নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মুসলিম শাসনামলেই বাঙ্গালা এবং বাঙ্গালীর সুনির্দিষ্ট অস্তিত্ব আত্মপ্রকাশ করে। পৃথিবীর মানুষের কাছে দেশ হিসাবে একটা পরিচয় থাকতে হয়। যদি আপনার দেশগত পরিচয় না থাকে তাহলে আপনি হয়ে যাবেন রিফিউজি। ধর্ম আগে না জাতিসত্ত্বা আগে? মানুষ যেখানে জন্মায় এবং বড় হয় তার মনটা সেখানেই থাকে। বাঙ্গালির ইতিহাস খুব বেশিদিনের নয় এবং তা নিয়ে ফুটানি করার তেমন কোনও কারণ নেই। সারাদেশে ধর্মীয় উগ্রতা বিদ্যমান। কিছু ধার্মিকেরা ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকে প্রতিনিয়ত। কেউ সুযোগ পেলে চুরি করে, কেউ ধর্ষণ করে, কেউ লুটকরাজ করে আরও কত কী! বাঙ্গালীদের শান্তি নেই। দেশ ভাগের পর থেকে একটার পর একটা সমস্যা লেগেই আছে।
ভাষার জন্য কোনো আন্দোলন না করেও আবদুল জব্বার ভাষা শহীদের মর্যাদা পান। তার গল্পটা এই রকম-
ময়মনসিংহের পাচুয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারে সহজ সরল এক বালকের জন্ম হয়। বালকের নাম রাখা হয়- আবদুল জব্বার। সালটা ১৯১৯। জব্বার'রা মোট তিন ভাই। তাদের পিতার নাম হাসান আলীও মাতার নাম সাফাতুন নেছা। দরিদ্র পরিবারে তিনবেলা খেয়ে না খেয়ে বড় হতে থাকে জব্বার। জব্বার প্রাইমারী স্কুলে ভরতি হয়। লেখাপড়া তার ভালো লাগে না। জব্বারের মনে হলো লেখা পড়া দরিদ্রদের জন্য না। যারা তিনবেলা পেট ভরে খেতে পায় লেখা পড়া তাদের জন্য। বাবা হাসান আলীকে জব্বার কৃষি কাজে সহযোগিতা করে। কিন্তু তিনবেলা পেট ভরে ভাত খেতে পায় না। এভাবে লক্ষ কোটি অভাবী বাঙ্গালী পরিবারের মতো জব্বারদের দিন গুলো কাটছিল অভাব অনটনে।।
পনের বছর বয়সে নিজের খেয়াল খুশিতে এবং পরিবর্তনের আশায় এইহজ সরল বালক আবদুল জব্বার গৃহ ত্যাগ করে। ট্রেনে করে নারায়নগঞ্জ চলে যায়। জীবনে প্রথম তার ট্রেনে চরা এবং নিজ গ্রামের বাইরে আসা। ভাগ্য ভালো জব্বার নারায়ণগঞ্জ এসে শ্রমিকের কাজ পেয়ে যায়। প্রায় এক বছর খুব মন দিয়ে জাহাজ ঘাটায় শ্রমিকের কাজ করে। খুব অল্প সময়ে ভালো কাজ করে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এক ইংরেজের নেক নজরে আসে জব্বার। সেখান থেকে ইংরেজ সাহেবের সাথে সু সম্পর্ক গড়ে উঠে। ইংরেজ সাহেব তাকে এক চাকরি দিয়ে বার্মা পাঠিয়ে দেয়। সেখানেও জব্বার যথেষ্ঠ পরিশ্রম করে সবার মন জয় করে নেয়। কর্মের খাতিরে তাকে ইংরেজীতে কথা বলা শিখতে হয়। অনায়াসে সে ইংরেজীতে কথা বলে ব্যবসায়ীদের সাথে।
একরাতে জব্বার তার বাবা মাকে স্বপ্নে দেখে। হঠাত সে বাবা মাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। পরের দিন সকালে সে সিদ্ধান্ত নেয় আর এক মুহূর্তও বার্মা থাকবে না। একটানা জব্বার দশ বছর চাকরি করে দেশে ফিরে আসে। তার বাবা মা তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে। বহু বছর পর গ্রামে ফিরে এসে জব্বারের দিনকাল বেশ ভালো কাটছিল। কাজ পাগল মানুষ জব্বার। দেশে ফিরেও সে বসে থাকার লোক নয়। নিজের জমানো টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন। মুদি দোকানের ব্যবসা। তার আয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ ভালোই চলছে তাদের জীবন।
