নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীলা ও শাহেদ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩২



''তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,
পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,
মানুষ র'বে না আর, র'বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ
সেই মুখ আর আমি র'বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।''

সতের বছর পর নীলাকে দেখলাম! বুকের মধ্যে কেমন করে উঠলো। মাথায় যেন আকাশটা ভেঙ্গে পড়লো। নীলা! সেই নীলা! আমার নীলা! নীলা আর আমি একই স্কুলে পড়তাম। আমি আর্টস আর নীলা সাইন্স। পাশাপাশি আমাদের ক্লাশ রুম ছিল। প্রতিদিন আমাদের দেখা হতো। তখন আমি প্রেম ভালোবাসা বুঝতাম না। কিন্তু নীলাকে যে আমার ভীষন ভালো লাগতো তা বুঝতাম। নীলাও আমাকে খুব পছন্দ করতো (ভালোবাসতো শব্দটা লিখলাম না)। সেই সময় অল্প বয়স ছিল, তাই প্রেম ভালোবাসা শব্দ গুলো বলতে খুব লজ্জা লাগতো। সেই অল্প বয়সেই একদিন নীলাকে না দেখলে অস্থির লাগতো। এটা কি? এটাই কি ভালোবাসা। জীবনের প্রথম প্রেম-ভালোবাসা! সেই সময় আমি দেখতে দারুন স্মার্ট ছিলাম। সব সময় পরিপাটি হয়ে থাকতাম। মনে মনে নিজেকে বাংলা সিনেমার নায়ক ভাবতাম। তখনও পৃথিবীর কোনো পাপ, মলিনতা আমাকে স্পর্শ করেনি। একটুকরো সাদা মেঘের মতো স্বছ আর পবিত্র ছিলাম। নীলা'ই প্রথম আমার স্বচ্ছতা আর পবিত্রতা দেখতে পেয়েছিল মনে হয়।

সেই সময় মোবাইল ছিল না, ইন্টারনেট ছিল না। নীলা'রা আমাদের পাশের এলাকাতেই থাকতো। নীলার বাবা ছিল পুলিশ। আমি নীলাদের বাসায় সব মিলিয়ে দু-তিনবার গিয়েছি। কিন্তু নীলাদের বাড়ির সামনে দিয়ে হাজার লক্ষ বার হেঁটে গিয়েছি। যদি একবার নীলাকে দেখতে পাই! জীবন যেন ধন্য হয়ে যায়। আমরা রোজ একসাথে দু'জন নানান বিষয় নিয়ে হেঁটে হেঁটে, গল্প করতে-করতে স্কুলে যেতাম। স্কুলে যেতে সময় লাগতো পঁচিশ মিনিট। এই পঁচিশ মিনিট আমাকে অনেক শক্তি দিত। পুকুর পাড় পর্যন্ত গিয়ে দু'জন দু'দিকে যেতাম। যদি কেউ দেখে ফেলে আমাদের। এমনিতেই অনেকে আমাদের দিকে সন্দেহের দিকে তাকায়। নীলাদের গ্রামের বাড়ি সম্ভবত যশোর। ওদের ফ্যামিলিটা বেশ ভালো। বেশ আধুনিক। নীলার বড় বোনটা কেন জানি আমাকে 'নিমাই' বলে ডাকতো। মনে হয় একবার তাকে নিম পাতা যোগাড় করে দিয়েছিলাম।

