নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এই পৃথিবীতে সবারই কোনো না কোনো ভীতি আছে। কেউ তেলাপোকা দেখে ভয় পায়, কেউ মাকড়শা, কেউ কুকুর। আবার কেউ উঁচু থেকে নিচুতে তাকালে ভয় পায়। নানান রকম মানুষের নানান রকম ভয়। ভয়ের শেষ নেই। কিন্তু একটু চেষ্টা করলে ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমি যে কত কিছুকে ভয় পেতাম। সেই আমি আজ আমার ভয় গুলো জয় করতে পেরেছি। মনের তীব্র ইচ্ছা থাকলে যে কোনো ভয়কে জয় করা যায়। আজ আমি claustrophobia (ক্লস্ট্রোফোবিয়া) নিয়ে আলোচনা করবো।
claustrophobia (ক্লস্ট্রোফোবিয়া) হলো একধরনের অযৌক্তিক ভয়। অযৌক্তিক বলার কারণ, যার দ্বারা এই ভয়ের সৃষ্টি হয় আপাত দৃষ্টিতে তা আসলে মোটেও ভয় পাবার কিছু নেই। বদ্ধ যেকোনো কিছুকেই অস্বাভাবিক রকমের ভয় পায়। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষেরা ছোট রুম, লিফট, গাড়ি এইসব কিছুর মধ্যে থাকতেই অসম্ভব ভয় পায়। এছাড়াও আরো এক্সট্রিম ক্ষেত্রে চুল কাটার চেয়ার, কিংবা লাইনে দাড়াতে ভয় পাবার ঘটনা পর্যন্ত রয়েছে! আবেগ বাদ দিয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন- এই তুচ্ছ ব্যাপারটাকে আমি কেন ভয় পাচ্ছি? আসলে তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখন থেকে আমি আর ভয় পাবো না। নো নেভার। এইভাবে নিজের মনটাকে শক্ত করুন, বুঝান। আপনার 'মন' অবশ্যই আপনার কথা মতো চলতে হবে।
নিজেকে বোঝান আজ থেকে আমি আর এর অমূলক ভীতি পেতে চাই না। নিজের মনকে বলুন ক্লস্ট্রোফোবিয়া একটা ফালতু ভয়। এই ফোবিয়াতে আমার কিছুই যাবে আসবে না। লজিক দিয়ে সব কিছু চিন্তা করবেন। লজিক দিয়েই দুনিয়া চলে। কাজেই আপনি লজিক দিয়ে বিচার করে আপনার ভয় আপনি নিজেই দূর করতে পারেন। লিফট আয়না রাখার কারন জানেন কি? আয়না থাকলে নিজেকে দেখে নেওয়ার সুযোগ থাকে। সময় কেটে যায়। আয়নায় ভাবনা আসে। লিফটের সময়টা বোরিং কাটে না। ক্লাসট্রোফোবিয়া হল ছোট জায়গায় থাকার ভয়, তাদের ভয় লাগে তারা বোধহয় জায়গাটা ছেড়ে আর বের হতে পারবে না। বদ্ধ জায়গায় অনেকেরই দম বন্ধের মতো লাগে। ফলে আয়না লাগালে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় জায়গাটা অনেকেটা বেড়েছে। সব সমস্যার সমাধান আছে।
খুব বেশি সমস্যা হলে ডাক্তার দেখান। ওষুধ খাবেন, থেরাপি নিবেন। এ ধরনের অসুখে যাঁরা ভোগেন তাঁদের সব সময় মনে হয় ছোট কোনো ঘরে তাঁরা আটকে যাবেন বা দম বন্ধ হয়ে যাবে। জানালা খোলা রাখেন। অনেক সময় তাঁরা ঘরের দরজা বন্ধ রাখতেও ভয় পান। অপরিচিত জায়গার কোনো ঘর হলে এ ভয় আরো বেশি হয়। এঁরা লিফটে উঠতেও ভয় পান। মানসিক রোগ দরিদ্র লোকদের হয় না বললেই চলে। এই রোগ ধনীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ফোবিয়া বা আতঙ্ক ক্রমেই গ্রাস করে ফেলে ব্যক্তিজীবন, এ আগ্রাসন এর কারণ খুঁজতে গেলে নিজের মধ্যে, আশেপাশের পরিবেশের মধ্যেই তার উত্তর মিলবে; এবং তারপর মিলবে সমাধান। সকল ফোবিয়ার আগ্রাসন থেকে মুক্ত হোক মানবমন।
Intruders (2015) মুভিটা দেখুন।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি এখনই লিখছি।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার স্ত্রী একা থাকে। তার ফোবিয়া হলো, তার কোন ক্ষতি হবে বা কেউ তার ক্ষতি করবে - এই ভয়। এ কারণে আমাকে চলে আসতে বলে...
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: এই ভয় গুলোকে জয় করতে তাকে সাহায্য করুন।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: চিকিৎসা কার জরুরি তাই ভাবতেছি।
নেট না থাকলে যার মাথা ঠিক থাকেনা তার নাকি ক্লস্ট্রোফোবিয়ার?
এর জবাব কে দিবে আমাকে।
সুন্দর।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভাই, শিরোনাম ঠিক করুন।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক করে আর কি হবে?
ফলাফল শূন্য।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমার ব্লাড ফোবিয়া আছে। রক্ত সহ্য করতে পারি না। এই কারণে বেশিবার রক্ত দিতে পারি নাই। মাত্র ৪ বার দিয়েছি।
রক্ত দেখলে আমার মাথা ঘুরায়
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: গুড। তারপরও রক্ত দিয়ে যাবেন। বেশি ভয় করলে চোখ বন্ধ করে রাখবেন।
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৯
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: পোষ্ট ভালো লাগলো ।
ভাই আপনারা নিজেদের মধ্যে সমস্যা সমাধান করে ফেলেন । অশান্তি ভালো লাগে না। আপনারা ভালো থাকুন আমরা সবাই চাই ।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে সমাধান এখুনি করছি বোন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগার অর্ক একটা পোষ্ট দিয়েছেন; সেখানে আপনার নাম নেই, কিন্তু বর্ণনায় বুঝা যাচ্ছে যে, আপনাকে নিয়েই পোষ্টটা। প্লীজ, উনার পোষ্টে গিয়ে আপনি কমেন্টে লিখুন, "স্যরি, মন খারাপ করবেন না; চলুন, যা হয়েছে ২ জনেই ভুলে যাই।"