জব্বার সিদ্দান্ত নিল- বিয়ে করবে। সে তার বাবা মাকে জানালো। জব্বার তার বন্ধুর বোন আমেনা খাতুন নামে এক কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করেন। আমেনা খাতুনের বয়স তখন এগারো। তাদের পাশের গ্রামেই থাকে আমেনা। বিয়ের এক বছর পরেই তাদের ঘরে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। পুত্রের নাম রাখা হয়-নুরুল ইসলাম বাদল। সুন্দর হাসি খূশি পরিবার। প্রতিদিন রাতে জব্বার তার একমাত্র পুত্রকে কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ায়। এবং মনে মনে ভাবে জীবনটা মন্দ নয়।
জব্বারের পুত্র বাদল এর বয়স যখন পাঁচ বা ছয় মাস তখন জব্বার তার ক্যান্সার আক্রান্ত শ্বাশুড়িকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে আসেন। সময়টা ১৯৫২ সাল, একুশে ফেব্রুয়ারী। ঢাকা মেডিকেল এলাকায় সব দোকান পাট বন্ধ। চারদিকে থমথমে অবস্থা। জব্বার জানতো না ঢাকার পরিস্থিতি অনেক খারাপ। খুব আন্দোলন করছে ছাত্ররা। সকাল থেকেই ছাত্ররা খুব আন্দোলন করছে। পুলিশ তাদের লাঠি হাতে ধাওয়া দিচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে ছাত্র জনতা সোচ্চার এবং শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত ঢাকার রাজপথ। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি দেখে জব্বার ঘাবড়ে গেল। সে গ্রামে থাকে তাই কি নিয়ে ছাত্ররা আন্দোলন করছিল সে কিছুই বুঝতে পারছিল না। আন্দোলনের দিকে জব্বার মন না দিয়ে সে খুব দৌড়ঝাঁপ করে জব্বার তার শ্বাশুড়িকে হাসপাতালে ভরতি করতে সক্ষম হয়। তার চিন্তা একটাই যতদ্রুত সমম্ভব শ্বাশুড়িত চিকিৎসা শেষে করে গ্রামে ফিরে যেতে হবে। এই আন্দোলনরত ঢাকা শহর তার মোটেও ভালো লাগছে না।
আন্দোলন নিজ চোখে দেখার জন্য আবদুল জব্বার ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ায়। তখন দুপুর তিনটা। সকাল থেকে পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলছিল। অবাক হলেও সত্য পুলিশ ছাত্রদের সাথে পাল্লা দিয়ে পারছিল না। একসময় পুলিশ এলোমেলো গুলি শুরু করে। একটা গুলি এসে লাগে জব্বারের বুকে। জব্বারকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে আরও দুইজন মারা যায়। তাদের নাম আবুল বরকত ও রফিকউদ্দিন আহমদ। হাসপাতালে নেওয়ার বেশ কিছুক্ষন পর জব্বার মারা যায়।
ছাত্ররা আবদুল জব্বার, আবুল বরকত এবং রফিকউদ্দিন আহমদের লাশ দেখে ক্ষেপে উঠে। শেষে আবুল বরকত, রফিকউদ্দিন আহমদ এর সাথে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষ আবদুল জব্বারকেও ভাষা শহীদ এর মর্যাদা দেওয়া হয়। এই ঘটনার দুই বছর পর আবদুল জব্বারের স্ত্রী আমেনাকে বিয়ে করে জব্বারের আপন ছোট ভাই। তারপর আমেনা আরও দুইজন সন্তান জন্ম দেয়।
(সামু ব্লগে গত তিন বছর ধরে এই ধারাবাহিকটি লিখছি।'ধাবমান কালো চোখে আলো নাচে' এই নাম খুব বড় হয়েছে মনে হচ্ছে। তাই এখন থেকে শুধু 'ধাবমান' শিরোনাম দিয়ে লিখব বলে মনস্থির করেছি।)
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার লেখাটি কি ভুল? প্রমান দেন আমার তথ্য ভুল?