প্রথম তিন মাস আমি বুঝতেই পারিনি নীলা আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে। একদিন নীলা আর আমাকে লুকিয়ে না দেখে- সামনে এসে দাঁড়ালো, বলল- গাধা কোথাকার! আমি এক আকাশ বিস্ময় নিয়ে নীলার মুখের দিকে তাকালাম। মেয়েটার কি সাহস স্কুলের মধ্যে সবার সামনে এসে আমার সাথে কথা বলছে। অনেক গুলো চকলেট আর মিমি-টিমি আমার হাতে দিয়ে দিলো। আর একটা চিরকুট আমার শার্টের পকেটে রেখে দিল। স্কুল ছুটির পর দ্রুত বাসায় ফিরে চুপিচুপি পকেট থেকে চিরকুটটা বের করলাম। তাতে মাত্র একটা লাইন লেখা। সেই লাইনটি আমার আজও মনে আছে। ''উত্তর পাড়া যাবা না, ভাজা পোড়া খাবা, আমি যে কবিরাজ- কাওরে কবা না।'' নীলার হাতের লেখা বেশ সুন্দর। নীলার সাথে সামনাসামনি দেখা হলে কি বলব- নীলা তোমাকে আমি অনেক খুঁজেছি। হঠাত তোমরা বাসা ছেড়ে দিয়ে কোথায় যেন চলে গেলে। তুমিও একবারও আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করলে না। প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছি তোমার এই আচরনে। দীর্ঘদিন আমি কেমন পাগল পাগল হয়ে গিয়েছিলাম, তা জানো?

সেই চিরকুট সারা রাত পড়লাম। মানে বুঝলাম না। সেই সময় আমি একদম সহজ সরল ছিলাম। হাবা-গোবা টাইপ। যেভাবেই হোক, এই চিরকুটের অর্থ আমাকে বের করতেই হবে। আমার এক কাজিনের কাছে গেলাম। লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে বললাম আপু এই কথাটার মানে কি? ''উত্তর পাড়া যাবা না, ভাজা পোড়া খাবা, আমি যে কবিরাজ- কাওরে কবা না।'' কাজিন বলল- তুমি যে প্রেম করো, এই কথা কাওকে বলবা না। খুব দ্রুত নীলার সাথে আমার খুব ভাব হয়ে গেল। সে সময় ব্যাপারটা অনেকেই ভালো চোখে দেখেনি। নীলা প্রায়ই সকালে আমার বাসায় আসতো। এসে আমার ঘুম ভাঙ্গাতো। ধমকের সুরে বলতো- এত ঘুম কিসের? লাফ দিয়ে উঠো। পড়তে বসো। কয়দিন পর পরীক্ষা। আমার সকাল হতো নীলার মায়াবি মূখখানা দেখে। এমনও হয়েছে নীলা কোচিং এ না গিয়ে আমার বাসায় চলে আসতো। আমরা দু'জন মিলে খুব গল্প করতাম। কি কি কথা হতো সেইসব আজ আর মনে নেই। নীলার সাথে দেখা হলে জিজ্ঞেস করবো, আমরা কোন বিষয় নিয়ে এত গল্প করতাম।

আর কয়েকদিন পর আমাদের মেট্রিক পরীক্ষা। স্কুলে ফেয়ারওয়েলের দিন নীলা একটা লাল শাড়ি পরে এলো। আমি পড়েছিলাম সাদা পাঞ্জাবী। অদ্ভুত সুন্দর লাগছিল নীলাকে। আমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম। কষ্ট বুক ফেটে যাচ্ছিল। আজই নীলার সাথে শেষ দেখা। স্কুলে আমাদের আর আসা হবে না। নীলা কোন কলেজে ভরতি হবে কে জানে! মনে মনে ভাবলাম নীলা যে কলেজে ভরতি হবে আমিও সেই কলেজে ভরতি হবো। নীলাকে ছাড়া আমার চলবে না। বাসায় ফিরলাম মন খারাপ করে। যতই মন খারাপ থাক, পড়তে তো হবেই। কয়েকদিন পর পরীক্ষা। কিন্তু বারবার বইয়ের পাতায় নীলার ছবি ভেসে উঠে। টেস্ট পরীক্ষায় আমি সাড়ে সাত শো নম্বর পেয়েছি। তার মানে বোর্ড পরীক্ষায় কম হলেও সাড়ে আটশো নম্বর তো পাবোই। লেখা পড়ায় আমি বেশ ভালো ছিলাম। হাতের লেখাও সুন্দর ছিল বেশ। আমার সিট পড়েছিল মতিঝিল স্কুলে। একসময় পরীক্ষা শেষ হলো। কিন্তু নীলার সাথে আর দেখা হয় না। নীলা আর আমার বাসায় আসে না। এদিকে মাস শেষ হতে চলল। বাধ্য হয়ে আমি নিজেই নীলার বাসায় গেলাম। বাসায় গিয়ে দেখি কেউ নেই। তালা মারা। আমার বুকটা ভেঙ্গে যেন চুরমার হয়ে গেল।

