নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কত বড় নির্বোধ হলে কিছু ধার্মিক বলে, ইহুদি নাসারা'রা কোরআন রিসার্চ করে মোবাইল, কম্পিউটার ইন্টারনেট ইত্যাদি আবিস্কার করেছে।
মানব সভ্যতার মূলে বিজ্ঞানের অবদান যে কত ব্যাপক তা প্রতিদিনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা থেকে লক্ষ করা যায়। বিজ্ঞানের সাধনা যে নিছক নয়, সে সম্পর্কে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন, ‘এক কেজি ভরবিশিষ্ট কোনো পদার্থকে এবং একটি এক পয়সার মুদ্রাকে একই উচ্চতা থেকে একসঙ্গে ছেড়ে দিলে এক কেজি ভরবিশিষ্ট পদার্থটি আগে মাটি স্পর্শ করবে—একজন বিজ্ঞানীর কর্তব্য তা যাচাই করে দেখা।’ এভাবে সত্যতা নির্ণয়ের নির্দেশনা দেয় বিজ্ঞান। যতই দিন যাচ্ছে মানুষের নিরন্তর প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিজ্ঞান আরো সৃষ্টিমুখর হয়ে উঠেছে। আর ওই নির্বোধ ধার্মিকেরা বিজ্ঞানের আবিস্কার প্রতি মুহূর্ত ব্যবহার করবে, সুফল ভোগ করবে কিন্তু উঠতে বসতে তাদের গালাগালি করবে।
ধর্ম ছাড়া আমাদের চলে কিন্তু বিজ্ঞান ছাড়া একটি মুহূর্তও চলে না আমাদের। ধর্ম পালন করতে গেলে তো বিজ্ঞানকে দূরে ঠেলে দিতে হবে। আবার বিজ্ঞানকে আকড়ে ধরলে ধর্ম আলগা হয়ে যায়। আমার নিজের মধ্যেই নানান দ্বিধা সংশয় কাজ করা শুরু করলো। আমি খুজতে শুরু করলাম মুসলিমরা কি কি আবিস্কার করলো মানব জাতির কল্যাণের জন্য এবং তাদের আবিস্কার মানব কল্যাণে কি কি ভূমিকা রাখলো। মুসলিমদের আবিস্কার কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। আবিস্কার নাই তো। থাকলে ঠিকই খুঁজে পেতাম। বিজ্ঞানের হাত ধরে মানব সম্প্রদায় এগিয়ে যাচ্ছে।
# রাইট ভ্রাতৃদ্বয় উড়োজাহাজ আবিস্কার করলেন।
# ভেখ মলার মোটর সাইকেল আবিস্কার করলেন।
# ইগন মিগস্কি হেলিকপ্টার আবিস্কার করলেন।
# অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিস্কার করেন জেড ভ্যানসেন।
# এয়ার কন্ডিশনার আবিস্কার করেন ডব্লিউ এইচ ক্যারিয়ার।
# ক্যামেরা আবিস্কার করেন জর্জ ইস্টম্যান।
# টেলিফোন আবিস্কার করেন আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল।
# ডিনামাইট আবিস্কার করেন আলফ্রেড নোবেল।
# পোলিও টিকা আবিস্কার করেন জোনাস ই স্যাক।
(কই মুসলিমদের আবিস্কার?)
প্রতিদিন প্রতিটি মানুষ সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠে রাতে বিছানায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত অকাতরভাবে বিজ্ঞানের দান গ্রহণ করছে। হুমায়ূন আজাদ বলেছেন, পুরোনো কালের মানুষ যদি দৈবাৎ একটি টেলিভিশনের সামনে এসে পড়তো, তাহলে তাকে দেবতা মনে ক’রে পুজো করতো। আজো সেই পুজো চলতো।
বিয়ে উপলক্ষ্যে বিশাল আয়োজন। পাত্র ও পাত্রীপক্ষের সবাই উপস্থিত। কিন্তু বরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সময় চলে যাচ্ছে দ্রুত। হঠাৎ বরের এক বন্ধুর মনে হলো, তার বন্ধুটি যে পরিমাণে কাজ পাগল, হয়তো বিয়ের কথা দিব্যি ভুলে বসে আছে! নিশ্চয়ই লাইব্রেরিতে বসে কোনো বই ঘাঁটছে, নয়তো ল্যাবরেটরিতে কোনো গবেষণা নিয়ে পড়ে আছে।
বন্ধুর অনুমানই সত্যি হলো। পাত্রকে পাওয়া গেলো ল্যাবরেটরিতে। খুব রাগ হলো বন্ধুর। তিরস্কার করে বললেন, “আজ যে তোর বিয়ে সেটাও কি ভুলে বসে আছিস?” খুব শান্ত স্বরে পাত্র বললেন, “বিয়ের কথা আমি ভুলিনি। কিন্তু হাতের কাজটুকু শেষ না করে কীভাবে বিয়ের আসরে যাই!” এই মহান লোকটির নাম লুই পাস্তুর। এমন আবিস্কারক মুসলিম ইতিহাসে পাওয়া যাবে না। লুই পাস্তুর একজন রসায়নের অধ্যাপক হলেও আমৃত্যু কাজ করেছেন অণুজীব নিয়ে।