২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বলেন কি! বিশ্বাসযোগ্য রেফারেন্স থাকলে দিয়েন।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: রেফারেন্স মানুষ কোথা থেকে দেয়? বই থেকে।
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর শেয়ার । তবে জাব্বার যদি ওভাবেও মরে থাকেন । তার মারা যাওয়া ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করেছে। জীবনের চেয়ে দেবার বড় আর কিছু নেই আমাদের ।
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই ।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ঠিক। আমিও কোন একটা বইতে এমনই পড়েছিলাম মনে করতে পারছিনা।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আবদুল জব্বার সম্পর্কে যে ভাষায় লিখলেন এবং নিজে তথ্যপ্রমাণ না দিয়ে বরং প্রতিষ্ঠিত একটি সত্যকে নতুন করে প্রমাণ করার জন্য পাঠকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, তাতে প্রতিভাত হয়েছে কিংবা প্রতিভাত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে, আপনি একজন ছুপা রাজাকার; আপনার ধারণাই নেই দেশের জন্য মানুষ মুহূর্তে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, আবদুল জব্বারও তাৎক্ষণিক মিছিলে যোগ দিতে পারেন, এমনকি মিছিলে প্রত্যক্ষ যোগ না দিয়েও মানুষ রক্ত দিতে পারে, সমর্থন দিতে পারে, আন্দোলনকে করতে পারে অমর। সমস্যা হচ্ছে, আপনার বিভিন্ন পোস্ট এবং এ পোস্টে জব্বারসংক্রান্ত মতামত ও প্রত্যুত্তর পড়ে আপনার সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা অনর্থক মনে হচ্ছে।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্য সাদরে গ্রহন করলাম।
ভালো থাকুন।
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রিয়তে...
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৮
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মন ছুঁয়েছে।
যে নামে লিখছিলেন সেটাই ভাল লাগে। শুধু ধাবমান পাঠককে কতটা ধাবিত করবে কইতারি না।
ভাল থাকবেন।
১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
এম আর তালুকদার বলেছেন: মানুষকে তথা বাঙ্গালিকে যেভাবে জানানো হয়েছে মানুষ তাই নিয়ে পড়ে আছে নতুন কিছু জানতে চায় না।
মন্তব্যে একজন দেখলাম রাজাকার শব্দটি উল্ল্যেখ করেছে তার কাছে জানতে ইচ্ছা করে রাজাকার শব্দের অর্থ জানেন !? ভারতে গিয়ে দেখেন বাংলাদেশী বাঙ্গালিদের কত অবমূল্ল্যায়ন করা হয় এর কারন খুজে দেখুন তাহলে বুঝবেন। যে বাংলাদেশী বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেনা সে আবার বাংলাকে নিয়ে লম্ফঝম্ফ করে এটা বেমানান।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম এবং অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
কলাবাগান১ বলেছেন: যত বেশী ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবেন, তত বেশী "মন ছুঁয়েছে" মার্কা মন্তব্য পাবেন.....।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক।
১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা যদি ঐতিহাসিক পটভুমির উপর লেখা ( উপন্যাস, ঘটনাপ্রবাহ) হয়ে থাকে, ঘটনাগুলো সঠিক হতে হবে, ইতিহাসের সাথে মিল থাকতে হবে; সাথে সাথে আপনার নিজস্ব মতামত থাকতে হবে।
এই অংশটুকু গ্রহনযোগ্য হয়েছে।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: হুবহু আমি লিখব না। ইচ্ছা করেই একটূ উনিশ বিশ করবো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
বারিধারা ২ বলেছেন: বলেন কি? চোখ কপালে উঠে যাবার মত ঘটনা। কোত্থেকে জানলেন এই ঘটনা? আমি যতদূর জানি, ভাষা শহীদেরা মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন - সত্যকারের আন্দোলনকারী ছাড়া কোন দর্শনার্থি গুলি খায়নি সেদিন। বিস্তারিত এখানে
https://blog.bdnews24.com/elius/66345