সেই সতের বছর আগের আবেগ আজ আমি লিখে বুঝাতে পারব না। সম্ভব না। হয়তো আপনারা হাসছেন এবং বিরক্তও লাগছে আপনাদের। একদিন শবে- বরাতের রাতে ঠিক দুইটায় আমি নীলার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কথা ছিল নীলাও ঠিক দু'টায় বেলকনিতে এসে দাঁড়াবে। আমাদের দেখা হবে। শীতের রাত। আমি সারারাত নীলার বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করলাম। কিন্তু দেখা হলো না। পরের দিন আমাদের দেখা হলো। দেখি নীলার প্রচন্ড ঠান্ডা লেগেছে। গলায় মাফলার। মুখ দিয়ে শব্দই বের হচ্ছে না। শেষে-মেষ জানতে পারলাম নীলা আমার জন্য রাত একটা থেকেই অপেক্ষা করতে-করতে বেলকনিতে কাঁথা বালিশ ছাড়া ঘুমিয়ে পড়েছিল। আহা, সেই সব দিন গুলো যা গিয়েছে না! আমার স্ত্রী নীলার কথা কিছুই জানে না। তাকে আমি কিছুই বলিনি। যদিও বললে কোনো সমস্যা নেই। আমার স্ত্রী খুব ভালো মেয়ে। সে আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে। আমিও তাকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু নীলাকে দেখার পর সব কিছু কেমন জট পাকিয়ে যাচ্ছে। পুরোনো সব সৃতি মনে পড়ছে। ইচ্ছা করছে দৌড়ে নীলার কাছে যাই। অনেক গল্প করি। কেন সে আমার সাথে আর যোগাযোগ করেনি। সে কি আমাকে একটুও ভালোবাসে নি? সব কিছুই মিথ্যা অভিনয় ছিল?

নীলা আজ দু সন্তানের মা। আমার মোবাইলে নীলার দুই বাচ্চার ছবি আছে। নীলারও ছবি আছে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমি নীলার ছবি দেখি। আর সেই সতের বছর আগে ফিরে যাই। কয়েকদিন আগে স্কুলের সাইন্স, আর্টস আর কমার্স এর দুই হাজার সালের ব্যাচের সব ছেলে মেয়েরা একটা গ্রুপ ম্যাসেজ খুলে। সেখানে মোট ৭২ জন ছেলে মেয়ে আছে। কে আছে না আছে, সেটা আমার দেখার বিষয় না। কিন্তু সেই গ্রুপে নীলা আছে। বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রুপে খুব চ্যাটিং হচ্ছে। আমি নিয়মিত নটিফিকেশন পাচ্ছি। কিন্তু গ্রুপে আমি একবারও যাইনি। যাবোও না। নিয়মিত নীলা সহ সকলের কথা বার্তা দেখছি। পুরোনো সব বন্ধু একসাথে হয়েছে। তারা তাদের ছবি চালাচালি করছে। সেই ছবি গুলো এসে আমার মোবাইলের গ্যালারিতে জমা হচ্ছে। আমি যত্ন করে নীলার ছবি রেখে দিয়েছি। মন চাইলেই বের করে দেখি। মাকে আজ নীলার ছবি দেখালাম। মা দেখেই চিনে ফেলল। নীলার বিষয়ে নানান প্রশ্ন করলো। আমি যতটুকু জানি সব বললাম। আমার স্ত্রীকেও ছবিটা দেখালাম। আর বললাম, এই মেয়েটার সাথে আমার বিয়ে হবার কথা ছিল।