মানুষ যদি পরকালের শাস্তির কথা ভেবে নৈতিক হয়, সেই নৈতিকতার মধ্যে মহত্ব কোথায়? যদি বলি- ইসলাম একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম এবং এ ধর্মের মহাগ্রন্থ আল-কুরআনও বিজ্ঞানময়, মানবতার কল্যাণে অবতারিত মহাগ্রন্থ আল-কুরআন বিজ্ঞানের উৎস। তাহলে আর কোনো সমস্যাই নেই। কিন্তু বিবেক তো ভিন্ন কথা বলে। মানবীয় জ্ঞানের উৎস হচ্ছে তিনটি- অভিজ্ঞতা, বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য শক্তি। বিজ্ঞান শূন্যের মধ্যে আবির্ভূত হয়নি। রেষারেষি করেও বিজ্ঞান আবির্ভূত হয়নি। ধর্ম-বিজ্ঞানের সমন্বয় কিংবা সম্প্রীতির কথা বলা হলেও বিজ্ঞান এবং ধর্মের দ্বন্দ্বযুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস কারো অজানা নয়।
ধর্ম ও বিজ্ঞান সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি বিষয়। ধর্ম হলো মানুষের বিশ্বাস, যার পিছনে কোন যুক্তি নেই। পক্ষান্তরে বিজ্ঞান হলো সম্পূর্ণ যুক্তির উপরে চলে। অযৌক্তিক অন্ধ বিশ্বাসের স্থান বিজ্ঞানে নেই। বিজ্ঞানের যতই অগ্রগতি হতে থাকে, ততই মানুষ যুক্তি বাদী হতে থাকে, ধর্মের রাজত্ব কমতে থাকে। বিজ্ঞান কখনই কোন ধর্মীয় কিতাবের বিধি বিধান বা বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে না, বরং বর্তমানে ধর্মকেই বিজ্ঞানের কাছে ধর্ণা দিতে হয় তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য।
এক জন কিভাবে যেন মাছের পেটে ডুকে গেছেন। কিছুতেই বের হতে পারছেন না। তখন তিনি এক সূরা পড়লেন, সাথে সাথে তিনি মাছের নাক দিয়ে বের হয়ে গেলেন। খুব পাওয়ার ফুল সূরা। আরেকজনের কথা বলি, হাত হাতে একটা জাদুর লাঠি আছে, এই লাঠি দিয়ে তিনি দুষ্টলোকদের মারেন। নিজ হাতে লাঠি দিয়ে মারেন না, অটোমেটিক লাঠি দুষ্টলোকদের পিঠে পড়তে থাকে। আরেকজন আছেন, যিনি বনের সমস্ত পশু পাখিদের কথা বুঝতে পারতেন। ধরেই নিলাম তিনি এক অলৌকিক ক্ষমতা বলে, পশু পাখিদের কথা বুঝতে পারেন। আচ্ছা, বনের পশু পাখিদের কথা বুঝার পর দেশ সমাজ বা মানূষের কি উপকারে আসলো? আরেকজন আছেন, তিনি চিৎকার করে সবাইকে বললেন, মহা প্লাবন আসছে। তাড়াতাড়ি আমার নৌকায় উঠো। যারা বিশ্বাস করে নৌকায় উঠলো তারা বেঁচে গেল। যারা উঠলো না তারা মরে গেল।
অনেক বছর আগে বিটিতে রাত আট টার বাংলা সংবাদের পর আলিফ লায়লা দেখাতো। অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড। তখন আমি অনেক ছোট। টিভিতে আলিফ লায়লা দেখে খুব বিনোদন পেতাম।
আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির মৌলিক তত্ত্ব বা সূত্রগুলোরও প্রবক্তা মুসলমানরাই। এক কথায় বিজ্ঞান-প্রযুক্তির জনক মুসলমান বিজ্ঞানীরাই। কিন্তু কুচক্রী ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে আজকের মুসলমানরা দুনিয়ার মোহে ও লোভে আত্মভোলা হয়ে নিজের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে বিমুখ হয়ে আছে। ইসলামের জন্মলাভের পর প্রায় ১০০০ বছর ধরে মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুসলিম বিজ্ঞানীদের অনেক যুগান্তকারী আবিস্কারের পথ ধরেই এসেছে আজকের আধুনিক সভ্যতা।
ধার্মিকেরা নানান কুসংস্কার বিশ্বাস করে। মুসলিম দেশ হিসেবে ধর্মের প্রতি ধার্মিকদের দুর্বলতার পরিধি হিসাব করে বলা যাবে না। ধর্মের নামে গোঁড়ামি আমরা দেখতে পাই। সমাজ জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কুসংস্কার সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকি। ধার্মিকেরা অন্ধ বিশ্বাসকে আশ্রয় করে আবর্তিত কোনো যৌক্তিক বিচার মানে না। এইসব ধার্মিকদের আমি বলতে চাই- তোমরা আধুনিক হও।
অনেক ধার্মিক বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাসে মুসলমানদের অবদান অপরিসীম। কিনতি সে অবদান গুলো খুঁজে পাই না। আসলে ধার্মিকরা এই রকম বলে এক ধরনের শান্তি পায়।
