নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এই ছবিটার মজার একটা ইতিহাস আছে। ইতিহাসটা অন্য কোনো সময় বলব।
বেশ কয়েকমাস আগের কথা।
আবদুল গফুর সাহেবের 'আমার কালের কথা' বইটা পড়ে শেষ করে, ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত প্রায় দুইটা। আমি বাতি বন্ধ করে শুয়েছি। জানালা দিয়ে এক রাশ আলো এসে ঢুকেছে। ঘুম আসছে না। এপাশ ওপাশ করছি। সুরভি পাশে গভীর ঘুমে। সে সব সময়ই বালিশে মাথা রাখার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। আমি বাম পাশ ফিরতেই সুরভি আমার গায়ে একটা হাত রেখে বলল, ঘুম আসছে না তোমার?
আমি এক আকাশ অবাক হয়ে বললাম, তুমি ঘুমাওনি?
সুরভি বলল, ঘুমিয়ে ছিলাম কিন্তু একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেছে।
আমি বললাম, আমাকে ডাকোনি কেন?
সুরভি বলল, তুমি মন দিয়ে বই পড়ছিলে তাই ডাকিনি।
আমি বললাম, কি স্বপ্ন দেখলে? সুরভির চোখের কোনায় পানি।
সুরভি সত্যি সত্যি কেঁদে ফেলে বলল, আমি মনে হয় বেশি দিন বাঁচবো না। প্রায়ই মাকে স্বপ্ন দেখি। মা আমাকে ডাকেন। মার পাশে দাদু বসা। দাদুও হাত ইশারা করে আমাকে ডাকেন। ইদানিং এই রকম স্বপ্ন প্রায়ই দেখছি।
এই ছবিটার পেছনেও মজার একটা গল্প আছে। খুব শ্রীঘই লিখব।
সুরভি যখন অর্নাস ১ম বর্ষে তখন হঠাৎ সুরভির মা এক কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। ক্যান্সার। তিনি তিন মাস হাসপাতালে শয্যাশায়ী। সুরভির বাবা চিকিৎসার কোনো ত্রুটি করেন নি। সুরভির কোলে মাথা রেখেই তিনি মারা যান। মারা যাবার আগে তিনি সুরভিকে বললেন, আমার চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে, একটু আচড়ে দে তো। সুরভি চুল আচড়ে দিল। সুরভির বাবার কাছ থেকেও শুনেছি, তিনি মারা যাবার আগে প্রায়ই বলতেন, স্বপ্নে তিনি তার মা আর দাদুকে দেখতেন। তারা তাকে খুব আদর নিয়ে ডাকেন। তাদের কাছে চলে আসার জন্য অনুরোধ করেন।
গতকাল রাতের কথা। আমরা ঘুমিয়ে পড়েছি। গভীর ঘুম। হঠাৎ কান্নার শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্ন নয় সুরভি কাঁদছে। আমি প্রচন্ড অবাক! বললাম, কি হয়েছে সুরভি? কাঁদছো কেন?
সুরভি বলল, মাকে স্বপ্নে দেখেছি। মা আমাকে ডাকছেন। তিনি নাকি আমার অপেক্ষায় আছেন।
আমি সুরভিকে কি বলব ভেবে পাই না। কি বলে ভরসা দিব ভেবে পাই না।
আমি একজন আধুনিক মানুষ। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। লজিক দিয়ে আমি সব কিছু চিন্তা করি। অলৌকিক কোনো কিছুর উপর আমার বিশ্বাস নেই।
এটা আমাদের বিয়ের আগের ছবি। ঢাকা শহরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমরা যাইনি। কত শত ঘটনা আর স্মৃতি যে আছে। সব আমি লিখব ব্লগে।
স্বপ্ন সম্বন্ধে অনেক দর্শন, বিজ্ঞান, কাহিনী ইত্যাদি আছে। কিছু কিছু স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকে না। বাস্তবের কাছাকাছি চলে যায়। প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি স্বপ্নেরই একটা অর্থ কি নেই? মনোবিজ্ঞানিরা বলবেন, স্বপ্ন হচ্ছে মানুষের অবদমিত মনের প্রতিফলন। ইদানিং দেখছি, সুরভির চোখের চারপাশ কালো হয়ে গেছে। ঠিক মতো খায় না, ঘুমোয় না। আমাকে বলে, আমি মরে গেলে তুমি আবার বিয়ে করবে? আমাকে কোথায় কবর দিবে? আমার শাড়ি গুলো কি তোমার নতুন বউ পড়বে? তোমার নতুন বউ কি তোমাকে আমার মতোন করে ভালোবাসতে পারবে? শোনো, লক্ষ্মী একটা মেয়েকে বিয়ে করবে। যে তোমাকে বুঝবে। তোমাকে ভালোবাসবে। আমি বলি, সুরভি ফালতু কথা বাদ দাও।
