষন ব্যস্ত। প্রতিদিনই কারো না কারো- মোবাইল, গলার চেন, কানের দুল খোয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানূষই তো দরিদ্র। যাদের জিনিসপত্র খোয়া যায়, তারা বুঝে কেমন লাগে। আমরা দেখলে বা শুনলে দুই একবার হা হুতাশ করি। ব্যস এই পর্যন্ত'ই। ঘটনা কিন্তু থেমে নেই। প্রতিদিনই ঘটছে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
মৌচাক এলাকায়, খুব মন দিয়ে আপনি কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলেই বুঝতে পারবেন- চার পাচ জনের একটা দল নিয়মিত এই কাজ করছে। প্রথমে দূর থেকে ফলো করে, তারপর মোবাইল বা গলার চেন অথবা কানের দুল চিল পাখির মতো ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। যদি দুই একজন জনতার কাছে ধরাও পড়ে, তাতেও কোনো লাভ নেই। ওদের হাত অনেক লম্বা। মুহূর্তের মধ্যে ওদের দলের লোক এসে ওকে বাঁচিয়ে নিয়ে যাবে। কারন এইসব মোবাইল, সোনার চেন, মেয়েদের হাত ব্যাগ ইত্যাদি ছিনিয়ে নেওয়া জিনিসপত্রের ভাগ অনেকের পকেটে যায়।

শুধু মৌচাক না, ফার্মগেট, গুলিস্তান, সদরঘাট, মহাখালি, কমলাপুর, সায়দাবাদ ইত্যাদি এলাকায় প্রতিদিন, দিনের পর দিন একই ঘটনা অহরহ ঘটছে। আর সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ছিনতাই তো চলছেই। যুগযুগ ধরে চলছে। তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরের লোক নয়। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরবে না। প্রতিদিনের বখরা যথা সময়ে স্থানীয় থানায়, পাতি নেতাদের কাছে, বড় ভাইদের কাছে চলে যায়। কোন এলাকায় কারা চুরী ছিনতাই করে অথবা কারা লোক দিয়ে ছুরী ছিনতাই করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সব জানে। কিন্তু তারা মুখ খুলবে না। মুখ খুললে তারা অই এলাকায় আর ব্যবসা করতে পারবে না। পদ্মা সেতু আর মেট্রোরেল করলেই দেশ এগিয়ে যাবে? ২০৪১ সালে তো চুরী ছিনতাই আরও বাড়বে। সরকার এসব ব্যাপারে নজর দেয় না কেন?

ধরুন, আপনি ফার্মগেটের জ্যামে আছে। গাড়ির জানালা খোলা, যে কোনো মুহূর্তে আপনার মোবাইল, ল্যাপটপের ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে যেতে পারে। আপনি এক ঘন্টা ফার্মগেট দাঁড়িয়ে থাকলে নিজের চোখেই সব দেখতে পাবেন। হাতে মোবাইল, রাস্তা পার হচ্ছেন কেউ একজন এসে আপনাকে ধাক্কা দিবে এবং দেখবেন আপনার হাতে মোবাইল নেই। ওদের'ই চার পাঁচ জন লোক আপনাকে ঘিরে থাকবে। দৌড় দিয়ে তাকে ধরতেও পারবেন না। আপনার পথ পথচারী সেজে আটকে দিবে। যদি পুলিশ মন থেকে চায়, ঢাকা শহরের সব চোর ছিনতাইকারী ধরবে। তবে এটা তাদের জন্য কোনো ব্যাপারই না। সরকার বড় বড় কাজ নিয়ে ব্যস্ত। প্রতিদিন সাধারন খেটে খাওয়া মানূষদের যে কত কষ্ট, কত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়- তা সরকার জানে না। জানার চেষ্টাও করে না। শুধু তাদের আছে চ্যাটাং চ্যাটাং কথা। তাদের তো সকালে দৌড়ে দৌড়ে বাসে উঠতে হয় না, লম্বা সময় জ্যামে বসে থাকতে হয় না, হাসপাতালে দালালের ক্ষপ্পড়ে পড়তে হয় না, নদী ভাঙনের স্বীকার হতে হয় না, ত্রান নেওয়ার জন্য তুফানের মতো ছুটতে হয় না, বাজারে গিয়ে বড় মাছের দিকে তাকিয়ে ছোট মাছ কিনতে হয় না। সামান্য চেকাপের জন্য পঞ্চাশ জনের দল নিয়ে যায় সিঙ্গাপুর।

