নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যজাল

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৩



পাঁচ তালা বাড়িটা মগবাজার এলাকায়।
বাড়ির নাম মৌবন। নিচ তালা পুরোটা গ্যারেজের মতো। বাকি সব গুলো ফ্লাট ভাড়া। পুরো বাড়িটা মেস বাড়ি। কোনো ফ্যামিলি থাকে না। সব ব্যাচেলার। বাড়ির মালিক থাকেন কানাডায়। তিনি গত পাঁচ বছরও দেশে ফিরেননি। আর দেশে আসলেও রেডিসন হোটেলে উঠেন। পাঁচ সাত দিন থেকে চলে যান। বাড়ি দেখাশোনা করে কেয়ারটেকার। তার নাম সোলেমান। বয়স ত্রিশ। সোলেমান তিন তালায় থাকে। তার পাশের ফ্লাটে থাকে আপন দুই ভাই সজল আর কাজল। তারা এক অফিসে কেরানির চাকরি করে। একদিন কেয়ারটেকার সোলেমানের সাথে দুই ভাইয়ের ঝগড়া হয়। সোলেমান তাদের অভিশাপ দেয়, দুই দিনের মধ্যে তোরা দুই ভাই আমার সাথে খারাপ ব্যবহারের ফল পাবি। ঠিক তার পরের দিন বড় ভাই সজল একসিডেন্টে মারা যায়। এবং বড় ভাই মারা যাবার সাত দিন পর ছোট ভাই কাজল গলায় ফাঁস নেয়। এরপর এক বছর ওই ফ্লাট আর কেউ ভাড়া নেয়নি। ভাড়াটিয়ারা যখন ভাড়া নিতে আসে- যখন জানে এই ফ্লাটে কাজল নামের এক ছেলে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে তখন তারা ফ্লাট ভাড়া নেয় না। ফ্লাটটি তারা মারা রইলো।

তিন বছর পরের কথা।
ওই দুই ভাইয়ের কথা এলাকার মানুষ ভুলেই গিয়েছে। ফরিদপুর থেকে তিনটা ছেলে (হাসান, তারেক এবং শাহেদ) গ্রাম থেকে ঢাকায় আসে। ঢাকায় তাদের চাকরি হয়েছে। এক দূর সম্পর্কের মামা তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তারা মগবাজারের মৌবন এর তিন তালা ভাড়া নেয়। সারা দিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে। রাতে নিজেরাই রান্না করে খায়। তাদের পাশের ফ্লাটে থাকে কেয়ারটেকার সোলেমান। সোলেমান তাদের কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া নেয়। মাঝে মাঝে তাদের সাথে গল্প করতে আসে। হাসান, তারেক আর শাহেদ কেন জানি সোলেমানকে ভয় পায়। তাই সোলেমানকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করে। সোলেমান প্রতি শুক্রবার তাদের রুমে এসে নানান গল্প টল্প করে রাত বারোটায় চলে যায়। একদিন সোলেমান হঠাৎ করেই তাদের বলল, আগামী মাসে'ই আপনাদের তিনজনের বিয়ে হবে। ঘটনা চক্রে দেখা গেল- সত্যি সত্যি হাসান, তারেক আর শাহেদের বিয়ে হয়ে গেল।

তারা তিনজন লক্ষ্য করেছে সোলেমানের ঘর থেকে প্রায়'ই নানান রকম শব্দ আসে। মনে হয় যেন, কোনো পশু দৌড়াচ্ছে। খাবলে খুবলে কোনো বাচ্চা মেয়েকে ছিড়ে কুটে খাচ্ছে। তিনজন ভয়ে চুপ করে থাকে। সোলেমানকে কিছু জিজ্ঞেস করতে সাহস পায় না। তাছাড়া সোলেমান যদি তাদের তাড়িয়ে দেয় এত সস্তায় ঢাকা শহরে আর বাসা পাওয়া যাবে না। একদিন খুব ঝড় বৃষ্টির রাতে সোলেমান তাদের তিনজনকে বলল, আসুন এমন রাতে না ঘুমিয়ে গল্পগুজব করে কাটিয়ে দেই। তাছাড়া আগামীকাল তো শুক্রবার আপনাদের ছুটি। সোলেমান বলল, আমার যে অনেক অলৌকিক ক্ষমতা আছে তা কি আপনারা জানেন? তারেক বলল, ঠিক আছে আপনার অলৌকিক ক্ষমতা দেখান একটা। সোলেমান বলল, ঠিক দশ মিনিট পর কারেন্ট চলে যাবে। এবং আমি যখন বলল, তখন'ই কারেন্ট আসবে। সোলেমান যা বলল, ঠিক ঠিক তাই'ই ঘটল। সোলেমান হাসতে হাসতে বলল, আমি কালো যাদু জানি। কুফরি কালাম জানি।