সারাদিন অফিস করার পর বাসায় এসে সুরভির এরকম কথা শুনতে ভালো লাগে না। সুরভির হাতের রান্না আমার খুব বেশি পছন্দ। ইদানিং তার রান্না আর আগের মতো স্বাদ হয় না। তরকারিতে লবন দিতে ভুলে যায়। ভাত নরম করে ফেলে। প্লাউ রান্না করলেও ঝরঝরা হয় না। তার গাছের যত্ন নেয় না। অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলে। আজ বলল, বাবু ধরো একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলে, আমি তোমার পাশে নেই। তখন তোমার কেমন লাগবে? এদিকে আমার অফিসের অবস্থাও ভালো না। শুনছি বেশ কয়েকজনকে ছাঁটাই করা হবে। সব কিছু মিলিয়ে আমার মানসিক অবস্থা ভালো না।
২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুরভি আগেই খেতে চায়। কিন্তু আমার বই পড়া আর লেখা লেখি শেষ করতে করতে- প্রায় বারোটা বেজে যায়। তাই রাতের খাবার খেতে দেরী হয় রোজ। আমি অনেকবার বলেছি, তুমি খেয়ে নাও। কিন্তু সে আমাকে ছাড়া খাবেই না।
আমাকে ছাঁটাই না করার কারন কি? করলে করুক, আমার আর কিছুতেই কোনো কিছু যায় আসে না। আগে অনেক চিন্তা ভাবনা করতাম। একদিন সুরভি আমাকে কিছু মন্ত্র শোনায় তারপর থেকে চাকরি হারানোর আর ভয় করি না।
২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা ছয় তলায় থাকি। আর আমাদের বাসার আশে পাশে হাঁটার জায়গা নাই। সবচেয়ে বড় কথা আমার সময় কই? আমাকে পড়তে হবে, লিখতে হবে। ব্লগে একটা দিন একটা পোষ্ট দিতে না পারলে আমার ভালো লাগে না। মনে হয় দিনটাই মাটি গেল।
হাঁটার ইচ্ছা থাকলে আমি তো সুরভিকে নিয়ে ছাঁদেই হাঁটতে পারি। আমাদের এক ফ্লোর উপরেই ছাদ।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৮
নীল মনি বলেছেন: লেখাটা পড়ে আমার খুব ব্যথা অনুভব হল।কী মায়াময় ভালোবাসা।
রাজীব ভাইয়া ছাঁটাই নিয়ে চিন্তা করবেন না। ইন শা আল্লাহ খারাপ কিছু ঘটবে না।ভাবীর মনের অবস্থা ভালো না।যতদিন যাবে সে এই সব ভাবনা আরো বেশি ভাববে।তার মা'য়ের মৃত্যুর শোক সে এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।ভেতরে ভেতরে সে সেটা নিয়ে ভাবে, অনেক ভাবে।যদি সুযোগ হয় তাহলে একটু হাওয়া বদল করুন।প্রকৃতির কাছাকাছি।
আর স্বপ্ন আমি কখনও দেখলে বলি না।স্বপ্নের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। হয়ত জানেন তবুও বলি খারাপ স্বপ্ন দেখলে বলতে হয় হে আল্লাহ এই স্বপ্নের যদি ভালো দিক থাকে তাহলে তা হতে আমাকে বঞ্চিত করবেন না আর যদি খারাপ দিক থেকে থাকে তাহলে তা হতে হেফাজত করুন।
ফী আমানিল্লাহ।
২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
ইদানিং সুরভি ঘুমাতে চায় না। বলে ঘুমালে যদি আর ঘুম না ভাঙ্গে? ঘুমের মধ্যে মরে যাই? তাহলে তোমার কি হবে? সকালে অফিস যাওয়ার সময় তো মোজা খুজে পাবে না। দুপুরে খাওয়ার কথা কে মনে করিয়ে দিবে?