বিশ্বাস করুন, গত দশ বছরেও কিন্তু সরকার সরকারি হাসপাতাল থেকে দালাল দূর করতে পারেনি। হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তারের চেয়ে একজন দালালের ক্ষমতা বেশি। যে কোনো সরকারি হাসপাতালে আপনাকে পায়ে পায়ে টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে সিট তো পাবেন'ই না। এমনকি অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে রাখার আগে আপনাকে টাকা দিতে হবে। বিশ্বাস করুন, যত বাজেট'ই থাকুক, নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য- তাতে কোনো লাভ নেই। বাজেট থাকবে, বরাদ্দও হবে। কিন্তু কাজ হবে না। ফলাফল নদী ভাঙ্গন। প্রতিবছর একই ঘটনা। এদিকে, খাদ্যমন্ত্রী যতই কঠোর হুশিয়ারি দেখাক- ফলাফল শূন্য। খাদ্যে ভেজাল থাকবেই। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বেই। আপনি কি জানেন সারা বাংলাদেশে অসংখ্যা পরিবার বছরে একবারও এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারে না। তারা বলে গরুর মাংস খাই বছরে একবার- শুধু কোরবানীর ঈদে। আর আমাদের দেশে এমন মন্ত্রীও আছে বিদেশ গেলে সাথে করে বাবুর্চিও নিয়ে যায়। এই বাবুর্চির রান্না ছাড়া তার চলেই না।

নানান সমস্যার জর্জরিত নগরবাসী। বছরের পর বছর ধরে। দেখার কেউ নেই। বলার কেউ নেই। আর এদিকে 'দেশ উন্নয়নের মহাসড়'কে চলে গেল। নগরবাসী বুঝতেই পারছে না। তারা বলছে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে- তাহলে এখনও কেন মানুষ রাস্তায়-রাস্তায় ঘুমায়? কেন লক্ষ লক্ষ যুবক বেকার? কেন লক্ষ লক্ষ মানুষ পেট ভরে তিনবেলা খেতে পায় না।
গুলিস্তান এলাকায় ছয় মাসের জন্য চার হাত ফুটপাত বিক্রি হয় দুই লক্ষ টাকায়। ঢাকার শহরের বিভিন্ন ফুটপাত থেকে প্রতিদিন কত টাকা চাদা আদায় হয়- আপনি শুনলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়বেন। এবং এই টাকা কারা-কারা পায় শুনলে হয়তো বিশ্বাসই করবেন না। তবে সরকার যখন বলেছে, ''দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে''। এর উপরে আর কোনো কথাই নেই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল আরও কত কি। উন্নয়নের কি আর শেষ আছে!

তবে, আমি বলি- ঢাকা শহরের মানূষের কষ্টের শেষ নেই। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সীমাহীন কষ্ট।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩১

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: প্রতিটি মধ্যবিত্তের জীবনের গল্প

এনিওয়ে, নতুন বাজার আমিও নামি, আর আমিও বাড্ডা থেকে একই ভোগান্তির শিকার হই

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: পরিত্রান নাই।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ঢাকা একটি আবর্জনায় পরিনত হচ্ছে দিনকে দিন--


পোষ্ট ভাল লাগলো
প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই আমি এই দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাই।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০০

সায়েদুল ইসলাম এর বাংলা ব্‌লগ বলেছেন: চেয়ারম্যান বাড়ী ,বনানী এলাকায় একদিন আমার চোখের সামনে এরকম ঘটনা ঘটেছে। আমার পাশের সিটের এক ভাইয়ের স্যামস্যাং ফোন জানালা দিয়ে নিয়ে দৌড় দিয়েছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এসব বন্ধ হওয়া দরকার

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হয় সরকার চায় না এসব বন্ধ হোক।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশ ক্যানসারে ভুগছে, ঢাকা হলো টিউমার

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সমাধান কি?