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: একসময় আমিও বিশ্বাস করতাম বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান অপরিসীম। কিন্তু যতই জেনেছি ততই বুঝেছি এগুলি শান্তিনা বাণী।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের সত্যটা জানতে হবে। গ্রহন করতে হবে।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিজ্ঞান হলো মানুষের লব্ধ জ্ঞান, শুধু মাত্র লজিক্যাল ভাবনায়ই নতুন ভাবনার ভিত্তি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু বক ধার্মিকেরা যখন বলে লজিক্যাল ভাবনার মূল ভিত্তি এসেছে কুরআন রিসার্চ করে।
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোন একক জাতির অবদান নেই বিজ্ঞানে। মেধা যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছে সামনে এসেছে। আমার অবাক লাগলো আপনি কীভাবে এই সিলি লেখা লিখলেন? আল কেমি থেকে কেমিস্ট্রি, আল জাবের থেকে এলজ্যাবরা এগুলো আপনার অজানা থাকার কথা নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইবনে সিনার অবদান পশ্চিমা বিজ্ঞানীরাও স্মরণ করে। গণিতে আল খোরাজমির অবদান তুচ্ছ নয়। আমরা আধুনিক যুগে প্রবেশ করেছি পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের দ্বারা এটা সত্য। তবে ভুলে গেলে চলবে না এক সময় ৮০০ বছর স্পেন শাসিত ছিল মুসলিম দের দ্বারা, ৮০০ বছর ভারত শাসিত ছিল মুসলিম মোগল সম্রাটদের দ্বারা। আধুনিক যুগে প্রবেশের আগেই মুসলিমদের প্রভাব খর্ব হতে থাকে। তাছাড়া ব্রিটিশ রাজত্ব শুরু না হলে, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ না হলে কোন মেধা কোথা থেকে আসত সেটা তো ধারণা করা যাচ্ছে না।
অলৌকিক ঘটনা এখন ঘটলে সেটাকে বলবেন, প্যারা নরমাল একটিভিটি বা আদিভৌতিক আর তখন ঘটলে সেটাকে কেচ্ছাকাহিনী বলে উড়িয়ে দেবেন তাতো হয় না। ব্যাখ্যার অতীত ঘটনা আগেও ঘটেছে, এখনও ঘটছে...
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার লেখায় ভুল থাকতে হবে, আমার চিন্তা ভাবনায়ও ভুল হতে পারে। সঠিকটা জেনে নিজেকে শুধরে নিচ্ছি একটু একটু করে।
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:১৮
লুক্কায়িত বলেছেন: You better go through this link. Additionally, I'd like to say, other civilizations used to burn books subversive to their ideology while Muslim rulers commissioned troops to collect books (almost any; religious, scientific, even pornography) to conserve and translate. Such bold step later helped Europeans for their Renaissance.
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ১৩৪ বছর আগে টমাস আলভা এডিসন বলেছিলেন, “’ভবিষ্যতের চিকিৎসক রোগীকে ওষুধ না দিয়ে তাকে শেখাবেন শরীরের যত্ন নেয়া, সঠিক খাদ্য নির্বাচন, রোগের কারণ নির্ণয় ও তা প্রতিরোধের উপায়’।”
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কোরান রিসার্চ করে আবিষ্কার করেছে" কথাটা হয়তবা সম্পূর্ন ভুল নয়, কারন বিজ্ঞানীরা প্রকৃতিগত ভাবে অনুসন্ধানী। কোরান (কিংবা বাইবেল) রিসার্চ করা তাদের পক্ষে অস্বাভাবিক নয়। আমি প্রায়ই দেখি ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বেদ নিয়ে গবেষনা করে থাকেন। চারপাশের পরিবেশের অনুসন্ধান তাদের পক্ষে খুবই স্বাভাবিক।
যাই হোক, বিজ্ঞান ভিত্তিক রিসার্চ হয়ে থাকে তথ্য এবং উপাত্তের উপরে। ধর্মগ্রন্থের রূপক বাক্যগুলো মানুষের মনকে চিন্তাশীলতায় উৎসাহিত করতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞান ভিত্তিক আবিষ্কার করতে হলে চাই নিরবিচ্ছিন্ন গবেষনা। এটিকে বাইপাস করে শুধু মাত্র ধর্মগ্রন্থ পড়ার মাধ্যমে কোন আবিষ্কার সম্ভব নয়।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক বুদ্ধিমান শিক্ষিত লোককে দেখেছি কোরআন পড়ার পর সম্পূর্ণ নাস্তিক হয়ে গেছে।
৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধর্ম মানব জীবনে যে প্রশান্তি এবং পরিপূর্ণতা প্রদান করতে পারে, তার কোনো প্রকার বিকল্প এখনো মানুষ খুঁজে পায় নাই | ধর্মের বিশালতা এবং মানব জীবনে এর অপরিহার্যতা প্রমানের জন্য বিজ্ঞানকে অহেতুক টেনে এনে ধর্মকেই ছোট করা হয় | কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহ চরমপন্থী ধার্মিকের সবকিছুতে ধর্মকে টেনে আনার পিছনে একটি কারণেই বিদ্যমান - এরা ধর্মের এই বিশালতা বিন্দুমাত্র অনুধাবন করতে পারেন নাই | ধর্মের অন্তর্নিহিত শক্তি এরা অনুভব করতে পারেন না বা এতে এদের ঈমানের দূর্বলতা আছে বলেই বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে এরা ধর্মের শক্তিমত্তা প্রকাশের চেষ্টা করেন যার প্রয়োজন একদমই নেই | ধর্ম তার নিজ মহিমায় এবং বিশালতায় তার নিজের সর্বোচ্চ স্থানেই অধীষ্টমান |
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: মনে হয় মানুষ তার প্রয়োজনে ঈশ্বর বানিয়েছে, ধর্ম বানিয়েছে।
৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: রাজীব নূর, মনে হলো লেখাটা খুব তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন | আপনার একটা মন্তব্যে খটকা লাগলো |আপনি বলেছেন " ধর্ম ছাড়া আমাদের চলে কিন্তু বিজ্ঞান ছাড়া একটি মুহূর্ত চলে না আমাদের | ধর্ম পালন করতে গেলেতো বিজ্ঞানকে দূরে ঠেলে দিতে হবে | আবার বিজ্ঞানকে আঁকড়ে ধরলে ধর্ম আলগা হয়ে যায় |" আপনার এই মন্তব্যটার ভিত্তিতে কি তাতো বুঝলাম না | ঈশ্বরে বিশ্বাসী অন্যতম আধুনিক বিজ্ঞানী ও একাডেমিক ফিজিক্সে নোবেল উইনার ডক্টর আব্দুস সালাম তার যে কোনো একাডেমিক প্রেজেন্টেশনের স্লাইডের শুরুতেই বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম লিখতেন | বিজ্ঞান চর্চা তার ধর্ম বিশ্বাসে পথে অন্তরায় হয় নি | মাস্যাচুসেট ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি বা সংক্ষেপে এম এই টি (MIT)র প্রফেসর, থিওরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট এবং নভেলিস্ট ডঃ এলান লাইটম্যানের লেখা “ Does God Exist-The case for reconciling the scientific with the divine -- and against the anti-religion of Richard Dawkins” পড়ুন ধর্ম ও বিজ্ঞান সম্পর্কে আপনার এই মন্তব্যটা রিভাইস করার দরকার হবে হয়তো খুব দ্রুতই | জীবিত বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা আন্তরিক ভাবে অর্থডক্স অর্থেই ধর্মে বিশ্বাসী | আমেরিকার হিউস্টনের বিখ্যাত রাইস ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানী এলিন হায়ওয়ার্ড একল্যান্ড পরিচালিত আমেরিকার "এলিট ইউনিভার্সিটি" গুলোর ১৭০০ জন বিজ্ঞানীর উপর একটি জরিপে দেখা যায় এদের শতকরা ২৫ ভাগ ঈশ্বরে বিশ্বাসী (অন্যদের মধ্যে সবাই এথিইস্ট তা নয় এগ্নস্টিকও আছেন) | বিজ্ঞান আর ধর্ম বিশ্বাস কখনোই দ্বান্দ্বিক নয় | ওটা মানুষের বোঝার সীমাবদ্ধতা |
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো মন্তব্য করেছেন।
৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার যেমন ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের শত্রুতা দেখাতে পছন্দ করেন ঠিক তেমতি তারা (কিছু মোল্লারা) বিজ্ঞানের সাথে ধর্মীয় ভাবাবেগ তুলে ধরতে গর্ববোধ করেন। ধর্ম বিশ্বাসের বিষয়। আগে মানুষ বিশ্বাসী হয় তারপর অন্য কিছু চিন্তা করে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সব সময় বিশ্বাস করা ভালো নয়।
১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: রাজিব ভাই, আপনার এই বিষয়ে অনেক অনেক লেখা পাবেন। আপনার মত আরো অনেক অনেকে এই ধরনের লেখা লিখে আত্মতুস্টি পেয়েছে। ইসলাম কে নিন্দা করা হচ্ছে খুব সহজ কাজ। বতর্মানে এটাই সবচেয়ে পপুলার কাজ। কারন আমাদের ইসলাম সম্পর্কে ধারনা এত কম আর আমরা এত বেশি না জেনে কথা বলি সেটা খুবই দু্ঃখ জনক।
আপনার উপরের লেখাটা পড়ার পর মনে হলো আপনার একটা বই পড়া দরকার। আপনি প্রথমে জানার জন্য নিচের বই টা সংগ্রহ করে পড়তে পারেন। এটা বাংলা অনুবাদ আছে।
The Quran and Modern Science - by Dr. Maurice Bucaille