হাসান ছুটি নিয়ে গিয়েছে গ্রামের বাড়ি। বাসায় আছে শুধু তারেক আর শাহেদ। তারা রাতের খাওয়া দাওয়া করে যে যার বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লো। কতক্ষন ঘুমিয়েছে জানে না। তাদের ঘুম ভাঙ্গল চিৎকার, চেচামেচি আর দরজা ধাক্কার শব্দে। তারা দুইজন'ই ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে দরজা খুলে দেখল, পাঁচ সাতজন লোক। লোক গুলো বলল, আমরা আপনাদের নিচের ফ্লাটে থাকি। আপনাদের রুমে কি হচ্ছে? খুব চিল্লাচিল্লি, দৌড়ঝাঁপ আর হৈচৈ শুনছি। শাহেদ আর তারেক বলল, আমাদের রুমে আমরা দু'জন ছাড়া আর কেউ নেই। তাছাড়া আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। লোকজন চলে গেল। নিচ থেকে লোকজন চলে এলো কিন্তু পাশের ফ্লাট থেকে সোলেমান আসলো না। তার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।

হাসান এখনও গ্রাম থেকে ফিরেনি। আরও দুইদিন পর ফিরবে। এদিকে তারেকও ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। বাসায় একা শুধু শাহেদ। তাদের তিনজনের মধ্যে শাহেদের সাহস সবচেয়ে বেশি। পরের দিন শাহেদ অফিস থেকে বাসায় ফিরে পকেট থেকে চাবি বের করে তালা খোলার সময় ঘরের ভিতর থেকে বিকট শব্দ পায়। মনে হচ্ছে বেশ কয়েকটা পশু ঘরের ভেতর মারামারি করছে। ছুটাছুটি করছে। তারপরও শাহেদ অনেক সাহস সঞ্চয় করে, দোয়া কলমা পড়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। ঠিক তখন সমস্ত বিকট শব্দ থেমে যায়। রাতে সে একাই রান্না করে খেল। শাহেদ ঘুমুতে যাবে এমন সময় সোলেমান এসে হাজির। সোলেমান বলল, আজ আপনি আমার রুমে এসে ঘুমান। দুই ভাই মিলে গল্প করবো। শাহেদ সোলেমানের কথা শুনে মহা খুশি হলো। তার একা ভয়-ভয় করছিল। শাহেদ এই প্রথম সোলেমানের ঘরে এলো।

শাহেদ বলল, সোলেমান ভাই সবাই বলে আপনার নাকি অনেক ক্ষমতা। আজ আপনার ক্ষমতা দেখান। সোলেমান তিনটা কাঁচের বোতল বের করলো। তিনটা বোতলের মধ্যে ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখা তিন রকমের সাপ। শাহেদ গ্রামের ছেলে এইরকম সাপ সে ভয় পায় না। গ্রামে থাকতে সে এরকম সাপ পুকুরে গোছল করতে গিয়ে কত দেখেছে। সোলেমান বলল, আমার জ্বিন সাধনা আছে। এই জ্বিনরা আমাকে অনেক কিছু করতে সাহায্য করে। আমি যা চাই, তাই'ই করতে পারি। শাহেদ বলল, আপনার একটা অলৌকিক ক্ষমতা দেখান আজ। সোলেমান বলল, অলৌকিক ক্ষমতা দেখাচ্ছি। কিন্তু এই ক্ষমতার কথা কাউকে বলবেন। বললে আপনার ক্ষতি হবে। এরপর শাহেদ দেখল, সোলেমান পায়ের কাছ দিয়ে সাপ হতে শুরু করেছে। সোলেমানের শরীর অর্ধেক সাপ আর অর্ধেক মানুষ। শাহেদ ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, প্লীজ থামুন। আমার খুব ভয় করছে। একসময় সোলেমান পুরোপুরি সাপ হয়ে গেল। এই দৃশ্য দেখে শাহেদ চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারালো।

তারেক আর হাসান গ্রাম থেকে ফিরল। আগের মতো তারা সারাদিন অফিস করে রাতে বাসায় ফিরে রান্না করে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এর মধ্যে একদিন হাসানের সাথে সোলেমানের খুব ঝগড়া হয়ে গেল। সোলেমান বলল, তিন দিনের মধ্যে তুই বিরাট বিপদে পড়বি। সত্যি সত্যি হাসান বিপদে পড়ে গেল। তার চাকরি চলে গেল। এবং রক্ত বমি করতে শুরু করলো। অবস্থা এমন খারাপ হলো যে, হাসান গ্রামে ফিরে গেল। রুমে থাকলো তারা দুইজন। তারেক আর শাহেদ। এদিকে শাহেদ তারেককে কি যেন বলতে চায় কিন্তু বলে না। একদিন তারেক বলল, শাহেদ তুমি কি বলতে চাও বলতো। কতদিন ধরে বলতে গিয়েও বলো না। প্লীজ বলে ফেলো। শাহেদ বলল, সেদিন আমি সোলেমানের ঘরে ছিলাম। সোলেমান তার ক্ষমতা দেখালো। সে সাপ হয়ে গেল। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লাম। অবশেষে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। তারা দুইজন রাতের অন্ধকারে মগবাজারের বাসা ছেড়ে পালিয়ে গেল।