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছাদেই হাঁটুন; আপনি অনেক পড়েছেন, আপনার পোষ্ট থেকে বুঝা যায়; এখন একটু কম পড়েন, সন্ধ্যায় খেয়ে একটু হাটুন; সময় পেলে পড়বেন, লিখবেন!
২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী হাটবো।
সুরভি প্রায়ই বলে আমি ছয় তলা নিয়েছে, তোমার সাথে ছাদে যখন তখন হাঁটতে পারবো বলে। আর তুমি মাসে একবারও ছাদে যেতে চাও না।
আমার মাথার ভেতর কিভাবে যেন ঢুকে গেছে- পড়া আর লেখা ছাড়া জীবনে আমার আর কোনো বিনোদন নেই।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১১
রোদ্দূর মিছিল বলেছেন: আমার কেন যেন মনে হচ্ছে বেচারি সুরভী ইনসিকিউরিটিতে ভুগছেন। আবার মনোবিজ্ঞানের কোনও জটিল ডিজঅর্ডারও হতে পারে। এ সময় আপনার তাঁর সাথে থাকা অনেক ইম্পোর্ট্যান্ট বলে মনে হচ্ছে। বেশি বেশি সময় দেয়ার চেষ্টা করুন তাঁকে (প্রয়োজনে ব্লগিংয়ের সময়টাও কমিয়ে দিন)। আপনার ব্লগিংয়ে বেশি সময় দেয়াটা তাঁর কাছে অন্য কোনও নারীকে সময় দেয়া বলে ভ্রম হতে পারে (তবে অবশ্যই সাবকনশাস মাইন্ডে)। এমন নাজুক অবস্থায় প্রতিটি মানুষই নিজ নিজ মাকে স্মরণ করে, ফরিয়াদ জানায়, সাহায্য চায় - যেহেতু প্রতিটি সন্তানই মাকেই সর্বশেষ নির্ভরতার জায়গা, শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনের গভীরে ঠাঁই দিয়ে দেয় আপন মনের অজান্তেই, সেহেতু কঠিন বৈরী সময়গুলোতে মাকে স্বপ্ন দেখাটা খুবই স্বাভাবিক; স্বাভাবিক মায়ের কাছে ডেকে নেবার আহবান শুনতে পাওয়া স্বপ্নে। আপনার অফিসের ঝামেলা যদি বিশাল কোনও ইস্যু না হয়, তো সুরভীকে নিয়ে কোথাও গইয়ে ঘিরে আসুন। আর অতি অবশ্যই ফেইসবুক, ব্লগ এগুলো থেকে নিজেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে। দিন শেষে এইসব ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড আর সেখানকার মানুষগুলো এক একটা এন্টিটি মাত্র - রক্ত-মাংসের (আপন) মানুষগুলোর কেউ না। আপন তো তারাই, যারা আপনাকে একটা লাইক দিয়ে সাময়িক সুখানুভূতি দেবে বলে নয়, বরং আপনার ভীষণ বৈরী সময়েও আপনার পাশে দাঁড়িয়ে এক টুকরো মিষ্টি হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে রেখে চায়ের কাপটা এগিয়ে দেবে আপনার দিকে। অথচ নিজের বুকের ভিতর দুশ্চিন্তার সে কি তোলপাড়, তা কাউকাউকেই বুঝতে দেবেনা। সেই আপনজনকে প্রায়োরিটি দিয়ে তাঁর প্রতি আরও বেশি মনযোগী হলেই মনে হয় এ দুঃসময় কাটিয়ে উঠা যাবে। মনে রাখবেন প্রতিটি অসুস্থতাই সমান গুরুত্বপূর্ণ, তা সে ক্যান্সারের মত ভয়ানক শারীরিক ব্যাধিই হোক, অথবা বা মামুলী (আমার-আপনার দৃষ্টিতে) মানসিক ব্যাধিই হোক।
২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুরভির কোনো একটা অসুখ হয়েছে। সেদিন দেখলাম ওষুধ খাচ্ছে। শেষে ভাবীর কাছ থেকে জানলাম কি একটা মেয়েলি সমস্যা নাকি হয়েছে। তাই ডাক্তার দেখিয়েছে। যদি আমি মন খারাপ করি, তাই অসুখের কথা আমাকে কিছু বলেনি।
আমি তো অফিস শেষ করে বাসায়ই আসি। অন্য কোথাও আড্ডা দেই না।
আমি সুন্দর মন্তব্য করেছেন। দেখি আগামীকাল থেকে নিজেকে কিছুটা বদলাবো।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪০