আপনার তো বিজ্ঞানে ইসলামের অবদান জানতে চান। সব বাদ দিলাম । একটা বাচ্চার জন্ম বা ভ্রন তৈরীর পদ্ধতি যা আজকে আপনার বিজ্ঞান বলছে সেটা কোথা থেকে এসেছে জানেন? নিচের লিংক দিলাম। একটু কস্ট করে দেখে আসবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=Bm4VFuWxitc
https://prophetrejectors.wordpress.com/2009/01/17/67-the-quran-on-stages-of-human-embryonic-development/
আল্লাহ আমাদের সকল কে জ্ঞান দান করুন যাতে আমরা ইসলাম সর্ম্পকে সঠিক ভাবে জানতে পারি। এই জন্যই ইসলামে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করতে বলা হয়েছে । আমীন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার জন্য আমার প্রিয় কবির চার লাইনঃ
We ran as if to meet the moon
That dawned behind the trees
The barren boughs without the leaves
Without the birds,without the breeze
---------(Going for Water,Robert Frost)
১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: অনেক হুজুর এখানে ল্যাদাচ্ছেন দেখা যাচ্ছে।
মুসলিমদের বিজ্ঞানে অবিস্মরণীয় আবিষ্কারের একটি এখানে দিচ্ছি:
প্রাথমিক যুগে কতক আরব মুসলিম হয়তো কিছু বিজ্ঞানে অবদান রেখে গেছেন। কিন্তু এখন জিঙ্ক সালফেট তৈরীর আদি পদ্ধতিকে যদি পেনিসিলিনের আবিষ্কারের সাথে তুলনা করা হয়, তবে কিছু বলার নেই। বর্তমান যুগে মুসলমানদের ধর্মকে বিজ্ঞানের সাথে গুলিয়ে তৈরী খিঁচুড়ীর স্বাদ যেমনই হোক, মুসলমান আগামী একশো বছরেও আধুনিক বিশ্বের (মুসলিমপ্রধান দেশগুলো বেশীরভাগই তৃতীয় বিশ্বে) সাথে তাল মেলাতে পারবে না।
খালি সব দোষ ইয়াহুদী-খিরিস্টানদের ওপরে দিলেই এখন ঈমানটা রক্ষা পায়।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিমদের বিজ্ঞানে অবিস্মরণীয় আবিষ্কারের একটি
দারুন আবিস্কার।
১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: জামাতী / ছাগু / আই এস / আল কায়েদা / তালেবান / জংগী ..। এরা কোনো ইসলামের অংশ নয়। এর পথভ্রস্ট । এই বিরল সংখ্যা লঘু দের দিয়ে সারা বিশ্বের মুসলিম দের বিচার করা টা অনেক টা কুয়ায় বসে সারা পৃথিবী দেখে ফেলার মতো। যুগ যুগ ধরে এই সব পথভ্রস্টরা এসেছে আবার কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: তাদেরকে একেবারে বিদায় করতে হবে।
১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
কাউয়ার জাত বলেছেন: ব্লগের ১ নম্বর তারছিড়া। যার কাজ হল নিজের বউয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ছবি তুলে প্রতিদিন ব্লগে দেয়া, অন্যের লেখায় দু'চার শব্দে দায়সারা কমেন্ট করা, অফিসে কাজ ফাঁকি দিয়ে ব্লগিং করা, শিশুসুলভ কথাবার্তা লেখা, আর না জেনেই ধর্মের বিরুদ্ধে উল্টা-পাল্টা লেখা। সেসব লেখাও আবার সেল্ফ কন্ট্রাডিক্টরি।
উনি নিজেই কিছুদিন আগে পোস্ট দিয়েছিলেন -আমি আমেরিকা যাবো
আমেরিকা উনার নিকট স্বপ্নপূরণের দেশ। তাই যে করেই হোক আমেরিকা যেতেই হবে। একবার কোনমতে আমেরিকা ঢুকতে পারলে পালিয়ে বেড়িয়ে হলেও হলেও আমেরিকায় থেকে যাবেন এই ওনার দৃঢ় ইচ্ছা।
অতএব এ ধরণের সাইকো যে ইদানীং ধর্মের বিরুদ্ধে বিশেষত ইসলামের বিরুদ্ধে লিখবেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দুইয়ে দুইয়ে যোগ করলেতো চারই হয়।
উনি লিখেছেন, "বিজ্ঞান ও ধর্মের দ্বন্দ্বযুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস কারো অজানা নয়।"
উত্তম কথা। সেই যুদ্ধে ইসলামের ভূমিকা কি? চার্চের persecution এর জন্য কি ইসলাম দায়ী? উনি যাদের বড় বড় বিজ্ঞানী মান্য করেন তাদের অধিকাংশ খ্রিষ্টান। তাদের ধর্ম তাদের নিপীড়ন করেছে। অথচ এই লেখা ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ে।
আরেক ছাগল বৈশাখীর কমেন্ট,
"বিজ্ঞানে আরব ও মুসলিমরা অনেক এগিয়ে ছিল।
কিন্তু ইসলাম আসার পর বিজ্ঞান শিক্ষা চর্চা বন্ধ হয়ে যায়।"
আচ্ছা আরবরা মুসলিম হওয়ার কত পরে ইসলাম এসেছে?