গত পরশু রাতে ঘুমাতে যাবো। কি মনে করে মোবাইলটা হাতে নিয়েছি হঠাত দেখি গ্যালারিতে নীলার বিয়ের একটা ছবি। বুকের মধ্যে ধূম করে উঠলো। নীলা! সেই নীলা! মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। পাশে আমার স্ত্রী গভীর ঘুমে। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো নীলার দিকে তাকিয়ে আছি। একটু একটু করে আমার ভূলে যাওয়া পুরোনো সব কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। একের পর এক ছবি এসে আমার মোবাইলে জমা হচ্ছে। নীলার বাচ্চাদের দেখলাম। নীলার স্বামীকে দেখলাম। আমার চেয়ে কি সুন্দর? মোটেও না। এই যে এখনও নীলার কথা লিখছি- আর ওদিকে নীলা তার বন্ধুদের সাথে সমানে চ্যাট করে যাচ্ছে। নীলার প্রতিটা নটিফিকেশন আমি খুব মন দিয়ে পড়ছি। অন্য কারোরটা পড়ি না। শুধু নীলা। আচ্ছা, নীলা কি সুখে আছে? নীলা সুখে থাক আমি মনে প্রানে চাই। কিন্তু কেন জানি মনে হয় নীলা ভালো নেই। আমি সুখে দুঃখে নীলার পাশে দাঁড়াতে চাই। বন্ধুর মতো। আমি এখনও নীলার ডাকের অপেক্ষায় আছি। নীলা কি আমাকে ডাকবে? নীলা প্লীজ তুমি আমাকে ডাকো। একবার ডাকো। আমাদের মাঝে কি আগের মতো সহজ সরল সুন্দর, স্বচ্ছ-পবিত্র একটা সম্পর্ক থাকতে পারে না?

আচ্ছা, যদি নীলার সাথে আমার বিয়ে হতো? এখন কি নীলা সুখে আছে? নীলা কি এখনও আগের মতোই আছে- খুব হাসি খুশি আর প্রাবন্ত। ছবিতে দেখলাম নীলা একটু মোটা হয়েছে। তার বাচ্চা দু'টা ভারী মিষ্টি। ইচ্ছে করে কোলে নিয়ে কিছুক্ষন আদর করে দেই। আমি কি যাবো নীলার বাসায়? নীলা কি আমার সাথে কথা বলবে? কথা বললে কি কথা বলবে? নীলাকে আমি পুরোপুরি কখনও পাইনি। নীলাকে আমি কখনও চুমু খেয়েছি? মনে হয় না। তবে একবার নীলার হাত ধরেছি কয়েক সেকেন্ডের জন্য। আমরা হাঁটছিলাম হঠাত একটা কাঠের টুকরার সাথে পা লেগে নীলা পড়ে যাচ্ছিল- তখন খোপ করে আমি নীলার হাত ধরে ফেলি। নীলা বেশ লজ্জা পেয়েছিল। নীলার একটা নীল রঙের জামা ছিল। খুব সুন্দর একটা জামা। নীলা জামাটা পড়ে একদিন নীলা আমার বাসায় এসে আমাকে ঘুম থেকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে। সবে মাত্র নীলার ডাকে ঘুম ভেঙ্গেছে আমার। মাথা ঠিকভাবে কাজ করছে না। শুধু মনে হচ্ছে এই পরীটা আকাশ থেকে কিভাবে এলো আমার ঘরে? নীলার মাথা ভরতি ছিল চুল।

নীলাকে আমি বেশ কয়েকটা চিঠি লিখেছিলাম। নীলাও আমাকে চিঠি লিখেছিল। সেইসব চিঠিতে কি কি লেখা ছিল আজ আর মনে নেই। নীলার কি মনে আছে? ক্যাসেট, কার্ড, চকলেট আরও কত কি নীলাকে আমাকে দিয়েছিল। নীলার সব উপহার আমি বিয়ে করার কয়েকদিন আগে ফেলে দেই। হঠাত কেন নীলার সাথে আমার এত দূরত্ব হলো জানি না। মনে হয় কেউ আমার নামে নীলার কাছে কুটুকচালি করেছে। প্রথম দুই বছর আমার খুব কষ্ট হয়েছে। তারপর একসময় নীলাকে পুরোপুরি ভুলে যাই। কখনও কারো কাছ থেকে নীলার খোঁজও নিইনি। রাস্তাঘাটেও এই সতের বছরে একবারও দেখা হয়নি। একই শহরে থাকি তবু একবারও আমাদের দেখা হয়নি। নয় বছর আগে একবার নীলার মতো একটা মেয়েকে দেখেছিলাম বানিজ্যমেলায়। সেটা কি নীলা ছিল?

