নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এক কাজে মতিঝিল গিয়েছিলাম। সানমুন টাওয়ার। যাবো বারো তালায়, ভুলে চলে গেলাম দশ তলায়। গিয়ে দেখি এই মুচির দোকান। লিফটের দরজার সামনে সে তার দোকান খুলে বসেছে। পাশেই অগ্রনী ব্যাংক। অগ্রনী ব্যাংকটা চারপাশ দেখলেই মনে হয় এর চেয়ে দরিদ্র ব্যাংক বাংলাদেশে আর নেই। প্রচন্ড অবাক হলাম! একটা বিশাল বিল্ডিং এর দশ তলায় জুতা কালির দোকান। ওই ফ্লোরেই অগ্রনী ব্যাংক। অন্য ফ্লোরে আরও কি কি বেসরকারি ব্যাংকও যেন আছে।
সানমুন টাওয়ার বর্তমানে বিশ অথবা চব্বিশ তালা হবে। এই মুহূর্তে আমার ঠিক মনে নেই।
মুচির দোকান সাধারন ফুটপাতে দেখা যায়। কোনো বড় বিল্ডিং এর দশ তলায় কেউ কি কখনও জুতা কালির দোকান দেখেছেন? এটা অবশ্য বেশ ভালো। এই লোককে রোদ বৃষ্টি বা রাস্তার ধূলো বালি থেকে কষ্ট করতে হবে না। আবার যারা এই বিল্ডিং এ কাজ করেন, তাদেরও জুতো কালি করতে বাইরে মুচির দোকান খুজতে হবে না। অফিসের পিয়ন দিয়ে দশ তলায় পাঠাবে- মুচি কালি করে দিবে। অথবা মুচি নিজে গিয়েই স্যারদের জুতো নিয়ে এসে কালি করে দিবে।
দেড় দুই বছর আগে এই সানমুন টাওয়ারের উপর থেকে দুই তিন তলা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সরকারের নির্দেশে। কারন পাশেই রাষ্ট্রপতির বাস ভবন। আবার রাজউকের অনুমতি ছাড়া তারা বিল্ডিং কয়েক তালা বেশি করেছে। যখন উপর থেকে বিল্ডিংটি ভাঙ্গা হয়- সেই সময় আমি ছবি তুলেছিলাম। বিল্ডিংটির কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয় নাই। অনেক ফ্লোর খালি পড়ে আছে।
মুচির দোকানের সাথে আমি আলাপ করতে চেষ্টা করলাম। কিভাবে এই দোকান দিল, কাউকে কোনো টাকা দিতে হয়েছে কিনা। কারা কারা তার কাস্টমার। মুচি আমাকে কিছুই জানালো না। অবশ্য আমি খুব জোর করিনি। ইচ্ছা করলে সব তথ্যই নিতে পারতাম। আমি মনে করি এই মুচি বোকা। দশ তলায় আর কয়টা কাস্টমার পায়? বরং রাস্তাতেই বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। মনে হয় বিয়ে সাদী করে নাই। বউ বাচ্চা নাই।
স্বাধীন মানুষ।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫
আটলান্টিক বলেছেন: তাজ্জব ব্যাপার।দশ তলায় মুচি
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: নিজে গিয়ে একবার দেখে আসুন।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১১
শাহ আজিজ বলেছেন: চার জোড়া জুতা সামনে , পাশে। হয় হয় , কাস্টমারের কমতি নেই। রাস্তায় আবার চাদা দিতে হয় । হয়ত ব্যাঙ্কের উচু পদবির কেউ সাহায্য করেছে ওখানে বসতে। তবুও ভাল লোকটি কাজ কাম করে খাচ্ছে।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আজিজ ভাই ঠিক বলেছেন।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সে স্বাস্হ্য সচেতন মুচি
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: সবারই স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া দরকার।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
আবু তালেব শেখ বলেছেন: হইতো কিছু লোকের কন্টাক্টে কাজ করছে।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওই বিল্ডিং টাতে বেশ কিছু অফিস আছে। জুতার কোনো দোকান বা কারখানা নেই।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২১
কানিজ রিনা বলেছেন: মুচী বলে কি দশ তালায় দোকান দিতে
পারবে না। ওখানে তো যারা চাকরী করে
বেশীর ভাগই সাহেব। হয়ত প্রতিদিন ওর
পুশিয়ে যায় তানা হলেত দশ তালায় মাছি
মারতে বসেনা। ধন্যবাদ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম হলেই ভালো।
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৬
প্রামানিক বলেছেন: মুচি হয়তো দশ তলায় আরামে আছে, কোন চাঁদাবাজ তাকে উৎপাত করে না।
১০ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আহারে সবাই যদি এরকম একটু ছাদের নিচে জায়গা পেত।
৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
রানা আমান বলেছেন: মুচী দশ তলায় দোকান বসিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না । সে হয়ত নিচের রাস্তার ফুটপাথ এর কোথাও বসে , দশতলায় হয়ত ব্যাংকের কর্মকর্তা /কর্মচারীদের জুতো পালিশ করার জন্যই এসেছে এবং স্বাভাবিক ভাবেই অফিসের ভেতরে সব নিয়ে ছড়িয়ে না বসে তাকে অফিসের বাইরে করিডোরে যেয়ে বসে জুতো পালিশ করার জন্য বলা হয়েছে ।
১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: না। আমি নিজের চোখে দেখেছি।
সে সেখানেই বসে। হয়তো বড় কোনো অফিসার তার পরিচিত। সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
বনসাই বলেছেন: আজব!
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আজব ব্যাপার কিছু থাকা ভালো। তা না হলে বেচে আনন্দ পাওয়া যাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
শাহিন-৯৯ বলেছেন: উনার মনে হয়, চা-পানের টাকা হলেই চলে!