সন্দেহ হয় এরা কি ভাতের বদলে গাঁজা খেয়ে বড় হয়েছে?
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: বকধার্মীকদের মতো ধর্ম সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের পরিধী অনেক কম।
০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন।
১৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনি মুসলিম সনিষীদের অবদান খুঁজে পাননি এটা আপনার ব্যর্থতা।
এর দায় ভার এড়ানোর জন্য কেন ধর্মকে দায়ী করছেন।
বিভিন্ন নবীদের মোজেজা নিয়ে যে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করছেন তা একজন মুসলিমের কাছে কখনো কাম্য নয়।
পরকালে অবিশ্বাসীরা ১০ মিনিট গ্যাসের চুলায় হাত দিয়ে বসে থাকুক তার পর প্রমাণ করুক পরকালের আগুণ এভাবে বা তারচেয়ে ভয়ংকরভাবে পোড়াতে সক্ষম কিনা।
মুখে বড় বড় কথা বলা যায়, অস্বীকার করা যায় কিন্তু বাস্তব পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়া কঠিন।
ইসলাম নিয়ে না জেনে ভবিষ্যতে পোস্ট এধরণের পোস্ট দিবেননা।
আল্লাহ্ আপনাকে হেদায়েত দান করুক।
০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ হেদায়েত করেছেন-
আমি আর ধর্ম নিয়ে পোষ্ট দিব না।
১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৮
মহামোহপাধ্যায় বলেছেন: আপনার ব্লগে সম্ভবত এই প্রথম মন্তব্য করলাম।
আসলে আমি প্রতিদিনই সামুতে ঢু মারি তবে লেখালেখি বা মন্তব্য ইত্যাদি খুব কমই করি।
আপনার লিখার বেশিরভাগ অংশের সাথে একমত হতে পারলামনা।
আপনার এবং জ্ঞান অন্বেষীরা দেখে নিতে পারেন বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান কেমন ছিল...
উইকির লিংক..মনযোগ দিয়ে পড়লে এমন অনেক মুসলিম বিজ্ঞানীদের নাম পাবেন যাদেরকে বিজ্ঞানের সংশ্লিষ্ট শাখার পিতা হিসেবে গন্য করা হয়----> Click This Link
বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানীদের তালিকা---> ১। Click This Link
২। Click This Link
জাবীর ইবনে হাইয়ান--> Click This Link
সবচাইতে বিখ্যাত মুসলিমদের তালিকা--> Click This Link
সমাজবিজ্ঞানের জনক ইবনে খালদুন--> Click This Link
মুসলিমদের আবিষ্কার--> https://www.wired.com/2009/05/st-islamtech/
বই রেফারেন্স--> Click This Link
ইবনে সীনা--> Click This Link
আল খারেজমী--> Click This Link
হাসান ইবনে আল হাইয়াম (বজ্ঞৈানিক পদ্ধতির জনক উইথ রেফারেন্স ফ'রম বিবিসি)-->
১) http://news.bbc.co.uk/2/hi/7810846.stm
২) Click This Link
আলকেমী তথা কেমেস্ট্রী --> https://explorable.com/islamic-alchemy
বিখ্যাত ১০ জন মুসলিম বিজ্ঞানী--> Click This Link
প্রজ্ঞার ঘর (হাউস অফ উইসডম, রেফারেন্স ফ'রম দ্য গার্ডিয়ান)--> Click This Link
মুসলিম বিজ্ঞানীরা কিভাবে পৃথিবী বদল করে দেয়েছিলেন(রেফারেন্স ফ'রম ইন্ডিপেন্ডেন্ট.ইউকে) --> Click This Link
অপটিকসের জনক--> https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/18822953
শেষে একটা কথা না বললেই নয় সেটা হলো বিজ্ঞান মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, হহুদি কারো ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নয়। সকল বিজ্ঞানিই যারা মানব সভ্যতা উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলে এবং করছেন কেউই তাদের ধর্মের জন্য নয় বরং মানুষের কল্যানের জন্যই করেছেন এবং মানুষের কল্যান যারা করে তাদের স্থান সকল ধর্মেই সবার উপরে।
আপনি সহ আরো কিছু ব্লগার যাদেরকে খুব জ্ঞানী এবং ভাবুক মনে করি তার কেন যে বিজ্ঞানকে ধর্মের সাথে গুলিয়ে ফেলেন ঠিক বুঝলামনা।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন।
আমীন।
০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: অতি চমৎকার মন্তব্য করেছেন।
মনটা খুশিতে ভরে গেল।
আর শেষের এই কথা গুলো মগজে গেঁথে রাখলাম- সকল বিজ্ঞানিই যারা মানব সভ্যতা উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলে এবং করছেন কেউই তাদের ধর্মের জন্য নয় বরং মানুষের কল্যানের জন্যই করেছেন এবং মানুষের কল্যান যারা করে তাদের স্থান সকল ধর্মেই সবার উপরে।
১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কাউয়ার জাতের কমেন্ট টা শেষ হয়ে গেল!!! আরেকটু লম্বা কমেন্ট করতেন ভাই !