''সুজাতাকে ভালোবাসতাম আমি —
এখনো কি ভালোবাসি?
সেটা অবসরে ভাববার কথা,
অবসর তবু নেই;
তবু একদিন হেমন্ত এলে অবকাশ পাওয়া যাবে
এখন শেলফে চার্বাক ফ্রয়েড প্লেটো পাভলভ ভাবে
সুজাতাকে আমি ভালোবাসি কি না।''

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



কৈশোরের রংধনু

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই রংধনু কি সস্তা?

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

রসায়ন বলেছেন: সুজাতা , আহ !

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ও বুঝেছি। এতক্ষন তাহলে লিখছিলেন। আপনি যেরকম প্রেমিক মানুষ, বাস্তবেও নীলা টিলা -------।
আমার আবার ওসব লটর-পটর ভালোলাগে না।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: একজন মানূষের আবেগ অন্য জনের কাছে লটর পটর ই লাগে।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৩

মাআইপা বলেছেন: নীলা হলো সেই রত্ন
যা সবার কপালে সয় না
তবে নীলারা ভালই থাকে ...............

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাই নীলা ভালো থাকুক।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

জুন বলেছেন: বেশ আবেগ দিয়ে লিখেছেন কিন্ত পড়তে গিয়ে বার বার থমকে যাচ্ছিলাম , কোনটা আগের ঘটনা কোনটা পরের তা বুঝতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল রাজীব নুর। আপনাদের দুজনার মিলন হলে হয়তো তার প্রতি আপনার এত ভালোলাগা নাও থাকতে পারতো আবার থাকতেও পারতো সেটা অজানাই থাক।
তারপর ও ভালোলাগা রইলো আপনার ও সুরভী ভাবীর জন্য ।
+

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো মন্তব্য করার জন্য।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: শুভ সকাল। আপনি সহনশীল লেখক, তাই একটু মজা করেছিলাম।
আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা ওসব তো মানুষেরই থাকে, রোবটের নয়। আচ্ছা আগামি প্রজন্মের রোবট নাকি বুদ্ধিমান হবে? তখন আমাদের কী হবে? এ নিয়ে সময়করে একটা গল্প লিখবেন।।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই একটা গল্প লিখব।

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল লাগল
বাস্তব না কল্পনা?
আপনার ইদানিংকার লেখা গুলি আমাকে আবাগে ফালাইয়া দেয় ভাই :(
এত আবেগ ক্যারে.........

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আবেগ না থাকলে তো সমস্যা। আবেগের দরকার আছে।

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনারা শুদ্ধ আবেগ নিয়ে ভাবার, চিন্তা করার সময় পেয়েছেন, জানিনা ঘটনাটি সত্য কিনা তবে ভালো লাগলো। আমাদের বাস্তবতায় এই মানুষের মনের সম্পর্কটা দিন দিন এত হালকা হয়ে যাচ্ছে কেন বলুন তো?
সেদিন এক বন্ধু বলছিল, তার নাকি মেয়েদের সাথে কথা বলতে লজ্জা লাগে , কিন্তু সারাদিন chat করতে সমস্যা হয় না।আমাদের বয়সী অনেকে প্রেম ভালোবাসা নিয়ে কিভাবে চিন্তা করে তা জানলে আপনি শিহরিত হবেন, তাই মনে হয় আপনাদের সময়টাই সবচেয়ে ভালো ছিল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট ভাই আমি তো মিথ্যা লিখতে পারি না। কি লাভ মিথ্যা লিখে। এই লেখা নীলাও একদিন পড়বে।

আপনি আপনার বয়সীদের চিন্তা ভাবনা গুলো লিখুন।

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

ওমেরা বলেছেন: ভাল লাগল ধন্যবাদ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.