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল। এদেশের অবস্থা দেখে বলার ভাষা হারিয়ে গেছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার দম হয়ে আসে।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: মানুষ কি আর সাধে বাইরের দেশে যেতে চায়! শয়তান সরকার।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সমাধান নাই?
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি করবে?

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: পুরানো লিখা.......আপনার চিন্তা শক্তি কমে যাচ্ছে

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: একটুও পুরানো লেখা না।
গতকাল রাতে এক বসায় লিখেছি।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি আপনার কৃতজ্ঞ ভাই, একদম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। এমন বললে অনেকে আবার দোষারোপ করে বলে যে সরকারের বদনাম করছে!! তাদের প্রতি আমার ঘৃণা ছাড়া কিছুই বলবার থাকে না, কারণ, আপনার মতো আমিও খুব দুর্বল প্রকৃতির মানুষ, কারো সাথে গায়ের জোর খাটাতে যাই না কখনো। সবাই যদি কেবল সরকারের গুণাগুণই দেখি তাহলে দেশের যে বারোটা থেকে আঠারোটা বেজে যাচ্ছে তার হিসাব রাখার কেউ নেই'ই।

সরকার দেশের কষ্টার্জিত টাকা বাজেট পাশ করে প্রতিটি অঞ্চলে মুষ্টিমেয় কিছু চাটুকারের পেট ভরাচ্ছে, যারা কিনা দেশের প্রতি দেশে মানুষের প্রতি কোন খেয়ালই রাখেন না নিজের স্বার্থ ছাড়া!! আমাদের দেশ থেকে সম্পদের যথাযথ হিসাব ও দুর্নীতি দমন করতে পারলে অারো পঁচিশ বছর আগেই বাংলা সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হতো এতে কোন সন্দেহ নাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সত্য কিছু সমস্যা তুলে ধরার জন্য।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: যারা আজ উন্নতি করছে না। তাদের কি বিবেক নেই?

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিশেষজ্ঞরা যত বলছেন ঢাকামুখীতা কমাতে হবে, সরকার ও প্রশাসন আরো প্রবল বেগে ঢাকাতে মানুষ ঢোকানোর ব্যবস্থা করছে...

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বড় বড় পদ গুলোতে অযোগ্য লোক বএ আছে, তাই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

সুমন্ত হাসনাইন বলেছেন: এরকম ঘটনা চট্টগ্রামে প্রকট আকার ধারন করেছে।আপনি ভিড় ঠেলে বাসে উঠবেন,দেখবেন আপনার মোবাইল লাপাত্তা না হয় মানিব্যাগ।এখন পথেঘাটে,বাসে পকেটের দিকে ধ্যান রেখে চলতে হয়।ধ্যান ভেঙেছে ত মোবাইল গেছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থায় দেশের মানুষ আছে।

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমার এক লেখায় আমি দেখিয়েছিলাম- এই টাকা কতদূরে যায়। আপনি আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মন্তব্য করে। আজ কিন্তু আপনিই নিজেই বললেন এই টাকা যারা পায় তাদের নাম শুনলে প্রথমে বিশ্বাস করা খুবই কষ্টকর। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ঠিক। তখন আমিই ভুল ছিলাম।