লেখক বলেছেন: আল্লাহ হেদায়েত করেছেন-
আমি আর ধর্ম নিয়ে পোষ্ট দিব না।
কেন দিবেন না! অবশ্যই দিবেন। সামুতে আপনার মত ইতিহাসবিদ থাকবে অথচ তার পোস্ট হবে না তা কি হয়! এরপরের পোস্ট কি নিয়ে? আমার আবার ইতিহাস নিয়ে বেশ আগ্রহ আছে।
ওহ, আপনি এত তাড়াতাড়ি হেদায়েত পেয়ে গেলেন? ফেরেশতা আইসা কি আপনারে হেদায়েতের টিকা দিয়ে গেছে?
০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: নিজের হেদায়েত নিজেই সংগ্রহ করে নিয়েছি।
১৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনার পোস্টতো দেখি অন্ধের হাতি দেখার মতো হইল।
বিজ্ঞান ও ইসলামের তুলনাই হইতে পারেনা। এই কারণেই বিজ্ঞান দিয়া ইসলাম প্রমান করা বা ইসলাম দিয়া বিজ্ঞানরে নাকচ করা বা কোনটা শ্রেষ্ঠ বা কোনটা নিচু ইহা প্রমানের চেষ্টা নিতান্তই আবালীয় কর্ম !
ধর্ম হইল ইহলৌকিক ও পারলৌকিক বিশ্বাসের সাথে জীবন চারণের গাইডলাইন, পক্ষান্তরে বিজ্ঞান হইল বিধিবদ্ধ জ্ঞান, যাহা প্রমাণসাপেক্ষ। ধর্ম বিশ্বাস সাপেক্ষ। ধার্মিক ধর্মে বিশ্বাস করে , প্রয়োজন হইলে যুক্তি প্রয়োগ করিয়া দেখে, ধর্মীয় বিশ্বাসের বিপরীত কিছু হইলে সেখানেই থামিয়া যায়, কারণ সে জানে , বিশ্বাস করে, ধর্ম বিজ্ঞান বা যুক্তির বিরোধী নহে, বিজ্ঞান বা যুক্তির ঊর্ধ্বে ! অপরদিকে বিজ্ঞানে বিশ্বাসী কোনোকিছু বিশ্বাস করিতে হইলে আগে যুক্তি প্রয়োগ করে, যুক্তির বিপরীত হইলে অবিশ্বাস করে। বিজ্ঞানে বিশ্বাসের কোন স্থান নাই, হাইপোথিসিসের মূল্য নাই যতক্ষণ না উহা প্রমান হইয়া থিওরি বা ল হয়।
ইসলামের বিশ্বাস্যগুলো, ঈমানের উপাদানগুলোর অনেক কিছুই প্রমাণসাপেক্ষ নয়। বিস্বাসসাপেক্ষ ! যেমন কবরের জিন্দেগী, হাসর, মিজান , জান্নাত , জাহান্নাম , ইত্যাদি ! না দেখিয়াই শুধু হজরত মুহাম্মদ স. এর উপরে আস্থা থাকার কারণে তাহার বলা, তাহার করা, তাহার অনুমোদিত সবকিছুর উপর বিশ্বাস স্থাপনকে ঈমান বলে ! চাই বিজ্ঞান প্রমান করুক বা না করুক, যুক্তিতে ধরুক বা না ধরুক ! ধরিলে ভাল, না ধরিলে ইসলামেই বিশ্বাস করিতে হইবে, বিজ্ঞানে নহে !
বিজ্ঞান, সভ্যতাতো ডিম্বের মতন কাহারো উদোর হইতে প্রসব হয় নাই। বহু জাতি, বহু সভ্যতার সমষ্টিই হইল আজকের সভ্যতা, আজকের বিজ্ঞান ! আর ১৪০০ বৎসর ধরিয়া যে জাতি বিশ্ব শাসন করিল, তাহারা বিজ্ঞানের , সভ্যতার কিছুই করিল না ? মাত্র ৩/৪ শত বৎসরেই বিজ্ঞান ডিম্ব হইতে বাহির হইয়া ডাইনোসর হইয়া গেল ?
জাতির, সভ্যতার উত্থান পতন একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ! যে জাতির উত্থানের ফয়সালা আল্লাহ করিয়াছেন তাহাদের কিছু না থাকিলেও তাহারা উঠিবে ! মঙ্গোলরা যখন বাগদাদ আক্রমন করে, তখন বাগদাদ ছিল জ্ঞান বিজ্ঞানের রাজধানী ! কি লাভ হইয়াছে ? বর্বর মঙ্গোলরা বাগদাদকে কবরস্থান বানাইয়াছে ! আর মধ্যযুগের বর্বর ইউরোপীয়ানরাই আজ সভ্যতার চালক, কাল আরেক জাতি আসিবে, বা মুসলমানরা আসিবে ! ইহাতে হীনমন্যতায় ভোগার কিছু নাই।
১৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভুলভাল পোষ্ট দিলেও- আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
এটাকে বলে মন্দের ভালো।
২০| ১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
১৯৭১ মুক্তি বলেছেন: ইসলামের সাথে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু তারপরও আপনি টেনে হেঁচড়ে যদি ইসলামকে বিজ্ঞানের ঘাড়ে চাপাতে চান তা হবে মূর্খতা। কারণ বিজ্ঞানের ক্লাসে ইসলাম সবচেয়ে Backbench Student.