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এটি একটি গ্রাম্য কুসংস্কার। স্বপ্নের মধ্য দিয়ে মানুষের কিছু অবস্থার প্রকাশ ঘটে ঠিকই তবে ব্যক্তিভেদে স্বপ্নের ব্যাখ্যা ভিন্ন হতে পারে। আপনি ভাবীকে বুঝিয়ে বলুন। স্বপ্ন স্বপ্নই। সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনারা বরং কোথাও থেকে বেরিয়ে আসুন। যথাসম্ভব ভাবীকে হাসানোর চেষ্টা করুন, কৌতুক শোনান। তাকে কোনভাবেই মনমরা অবস্থায় নির্জনে কোন চিন্তা করার সুযোগ দেবেন না।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন।
৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
নীল মনি বলেছেন: ভাইয়া আপনার প্রতি কঠিন নির্দেশ দেয়া হল -সব বাদ।ভাবীর দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন।আমার কিন্তু ভয় লাগছে।দরকার হলে কোন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
আর দেরি করেন না।
ভাবী কত লক্ষী। আপনার কত্ত কেয়ার নেয়।এমন বউ পেতে কপাল লাগে । ব্লগে আপনার উপর ১৪৪ ধারা জারি করা হল।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
আমি সব ঠিক করে ফেলব। আমি সব ঠিক করে ফেলতে পারবো। ইনশাল্লাহ।
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপনি ভাবীকে একটু বেশি সময় দিন । ওনাকে বুঝান স্বপ্ন দেখে কিছু হবে না ।
ওনার মূল্য বুঝান । আর ওনার মাইন্ড চেন্জ এর ব্যবস্থা করুন । হয়তো ওনি মাকে মিস করছেন তাই এমোন স্বপ্ন দেখছেন ।
ওনাকে নিয়ে পারলে ঘুরে আসুন , সুন্দর মুভি দেখুন ।
পোষ্ট টা পড়ে ভাবীর জন্য খুব খারাপ লাগছে ।
এমন ভয় পেলে ওনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন , মানুষ সবসময় যা ভাবে হোক সেইটা অবচেতন মনে ,কিছু ক্ষেত্রে সত্যি ঘটে যায়। ওনাকে পসিটিভ চিন্তা করা শিখান ।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। সব ঠিক হয়ে যাবে। ঘুড়ি আর কতটূকু যাবে? নাটাই তো আমার হাতে।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বেশী বেশী টেনশন কনা করাই ভালো। জীবন চলে যুক্তির উপর। অবৈজ্ঞানিক কিছু থাকলেও থাকতে পারে। তবে এক সময় সেটার যুক্তিও মানুষ খুজে বের করে। শুভ কামনা।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ভাবীকে একটু বেশি সময় দিন ।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
শামচুল হক বলেছেন: সুরভির হাতের রান্না ঠিকই আছে, আসলে আপনি চাকরি হারানোর ভয়ে টেনশনে থাকেন যেকারণে আপনার কাছে কোন কিছুই ভালো লাগে না। যা হবার হবে রেজেকের মালিক আল্লাহ, এই ভরসা করে টেনশন ছেড়ে দেন, সব ঠিক হয়ে যাবে।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো মন্তব্য করেছেন।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
নীল মনি বলেছেন: ব্লগে বছরখানেক হল আছি কিন্তু এক্টিভ ছিলাম না, গত দুইদিন ধরে ঘুরছি।তাতে দেখে বুঝলাম বেশি পোস্ট দিলে ফ্ল্যাডিং হয়ে যায় আর অনেকেই ঈর্ষা করে।আমার মনে আছে আমি একসাথে অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছিলাম আপনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন সেই জন্য কৃতজ্ঞ আমি।গত দুইদিনে যা বুঝলাম এখানে হিংসে করার লোকের অভাব নেই,এখানে ব্যক্তিগত কিছু দিলে অন্যের কাছে হেয় করা হবে,এখানে অন্যের দোষ খোঁজা হয়,আর সুযোগ পেলেই অযাচিত অপবাদ।অথচ এখানের সবাই শিক্ষিত।