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব নুন্দর করে সমস্যাটি তুলে ধরেছেন । তবে এ ধরনের সমস্যাটি সাম্প্রতিক কালে গজিয়ে উঠা কোন সমস্যা নয় । এটা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে । সেই ১৯৭২ , ৭৪ ৭৫, ৮০ , ৮৬ , ৯১, ৯৬ , ২০০১, ২০০৬ , ২০০৮ , ২০১৩, ২০১৮ সবসময়ই ঘটতে দেখা গেছে । সরকার কিংবা ক্ষমতার পালা বদলের সাথে ঘটনার বিশেষ কোন হেরফের হয় নাই । ক্ষমতার পালা বদলে এ সমস্যার সমাধান হলে তো বলাই যেত যে, কোন এক কালে দেশ একেবারে শান্ত শিষ্ট রাম রাজ্য ছিল । অনেকেই তো অনেক কথা বলেছে , কেও বলেছীর দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে , আবার কেও বলছে দেশ উন্নয়নের মহকসড়কে রয়েছে । কিন্তু দেশ যে তিমিরে সেই তিমিরেই আছে এটা সমসাময়িক কালের ভুক্ত ভোগী সকলেই একবাক্যে বলবে । তাই প্রয়োজন , তৃনমুলে খুব বড় মাপের একটি সামাজিক সচেতনতা ও পরিবর্তন। উপর তলায় কোন দিনই সচেতনতা ও পরিবর্তন আসবেনা , কারণ তারা ভুক্তভোগী নন , তাদের সকলেরই বলতে গেলে এক পা দেশে , আর এক পা বিদেশে , রাজনীতির উচা পদ থেকে শুরু করে পাতি পদ পর্যন্ত সকলের্‌ই । গুজব রয়েছে তৃণ মুল পর্যায়ের পাতি নেতারাও নাকি বেশ বিত্তশালি , একই পরিবারের লোকজন ভিন্ন ভিন্ন দলে ভিরে নীজকে নিরাপদ রেখে যার যার কর্ম করে যাচ্ছে সমান তালে , ভুক্তভোগী হচ্ছে সমাজের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন। সকলেই জানে অন্যায় গুলি কি, আর সেগুলি কোন পর্যায়ে কিভাবে ডালাপালা বিস্তার করে সমাজকে দুর্বিসহ অবস্থার মাঝে নিয়ে যাচ্ছে । সমাজের দুর্গতির জন্য চিহ্নিত মানুষগুলিকে সামাজিকভাবে বয়কট কিংবা তাদের প্রতি প্রকাশ্যে ঘৃনা প্রকাশ করাটা শুরু করতে পারলে অবস্থার কিছুটা অবসান হতে পারে বলে মনে হয় ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর এবং সত্য মন্তব্য করেছেন।

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: নেতারা জনগনকে ভয় পায় না। জনগনকে তাদের কোন কাজে লাগে না। যেদিন নেতাদের জনগন প্রয়োজন হবে, সেদিন তারা জনগনের জন্য কাজ করবে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সেই দিন আর আসবে না।

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি দেশের মেহেনতি মানুষদের প্রতিচ্ছবি, তাদের রিপ্রেজেন্ট করছেন ! আপনার পোস্ট পড়লে দেশের অবস্থা আন্দাজ করা যায়! (পেপার পত্রিকা পড়লে কন ফিউজড হতে হয় মাঝে মাঝে, অনেক সময় মনে হয় দেশ সিংগাপুর হয়ে গেছে! )

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আসলেই কাছের মানুষের মতো মন্তব্য করেছেন।

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমাদের দেশে ধনী আরও ধনী হচ্ছে, গরিব আরও গরিব হচ্ছে।
উচ্চবিত্ত ই মন্ত্রীদের মুল্যবোধ নেই, হবেও না।এরা মধ্যবিত্ত ও গরিবের দুঃখ বুঝবে না।

বেশ সুন্দর লিখেছেন। আপনি লিখেন মন থেকেই।
এসব দেখযে দেখতে আর ভালো লাগে না ভাই বুঝলেন, অনেক লিখেছি এই বিষয় নিয়ে এখন আর লিখতে ভালো লাগে না।
দেশ ও দেশের মানুষ সচেতন হচ্ছে না , কোনোরূপ পরিবর্তন আসছে না।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

যবড়জং বলেছেন: দৃর্ঘ্যশ্বাস ফেলা ছাড়া উপায় দেখছি না :(

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস !!!!!!!!!!!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আর কত দীর্ঘশ্বাস !!!!!!!!!!!!

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: শুধু কি ঢাকায় কষ্ট?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: না ঢাকার বাইরে একই অবস্থা।

১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: রাজীব ভাই আমি গনতন্ত্রে বিশ্বাসী নই (যদিও ssc দিচ্ছি =p~ )। একজন সময়ের যাত্রী হিসেবে অনুপ্রাণিত হলাম...গনতন্ত্র বাংলাদেশের সত্যিকারের সাফল্যের অন্তরায়।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ওই পরীক্ষা তো শেষ হয় নাই, ব্লগে কি??
যাও গিয়ে পড়তে বসো।

১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ২০ ২১ দুই দিন বন্ধ। B-)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: উফ--- না না।
আরে ভাই। এখন প্রতিটা মুহূর্ত মূল্যবান।
ভাই মন দিয়ে পড়ো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.