১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী, ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
২১| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
mdtariqulmnt বলেছেন: আপনার বিজ্ঞানী দের এত্ত ক্ষমতা। বলুন পৃথীবির সব বিজ্ঞানীকে এক হয় একটা মাছির সমান প্রানী বানাতে। দেখি পারে কি না। বলুন আপনার বিজ্ঞানীকে আল্লাহর দেয়া কাচামাল ছাড়া কিছু করতে। আপনার বিজ্ঞানী যে গবেষনা করবে তার এই মস্তিস্ক কে দিয়েছে? তার এই চোখ কে দিয়েছে? তার এই হাত এই পা কে দিয়েছে? সব এমনি এমনি হয়েছে? বলুন আপনি জন্মিয়েছেন কিভাবে? বাবার কাজ ছিল বীর্যটা জরায়ুতে দেয়া এর পর সেটা ডিম্বকে কে নিসিক্ত করেছে? কে এটাকে মাংশপিন্ডে পরিনত করেছে|? কে এটার খাবারের ব্যাবস্থা করেছে? কে এর ভেতর রুহ দিয়েছে? আবার সঠীক সময়ে কে এটাকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছে? আপনি ফসলের বীজ বপন করলেই আপনার কাজ শেষ? কে এটার অংকুরোদগম ঘটায়? যে আপনাকে এত কিছু দিল সে তুচ্ছ হয়ে গেল? আর যে একটা ক্যামেরা, ১টা মোবাইল দিল সে বড় হয়ে গেল?
২২| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: মাছি দিয়ে কি হবে? সমাজের কোন উপকার টা মাছি করবে?
আপনার প্রতিটা প্রশ্নই খুব বোকা বোকা।
আচ্ছা, বলুন কে নেপালের বিমানের দুর্ঘটনা ঘটালো?
কার হুকুমে সুনামী বা ভূমিকম্প হয়ে মানুষ মারা যায়?
কার হুকুমে ইথিওপ্রিয়া দেশে শিশুরা না খেয়ে মরছে।
কার হুকুমে সিরিয়ায় শিশুরা মরছে?
কার হুকুমে মায়ানমারের মানুষরা কষ্টে আছে?
২৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
ক্স বলেছেন: নেপালের বিমান দুর্ঘটনার জন্য দায়ী পাইলট ও কন্ট্রোল টাওয়ারে কর্মরতদের বিচক্ষণতার অভাব। আল্লাহর দেয়া আকাশ-বাতাস তার নিয়মেই চলছিল।
সুনামী বা ভূমিকম্প আল্লাহ্র হুকুমেই হয়, কিন্তু মানুষ মারা যায় প্রস্তুতির অভাবে।
ইথিওপিয়াতেও আল্লাহ্র দেয়া ফসল উৎপাদন হয়, তা লুটপাট হলে দায়িত্ব আল্লাহ নেবেন না, কারণ ফসলের বন্টন কিভাবে করা হবে, তা সূরা আনআম ১৪১ এবং সূরা যারিয়াত ১৯ এ আল্লাহ বলে দিয়েছেন।
সিরিয়ার শিশুরা মারা যাচ্ছে কারণ মানুষ আল্লাহ্র হুকুমের তোয়াক্কা করছেনা, তাই
মায়ানমারের বিশেষ করে রোহিঙ্গারা কষ্টে আছে কারণ আল্লাহ্র বিধান অনুযায়ী সারা বিশ্বের মুসলিমগণ নিজেদেরকে একই দেহের অংশ হিসেবে ফীল করছেনা।
এখন আপনি কি চান যে যারা আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করবে, তাদেরকে আল্লাহ পরকালের ভয় না দেখিয়ে ইহকালেই ধ্বংস করে দেবে? তাহলে কোরআনে যে মানুষকে সুযোগ দেয়ার কথা বলা আছে, সেটার কি হবে?
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ''যারা আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করবে, তাদেরকে আল্লাহ পরকালের ভয় না দেখিয়ে ইহকালেই ধ্বংস করে দেবে? তাহলে কোরআনে যে মানুষকে সুযোগ দেয়ার কথা বলা আছে, সেটার কি হবে?''
আপনার কথাটি নিয়ে ভাবছি। কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না।
২৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
আবু তালেব শেখ বলেছেন: জার্মানির টিকেট পাওয়ার ভালো মাধ্যম এই ধরনের লেখালেখি
২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিজ্ঞানে আরব ও মুসলিমরা অনেক এগিয়ে ছিল।
কিন্তু ইসলাম আসার পর বিজ্ঞান শিক্ষা চর্চা বন্ধ হয়ে যায়।
বিচ্ছিন্ন ভাবে ইবনেসিনা ও অন্যান্নরা সুরু করেছিল।
কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে নিগৃহীত ও মুরতাদ আখ্যা পেয়েছিল।