দুনিয়ায় যে কত রকম মানুষ, ভাবনার বাহিরে।সবাই ভালো থাকুক।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু দুষ্টলোক সব জাগায়ই থাকে।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
তারেক ফাহিম বলেছেন: দুশ্চিন্তা না করে ভাবিকে সময় দেন।
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই রাজীব নূর,
প্লিজ, আপনি শান্ত হোন। লক্ষ্য করেছি, একের পর এক ব্লগারদের মন্তব্য আপনি মুছে দিচ্ছেন। যৌক্তিক মন্তব্য মুছে দেয়ার কোনো মানে নেই। এতে কোনো সমাধানও নিহিত নয়। বিশ্বাস রাখুন, আপনি সত্যের উপর অটল থাকলে, কারো কোনো মন্তব্য আপনাকে টলাতে পারবে না। ক্ষতির কারনও হবে না।
ধারনা করছি, একটা অস্থিরতার ভেতর দিয়ে আপনি যাচ্ছেন সম্ভবত:। ইচ্ছে করলে সস্ত্রীক তোলা ঘরোয়া/ পারিবারিক ছবিগুলো সরিয়ে দিতে পারেন। আপনার লেখার গুনগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি অনেক স্টাডি করেন, তা এটা থেকেই বোধগম্য হয়। এটা ভাল গুন। শুধু পারিবারিক ছবিগুলোর কারনে কেউ কেউ বিরক্ত হন হয়তো। আপনি ভাল লেখক হবেন।
ভাবীর যদি সত্যি বর্নিত কোনো সমস্যা থেকে থাকে, ভাল কোনো ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে পারেন।
সবচে' ইমপোর্টেন্ট, ভাবীকে সময় দিন।
আপনাদের জন্য ভাল থাকার দোআ।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: নকিব ভাই সবার মন্তব্য মুছি নি। শুধু শুধু সবার মন্তব্য মুছবো কেন?
এক বদ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে। তাই সেটা মুছে দিয়েছি। আমার পরিবারের অনেক সদস্য আমার পোষ্ট গুলো পড়ে। তাই অশালীন মন্তব্য গুলো মুছে দিতে বাধ্য হয়েছি।
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনি ভাল লেখেন এটা নিয়ে সন্দেহ নেই, আপনার পোষ্টের সংখ্যা দেখলে আমার মাথা ঘুরে,এত আইডিয়া কোথা পান। ভাবীকে নিয়ে অনেক ভাল থাকুন।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই।
দোয়া করবেন। ভালো থাকুন।
১৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো। আপনার হবে। আমার হবার কোন সম্ভাবনা নেই্ ।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল বললেন। আমি মন প্রান দিয়ে লিখি।
আপনিও লিখুন। লিখতে থাকুন। গাইতে গাইতে যেমন গায়ক।
১৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এই পোষ্টটা ভাবীকে দেখান।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: সে প্রচন্ড আবেগী।
তাই ইচ্ছা থাকলেও দেখাতে পারবো না। কষ্ট পাবে। আমি তাকে কষ্ট দিতে চাই না।
১৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০০
কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাবিকে সময় দিন । প্রতিদিন পড়েন এটা ভাল অভ্যাস কিন্তু আপন জনকে সময়ও দিন অন্তত ব্লগের সময় বাচিয়ে।
ভাবিকে সময় দিন , আপনারা দুজই খুব সম্ভবত স্টেসে আছে বর্তমানে। তাই রান্নায় নিজে স্বাদও পাচ্ছেনা না এবং ভাবিও রান্নায় ওলট-পালট করছে। বাসায় এক দিন নিজেও রান্না করুন এটা খুবেকটা রকেট সাইন্স নয়!
আমি মাছ মাংস বিরানি , কাচ্চি, আটার রুটি বানানো থেকে শুরু করে সবই রান্না করতে পারি বিশেষ করে পোলাও রান্নাটা সবসময় আমিই করি ! মোটামুটি এক দিন বউ রান্না করলে পরের দিন আমি রান্না করি!