সোলেমান রেগেমেগে শাহেদকে ফোন করে বলল, শাহেদ তুমি কথা রাখোনি। তুমি আমার ক্ষমতার কথা তোমার বন্ধুকে জানিয়ে দিয়েছো। আমি খুব করে বলেছিলাম, আমার জ্বিন সাধনার কথা কাউকে বলো না। বললে বিপদ হবে। তবু তুমি বলে দিয়েছো। তিন দিনের মধ্যে তোমার বিরাট বিপদ হবে। তিনদিন পর দেখা গেল শাহেদের বউ পাগল হয়ে গেছে। কত ডাক্তার দেখানো হলো কিন্তু কোনো লাভ হলো না। শাহেদের বউ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। শাহেদের বউ এর আত্মহত্যা নিয়ে আমি একটা লেখা লিখেছি। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন- এই গল্প

চিরকাল এইসব রহস্য আছে নীরব
রুদ্ধ ওষ্ঠাধর
জন্মান্তের নব প্রাতে,
সে হয়তো আপনাতে পেয়েছে উত্তর।


(বিঃদ্রঃ এটা কোনো গল্প নয়। তারেকের কাছ থেকে আমি এই ঘটনা শুনেছি। তারেক আমার অফিসের সহকর্মী। তারেকের মাধ্যমে শাহেদ ও হাসানের সাথে আমার পরিচয় হয়। তাদের সাথেও আমি কথা বলেছি। সবাই একরকম কথাই বলেছে। শাহেদের কল্যাণে আমি সোলেমানের নাম ঠিকানা পাই। এ মাসের শেষের দিকে সোলেমানের সাথে আমার দেখা হবে। আমি একজন আধুনিক মানুষ। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। আমি নিজের চোখে সোলেমানের ক্ষমতা দেখতে চাই। রহস্যময় ব্যাপার গুলোর মুখোমুখি হওয়া বিরাট আনন্দের ব্যাপার। সোলেমানের সাথে দেখা হওয়ার পর বাকি ঘটনা আমি আপনাদের জানাবো। রহস্যটা আমি খুঁজে বের করবোই।)

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪১

Palash Talukder বলেছেন: ভাল লিখেছেন!

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকা শহরে অনেক জ্বীন বসবাস করছে, মনে হয়!

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: কি জানি ।
কোনো দিন জ্বীন ও নিজের চোখে দেখি নাই।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ২:১২

অনল চৌধুরী বলেছেন: বহু পুরানো গল্প।হুমায়নের আগেও অনেকে লিখেছে।এতে নতুন কিছুই নাই।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প নয় বাস্তব।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ২:১৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাড়ির নম্বর দেন।আজই গিয়ে তদন্ত করবো সত্য না মিথ্যা।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: নাম্বার দেওয়া কি ঠিক হবে।
একটু সহজ করে দেই। মগবাজার মোড় থেকে ৪/৫ মিনিট হাটলেই বাসাটা পাওয়া যাবে।

৫| ১৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: জীনের কাহিনীটা ভালই লেগেছে। চমৎকার লেখেছেন রাজীব ভাই।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৫

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে তার পর কি তা পড়ার জন্য।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

সুমন কর বলেছেন: আপনি ওর বাসা ঘুরে এসে জানিয়েন, কি দেখলেন !! পড়তে ভালোই লাগল।

প্রথম প‌্যারায় তালা হবে।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই।

৮| ১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

দিপু দিপু বলেছেন: ভাই অনেক ইন্টারেস্টিং। দেখা হওয়ার অভিজ্ঞাতা শেয়ার করবেন আশা করি :)

১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই শেয়ার করবো।

৯| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাসান শাহেদ ও তারেকের কেমিস্ট বেশ লাগলো।

শুভ কামনা রইল।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: মগবাজার মোড় থেকে ৪/৫ মিনিট হাটলেই বাসাটা পাওয়া যাবে-সামনে -পিছনে না ডানে -বামে?কোনদিকে?

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

রাজীব নুর বলেছেন: মগবাজার থেকে হাতিঝিলের দিকে যেতে।

১১| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জ্বীন ভু্তদের উচিত দায়িত্ব নিয়ে ঢাকার জনসংখ্যা কমানো।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

তবে তারা দুষ্ট লোকদের উঠিয়ে নিক।

১২| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন:
বিশ্বাস করতে পারছি না।
অবিশ্বাস করতে পারলে বেশী ভালো লাগত।

২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনা সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.