পরিবারকে সময় দিন।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আসলেই কাছের মানুষ।
মন্তব্য করেছেন একদম কাছের মানুষের মতোই।
আমি কিছুই রান্না করতে পারি না। কোনোদিন করিও নি। তবে ভাত আর ডিম ভাজি পারি।
১৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০০
প্রামানিক বলেছেন: এটা চাকরী হারানোর আতঙ্ক, সুরভির দোষ নয়।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: না না। আগে চাকরি নিয়ে টেনশোন হতো। এখন আমি কেয়ার করি না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৬
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দোয়া করি সব যেন ঠিক হয়ে যায়।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর।
২০| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: খুবই ব্যাথিত হলাম। পারিবারিক চিন্তা সবার উপর। কারন সেখানে কাছের মানুষের চিন্তা নিহীত থাকে।
আপনি ভাবিকে ভালো ডাক্তার দেখান। দৈহিক অসুস্থতার চেয়ে মানসিক অসুস্থতাই বেশি মনে হচ্ছে। আপনি ওনাকে একা ছারবেন না, ওনার কাছে কাছে থাকুন। কর্মস্থল আর লেখালেখি একটু সময়ের কাছে বন্ধক রাখুন। ওনাকে মানসিক ও শারিরিক ভাবে সুস্থ করে তোলাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। আরৌ স্নেহ উপহার দিন। চাই একটু পাশে থাকার আশ্বাস। অতীতকে ভোলানোর জন্য মজবুত বর্তমান চাই। চেস্টা করুন। ছবি দেখে উপরওয়ালার তৈরি করা জুটি মনে হল। আপনিই পারেন। শুভকামনা আর ধন্যবাদ, শেয়ার করার জন্য।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
২১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: রাজীব ভাই
সব বাজে চিন্তা পরিহার করে ধর্মকর্মে মনোনিবেশ করুন।
অন্তত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন, আশা করি সুফল পাবেন।
২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: নুরু ভাই বিশ্বাস করুন, গতকাল রাতে হঠাত আমার মনে হলো- নামাজ পড়া শুরু করবো। তাহলে সব বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
২২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
প্রবাসী দেশী বলেছেন: এক বয়স্ক ভদ্রলোক তাঁর ১০০তম জন্মদিন খুব ধুমধাম করে পালন করার আয়োজন করলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাঁর বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়স্বজন সকলেই সেই বুড়ো ভদ্রলোকের সুস্বাস্হ্য এবং এই বয়সেও তাঁর স্ফূর্তি এবং এমন তারুন্যের রহস্য জানতে চাইলেন।
ভদ্রলোক বললেন, আমার এই সুস্বাস্থ্যের পেছনে একটি রহস্য রয়েছে।শুনতে চান? বলছি.....
৭৫ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়।প্রথম কয়েকমাস আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য শুরু হল। ক্রমে তা তর্কাতর্কি, ঝগড়াঝাটি এমনকি হাতাহাতিতে গড়ালো।
একবছর পর আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকিতে আমি এবং আমার স্ত্রী মিলে প্রতিজ্ঞা করলাম যে আর ঝগড়া নয়। এবার থেকে যে দোষী সাব্যস্ত হবে সে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটবে, এটিই হবে শাস্তি। সেইদিন থেকে আজ অব্দি প্রায় প্রতিদিন আমি পাঁচ কিলোমিটার হাঁটছি।
——সে ত বুঝলাম যে প্রতিবার আপনিই দোষী সাব্যস্ত হতেন আর তাই আপনাকে প্রতিবার পাঁচ কিমি হাঁটতে হত! কিন্তু আপনার স্ত্রীর বয়সও ত এখন ৯০ এর ওপরে,উনি কিভাবে এখনো এমন slim এবং energetic রয়েছেন?
——সেও এক রহস্য। আজ বলছি.....আমি যখন হাঁটতে বের হতাম, প্রতিবার আমার স্ত্রীও আমার পেছন পেছন হাঁটতেন। কেন?....এটা দেখাবার জন্য....আমি পাঁচ কিমি হাঁটছি কি না!
Stay fine and take proper care to your wife. happy blogging.
২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পরিচ্ছন্ন কৌতুক। ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার স্ত্রী কি রাতের খাবার লেইটে খাচ্ছেন? সন্ধ্যা ৭ টার দিকে খেয়ে ফেলবেন, তারপর আশেপাশে একটু হাঁটবেন। আপনাকে ছাঁটাই করবে না।